সাধারণত ঐতিহাসিক যুগ বলতে ইতিহাসের লিখিত বিবরণের প্রাপ্তি ও লিখন পদ্ধতির উদ্ভাবনের সময়কালকে বোঝানো হয়। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এক একটি বিশেষ সময়কে ঐতিহাসিক যুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
যে সময়কালের মানুষের ইতিহাস জানা যায় তাদেরই লেখা থেকে বা রচনা থেকে, সেই সময়কালকে ঐতিহাসিক যুগ বলা হয়।
পৃথিবীর সব দেশে একই সময়ে লিপি বা বর্ণমালার আবির্ভাব ঘটেনি। তাই সর্বত্র একই সময়ে ‘ঐতিহাসিক যুগের’ সূচনা হয়নি।
৩০০০ খ্রিস্টপূর্বের কাছাকাছি সময় থেকেই মিশর, মেসোপটেমিয়া প্রভৃতি দেশে লিপির প্রচলন হয়েছিল এবং এগুলির পাঠোদ্ধার করাও সম্ভব হয়েছে। এই সময় থেকেই এইসব দেশের রাজবংশ, রাজন্যবর্গ এবং সন-তারিখের মোটামুটি লিখিত বিবরণ পাওয়া যায়।
আর্য বা বৈদিক সভ্যতার যুগে বিশাল ও অনুপম সাহিত্য সৃষ্টি হলেও আর্যদের কোনো লিপিজ্ঞান ছিল না বলেই অনুমান করা হয়। কারও কারও মতে প্রাচীন ভারতের শিলালিপিগুলির মধ্যে মৌর্য সম্রাট অশোকের শিলালিপিগুলিই হল প্রাচীনতম। এই লিপি গুলির পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাই কেউ কেউ ভারতে ‘ঐতিহাসিক যুগের’ সূচনাকাল হিসেবে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতককে চিহ্নিত করে থাকে।
ভারত -এর প্রথম ইতিহাস গ্ৰন্থ হল রাজতরঙ্গিনী। এই গ্ৰন্থটি রচনা করেন কাশ্মীরের ব্রাহ্মণ পণ্ডিত কলহন। রাজতরঙ্গিনী এক দিকে যেমন ইতিহাস গ্রন্থ তেমনি অন্যদিকে এই গ্ৰন্থের কাব্যিক সুর মূর্ছনাকে অবজ্ঞা করার কোন অবকাশ নেই। কালানুক্রম সমন্বিত ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক গ্ৰন্থের স্বীকৃতি পেয়েছে এই গ্ৰন্থ। এখানে কাশ্মীরের রাজাদের ধারাবাহিক বিবরণ আছে।
বাঙালি জাতি পরিচয়ের ঐতিহাসিক যুগ শুরু হয় গুপ্ত সাম্রাজ্য -এর (৩২০-৬৫০ খ্রি.) থেকে। এই যুগেই প্রথম ক্ষুদ্র রাজ্যপুঞ্জগুলিকে নিয়ে গঠিত হয় বিশাল রাজ্য। গুপ্তদের সাম্রাজ্যিক ছত্রছায়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় ক্ষুদ্র রাজ্যের বদলে বৃহৎ রাজ্য। যেমন পূর্ব ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের বঙ্গরাজ্য ও উত্তরাঞ্চলের গৌড় রাজ্য। বৃহৎ বঙ্গের প্রথম এবং ঐতিহাসিকভাবে সুনির্দিষ্ট এবং শক্তিশালী শাসক শশাঙ্ক (আনু ৬০০-৬২৫ খ্রি.)। তাঁর দক্ষ শাসনের মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালিকে তিনি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকেই বাঙালি জাতিসত্ত্বার যাত্রা শুরু এবং পাল ও সেন আমলে এসে সেই সত্ত্বা আরো বিকশিত হয়ে বাঙালি জাতির শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুগ সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি ইতিহাস ও মানব সভ্যতায় এই সব ঐতিহাসিক যুগ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ তা সকলের সামনে তুলে ধরা হবে।
ঐতিহাসিক যুগ
নিম্নে আধুনিক ইতিহাসের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক যুগগুলির লিঙ্ক দেওয়া হল-👇
- রোমান রাজতান্ত্রিক যুগ
- ঋক বৈদিক যুগ
- প্রাচীন প্রস্তর যুগ
- মধ্য প্রস্তর যুগ
- নব্য প্রস্তর যুগ
- লৌহ যুগ
- ঐতিহাসিক যুগ (Historical period)
- হরপ্পা সভ্যতা (Harappan Civilization)
- মেহেরগড় সভ্যতা
- প্রায় ঐতিহাসিক যুগ (Proto Historic Period)
- প্রাগৈতিহাসিক যুগ
- কদম্ব বংশ
- কল্যাণের চালুক্য বংশ
- গঙ্গ বংশ
- যাদব বংশ
- কাকতীয় বংশ
- বেঙ্গীর চালুক্য বংশ
- সোলাঙ্কি বংশ
- গৌড় রাজ্য
- চান্দেল্ল বংশ
- কলচুরি বংশ
- পারমার বংশ
- বাহমনি-বিজয়নগর সংঘর্ষ
- বাহমনি রাজ্য
- গজনী রাজ্য
- চালুক্য বংশ
- খলজি বংশ
- বাকাটক রাজ বংশ
- হর্যঙ্ক বংশ
- নন্দ বংশ
- শিশুনাগ বংশ
- সৈয়দ বংশ
- তুঘলক বংশ
- লোদী বংশ
- বিজয়নগর সাম্রাজ্যের আরবিডু বংশ
- দাস বংশ
- বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সঙ্গম বংশ
- বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সালুভ বংশ
- তুলুভ বংশ
- প্রতিহার বংশ
- রাষ্ট্রকূট বংশ
- সঙ্গম যুগ
- পল্লব বংশ
- চোল বংশ
- মহাকাব্যের যুগ
- ইউরোপে আধুনিক যুগ
- সুমেরীয় সভ্যতা
- মিশরীয় সভ্যতা
- বৈদিক সভ্যতা
- পরবর্তী বৈদিক যুগ
- তাম্র প্রস্তর যুগ
আধুনিক ইতিহাস -অন্যান্য ঐতিহাসিক বিষয়
আধুনিক ইতিহাস AdhunikItihas.com 👈 হল ইতিহাস চর্চার নুতন দিগন্ত । ইতিহাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে । আধুনিক ইতিহাস Adhunik Itihas চর্চা করা হবে তেমনি বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার কে সহজ ভাবে তুলে ধরা হবে । অন্যান্য ঐতিহাসিক বিষয়গুলি জানতে নিচে ক্লিক করুন 👇
Sl No | ঐতিহাসিক বিষয় |
---|---|
1 | ঐতিহাসিক গ্রন্থ |
2 | ঐতিহাসিক ঘটনা বা গল্প |
3 | ঐতিহাসিক চরিত্র |
4 | ঐতিহাসিক চিন্তাবিদ |
5 | ঐতিহাসিক নিদর্শন |
6 | ঐতিহাসিক মনীষী |
7 | ঐতিহাসিক যুগ |
8 | ঐতিহাসিক যুদ্ধ |
9 | ঐতিহাসিক শিক্ষাক্ষেত্র |
10 | ঐতিহাসিক স্থান |
11 | পত্রিকা |
12 | পর্যটক |
13 | ভারতের সংবিধান |
14 | মনীষীদের বাণী |
15 | লিপি |
16 | উৎসব |
আধুনিক ইতিহাস (adhunikitihas.com) ওয়েবসাইটে পরিদর্শন করার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের ওয়েবসাইটের সমস্ত পোস্টগুলি বিশেষজ্ঞ (About us) দ্বারা রচিত। যদি মুদ্রণ বা টাইপিং জনিত কোন ভুল থাকে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের চলার পথ সুগম করে তুলবে। ঐতিহাসিক যুগগুলি জানুন ও অপরকে ঐতিহাসিক যুগগুলি জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুণ।