হর্যঙ্ক বংশ

প্রাচীন ভারতের হর্যঙ্ক বংশ প্রসঙ্গে রাজা বিম্বিসার, রাজা অজাতশত্রু, রাজা উদয়িন, অন্যান্য রাজা ও হর্যঙ্ক বংশের পতন সম্পর্কে জানবো।

প্রাচীন ভারতের হর্যঙ্ক বংশ

ঐতিহাসিক যুগহর্যঙ্ক বংশ
সময়কালআনুমানিক ৫৪৫-৪৩০ খ্রি.পূ.
প্রতিষ্ঠাতাবিম্বিসার
রাজধানীরাজগৃহ
প্রাচীন ভারতের হর্যঙ্ক বংশ

ভূমিকা :- বৌদ্ধ মহাবংশ ও অশ্বঘোষের বুদ্ধ চরিতে বলা হয়েছে যে, মগধ-এর প্রথম বিখ্যাত রাজা বিম্বিসার হর্যঙ্ক বংশের লোক ছিলেন। পণ্ডিতেরা সাক্ষ্য প্রমাণ দৃষ্টে এই মতকেই গ্রহণ করেছেন। মগধের উত্থান হর্যঙ্ক বিম্বিসারের আমল থেকেই আরম্ভ হয় এমন প্রমাণ বহুভাবে পাওয়া যায়।

হর্যঙ্ক বংশের রাজা বিম্বিসার

এই বংশের প্রথম রাজা ছিলেন বিম্বিসার। তার পিতার নাম ছিল ভট্টীয়। বিম্বিসার যখন মগধ-এর সিংহাসনে বসেন তখন মগধ ছিল ষোড়শ মহাজনপদের অন্যতম। বিহারের গয়া ও পাটনা জেলা নিয়ে ছিল এর পরিধি। তিনি শ্রেণীক উপাধি গ্ৰহন করেন। তিনি বৈবাহিক নীতি ও অঙ্গ রাজ্য জয় করে মগধের বিস্তার ঘটান। তিনি গৌতম বুদ্ধবৌদ্ধ ধর্ম-এর অনুরাগী ছিলেন। তবে জৈন ধর্মগ্ৰন্থে তাকে জৈন ধর্ম-এর অনুরাগী বলা হয়েছে। বৌদ্ধ শাস্ত্র অনুযায়ী বিম্বিসার তার পুত্র অজাতশত্রুর হাতে নিহত হন।

ভারতের হর্যঙ্ক বংশের রাজা অজাতশত্রু

অজাতশত্রু পিতার রাজ্য বিস্তার নীতি অক্ষুন্ন রাখেন। তিনি কুনিক উপাধি গ্ৰহণ করেন। তার আমলে অঙ্গ, কোশল, বৃজি প্রভৃতি মগধের অধিকারে এসেছিল। শেষ জীবনে তিনি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি অনুরাগ দেখান। তার আমলে প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাচীন হর্যঙ্ক বংশের রাজা উদয়িন

অজাতশত্রুর পর মগধের সিংহাসনে আরোহণ করেন উদয়িন বা উদয়ভদ্র। তার প্রধান কৃতিত্ব গঙ্গা ও শোন নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত পাটলি দুর্গকে কেন্দ্র করে পাটলিপুত্র নগরের নির্মাণ।

হর্যঙ্ক বংশের অন্যান্য রাজা

উদয়িনের পর অনিরুদ্ধ, মন্ডু প্রমুখ মগধের সিংহাসনে বসেন। বৌদ্ধ কিংবদন্তি অনুযায়ী এরা প্রত্যেকেই ছিলেন পিতৃহন্তা। এই বংশের শেষ রাজা ছিলেন দর্শক বা নাগদশক।

উপসংহার :- শেষ রাজা দর্শক বা নাগদশককে নিহত করে তার সভাসদ শিশুনাগ মগধের সিংহাসন অধিকার করলে হর্যঙ্ক বংশের পতন হয়।

(FAQ) প্রাচীন ভারতের হর্যঙ্ক বংশ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. মগধের প্রথম রাজবংশ কোনটি?

হর্যঙ্ক বংশ।

২. হর্যঙ্ক বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

বিম্বিসার।

৩. হর্যঙ্ক বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন?

নাগদশক।

৪. হর্যঙ্ক বংশের সময়কাল কত?

আনুমানিক ৫৪৫-৪৩০ খ্রিস্টপূর্ব।

Leave a Comment