জৈন ধর্ম

জৈন ধর্ম প্রসঙ্গে চতুর্যাম, পঞ্চমহাব্রত, প্রবক্তা ও প্রচারক, মূলতত্ত্ব, কর্মফল, সর্বপ্রাণবাদ, পূর্ব ভারতে প্রসার, পশ্চিম ভারতে প্রসার, দক্ষিণ ভারতে প্রসার, দিগম্বর, শ্বেতাম্বর, দ্বাদশ অঙ্গ ও জৈন ধর্মের সাফল্য সম্পর্কে জানবো।

মহাবীর প্রচারিত জৈন ধর্ম

বিষয়জৈন ধর্ম
চতুর্যামপরেশনাথ
পঞ্চমহাব্রতমহাবীর
জৈন মহাসভাপাটলিপুত্র
বিভাগদিগম্বর ও শ্বেতাম্বর
জৈন ধর্ম

ভূমিকা :- জৈন ধর্মমত একা মহাবীর প্রচার করেন একথা জৈন ধর্মশাস্ত্রে বলা হয় নি। মহাবীরের আগে ২৩ জন তীর্থঙ্কর বা ধর্মগুরু এই ধর্মমত প্রচার করেন। এজন্য মহাবীরকে নতুন ধর্মের প্রবর্তক বলা যায় না।

জৈন ধর্মে চতুর্যাম

মহাবীরের পূর্ববর্তী তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের ‘চতুর্যাম’ বা চারটি যাম হল –

  • (১) অহিংসা,
  • (২) মিথ্যা কথা না বলা,
  • (৩) চুরি না করা,
  • (৪) কোনো বস্তুর প্রতি মায়ায় আবদ্ধ না হওয়া।

জৈন ধর্মে পঞ্চমহাব্রত

পার্শ্বনাথের ‘চতুর্যাম’ বা চারটি নীতিকে মহাবীর গ্রহণ করেন এবং তাতে তিনি কিছু নতুন নীতি সংযোজন করেন। মহাবীর এই চতুর্যামের সঙ্গে একটি নিয়ম যুক্ত করেন – ব্রহ্মচর্য। এরপর চতুর্যামের নাম হয় পঞ্চমহাব্রত।

জৈন ধর্মের প্রবক্তা ও প্রচারক

মহাবীরকে সংস্কারক বলা চলে। তাঁকে নতুন ধর্মমতের প্রবর্তক বলা যায় না। তথাপি পার্শ্বনাথের প্রবর্তিত ধর্মমতকে সংস্কার করে মহাবীর তাকে নতুন করে জনপ্রিয়তা দেন। জৈনধর্মের আক্ষরিকভাবে মহাবীর প্রতিষ্ঠাতা না হলেও কার্যত তিনিই ছিলেন এর প্রবক্তা ও প্রচারক

জৈন ধর্মের মূলতত্ত্ব

  • (১) জৈন ধর্মে ঈশ্বর আছেন কি নেই এই প্রশ্নকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিশ্বের সৃষ্টি ঈশ্বরের অনুগ্রহে হয় এমন কথা জৈনধর্মে বলা হয়নি। জৈন শাস্ত্রে বলা হয় যে এই বিশ্বজগত, মানব জীবন সকল কিছুই একটি সর্বজনীন নিয়মের অধীন।
  • (২) এই নিয়ম হল যে, উত্থানের পর আসবে পতন এবং পতনের পর আসবে উত্থান। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ -এর ভাষায় – “পতন অভূদয় বন্ধুর পন্থা যুগ যুগ ধাবিত যাত্রী।” উন্নতির পর্যায় শেষ হলে আসবে অবনতি। প্রতি পর্যায়ে তীর্থঙ্করেরা এসে মানুষকে পথ দেখাবেন। এই উত্থান-পতন, সুখ-দুঃখের পালা চাকার মত ঘুরছে।

জৈন ধর্মে কর্মফল

এই ধর্মে কর্মফলে বিশ্বাস করা হয়। কর্মফলের হাত থেকে মুক্তির জন্য ত্রিরত্ন অর্থাৎ সৎ-বিশ্বাস, সৎ-জ্ঞান, সৎ-আচরণ পালন করার কথা এই ধর্মে বলা হয়েছে। এই তিনটি নীতি বা ত্রিরত্ন পালন করলে মানুষ হবে সিদ্ধশীল। কর্মফল ও জন্মান্তরের হাত থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।

জৈন ধর্মে সর্বপ্রাণবাদ

জৈনধর্মে জীব বা প্রাণের অস্তিত্ব অত্যন্ত ব্যাপকভাবে কল্পনা করা হয়। জীব বা প্রাণ কেবলমাত্র প্রাণী জগতে অবস্থান করে না। গাছপালা, পাহাড়, পর্বত, নদ-নদী সকল কিছুতেই জৈনরা প্রাণের অস্তিত্ব আছে বলে মনে করে। সর্বপ্রাণবাদ জৈনধর্মের একটি প্রধান অঙ্গ।

জীবন সম্পর্কে জৈন ধর্মের ব্যাখ্যা

  • (১) এই জীবনের সংখ্যা অনন্ত। তারা সর্বত্র সমান। জলকে যেমন বিভিন্ন পাত্রে রাখলে বিভিন্ন আকার নেয়, সেইরকম বস্তুর প্রভেদের জন্যই প্রাণের প্রকাশভঙ্গি ভিন্ন হয়। জীবন এক পবিত্র জিনিষ। মানুষ তার কর্মফলের দ্বারা নিজ নিজ জীবনকে অপবিত্র করে।
  • (২) এই জীবন পরিশুদ্ধ করার জন্য কঠোর কৃচ্ছ্রসাধন, উপবাস, তপস্যা ও অহিংসা পালন করার কথা মহাবীর বলেছেন। আসক্তি ত্যাগ করে, প্রায়শ্চিত্ত ও সংযম এবং ত্যাগময় জীবন-যাপন করলে মানুষ শেষ পর্যন্ত মুক্তি লাভ করবে একথা জৈনধর্মে বলা হয়। জৈনধর্মে অহিংসাকে সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হয়।
  • (৩) জৈনধর্মের মূল লক্ষ্য হল জীবনে কর্মফলের প্রভাবে যে অপবিত্রতা এসেছে তা থেকে মুক্ত হওয়া। এজন্যে তিনি আসক্তি ও বন্ধন থেকে মুক্ত থাকার উপদেশ দিয়েছেন। জৈনধর্মে এজন্য আত্মীয়, পরিজন, বিষয়, আশয় সকলকে জীব বা জীবন থেকে আলাদা দেখতে বলা হয়।
  • (৪) জৈনধর্মে সাধারণ মানুষের জন্য সরল ও অনাড়ম্বরভাবে জীবন-যাপনের কথা বলা হয়েছে। এতে সততা ও মিতব্যয়িতাকে বিশেষ মূল্য দেওয়া হয়। সম্পত্তির ক্ষেত্রে জৈনধর্মের অনুশাসন হল যে, প্রয়োজনের বেশী যেন কেহ হাতে না রাখে। অ-পরিগ্রহ তত্ত্বের ওপর মহাবীর বিশেষ জোর দিয়েছেন।

পূর্ব ভারতে জৈন ধর্মের প্রসার

জৈনধর্ম প্রথম পূর্ব-ভারত অর্থাৎ অঙ্গ রাজ্য বা ভাগলপুর জেলা, বিদেহ ও কোশল রাজ্যে প্রচারিত হয়। কথিত আছে যে, মহাবীর রাঢ়দেশে ধর্মপ্রচার করতে এলে রাঢ়ের লোকেরা তাঁর প্রতি কুকুর লেলিয়ে দেয়। মগধ -এর রাজা বিম্বিসারঅজাতশত্রু এই ধর্মমতকে সমর্থন করতেন বলে জানা যায়।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের জৈন ধর্ম গ্রহণ

মৌর্যসম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে জৈনধর্মের অনুরাগী হয়েছিলেন। জৈন শাস্ত্র মতে বৃদ্ধ বয়সে তিনি রাজ্য ত্যাগ করে মহীশূরের শ্রাবণবেলগোলায় অনশনে দেহত্যাগ করেন। এই সময় তাকে চন্দ্রগুপ্ত মুনি বলা হত। তাঁর নাম স্মরণ রাখার জন্যে শ্রাবণবেলগোলায় চন্দ্রগিরি নামে এক গুহা নির্মিত হয়।

পশ্চিম ভারতে জৈন ধর্মের প্রসার

জৈনধর্ম প্রথমে পূর্ব ভারতে জনপ্রিয়তা পেলেও শেষ পর্যন্ত পূর্ব ভারতে এই ধর্মের অস্তিত্ব বজায় থাকে নি। পশ্চিম ভারতে অর্থাৎ গুজরাট, কাথিয়াবাড় ও রাজপুতানার কিছু অংশে এই ধর্ম স্থায়িত্ব লাভ করে। বহু গুজরাটী ও মারওয়াড়ী এখনও জৈনধর্মের অনুরাগী। পশ্চিম ভারতে শ্বেতাম্বর সম্প্রদায়ের প্রভাব বেশী দেখা যায়।

দক্ষিণ ভারতে জৈন ধর্মের প্রসার

দক্ষিণ ভারতেও জৈনধর্ম এক সময় খুব ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। মহীশূর, অন্ধ্র, তামিলনাড়ুর বহু স্থানে এই ধর্মমত প্রচলিত ছিল। দক্ষিণে ছিল নিবন্ধর সম্প্রদায়ের প্রভাব।

জৈন ধর্মে ব্যক্তিগত সম্পত্তি

জৈনধর্মে ব্যক্তিগত সম্পত্তির প্রতি আসক্তি ও ধনতন্ত্র প্রথাকে নিন্দা করা হলেও কার্যক্ষেত্রে বহু ধনী গুজরাটী শেঠ বা মারোয়াড়ী জৈনধর্মের অনুগামী বলে নিজেদের প্রচার করেন। জৈনধর্মে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আছে, এই ধনীরা তার ব্যতিক্রম সন্দেহ নেই। তারা তাদের ধন-সম্পত্তির সমর্থনে যুক্তি দেখান যে, জৈনধর্মে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আছে তা ভূ-সম্পত্তির ওপর প্রযোজ্য, নগদ টাকা-পয়সা বা সোনা-দানার ওপর তা প্রযোজ্য নয়।

জৈন ধর্মের দিগম্বর সম্প্রদায়

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকালে উত্তর ভারতে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে বহু জৈন ধর্মাবলম্বী জৈন সন্ন্যাসী ভদ্রবাহুর নেতৃত্বে উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারতে চলে আসেন। ভদ্রবাহুর প্রভাবে দাক্ষিণাত্যের জৈন সন্ন্যাসীরা মহাবীরের অনুশাসনগুলি কঠোরভাবে মেনে চলতেন। তারা কোনো গ্রন্থি বা বস্ত্র পরিধান করতেন না। এজন্য তাদের নাম হয় দিগম্বর সম্প্রদায়।

জৈন ধর্মের শ্বেতাম্বর সম্প্রদায়

উত্তর ভারতে যে সকল জৈন সন্ন্যাসী থেকে যান তারা স্থূলভদ্রের নেতৃত্বে শ্বেতবস্ত্র পরতেন। এজন্যে তাদের নাম হয় শ্বেতাম্বর জৈন।

জৈন ধর্মের দুই সম্প্রদায় দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর মতভেদ

এই দুই সম্প্রদায়ের মতভেদ মৌলিক নয়। জৈনধর্মের মূল বিষয়ে এদের মধ্যে গভীর মতভেদ নেই।

জৈন ধর্মগ্রন্থ দ্বাদশ অঙ্গ ও উপ অঙ্গ

জৈনধর্ম সূত্রগুলি প্রথমে মৌখিকভাবে প্রচলিত ছিল। এই ধর্মসূত্রগুলিকে সঙ্কলন করে লিপিবদ্ধ করার জন্য পাটলিপুত্রে জৈন সন্ত স্থূলভদ্র এক জৈন মহাসভা আহ্বান করেন। এই সভায় নানাভাবে বিচার করে ১২টি অনুশাসন গ্রহণ করা হয়। তার নাম হয় দ্বাদশ অঙ্গ। পরে বলভীতে পুনরায় এক জৈন মহাসভায় কিছু সংশোধন করে এর সঙ্গে আরও ১২টি অনুশাসন যোগ করা হয়। এর নাম হল দ্বাদশ উপ অঙ্গ।

জৈনধর্মের সাফল্যের কারণ

জৈনধর্ম আমাদের দেশ ভারতবর্ষ -এ এখনও বিদ্যমান। কিন্তু বৌদ্ধধর্ম একদা প্রবল প্রতাপে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরাজিত থাকলেও ক্রমে তা লোপ পেয়েছে। জৈনধর্মের এই স্থায়িত্বের কারণ হল এই যে,

  • (১) হিন্দু বা ব্রাহ্মণ্য ধর্মের সঙ্গে জৈনধর্ম বিরোধের পথে না গিয়ে আপোষের পথে চলে। হিন্দুদের জাতিভেদ প্রথা ও আচার-অনুষ্ঠান জৈনরা মেনে নেওয়ার ফলে জৈনধর্ম জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
  • (২) জৈনধর্ম গৃহস্থদের দিকে বেশী নজর দিয়েছে, বৌদ্ধধর্ম তা দেয়নি। অর্থাৎ জৈনধর্মে ভিক্ষু বা সন্ন্যাস ব্রত না নিয়ে গৃহী থেকে ধর্ম পালন করা যায়। এজন্যে জৈনধর্ম জনপ্রিয় হয়। বৌদ্ধধর্ম সঙ্ঘ ও শ্রমণ বা ভিক্ষু প্রথার ওপর জোর দেওয়ার জন্য গৃহজীবন ছাড়তে হয়। এজন্য জনসাধারণের সমর্থন হারায়।
  • (৩) জৈনরা হিন্দুধর্মের সঙ্গে আপোষ করলেও তাদের ধর্মের মূলনীতি তারা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে। জৈনধর্ম হিন্দুধর্মের সঙ্গে আপোষ করলেও তার মূল নীতি নাস্তিক্যবাদ রক্ষা করেছে। অহিংসা নীতিকে জৈনধর্ম ত্যাগ করে নি। বরং জৈনদের প্রভাবে হিন্দুধর্মে অহিংসার প্রভাব বেড়েছে।
  • (৪) জৈনরা বৌদ্ধদের মত নিজেদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক কলহে আত্মশক্তি ক্ষয় করেনি। তারা একমত হয়ে তাদের দ্বাদশ অঙ্গ ও দ্বাদশ উপ-অঙ্গকে গ্ৰহণ করেছে। জৈনধর্মে এজন্য বৌদ্ধধর্মের মত হীনযান, মহাযান প্রভৃতি পরস্পর-বিরোধী মত তৈরি হয় নি। জৈনধর্মের সামাজিক প্রভাব কম নয়। জৈনধর্ম নগর সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

কৃষকদের উপর জৈন ধর্মের প্রভাব

  • (১) গ্রামীণ কৃষকশ্রেণীর মধ্যে এই ধর্মের আবেদন কম। কারণ কৃষকদের পক্ষে জৈনধর্মের কঠোর অহিংসা পালন করা কঠিন। চাষবাসের কাজের সুবিধার জন্য তাদের কীট-পতঙ্গ মারতে হয়, আগাছা ধ্বংস করতে হয়।
  • (২) জৈনধর্মে অপরিগ্রহ বা স্থায়ীভাবে সম্পত্তি বৃদ্ধি বিশেষত ভূসম্পত্তি গ্রহণ ও বৃদ্ধি নিষিদ্ধ। এজন্য কৃষকশ্রেণীর মধ্যে জৈনধর্মের আবেদন ক্ষীণ।

বণিক শ্রেণির উপর জৈন ধর্মের প্রভাব

জৈনধর্ম সততা, মিতব্যয়িতা প্রভৃতি নীতির ওপর জোর দেওয়ার ফলে নগরের বণিক শ্রেণী এই ধর্মমতকে গ্রহণ করেন। পশ্চিম ভারতের গুজরাট, মারওয়াড় অঞ্চলের বণিকরা জৈনধর্মের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যবৃত্তির কোনো বিরোধ দেখতে পান নি। যদিও তারা বাণিজ্যের ফলে বহু অর্থলাভ করেন, তারা বলেন যে, জৈনধর্মে ভূসম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে, নগদ টাকা, সম্পদের ওপর কোন নিষেধ নেই।

সাহিত্যে জৈন ধর্মের প্রভাব

জৈনধর্মে বহু সাহিত্য রচিত হয় এবং সাধারণ সাহিত্য রচনা ও ব্যাখ্যায় জৈন পণ্ডিতরা বিশেষ উৎসাহ দেখান। প্রাকৃত ও সংস্কৃত উভয় ভাষায় জৈন সাহিত্য রচিত হয়। জৈন বিহারগুলিতে প্রাচীন পুঁথি রক্ষা করা হয়।

জৈন ধর্মে স্থাপত্যবিদ্যা

জৈনরা তাদের বিহার ও মন্দির নির্মাণে স্থাপত্যবিদ্যার উৎকর্ষতা দেখান। ভারতের নানাস্থানে ছড়িয়ে থাকা জৈন বিহার ও গুহাগুলি জৈন স্থাপত্যের পরিচয় দেয়। প্রাচীন যুগে পাহাড় খোদাই করে বহু জৈন গুহামন্দির তৈরি করা হয়। মহীশূরের শ্রাবণবেলগোলায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের নামে উৎসর্গ করা গুহামন্দির এই স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন।

উপসংহার :- ভারতে প্রায় সমকালে একই প্রেক্ষাপটে গৌতম বুদ্ধ -এর বৌদ্ধ ধর্ম ও জৈন ধর্মের উত্থান ঘটে। জৈন ধর্ম আজও ভারতে বিদ্যমান। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম তার স্থান ধরে রাখতে পারে নি।

(FAQ) জৈন ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. জৈন ধর্মের ২৩ তম তীর্থঙ্কর কে?

পার্শ্বনাথ বা পরেশনাথ।

২. জৈন ধর্মের ২৪ তম বা শেষ তীর্থঙ্কর কে ছিলেন?

মহাবীর।

৩. কোন সম্রাট জৈন ধর্ম গ্ৰহণ করেন?

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

৪. জৈন ধর্ম সাহিত্য কি কি?

দ্বাদশ অঙ্গ ও দ্বাদশ উপর অঙ্গ।

৫. প্রথম জৈন মহাসভা কোথায় আয়োজিত হয়?

পাটলি পুত্রে।

Leave a Comment