কদম্ব বংশ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা, শ্রেষ্ঠ শাসক, রাজা রবিবর্মন, ক্ষমতা হ্রাস, বিভিন্ন শাখা ও ধর্ম সম্পর্কে জানবো।
কদম্ব বংশ
ঐতিহাসিক বংশ | কদম্ব বংশ |
সময়কাল | আনুমানিক ৩৪৫-৫২৫ খ্রি: |
প্রতিষ্ঠাতা | ময়ূরশর্মা |
রাজধানী | বনবাসী |
ধর্ম | শৈব ধর্ম ও জৈন ধর্ম |
ভূমিকা :- ভারত-এর কর্ণাটকের একটি প্রাচীন রাজবংশ ছিল কদম্ব রাজবংশ (৩৪৫-৫২৫ খ্রিস্টাব্দ)। এই রাজবংশ বর্তমান কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলায় অবস্থিত বনবাসী থেকে উত্তর কর্ণাটক ও কোঙ্কণ অঞ্চল শাসন করত।
কদম্ব বংশের প্রতিষ্ঠাতা
ময়ূরশর্মন বা ময়ূরশর্মা নামে একজন ব্রাহ্মণ এই বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষত্রিয়ের বৃত্তি অবলম্বন করায় তিনি ক্ষত্রিয় রূপে গণ্য হয়ে ময়ূরবর্মন নামে পরিচিত হন। তার রাজধানী ছিল বনবাসী।
প্রাচীন কদম্ব বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক
এই বংশের প্রথম শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন ককুস্থবর্মন। তার শাসনকালে কদম্ব শক্তি পরিপূর্ণ বিকাশ লাভ করেছিল।
কদম্ব বংশের রাজা রবিবর্মন
রবিবর্মন খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথমার্ধে রাজত্ব করতেন। তিনি হালসিতে (মহারাষ্ট্রের বেলগাঁও জেলা) রাজধানী স্থাপন করেন। তিনি গঙ্গ ও পল্লব রাজাদের পরাজিত করেন।
প্রাচীন ভারতের কদম্ব বংশের ক্ষমতা হ্রাস
চালুক্য বংশ-এর প্রথম পুলকেশী ও দ্বিতীয় পুলকেশী কদম্ব বংশের ক্ষমতা হ্রাস করেন। গঙ্গ বংশ-এর রাজারা কদম্ব রাজ্যের দক্ষিণাংশ অধিকার করে।
কদম্ব বংশের বিভিন্ন শাখা
ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত কদম্ব বংশের কোনো কোনো শাখা গোয়া সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজত্ব করেছিল। শাখা গুলির মধ্যে গোয়ার কদম্ব, হলসির কদম্ব ও হঙ্গলের কদম্ব বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
প্রাচীন কদম্ব বংশের ধর্ম
কদম্ব রাজ্যে প্রচলিত প্রধান ধর্মমত ছিল শৈব ধর্ম ও জৈন ধৰ্ম।
উপসংহার :- কর্ণাটকের ইতিহাসে এই কদম্ব যুগেই কন্নড় জাতির ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক সত্ত্বার বিকাশ শুরু হয় এবং কন্নড় ভাষা স্থানীয় ভাষা হিসেবে প্রথম গুরুত্ব লাভ করে।
(FAQ) কদম্ব বংশ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
ময়ূরশর্মা।
বনবাসী।
৩৪৫-৫২৫ খ্রিস্টাব্দ।