লক্ষ্মৌ চুক্তি -র কারণ, চুক্তি সম্পাদন, চুক্তির শর্তাবলী, গুরুত্ব, সমালোচনা, বিপান চন্দ্রের উক্তি, রমেশচন্দ্র মজুমদারের উক্তি ও চুক্তির ফলাফল সম্পর্কে জানবো।
লক্ষ্মৌ চুক্তি প্রসঙ্গে লক্ষ্মৌ চুক্তি কি, লক্ষ্মৌ চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষ, লক্ষ্মৌ চুক্তি স্বাক্ষরের সময়কাল, লক্ষ্মৌ চুক্তি সম্পাদন, লক্ষ্মৌ চুক্তি স্বাক্ষরের কারণ, লক্ষ্মৌ চুক্তির শর্ত, লক্ষ্মৌ চুক্তি স্বাক্ষরে প্রধান কৃতিত্বের অধিকারী, লক্ষ্মৌ চুক্তির গুরুত্ব, লক্ষ্মৌ চুক্তির সমালোচনা ও লক্ষ্মৌ চুক্তির ফলাফল
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের লক্ষ্ণৌ চুক্তি
ঐতিহাসিক ঘটনা | লক্ষ্ণৌ চুক্তি |
সময়কাল | ডিসেম্বর ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ |
দুই পক্ষ | ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ |
প্রধান কৃতিত্ব | বাল গঙ্গাধর তিলক |
ফলাফল | কংগ্রেস-লীগ ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠা |
ভূমিকা :- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে লক্ষ্ণৌ চুক্তি সম্পাদিত হয় এবং দুই দল পরস্পরের কাছাকাছি আসে।
লক্ষ্মৌ চুক্তির কারণ
লক্ষ্ণৌ চুক্তি সম্পাদনের পশ্চাতে নানা কারণ ছিল। যেমন –
(১) বঙ্গভঙ্গ রদের প্রভাব
১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ বাতিল হয় এবং দুই বাংলার মিলন ঘটে। এই ঘটনায় মুসলিম সমাজ সরকারের ওপর প্রবল ক্ষুব্ধ হয়।
(২) মুসলিম সমাজের হতাশা
মুসলিমরা চেয়েছিল ভারত -এর যে কোনো স্থানের মুসলিম কলেজকে আলিগড়ের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে। বারাণসী বিশ্ববিদ্যালয় অনুরূপ দাবি করতে পারে ভেবে ভারত সচিব আপত্তি জানান। এর ফলে মুসলিম সমাজ হতাশ হয়।
(৩) বহির্ভূত ঘটনার প্রভাব
মুসলিম দুনিয়ার অন্তর্ভুক্ত কিছু বহির্ভারতীয় ঘটনা ভারতীয় মুসলিমদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। ভারতীয় মুসলিমরা তুরস্ক -এর সুলতানকে ‘খলিফা’ বা ধর্মগুরু বলে মনে করত। ধর্মগুরুর প্রতি কোনো অসম্মান তাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না।
(৪) প্রথম বলকান যুদ্ধ
১৯১১ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে ইতালি তুরস্ক সাম্রাজ্য -এর অন্তর্ভুক্ত ত্রিপলী দখল করে। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে তুরস্কের বিরুদ্ধে প্রথম বল্কান যুদ্ধ শুরু হয়। ঐ বৎসরেই ব্রিটেনের মিত্র-রাষ্ট্র রাশিয়া পারস্যের ওপর আক্রমণ চালায়।
(৫) তুরস্কের দৈন্যদশা
১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে লণ্ডন চুক্তি দ্বারা প্রথম বলকান যুদ্ধ -এর পরিসমাপ্তি ঘটে এবং এই অপমানজনক চুক্তির দ্বারা সর্বসমক্ষে তুরস্কের দৈন্যদশা প্রকাশিত হয়ে পড়ে।
(৬) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় এবং তুরস্ক জার্মানির পক্ষে যুদ্ধে যোগদান করে। এর ফলে ইংল্যান্ড -এর প্রতি ভারতীয় মুসলিমদের ক্ষোভ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
(৭) লীগে প্রগতিশীল নেতার আবির্ভাব
এই সময় মুসলিম লীগের অভ্যন্তরে কিছু প্রগতিশীল ও মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ভুক্ত যুবকের আবির্ভাব হয়, যাঁরা আলিগড়ের সংকীর্ণ, ধর্মান্ধ ও সামন্ততান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে ভিন্নতর মানসিকতা ও উদার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী ছিলেন।
(৯) উদারপন্থী মুসলিম নেতৃত্ব
উদারপন্থী মুসলিম যুবকদের মধ্যে শিবলী নোমানী, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, হাকিম আজমল খান, ডাঃ আনসারী, মৌলানা মহম্মদ আলি ও সৌকত আলি উল্লেখযোগ্য ছিলেন।
(১০) আজাদের অভিমত
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ তাঁর সম্পাদিত আল হিলাল পত্রিকায় আলিগড় কলেজকে ‘প্রতিক্রিয়াশীলতার দুর্গ’ এবং আলিগড়-নেতৃত্বকে ‘বিধর্মী ও ভণ্ড’, যাঁরা দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে ‘ইউরোপ -এর শয়তানদের’ সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছে বলে অভিহিত করেন।
(১১) নোমানীর বক্তব্য
শিবলী নোমানী আলিগড় কলেজকে ‘দাসত্ব শিক্ষার প্রতিষ্ঠান’ বলে আখ্যা দেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এই সব তরুণরা মুসলিম লীগের নেতৃত্ব দখল করেন। এর ফলে মুসলিম লীগে উচ্চ অভিজাত সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের অবসান ঘটে এবং এর সাংগঠনিক ভিত্তি সম্প্রসারিত হয়।
(১৩) মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লীগ দখল
মুসলিম লীগ মধ্যবিত্ত শ্রেণী পরিচালিত একটি সংগঠনে পরিণত হয়। মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে এই যুবকরা কংগ্রেসের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।
(১৪) নেতৃবৃন্দের অন্তরীণ
১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে আবুল কালাম আজাদের ‘আল্ হিলাল্’ ও মহম্মদ আলির ‘কমরেড’ পত্রিকা দু’টি নিষিদ্ধ হয় এবং ব্রিটিশ বিরোধিতার জন্য মৌলানা মহম্মদ আলি, তাঁর ভ্রাতা মৌলানা সৌকত আলি, হজরত মোহানী ও আবুল কালাম আজাদকে অন্তরীণ করা হয়।
(১৫) কংগ্রেস-লীগ সহযোগিতার আগ্ৰহ
বলা বাহুল্য, এই সব কারণে মুসলিম সমাজ ইংরেজদের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং মুসলিম জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতার আগ্রহ দেখা দেয়।
(১৬) অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি
১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে লীগের লক্ষ্ণৌ অধিবেশনে একটি নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করে লীগের উদ্দেশ্য হিসেবে স্বায়ত্তশাসন অর্জন এবং এই উদ্দেশ্যে অন্যান্য সম্প্রদায়ের অগ্রগতি সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। এর ফলে কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
(১৭) একই স্থানে অধিবেশন
এরপর থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কংগ্রেস ও লীগ একই সময়ে ও একই স্থানে তাদের বাৎসরিক অধিবেশনগুলির আয়োজন করতে থাকে এবং প্রতিনিধিবর্গ একে অন্যের অধিবেশনে যোগদান করতে থাকেন।
(১৮) একত্রে অধিবেশন
১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই শহরে কংগ্রেস ও লীগের অধিবেশন বসে। মহাত্মা গান্ধী, মদনমোহন মালব্য, সরোজিনী নাইডু লীগের অধিবেশনে যোগ দেন।
লক্ষ্ণৌ চুক্তি সম্পাদন
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে লক্ষ্ণৌ-এ অনুষ্ঠিত কংগ্রেস ও লীগের বার্ষিক অধিবেশনে দুই দলই পৃথক পৃথক ভাবে শাসন সংস্কারের একই প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং উভয়ে সংঘবদ্ধ আন্দোলন চালাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনা ‘লক্ষ্ণৌ চুক্তি’ নামে পরিচিত। এই চুক্তি সম্পাদনে বাল গঙ্গাধর তিলক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন।
লক্ষ্মৌ চুক্তির শর্তাবলী
এই চুক্তি অনুসারে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি স্থির করা হয়। –
- (১) কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ যুগ্মভাবে সরকারের কাছে শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের দাবি পেশ করতে সম্মত হয়
- (২) মুসলিম লীগ কংগ্রেসের ‘স্বরাজ’ -এর আদর্শ মেনে নেয়।
- (৩) কংগ্রেসও মুসলিম লীগের ‘পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা’র দাবি মেনে নেয়।
- (৪) স্থির হয় যে, প্রতিটি প্রাদেশিক আইনসভায় মুসলিম সদস্যদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হবে।
- (৫) কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের মোট সদস্যদের এক তৃতীয়াংশ হবেন মুসলিম সদস্য।
লক্ষ্মৌ চুক্তির গুরুত্ব
- (১) ঐতিহাসিক ড. বিপান চন্দ্রের মতে, হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ক্ষেত্রে লক্ষ্ণৌ চুক্তি ছিল এক অতি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিলক, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহম্মদ আলি জিন্না এই চুক্তিকে স্বাগত জানান।
- (২) সুরেন্দ্রনাথ বলেন যে, “হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভাবগত ঐক্যের চূড়ান্ত নিদর্শন এই চুক্তি।”
- (৩) এই চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের তিক্ততা ভুলে দুই প্রতিষ্ঠান মিলিত হয় এবং যুগ্মভাবে ইংরেজ সরকারের কাছ থেকে রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
- (৪) এই চুক্তি প্রমাণ করে যে, ধর্মীয় পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও জাতীয় প্রয়োজনে দুই সম্প্রদায় মিলিত হতে পারে এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ কখনই অনিবার্য নয়।
সমালোচনা
বহু রাজনৈতিক নেতা ও ঐতিহাসিক কর্তৃক লক্ষ্ণৌ চুক্তি সমালোচিত হয়েছে। যেমন –
- (১) ডঃ জুডিথ ব্রাউন বলেন যে, ঐক্যের কোনো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর এই চুক্তি গড়ে ওঠে নি, বরং বলা যায় যে, উভয় পক্ষের কয়েকজন রাজনীতিক নিজ স্বার্থে উভয় সম্প্রদায়ের ফাটলে কাগজের প্রলেপ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গঠনের চেষ্টা করেছিলেন।
- (২) গান্ধীজির মতে, এই চুক্তি ছিল শিক্ষিত ধনী হিন্দু ও শিক্ষিত ধনী মুসলিমদের মধ্যে একটি ‘বোঝাপড়া’ মাত্র। সাধারণ হিন্দু ও মুসলিম জনগণের সঙ্গে এই চুক্তির কোন সম্পর্ক ছিল না বা এর মধ্যে তাদের কোনো স্বার্থও নিহিত ছিল না।
- (৩) ডঃ জুডিথ ব্রাউন বলেন যে, মুসলিম লীগ সর্বস্তরের মুসলিমদের প্রতিষ্ঠান ছিল না। মূলত বিহার ও উত্তরপ্রদেশের শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী ও ব্যারিস্টারদের দ্বারা সম্পন্ন এই চুক্তি সকল স্তরের মুসলিমদের খুশি করতে পারে নি।
- (৪) মুসলিম অভিজাত সম্প্রদায় আলিগড় প্রদর্শিত হিন্দু-বিরোধী নীতি অনুসরণের পক্ষপাতী ছিলেন। এই চুক্তির বিরুদ্ধে বাংলা ও পাঞ্জাবের মুসলিম লীগের মধ্যে প্রবল গোলযোগ শুরু হয়। পাঞ্জাবের মুসলিম লীগ ভেঙ্গে যায়।
- (৫) মুসলিম স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার অভিযোগে বাংলা প্রেসিডেন্সীর মুসলিম লীগের সভাপতি নবাব আলি চৌধুরী পদত্যাগ করেন। মাদ্রাজের তামিল-ভাষী মুসলিমরা এই চুক্তির বিরোধিতা করে।
- (৬) এই চুক্তির দ্বারা কংগ্রেস মুসলিম লীগের স্বতন্ত্র নির্বাচনের দাবি মেনে নেয়। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, হিন্দু-মুসলিম দু’টি পৃথক জাতি এবং তাদের স্বার্থও পৃথক। এই চুক্তি প্রমাণ করে যে, জাতীয় কংগ্রেস হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল ভারতবাসীর একমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়।
ড. বিপান চন্দ্র বলেন যে, এই চুক্তি ভারতের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার পুনরাগমনের দ্বার উন্মুক্ত করেই রেখেছিল।
ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, রাজনৈতিক ঐক্য সাধনের অভিপ্রায়ে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ সাম্প্রদায়িক সূত্রকে মেনে নিয়ে প্রবল অদূরদর্শিতার পরিচয় দেন এবং এইভাবে ভারতীয় রাজনীতিতে পাকিস্তান আন্দোলনের প্রকৃত ভিত্তি স্থাপিত হয়।
লক্ষ্মৌ চুক্তির ফলাফল
নানা সমালোচনা সত্ত্বেও বলা যায় যে, লক্ষ্ণৌ চুক্তির তাৎক্ষণিক প্রভাব ছিল ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী।
(১) জনমনে উদ্দীপনা সৃষ্টি
নরমপন্থী ও চরমপন্থী ঐক্য এবং কংগ্রেস ও লীগের মিলন জনমনে রাজনৈতিক উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।
(২) কংগ্রেস-লীগ ঐক্য
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও হোমরুল আন্দোলন -এর দ্বারা বিপর্যস্ত সরকারের কাছে ঐক্যবদ্ধ কংগ্রেস ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্য চরম অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।
(৩) স্বায়ত্তশাসন দানের ঘোষণা
এতদিন ধরে সরকার পক্ষ বিভেদনীতি ও দমন-পীড়নের দ্বারা জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমনে অভ্যস্ত ছিল। পরিবর্তিত অবস্থায় জাতীয়তাবাদী জনমতকে সপক্ষে আনার উদ্দেশ্যে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ২০শে আগস্ট ভারত সচিব মন্টেও ঘোষণা করেন যে, ভারতে দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ক্রমান্বয়ে স্বায়ত্তশাসন দানই হল ব্রিটিশ সরকারের নীতি।
উপসংহার :- ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে মন্টেগু চেমসফোর্ড আইন ঘোষিত হয়। এই অন্তঃসারশূন্য শাসন সংস্কার ভারতীয়দের খুশি করতে পারে নি। এরপরেই হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে গান্ধীজির নেতৃত্বে ভারতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “লক্ষ্ণৌ চুক্তি” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) লক্ষ্ণৌ চুক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে।
বাল গঙ্গাধর তিলক।
হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠা।