যুব আন্দোলন

ভারতের যুব আন্দোলন -এর কারণ, আন্দোলনের সূচনা, নেতৃত্ব, নেতাদের ভাষণ, বিরোধী বক্তব্য, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লীগ, নিখিল ভারত ছাত্র সম্মেলন সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন সম্পর্কে জানবো।

যুব আন্দোলন প্রসঙ্গে পরিবর্তনের দাবি, যুব আন্দোলনের কারণ, যুব আন্দোলনের সূচনা, যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব, যুব আন্দোলনে ভাষণ, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লীগ, নিখিল বঙ্গ ছাত্র সম্মেলন, সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস।

ভারতে যুব আন্দোলন

ঐতিহাসিক ঘটনাযুব আন্দোলন
সময়কাল১৮২৮ – ২৯ খ্রিস্টাব্দ
নেতৃত্বসুভাষচন্দ্র বসু, জওহরলাল নেহেরু
উদ্দেশ্যযুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা
যুব আন্দোলন

ভূমিকা :- সাইমন কমিশন-বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভারত -এ জাতীয়তাবাদী যুব আন্দোলন প্রবলতর রূপ ধারণ করে। ইতিপূর্বে জাতীয় আন্দোলনে যুব সমাজ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করলেও তাদের ভূমিকা এত উল্লেখযোগ্য ছিল না।

পরিবর্তনের দাবি

১৯২৮-২৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতে অসংখ্য যুব সংগঠন, যুব লীগ ও যুব সমিতি গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন যুব সম্মেলনে পূর্ণ স্বাধীনতা এবং প্রগতিশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দাবি ওঠে।

যুব আন্দোলনের কারণ

এই প্রবলতর যুব জাগরণের পশ্চাতে কয়েকটি কারণের উল্লেখ করা যায়।

(১) বেকারত্ব

এই ব্যাপারে প্রথমেই দেশ জোড়া বেকারত্বের কথা বলতে হয়। বেকারত্বের জ্বালা যুব সমাজকে সরকার-বিরোধী আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেয়।

(২) ১৯১৯ সালের সংস্কার আইন

১৯১৯ সালের মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইন অনুসারে শিক্ষা দপ্তর নির্বাচিত মন্ত্রীদের হাতে এলে ছাত্রসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

(৩) সাইমন কমিশনের রিপোর্ট

সাইমন কমিশনের রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ছাত্র সংখ্যা ছিল ৫.০৪% এবং ১৯২৭ এ তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৬.৯১%।

(৪) চাকরির সুযোগ হ্রাস

দেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও চাকরির সুযোগ সে তুলনায় বৃদ্ধি পায় নি। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

যুব আন্দোলনের সূচনা

হতাশাগ্রস্ত বেকার যুবকেরা স্বাভাবিক কারণেই আন্দোলনে সামিল হয়।

ভারতে যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব

ভারতে এই ছাত্র-যুব আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন জাতীয় কংগ্রেসের দুই প্রগতিশীল তরুণ নেতা জওহরলাল নেহরু ও সুভাষচন্দ্র বসু।

যুব আন্দোলনে ভাষণ

তারা যুবসমাজের আদর্শে পরিণত হন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের যুব সমাবেশে তাঁরা ভাষণ দিতে ও সভাপতিত্ব করতে থাকেন।

যুব আন্দোলনে বিরোধী বক্তব্য

তাঁদের ভাষণে সাম্রাজ্যবাদ, ধনতন্ত্র ও সামন্ততন্ত্র-বিরোধী বক্তব্য প্রকাশিত হতে থাকে। সুভাষচন্দ্র তাঁর ভাষণে চীন ও রাশিয়ার যুব আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন।

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লীগ

১৯২৭-এ ব্রাসেলসে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লীগ -এর যে অধিবেশন হয় জওহরলাল তাতে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।

নিখিল বঙ্গ ছাত্র সম্মেলন

১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে জওহরলালের সভাপতিত্বে ‘নিখিল বঙ্গ ছাত্র সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস

১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয় ‘সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস’-এর প্রথম অধিবেশন।

উপসংহার :- এই সময় যুবসমাজকে সংগঠিত করার জন্য লাহোরে নওজোয়ান ভারত সভা এবং কমিউনিস্টদের উদ্যোগে দেশের নানা অঞ্চলে ‘ওয়ার্কার্স অ্যাণ্ড পেজ্যান্টস্ পার্টি ‘গড়ে ওঠে।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “যুব আন্দোলন” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) ভারতে যুব আন্দোলন সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ভারতে যুব আন্দোলন কখন শুরু হয়?

১৮২৮-২৯ খ্রিস্টাব্দে।

২. ভারতে যুব আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন কারা?

সুভাষচন্দ্র বসু ও জওহরলাল নেহেরু।

৩. যুব আন্দোলনের অন্যতম কারণ কী?

বেকারত্ব বৃদ্ধি।

অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি

Leave a Comment