প্রথম রাজেন্দ্র চোল

চোল রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল প্রসঙ্গে রাজ্য বিস্তার, ভারত-চীন বাণিজ্য রক্ষা, সিংহল অভিযান, পাণ্ড্য ও কেরল রাজ্য জয়, চালুক্য নীতি, বাংলা অভিযান, কম্বোজে আধিপত্য, সামরিক প্রতিভা, সুশাসন ও শিল্পানুরাগ সম্পর্কে জানবো।

চোল রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল প্রসঙ্গে প্রথম রাজেন্দ্র চোলের রাজ্য বিস্তার, প্রথম রাজেন্দ্র চোলের সিংহল অভিযান, প্রথম রাজেন্দ্র চোলের কেরল ও পাণ্ড্য রাজ্য দখল, প্রথম রাজেন্দ্র চোলের চালুক্য নীতি, প্রথম রাজেন্দ্র চোলের বাংলা অভিযান, প্রথম রাজেন্দ্র চোলের শৈলেন্দ্র রাজ্য জয়, কম্বোজে প্রথম রাজেন্দ্র চোলের আধিপত্য, প্রথম রাজেন্দ্র চোলের সামরিক প্রতিভা, প্রথম রাজেন্দ্র চোলের সুশাসন, প্রথম রাজেন্দ্র চোলের শিল্পানুরাগ ও প্রথম রাজেন্দ্র চোলের কৃতিত্ব।

রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল

ঐতিহাসিক চরিত্রপ্রথম রাজেন্দ্র চোল
বংশচোল বংশ
রাজধানীতাঞ্জোর
পূর্বসূরিপ্রথম রাজরাজ চোল
উত্তরসূরিরাজাধিরাজ চোল
প্রথম রাজেন্দ্র চোল

ভূমিকা :- রাজরাজ চোলের পর প্রথম রাজেন্দ্র (১০১২-১০৪৪ খ্রি) চোল সিংহাসনে বসেন। তিনি ছিলেন পিতার সুযোগ্য সন্তান। পিতার আরদ্ধ কাজকে তিনি সমাপ্ত করেন। তার আমলে চোল পতাকা সর্বাধিক উচ্চে স্থাপিত হয়। তিরুমালাই পর্বত লিপি থেকে রাজেন্দ্রের কীর্তিকলাপ সম্পর্কে সকল কথা জানা যায়। রাজেন্দ্র “চোল মার্তন্ড” উপাধি নেন।

প্রথম রাজেন্দ্র চোলের রাজ্য বিস্তার

সিংহাসনে বসার পরেই রাজেন্দ্র রাজ্য বিস্তারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। রাজরাজের আমলে আরব বণিকদের দক্ষিণ ভারত ও বঙ্গোপসাগরে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যে সামুদ্রিক ও নৌনীতির সূচনা হয়, রাজেন্দ্রের আমলে তা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

প্রথম রাজেন্দ্র চোলের উপলব্ধি

রাজেন্দ্র তাঁর পিতার মতই উপলব্ধি করেন যে, আরব বণিকরা মালাবার উপকূলের সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার বাণিজ্যকে কুক্ষিগত করার জন্য কেরল, পান্ড্য ও সিংহলে ঘাটি গড়ার চেষ্টা করছে সেই অঞ্চলের রাজশক্তির সাহায্য নিয়ে। তাছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পথে যে ভারত-চীন বাণিজ্য চলত তাও তারা দখলের চেষ্টায় ছিল।

প্রথম রাজেন্দ্র চোল কর্তৃক ভারত-চীন বাণিজ্য রক্ষা

আরব জাহাজগুলি মালাক্কা সাগরে ঘুরছিল। শৈলেন্দ্র বংশীয় রাজারা মালয়কেই ভারত-চীন বাণিজ্যের মধ্যবর্তী কেন্দ্র করার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। তা যদি সফল হত তাহলে ভারত-চীন বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হত এবং শেষ পর্যন্ত এই বাণিজ্য আরবদের হাতে চলে যেত। রাজেন্দ্র এজন্য এক ব্যাপক নৌ-সামুদ্রিক নীতি অনুসরণ করেন।

রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোলের সিংহল অভিযান

  • (১) রাজেন্দ্র প্রথমে সিংহলের দিকে দৃষ্টি দেন। যদিও তাঁর পিতা রাজরাজ সিংহল অভিযান করেন, এই বিজয় স্থায়ী হয়নি। রাজেন্দ্র সিংহল রাজ পঞ্চম মহেন্দ্রকে পরাজিত ও বন্দী করেন। তবে দীর্ঘকাল তিনি গোটা সিংহল নিজ অধিকারে রাখতে পারেননি।
  • (২) সিংহলের দক্ষিণ ভাগে তার অধিকার স্থায়ী হয়। তিনি এখানে কয়েকটি শিব, বিষ্ণু মন্দির স্থাপন করেন। বৌদ্ধ ধর্ম অবলম্বীদের দেশে হিন্দু সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের স্মারক ছিল এই মন্দিরগুলি।

প্রথম রাজেন্দ্র চোল কর্তৃক কেরল ও পাণ্ড্য রাজ্য দখল

  • (১) মালাবার উপকূলে আরব বণিকদের এবং ভারত মহাসাগরে ও বঙ্গোপসাগরে আরব বণিকদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করাই ছিল তাঁর বৈদেশিক নীতির অন্যতম লক্ষ্য। এজন্য কেরল-পাণ্ড্য রাজ্যকে তিনি নিজ অধিকারে রাখেন।
  • (২) যদিও রাজরাজ কেরল ও পাণ্ড রাজ্য জয় করেন এবং সিংহল ও মালদ্বীপ জয় করে আরব অনুপ্রবেশে বাধা দেন, তবুও রাজেন্দ্র এই অঞ্চলে তাঁর আধিপত্যকে দৃঢ় করার জন্য উদ্‌গাই দুর্গ অধিকার করেন। তার অন্যতম পুত্রকে “চোল-পাণ্ড্য” আখ্যা দিয়ে কেরল ও পাণ্ড্যের শাসনকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেন।

রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোলের চালুক্য নীতি

  • (১) রাজেন্দ্রের অন্যতম কৃতিত্ব ছিল পশ্চিম চালুক্য শক্তির পরাজয় ঘটিয়ে কৃষ্ণা-গোদাবরী উপত্যকায় চোল শক্তিকে বিস্তার করা। রাজেন্দ্র দক্ষিণের যুদ্ধে ব্যাপৃত থাকার সময় পশ্চিম চালুক্যরাজ দ্বিতীয় জয়সিংহ বেঙ্গীতে চোল প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা করেন।
  • (২) ১০১৮ খ্রিস্টাব্দে বিমলাদিত্যের মৃত্যুর ফলে বেঙ্গীর সিংহাসন শূন্য হয়। এই সিংহাসনে চোল রাজকন্যা ও বেঙ্গীর বিধবা রাজমহিষী কুন্দভাক বা কুন্দবাইয়ের পুত্র রাজরাজকে, চোল সম্রাট রাজেন্দ্র বসাতে চান। অপর দিকে চালুক্য দ্বিতীয় জয়সিংহ, রাজরাজের বৈমাত্রেয় ভাই বিজয়াদিত্যকে বসাতে চান।
  • (৩) এই উপলক্ষে জয়সিংহ বেলারি জেলা অধিকার করে রাজেন্দ্রকে হত্যা করার চেষ্টা করলে, রাজেন্দ্র তাঁর সেনাদলকে দুভাগ করে, একটি অংশ রায়চুর দোয়াবের পথে বাতাপি আক্রমণের জন্য পাঠান। অপর বাহিনী বেঙ্গীতে বিজয়াদিত্যকে পরাস্ত করে রাজরাজকে বেঙ্গীর সিংহাসনে বসায়।
  • (৪) প্রথম বাহিনী মাস্কির যুদ্ধে জয়সিংহকে পরাস্ত করে মান্যখেত বিধ্বস্ত করে। ঐতিহাসিক নীলকন্ঠ শাস্ত্রীর মতে, তার রাজত্বের শেষ দিকে রাজেন্দ্র পশ্চিম চালুক্য শক্তির বিরুদ্ধে পুনরায় একটি অভিযান পাঠান। এই সময় রাজেন্দ্র চোল ছিলেন অতি বৃদ্ধ।
  • (৫) পশ্চিম চালুক্যরাজ জয়সিংহের পর সোমেশ্বর চালুক্য সিংহাসনে বসে পুনরায় বিজয়াদিত্যকে বেঙ্গীর সিংহাসনে বসাবার চেষ্টা করেন এবং বেঙ্গী আক্রমণ করেন।
  • (৬) ডঃ নীলকণ্ঠ শাস্ত্রীর মতে, সোমেশ্বর পরাস্ত হন। কিন্তু চালুক্য সূত্র থেকে জানা যায় যে, এই যুদ্ধে জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তি হয়নি। এর কিছুকাল পরে রাজেন্দ্র চোলের মৃত্যু হয়।

প্রথম রাজেন্দ্র চোলের বাংলা অভিযান

  • (১) বিজেতা হিসেবে রাজেন্দ্র চোলের অন্যতম শ্রেষ্ঠকীর্তি ছিল পূর্ব ভারত অর্থাৎ বাংলায় সামরিক অভিযান প্রেরণ। প্রথম চালুক্য যুদ্ধ বা মাস্কির যুদ্ধে জয়লাভের কিছু পরেই রাজেন্দ্র চোল তার বিজয়ী বাহিনীকে বাংলা অভিযানে পাঠান। রাজেন্দ্র চোলের তিরুমালাই লিপিতে এই অভিযানের কথা বলা হয়েছে।
  • (২) সুদূর চোল দেশ থেকে চোল সেনা পশ্চিমবাংলায় ঢুকে ভাগীরথী তীর পর্যন্ত এগিয়ে আসে। এই অভিযানের কারণ ছিল প্রধানত রাজ্য বিস্তার। অনেকে মনে করেন যে,  এই অভিযান দ্বারা উত্তর ভারতের রাজাদের কাছে রাজেন্দ্র চোল তার ক্ষমতার আস্ফালন দেখাতে চান।
  • (৩) স্থায়ীভাবে উত্তর ভারতে রাজ্য বিস্তারে তাঁর লক্ষ্য ছিল না। নাহলে তিনি সামান্য সংখ্যক সেনা ও একজন মাত্র সেনাপতি এই অভিযানে পাঠাতেন না। এই অভিযান ছিল একটি দ্রুতগতি হানাদারীর মতই। অবশ্য পবিত্র গঙ্গা নদীর বারিকে চোল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে বলা হয়েছে।
  • (৪) এই অভিযান থেকে রাজেন্দ্র চোলের প্রতাপের পরিচয় পাওয়া যায়। তিরুমালাই লিপি থেকে জানা যায় যে, কলিঙ্গ, উড়িষ্যা হয়ে, দক্ষিণ কোশল, দণ্ডভুক্তি বা দাঁতন হয়ে চোল বাহিনী তাক্ষণ রাঢ় বা দক্ষিণ রাঢ়, উত্তিরা লাঢ় বা উত্তর রাঢ় জয় করে।
  • (৫) পাল রাজা প্রথম মহীপাল, ঝড়ের সময় বাশ গাছ যেমন নুয়ে পড়ে, সেইরূপ নতি স্বীকার করেন। তিনি পিছু হঠে তার প্রাণ ও সিংহাসন রক্ষা করেন। ১০২১-১০২৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
  • (৬) রাজেন্দ্র বাংলায় বেশী দিন তার আধিপত্য রাখতে পারেননি। শীঘ্রই বাংলায় পাল শক্তির অধিকার পুনঃ-প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজেন্দ্র বাংলা জয় করে গঙ্গইকোণ্ড উপাধি নেন। বাংলা থেকে আনা গঙ্গাজলের দ্বারা অভিষেক করে তিনি তাঁর নতুন রাজধানী গঙ্গইকোণ্ড চোলপুরমের স্থাপনা করেন এবং একটি বিখ্যাত হ্রদ চোলগঙ্গ খনন করেন।
  • (৭) রাজেন্দ্রের এই অভিযানের পরোক্ষ ফল এই ছিল যে, তার বাহিনীর সঙ্গে কিছু সংখ্যক দক্ষিণ দেশের লোক বাংলায় আসেন এবং এই দেশের বাসিন্দা হয়ে জনজীবনে মিশে যান। এখনও বর্ধমান, হুগলী, মেদিনীপুরে এমন সব পরিবার আছেন যাঁদের দক্ষিণ ভারতীয় উপাধি বংশানুক্রমে রয়ে গেছে।
  • (৮) রাজেন্দ্রের বাহিনীর সঙ্গে কর্ণাট দেশের কয়েকজন সামন্ত বাংলায় এসে বসবাস করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন সেন রাজবংশের পূর্ব-পুরুষ বা সামন্ত সেনের পূর্ব-পুরুষ। এঁরাই বাংলায় সেন বংশ -এর প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রথম রাজেন্দ্র চোলের শৈলেন্দ্র রাজ্য জয়

  • (১) রাজেন্দ্র তাঁর নৌশক্তির প্রতাপে বঙ্গোপসাগরকে চোল হ্রদে পরিণত করেন। এই অঞ্চল থেকে আরব বণিকদের বিতাড়ন করলে স্বভাবতই চোল নৌবহর বঙ্গোপসাগরে প্রাধান্য পায়। রাজেন্দ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শ্রীবিজয় রাজ্যে অর্থাৎ মালয়, সুমাত্রা ও জাভায় ১২০৫ খ্রিস্টাব্দে তার আধিপত্য স্থাপন করেন।
  • (২) শ্রীবিজয় রাজা তার বশ্যতা স্বীকার করেন। রোমিলা থাপারের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলের মশলা ব্যবসায় এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য পথকে নিরাপদ রাখার জন্য রাজেন্দ্র এই অভিযান পাঠান।
  • (৩) শৈলেন্দ্র রাজারা ভারত-চীন বাণিজ্যে হস্তক্ষেপ করে চীন থেকে মালয় এবং মালয় থেকে ভারতে বাণিজ্য তৈরি করে মালয়ের সমৃদ্ধি বাড়াবার চেষ্টা করলে রাজেন্দ্র এই অভিযান দ্বারা সেই সম্ভাবনাকে রোধ করেন।
  • (৪) কেউ কেউ মনে করেন যে, শ্রীবিজয়ের রাজা দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটান তার কোনো প্রমাণ নেই। শ্রীবিজয়ের শৈলেন্দ্র রাজাদের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের চোলদের ভাল সম্পর্ক ছিল। নেগপতনে শৈলেন্দ্র রাজার চূড়ামণি বিহার নির্মাণ একথা প্রমাণ করে।
  • (৫) আসলে রাজেন্দ্র চোল সমুদ্রের অপর পারে রাজ্য বিস্তারের চেষ্টায় এই অভিযান পাঠান। যাই হোক, এই অভিযানে শৈলেন্দ্র রাজা বিজয় তুঙ্গবর্মন তাঁর বশ্যতা স্বীকার করেন। রাজেন্দ্র তাঁকে তাঁর রাজ্য ফিরিয়ে দেন। মালয়ে চোল বাণিজ্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

কম্বোজে প্রথম রাজেন্দ্র চোলের আধিপত্য

সম্ভবত রাজেন্দ্র এরপর কম্বোজ রাজ্য বা ভিয়েতনামের আঙ্কোর-কম্বোডিয়া অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করেন। তাঞ্জোর পট্টে তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে এ সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই।

প্রথম রাজেন্দ্র চোলের সামরিক প্রতিভা

চোল সম্রাটদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন রাজেন্দ্র। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যসমুদ্রগুপ্ত -এর মত তিনি ছিলেন বিরাট সামরিক প্রতিভার অধিকারী। তাঁর সর্বাপেক্ষা কৃতিত্ব ছিল ভারতের বাইরে দক্ষিণ এশিয়ায় চোল সাম্রাজ্য স্থাপন। খুব কম রাজা এরূপ কৃতিত্ব দাবী করতে পারেন।

প্রথম রাজেন্দ্র চোলের সুশাসন

চোল নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরকে চোল হ্রদে পরিণত করে। উত্তরে বাংলা অভিযান করে তিনি যশের অধিকারী হন। রাজেন্দ্রের শাসন ব্যবস্থা ছিল উন্নত। তিনি গ্ৰামাঞ্চলে স্বায়ত্ব শাসন দেন।

প্রথম রাজেন্দ্র চোলের শিল্পানুরাগ

রাজেন্দ্র স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পে তার অবদান রাখেন। তাঁর বিখ্যাত প্রাসাদময়ী রাজধানী গঙ্গইকোল্ড চোলপুরমের নির্মাণ তার পরিচয় দেয়। তিনি ১৬ মাইল লম্বা চোল-গঙ্গম হ্রদ খনন করেন। তিনি তার রাজধানীতে একটি বিখ্যাত বৈদিক পাঠকেন্দ্র স্থাপন করেন।

উপসংহার :- চোল রাজা রাজেন্দ্র চোলের মৃত্যুর পর রাজাধিরাজ চোল সিংহাসনে বসেন। এরপর থেকে চোল শক্তি দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “প্রথম রাজেন্দ্র চোল” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) প্রথম রাজেন্দ্র চোল সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কোন চোল রাজা বাংলা অভিযান করেন?

প্রথম রাজেন্দ্র চোল।

২. চোল মার্তণ্ড কার উপাধি?

প্রথম রাজেন্দ্র চোল।

৩. চোলগঙ্গ হ্রদ কে খনন করেন?

প্রথম রাজেন্দ্র চোল।

৪. প্রথম রাজেন্দ্র চোলের রাজধানীর নাম কি?

গঙ্গইকোণ্ড চোলপুরম।

অন্যান্য ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি

Leave a Comment