গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণ, হেটাইরিয়া ফিলিকে, মোলডাভিয়ার বিদ্রোহ, মোরিয়ার বিদ্রোহ, ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহের ভূমিকা, ইব্রাহিম আলি, রাশিয়ার ঘোষণা, লণ্ডন চুক্তি, তুরস্ক আক্রমণ, ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্য, আড্রিয়ানোপলের সন্ধি ও শর্ত, গ্রিসের স্বাধীনতা লাভ ও তার গুরুত্ব সম্পর্কে জানবো।
গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণ, গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত গুপ্ত সমিতি, গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে হেটাইরিয়া ফিলিকে সমিতির অবদান, গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইউরোপীয় রাষ্ট্রবর্গের ভূমিকা, আড্রিয়ানোপলের সন্ধি দ্বারা গ্রিসের স্বায়ত্তশাসন লাভ, আড্রিয়ানোপলের সন্ধির শর্ত, গ্রিসের স্বাধীনতা লাভ ও গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্ব।
ইউরোপীয় শক্তি গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধ
ঘটনা | গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
সময়কাল | ১৮২৭-২৯ খ্রিস্টাব্দ |
সম্পর্কিত | পূর্বাঞ্চল সমস্যা |
ফরাসি বিপ্লব | ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দ |
ভূমিকা:- প্রাচীন ইউরোপীয় সভ্যতার লীলাভূমি গ্রিস পঞ্চদশ শতকের প্রথম ভাগে ইসলামীয় শক্তি তুরস্ক -এর পদানত হয়। দীর্ঘদিনের জড়ত্বের পর উনিশ শতকের প্রথম ভাগে তাদের মধ্যে স্বাধীনতা স্পৃহা জেগে ওঠে এবং পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের জন্য তারা সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়।
গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণ
গ্রিকদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পেছনে বিভিন্ন কারণ ছিল। যেমন –
(১) তুর্কি শাসনের প্রতি ঘৃণা
তুর্কি রাজকর্মচারীদের কুশাসন ও অত্যাচার, পক্ষপাতমূলক করব্যবস্থা ও সেনাদলের জুলুম গ্রিকদের মনে তুর্কি শাসনের প্রতি প্রবল ঘৃণার সঞ্চার করে।
(২) ঐক্য ও জাতীয়তাবোধ
পরাধীন হওয়া সত্ত্বেও তুরস্ক সাম্রাজ্যের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী অপেক্ষা ধর্মাচরণ, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে গ্রিকরা বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করত। এর ফলে তাদের মধ্যে এক ধরনের ঐক্য ও জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠে এবং তারা পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য উদ্যোগী হয়।
(৩) বৌদ্ধিক জাগরণ
অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে গ্রিক কবি, সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিকদের চেষ্টায় গ্রিকদের মধ্যে এক ধরনের বৌদ্ধিক জাগরণ ঘটে এবং তারা নিজেদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। এই ব্যাপারে গ্রিক পণ্ডিত কোরায়েস এবং কবি রিগাস-এর নাম উল্লেখযোগ্য।
(৪) ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব
১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে সংঘটিত ফরাসি বিপ্লব-প্রসুত ধ্যান-ধারণাও গ্রিকদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে হেটাইরিয়া ফিলিকে সমিতির অবদান
- (১) ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে স্কুপাস নামক জনৈক গ্রিক ব্যবসায়ী গ্রিসের কৃষ্ণসাগর উপকূলে ওডেসা বন্দরে ‘হেটাইরিয়া ফিলিকে’ বা ‘স্বাধীনতার অনুরাগী’ নামে এক গুপ্ত সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র ইউরোপ থেকে তুরস্ককে বিতাড়িত করে পূর্বতন বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য -এর পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গ্রিসের মুক্তি অর্জন। এই সমিতি প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
- (২) ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে মাত্র চারজন গ্রিক বণিক দ্বারা এই সমিতি প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় দুই লক্ষে পৌঁছয়। সমগ্র গ্রিসে এই সমিতির ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ে। রুশ জার প্রথম আলেকজান্ডার -এর সঙ্গে এই সমিতির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। গ্রিসের স্বাধীনতা অর্জনের ব্যাপারে তিনি এই সমিতিকে সমর্থন করেন।
গ্রিসের মোলডাভিয়া প্রদেশের বিদ্রোহ
- (১) ১৮২১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ‘হেটাইরিয়া ফিলিকে’-র সভাপতি এবং মোলডাভিয়া প্রদেশের শাসনকর্তা প্রিন্স আলেকজান্ডার ইপসিল্যান্টি-র নেতৃত্বে মোলডাভিয়া ও ওয়ালেশিয়াতে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়।
- (২) রুশ সামরিক বিভাগে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইপসিল্যান্টি আশা করেছিলেন যে, বিদ্রোহ শুরু হলে তিনি রাশিয়ার সাহায্য পাবেন, কিন্তু মেটারনিখের প্রভাবে জার প্রথম আলেকজান্ডার বিদ্রোহীদের সাহায্য দানে বিরত থাকেন। মেটারনিখ এক্ষেত্রে ন্যায্য অধিকার তত্ত্বের যুক্তি দেখান। তুর্কি সেনাবাহিনী অতি সহজেই এই বিদ্রোহ দমন করে।
ইউরোপীয় শক্তি গ্রিসের মোরিয়া প্রদেশের বিদ্রোহ
- (১) কিছুদিন পরে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দেই দক্ষিণ গ্রিসের মোরিয়া প্রদেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে এবং অচিরেই তা দাবাগ্নির মতো সমগ্র গ্রিসে পরিব্যাপ্ত হয়। ঈজিয়ান সাগরের বিভিন্ন দ্বীপে, থেসালি, ম্যাসিডোনিয়া – সর্বত্র বিদ্রোহ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। গ্রিক ও তুর্কিরা নির্মমভাবে ও নির্বিচারে একে অন্যকে হত্যা করতে থাকে।
- (২) এই সময় ইউরোপের জনমত কিন্তু গ্রিসের পক্ষে ছিল। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গ্রিসের সমর্থনে সভা-সমিতি অনুষ্ঠিত হতে থাকে এবং গ্রিসে নানারকম আর্থিক ও সামরিক সাহায্য আসতে থাকে। অনেকে যুদ্ধে যোগদানের জন্য ব্যক্তিগতভাবে গ্রিসে যান। প্রখ্যাত ইংরেজ কবি লর্ড বায়রন গ্রিকদের পক্ষে যুদ্ধে প্রাণ হারান।
গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইউরোপীয় রাষ্ট্রবর্গের ভূমিকা
- (১) ইউরোপের জনমত গ্রিসের পক্ষে থাকলেও গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ নির্লিপ্ততার নীতি গ্রহণ করে। মেটারনিখ গ্রিকদের কেবল বিদ্রোহীই মনে করতেন। তাঁর মতে, “এই বিদ্রোহ ছিল সভ্য জগতের আওতার বাইরে।”
- (২) মেটারনিখের প্রভাবে প্রাশিয়া নিরপেক্ষ থাকে। ইংল্যান্ড-ও নির্লিপ্ত থাকে, কারণ সে তুরস্ক সাম্রাজ্যের অখণ্ডতা রক্ষায় আগ্রহী ছিল। একমাত্র রুশ জার প্রথম আলেকজান্ডার খ্রিস্টান জনসাধারণের উপর মুসলিমদের নৃশংস আক্রমণে ক্ষুব্ধ হয়ে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে তুর্কি সুলতানকে এক চরমপত্র পাঠান।
গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইব্রাহিম আলির ভূমিকা
- (১) গ্রিক বিদ্রোহ প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে তুর্কি সুলতান তাঁর সামন্ত মিশর -এর শাসনকর্তা মহম্মদ আলির কাছে সাহায্যের আবেদন জানান। এর বিনিময়ে তিনি মহম্মদ আলিকে সিরিয়া ও দামাস্কাস দানের প্রতিশ্রুতি দেন।
- (২) পাশ্চাত্য কায়দায় শিক্ষিত প্রায় ১১ হাজার সৈনিক নিয়ে মহম্মদ আলির পুত্র ইব্রাহিম আলি ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে মোরিয়ায় অবতরণ করেন। এর ফলে যুদ্ধের গতি পরিবর্তিত হয়। গ্রিকরা পরাজিত হতে থাকে।
- (৩) হাজার হাজার গ্রিককে হত্যা করে বসফরাসের জলে নিক্ষেপ করা হয়। ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রায় সমগ্র গ্রিস তুরস্কের অধিকারে ফিরে আসে।
ইউরোপীয় শক্তি গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে রাশিয়ার ঘোষণা
- (১) খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী গ্রিকদের উপর তুরস্কের নির্যাতন সমগ্র ইউরোপে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এর ফলে সমগ্র ইউরোপে গ্রিসের অনুকূলে জনমত গড়ে ওঠে। রুশ জার প্রথম আলেকজান্ডার ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দেই গ্রিসকে সাহায্যের ইচ্ছা প্রকাশ করেন, কিন্তু মেটারনিখের বিরোধিতার ফলে পিছিয়ে যান।
- (২) রাশিয়ার নতুন জার প্রথম নিকোলাস তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রিসকে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। রাশিয়ার এই ঘোষণার মধ্যে গ্রিসকে সাহায্য করা অপেক্ষা বলকানে রুশ প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যই বেশি কার্যকরী ছিল।
- (৩) জারের আপাতত লক্ষ্য ছিল সার্বিয়া এবং দানিয়ুর অঞ্চলের মোলডাভিয়া ও ওয়ালেশিয়া অঞ্চল দখল করা। তিনি এই রাজ্য দুটি থেকে তুর্কি সেনা অপসারণের দাবি জানান। তুরস্কের সুলতান ইনকারম্যানের সন্ধি দ্বারা রুশ দাবি মেনে নেন এবং সার্বিয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেন।
গ্রিসের স্বাধীনতা বিষয়ে লন্ডন চুক্তি
১৮২৭ খ্রিস্টাব্দের ৬ই জুলাই লন্ডন চুক্তি দ্বারা ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়া গ্রিসের স্বায়ত্তশাসন মেনে নেয় এবং এই উদ্দেশ্যে তুরস্কের সুলতানের কাছে একটি ‘যুক্তপত্র’ পাঠায়। তুর্কি সুলতান এই প্রস্তাব গ্রহণে অসম্মত হয়।
তুরস্ক আক্রমণ
ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়া যুগ্মভাবে তুরস্ক আক্রমণ করে এবং ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে নাভারিনোর নৌ-যুদ্ধে তুরস্ক ও মিশরের যুগ্মবাহিনীকে ধ্বংস করে।
ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্য
ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্য ছিল তুরস্ককে ভয় দেখিয়ে যুদ্ধত্যাগে বাধ্য করা, তাকে দুর্বল বা ধ্বংস করা নয়। তুরস্কের পতনে রাশিয়া শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তাই ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ায়।
গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে আড্রিয়ানোপলের সন্ধি
এই অবস্থায় রাশিয়া এককভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যায় এবং ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে পরাজিত তুরস্ককে আড্রিয়ানোপলের সন্ধি স্বাক্ষরে বাধ্য করে।
আড্রিয়ানোপলের সন্ধির শর্ত
এই সন্ধি দ্বারা-
- (১) রুশ রক্ষণাধীনে গ্রিস স্বায়ত্তশাসন লাভ করে,
- (২) ওয়ালেশিয়া ও মোলডাভিয়ায় রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়,
- (৩) বসফোরাস ও দার্দানালিস প্রণালীর উপর রাশিয়ার অবাধ অধিকার স্বীকৃত হয়,
- (৪) রাশিয়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক সুবিধা লাভ করে এবং
- (৫) সমগ্র দানিয়ুর উপত্যকা রুশ আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়।
গ্রিসের স্বাধীনতা লাভ
রাশিয়ার শক্তিবৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া – সকলেই শঙ্কিত হয়ে ওঠে এবং এই সন্ধি পরিবর্তনের জন্য রাশিয়ার উপর চাপ দিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের চুক্তি দ্বারা
- (১) তুরস্ক গ্রিসের স্বাধীনতা মেনে নেয়,
- (২) ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়া এই স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব নেয় এবং
- (৩) মোলডাভিয়া ও ওয়ালেশিয়া তুরস্কের অধীনে থাকে। ব্যাভেরিয়া রাজবংশের প্রথম অটো গ্রিসের রাজা হন।
গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্ব
বিভিন্ন কারণে গ্রিসের স্বাধীনতা সংগ্রাম ইউরোপীয় ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। যেমন –
(১) সফল প্রতিবাদ
ভিয়েনা সম্মেলন -এ সমবেত রাষ্ট্রনীতিকগণ ন্যায্য অধিকার ও স্থিতাবস্থা প্রতিষ্ঠার নামে গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার অগ্রগতির বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, গ্রিসের স্বাধীনতা সংগ্রাম তার বিরুদ্ধে এক সফল প্রতিবাদ।
(২) মেটারনিখ ব্যবস্থা ও শক্তি সমবায়ের অসারতা
গ্রিসের স্বাধীনতা সংগ্রাম মেটারনিখ ব্যবস্থা এবং ইউরোপীয় শক্তি সমবায় -এর অসারতা ও অপ্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে।
(৩) অনুপ্রেরণা
গ্রিসের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাফল্য বলকান অঞ্চলের অপরাপর স্বাধীনতাকামী জাতিবর্গের মনে গভীর অনুপ্রেরণা ও আশার সঞ্চার করে। তাদের তুরস্ক-বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠে।
(৪) জটিলতা সৃষ্টি
এই যুদ্ধে তুরস্কের পরাজয়ের ফলে তুরস্কের শাসনতান্ত্রিক ও সামরিক দুর্বলতা প্রকট হয়ে ওঠে এবং ইউরোপীয় রাষ্ট্রবর্গের কাছে তুরস্ক ‘রুগ্ন ব্যক্তি’ বা ‘Sickman of Europe’ বলে পরিচিতি লাভ করে। এই দুর্বলতার ফলে পরবর্তীকালে ইউরোপীয় রাজনীতিতে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়।
উপসংহার:- গ্রিক স্বাধীনতা সংগ্রামকে নানাভাবে সাহায্য করায় রাশিয়ার আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল -এ রুশ প্রভাব সুদৃঢ় হয়।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “গ্ৰিসের স্বাধীনতা যুদ্ধ” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে স্কুপাস নামক জনৈক গ্রিক ব্যবসায়ী গ্রিসের কৃষ্ণসাগর উপকূলে ওডেসা বন্দরে ‘হেটাইরিয়া ফিলিকে’ বা ‘স্বাধীনতার অনুরাগী’ নামে এক গুপ্ত সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র ইউরোপ থেকে তুরস্ককে বিতাড়িত করে পূর্বতন বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গ্রিসের মুক্তি অর্জন।
ব্যাভেরিয়া রাজবংশের প্রথম অটো।
তুরস্ক।
১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে।