ফ্রান্স

ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত ফ্রান্স দেশটি প্রসঙ্গে নামকরণ, সীমা, ঐতিহাসিক দিক, ভৌগোলিক দিক, রাজনৈতিক দিক, বৈদেশিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক দিক, জনসাধারণ, যোগাযোগ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানবো।

ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত ফ্রান্স দেশটি প্রসঙ্গে ফ্রান্সের অবস্থান, ফ্রান্সের নামকরণ, ফ্রান্সের সীমা, ফ্রান্সের ইতিহাস, ফ্রান্সের ভৌগোলিক দিক, ফ্রান্সের রাজধানী, ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ শহর, ফ্রান্সের অর্থনৈতিক দিক, ফ্রান্সের রাজনৈতিক দিক, ফ্রান্সের জনসাধারণ, ফ্রান্সের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ফ্রান্সের সংস্কৃতি।

ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত ফ্রান্স

দেশফ্রান্স
রাজধানীপ্যারিসে
সরকারি ভাষাফরাসি
রাষ্ট্রপতিএমানুয়েল মাক্রোঁ
প্রধানমন্ত্রীএলিজাবেথ বর্নি
জনসংখ্যা৬৭৮৯৭০০০
আয়তন৬৪০৬৭৯ কিমি
ফ্রান্স

ভূমিকা:- ইউরোপ -এর একটি রাষ্ট্র ফ্রান্স, যার সরকারি নাম ফরাসি প্রজাতন্ত্র। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ফ্রান্ড পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতিগুলির একটি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ফ্রান্স ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। ফ্রান্সের প্রাক্তন উপনিবেশগুলি বিশ্বের প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।

ফ্রান্স দেশের নামকরণ

  • (১) ফ্রান্স নামটি এসেছে ল্যাটিন ফ্রান্সিয়া থেকে বা “ফ্রাঙ্কের রাজ্য”। আধুনিক ফ্রান্স আজও ইতালীয় এবং স্প্যানিশ ভাষায় নাম ফ্রান্সিয়া। জার্মান ভাষায় ফ্রান্স, ডাচ ভাষায় ফ্রাঙ্কিজ এবং সুইডিশ ভাষায় ফ্রাঙ্করাইক, যার অর্থ ‘ফ্রাঙ্কের ভূমি বা জমি’।
  • (২) ফ্রান্সের নামটি ইংরেজি শব্দ ফ্রাঙ্ক (মুক্ত)-এর সাথে সম্পর্কিত। শব্দটি পুরানো ফরাসি ফ্রাঙ্ক (মুক্ত, মহৎ, আন্তরিক) থেকে এসেছে। মধ্যযুগীয় ল্যাটিন ফ্রাঙ্কস থেকে (মুক্ত, পরিষেবা থেকে অব্যাহতি) উপজাতীয় নামের একটি সাধারণীকরণ, যা একটি ল্যাটিন শব্দ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল পুনর্গঠিত ফ্রাঙ্কিশ নাম ফ্র্যাঙ্ক।
  • (৩) ফ্র্যাঙ্ক শব্দটি  মুক্ত অর্থে গৃহীত হয়েছিল। কারণ, গল বিজয়ের পর শুধুমাত্র ফ্রাঙ্করা করমুক্ত ছিল। সাধারণভাবে দাস বা ভূমিদাসদের বিপরীতে তাদের স্বাধীন মর্যাদা ছিল।

ফ্রান্স দেশের ভাষিক সংযোগ সূত্র

আটলান্টিক মহাসাগর, ভূমধ্যসাগর, আল্পস পর্বতমালা ও পিরেনিজ পর্বতমালা বেষ্টিত ফ্রান্স বহুদিন ধরে উত্তর ও দক্ষিণ ইউরোপের মাঝে ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও ভাষিক সংযোগসূত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে।

ফ্রান্স রাষ্ট্রের স্থান

আয়তনের দিক থেকে ফ্রান্স ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরেই ফ্রান্সের স্থান। জনসংখ্যার দিক থেকে ফ্রান্স ইউরোপের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। মূল ভূখণ্ডের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্রান্সের দশটি উপনিবেশ আছে, যেগুলি বেশির ভাগই প্রাক্তন ফরাসি সাম্রাজ্য থেকে পাওয়া।

ফ্রান্সের সীমা

ফ্রান্সের আকৃতি অনেকটা ষড়ভুজাকার। ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ, পূর্বে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও ইতালি, দক্ষিণ-পশ্চিমে অ্যান্ডোরা ও স্পেন, উত্তর-পূর্বে ইংলিশ চ্যানেল, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তরে উত্তর সাগর, এবং দক্ষিণ-পূর্বে ভূমধ্যসাগর।

পঞ্চম প্রজাতন্ত্রে ফ্রান্স

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো জাতি রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল ফ্রান্স। মধ্যযুগে ডিউক ও রাজপুত্রদের রাজ্যগুলি একত্র হয়ে একজন শাসকের অধীনে এসে ফ্রান্স গঠিত হয়। বর্তমানে ফ্রান্স পঞ্চম প্রজাতন্ত্র পর্যায়ে রয়েছে। ১৯৫৮ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর এই প্রজাতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় প্রবণতার উত্থান এবং বেসরকারী খাতের উন্নয়ন নতুন ফ্রান্সের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র ফ্রান্স

ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান সদস্য। ফ্রান্স জাতিসংঘ -এর নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-দেশের একটি এবং এর ভেটো প্রদানের ক্ষমতা আছে।

ফ্রান্স দেশের ঐতিহাসিক দিক

  • (১) পশ্চিমা বিশ্বের প্রাচীনতম রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অন্যতম ফ্রান্স। ফ্রান্সের ইতিহাস সমৃদ্ধ ও বিচিত্র। ফ্রান্সের সর্বপ্রথম অধিবাসীদের সম্পর্কে তেমন বিশেষ কিছু জানা যায় না। দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের গুহায় পাওয়া ছবিগুলি প্রায় ১৫,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বলে অনুমান করা হয়।
  • (২) খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতক থেকে কেল্টীয় ও অন্যান্য গোত্রের লোকেরা ফ্রান্সে প্রবেশ করতে ও এখানে বসবাস করতে শুরু করে। প্রাচীনকালে ফ্রান্স অঞ্চল কেল্টীয় গল নামে পরিচিত ছিল। প্রাচীন রোমানরা খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে ফ্রান্স দখল করে এবং খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পূর্ব পর্যন্ত অঞ্চলটি শাসন করে।
  • (৩) রোমের পতনের পর অনেকগুলি রাজবংশ ধারাবাহিকভাবে ফ্রান্স শাসন করে। মধ্যযুগে রাজতন্ত্রের প্রভাব খর্ব হয় এবং স্থানীয় শাসকভিত্তিক সামন্তবাদের উত্থান ঘটে। চতুর্দশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত আবার রাজতন্ত্রের ক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
  • (৪) এই সময় ফ্রান্সের রাজারা ও তাদের মন্ত্রীরা ধীরে ধীরে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র ও বড় আকারের সামরিক বাহিনী গড়ে তোলেন। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব -এ রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং এর পর বহু দশক ধরে ফ্রান্স রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হয়।
  • (৫) এরপর নেপোলিয়ন বোনাপার্ট -এর শাসনাকালে ফ্রান্স একটি সংহত প্রশাসনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করে। উনিশ শতক ও বিশ শতকের শুরুতে ফরাসি শক্তি ও আর্থিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। এসময় ফ্রান্স বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী একটি সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।
  • (৬) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ -এর প্রায় পুরোটাই ফ্রান্সের মাটিতে সংঘটিত হয় এবং এর ফলে ফ্রান্সের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ -এর সময় জার্মানি উত্তর ফ্রান্স দখল করলে মধ্য ফ্রান্সের ভিশিতে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়।
  • (৭) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্স তার ধূলিস্যাৎ অর্থনীতিকে আবার গড়ে তোলে এবং বিশ্বের একটি প্রধান শিল্পরাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়। বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ফ্রান্সের উপনিবেশগুলিতে সাম্রাজ্যবিরোধী আন্দোলন জেগে ওঠে এবং এর ফলে ফ্রান্স অচিরেই তার বেশির ভাগ উপনিবেশ হারায়।
  • (৮) ১৯৫৮ সালে আলজেরিয়ায় ফরাসিবিরোধী আন্দোলন ফ্রান্সকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। এই সময় ফরাসি সরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম ফরাসি নেতা শার্ল দ্য গোল-কে একনায়কের ক্ষমতা দান করে।
  • (৯) শার্ল দ্য গোল বিশ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে ফ্রান্সকে অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। সাম্প্রতিককালে ফ্রান্স জার্মানির সাথে একত্রে মিলে গোটা ইউরোপের অর্থনীতি ও রাজনীতির সমন্বয়ে প্রধান ভূমিকা রেখে চলেছে।

ফ্রান্স রাষ্ট্রের ভৌগোলিক দিক

  • (১) ফ্রান্সের ভূপ্রকৃতি বৈচিত্র্যময়। দেশের উত্তরে উপকূলীয় নিম্নভূমি ও বিস্তৃত সমভূমি। দক্ষিণ-মধ্য ফ্রান্সে আছে পাহাড়ী উঁচুভূমি। আর পূর্বে আছে সবুজ উপত্যকা ও সুউচ্চ বরফাবৃত আল্পস পর্বতমালা।
  • (২) ফ্রান্সের সীমানার প্রায় সর্বত্রই পর্বতময়, ফলে কেবল উত্তর-পূর্বের সীমান্ত বাদে দেশটির প্রায় সর্বত্রই একটি প্রাকৃতিক সীমানা নির্ধারিত হয়েছে। ফ্রান্সের প্রধান নদনদী হল সেন, লোয়ার, গারন এবং রোন।

ফ্রান্সের রাজধানী

  • (১) ফ্রান্স নগরভিত্তিক রাষ্ট্র। জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহরে বাস করেন। প্যারিস ফ্রান্সের রাজধানী ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। ফ্রান্সের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল প্যারিসের বৃহত্তর মহানগর এলাকাতে প্রায় এক কোটি ২৫ লক্ষ লোকের বাস।
  • (২) বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হল প্যারিস। উনিশ শতকের মধ্যভাগে ব্যারন জর্জ ওজেনের সময় সড়কগুলির পরিবর্ধন করে, পুরাতন ভবন ধ্বংস করে ও নতুন নকশা দ্বারা বহু ভবন নির্মাণ করে পরিকল্পনামাফিক শহরটিকে ঢেলে সাজানো হয়।

ফ্রান্স দেশের গুরত্বপূর্ণ শহর

ফ্রান্সের বড় শহরের মধ্যে আছে লিয়ঁ। এই শহর উত্তর সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযোগকারী প্রাচীন রোন উপত্যকায় অবস্থিত। ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি বহুজাতিক সমুদ্রবন্দর হল মার্সেই। গ্রিক ও কার্থেজীয় বণিকেরা খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে এই শহরের পত্তন করে। আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত নঁত একটি গভীর জলের পোতাশ্রয় ও শিল্পকেন্দ্র। গারন নদীর উপর অবস্থিত বর্দো দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের প্রধান শহর।

ফ্রান্সের রাজনৈতিক দিক

সরকারী ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও ফ্রান্স যথেষ্ট প্রভাব রেখেছে। ফ্রান্সই প্রথম বিশ্বকে ফরাসি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র উপহার দেয়। ফরাসি বিপ্লবের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বহু প্রজন্ম ধরে বিশ্বের অন্যত্র অনেক সংস্কারবাদী ও বিপ্লবী আন্দোলন ঘটে।

ফ্রান্সের বৈদেশিক সম্পর্ক

ফ্রান্সের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। ফ্রান্সের পাসপোর্টে ১২৫টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায়, যা পাসপোর্ট শক্তি সূচকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ফ্রান্স দেশের অর্থনৈতিক দিক

  • (১) ফ্রান্সের দেশজ উৎপাদনের মূল্য ২৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। ফলে ফ্রান্স ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম ও বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির ধারক ও বাহক। কৃষিদ্রব্য উৎপাদনে ফ্রান্স ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ফ্রান্স মূলত খাদ্যশস্য, ওয়াইন, পনির ও অন্যান্য কৃষিদ্রব্য ইউরোপ ও সারা বিশ্বে রপ্তানি করে।
  • (২) ফ্রান্স ভারী শিল্পের দিক থেকেও বিশ্বের প্রথম সারির দেশ। এখানে মোটরযান, ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি, ও রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদন করা হয়। তবে বর্তমানকালের দশকগুলিতে সেবামূলক শিল্প যেমন ব্যাংকিং, পাইকারী ও খুচরা বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যটন ফরাসি অর্থনীতিতে ব্যাপক ও প্রধান ভূমিকা রাখা শুরু করেছে।
  • (৩) ফ্রান্স সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা ২৯ লক্ষ। সেই হিসেবে দেশটিতে প্রতি বারো জনের জন্য একটি করে কোম্পানি রয়েছে।

ফ্রান্সের জনসাধারণ

বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান, ধনী ও সুশিক্ষিত জাতির মধ্যে অন্যতম ফ্রান্স। দেশটিতে একটি পূর্ণাঙ্গ সমাজকল্যাণ ব্যবস্থা রয়েছে, যা প্রতিটি ফরাসি নাগরিকের ন্যূনতম জীবনের মান ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। বেশির ভাগ ফরাসি নাগরিক ফরাসি ভাষায় কথা বলেন। খ্রিস্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক ধারা এখানকার মানুষের প্রধান ধর্ম।

ফ্রান্সের সংস্কৃতি

ফরাসি সংস্কৃতি জগদ্বিখ্যাত। শিল্পকলা, সাহিত্য, গণিত, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, নৃবিজ্ঞান, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞানের উন্নয়নে ও প্রসারে ফ্রান্সের সংস্কৃতি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। মধ্যযুগ থেকেই প্যারিস পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। ফরাসি রন্ধনশৈলী ও পোষাকশৈলী বিশ্বের সর্বত্র অনুসৃত হয়।

ফ্রান্স দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা

বৈচিত্র্যময় ফ্রান্সের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত। শার্ল দ্য গোল বিমানবন্দর এই দেশের মুখ্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম বিমানবন্দর।

উপসংহার:- ভারত -এর বিভিন্ন প্রদেশে ফ্রান্স তার উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল। ফরাসি সংস্কৃতির ধারা আজও তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ -এর চন্দননগর অঞ্চলে।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “ফ্রান্স” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) ফ্রান্স দেশ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ফ্রান্সের আদি জনবসতি কি নামে পরিচিত?

গল।

২. ফ্রান্সের রাজধানী কোথায়?

প্যারিস।

৩. ফ্রান্সের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম কি?

এলিজাবেথ বর্নি।

৪. ফ্রান্সের বর্তমান রাষ্ট্রপতি কে?

এমানুয়েল মাক্রোঁ।

৫. ফ্রান্সের জনসমাজের প্রধান ধর্ম কি?

খ্রিস্টান।

অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলি

Leave a Comment