ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারী

মধ্যযুগের ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারী প্রসঙ্গে মৃত্যু সংখ্যা, মহামারীর সূত্রপাত, ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর বিস্তার, ব্ল্যাক ডেথ কথার ব্যবহার, ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর জীবাণু, ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর আকার ও ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর ফলাফল সম্পর্কে জানবো।

ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারী প্রসঙ্গে মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি বীভৎস, অমানবিক ও কালো ইতিহাস বহন করছে ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারী, ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর সূত্রপাত, ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর বিস্তার, ব্ল্যাক ডেথ কথার ব্যবহার, ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর জীবাণু ও ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীতে মৃত্যু সংখ্যা সম্পর্কে জানব।

ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারী

ঐতিহাসিক ঘটনাব্ল্যাক ডেথ বা মহামারী
সূচনা১৩৪০-এর দশক
সময়কাল১৩৪৭-১৩৯০ খ্রি
রোগপ্লেগ
স্থানইউরোপ মহাদেশ
ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারী

ভূমিকা :- চতুর্দশ শতাব্দীর ইউরোপে জনগণের সর্বাধিক ভয়াবহ ঘটনা ছিল প্লেগ রোগের আক্রমণে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু যা মহামারীর আকার ধারণ করেছিল। ১৩৪০-এর দশকে প্রায় সারা ইউরোপে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

ব্ল্যাক ডেথে মৃত্যু সংখ্যা

ঐতিহাসিক O. J. Benedicto দেখিয়েছেন যে, এই মহামারীতে চতুর্দশ শতাব্দীতে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল। অন্যভাবে বলা যায় সমগ্র ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছিল।

ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর সূত্রপাত

চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব হেতু লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু মহামারীর সূত্রপাত ঘটিয়েছিল। প্লেগ রোগ দুই ধরনের – নিউমোনিক এবং বিউবোনিক প্লেগ। ইঁদুরের শরীরের মধ্য দিয়ে এই রোগের বিস্তার ঘটে।

ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর বিস্তার

দুই ধরনের প্লেগ রোগই ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে বিউবোনিক প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল সবচেয়ে বেশী। প্লেগ রোগের উপসর্গ ছিল প্রচণ্ড জ্বর, রক্ত বমি, শরীরের বিভিন্ন অংশের চামড়ায় সংক্রমণ, শরীরের রং কালো হয়ে যাওয়া এবং মানুষের মৃত্যু। প্লেগ রোগে আক্রান্ত মানুষের সাত দিনের মধ্যে মৃত্যু হত এবং এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় তখন ইউরোপের মানুষের জানা ছিল না।

ব্ল্যাক ডেথ কথার ব্যবহার

সাধারণভাবে প্লেগ রোগে মানুষের শরীরের রং কালো হয়ে গিয়ে মৃত্যু ঘটত। তাই এই ধরণের মৃত্যুকে কৃষ্ণমৃত্যু বা ‘Black Death’ নামে চিহ্নিত করা হয়। অবশ্য ‘Black death’ কথাটি আরো পুরানো। দ্বাদশ শতাব্দীতে ফরাসী চিকিৎসক Gilles de Corbeil এই শব্দগুলি Pestilential fever সম্পর্কিত বিষয়কে বোঝানোর জন্য প্রথম ব্যবহার করেন। মহামারীর সমকালীন লেখকরা এই ঘটনাকে Great Mortanity হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ১৬৩১ সালে ডেনমার্কের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থে J. I. Portanus এই মহামারীর ঘটনাকে প্রথম ‘black death’ হিসাবে বর্ণনা করেন।

ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর জীবাণু

প্লেগ রোগের জীবাণু ইঁদুর বাহিত হয়ে প্রাচ্য দেশ থেকে ইউরোপে মহামারী সৃষ্টি করেছিল। তবে তার আগে থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্লেগের জীবাণুর কথা জানা যায়। অষ্টম শতাব্দীতে ইউরোপে প্রথম প্লেগ রোগ দেখা দেয়। একাদশ শতাব্দীতেও এই রোগের কথা জানা যায়। তবে এই সময়কালে প্লেগ তত বেশী ভয়াবহ আকার নেয় নি। কিন্তু ১৩৪৭-৪৮ সাল পর্যন্ত সময়কালে ইউরোপে প্লেগ ভয়ানক রূপ নিয়েছিল।

ব্ল্যাক ডেথ সম্পর্কে বেনেডিক্টোর মন্তব্য

ইউরোপে প্লেগ রোগের বিস্তার প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক O. J. Benedictow History Today পত্রিকায় প্রকাশিত ‘The Black Death : The Greatest Catastrophe Ever’ নামক প্রবন্ধে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “Napoleon did not succeed in conquering Russia. Hitler did not succeed. But the Black Death did.”

ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর আকার

  • (১) দেখা গেছে প্লেগ রোগের জীবাণু নিয়ে মহামারীর সূচনা ঘটেছিল কাফা বন্দরের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য জাহাজের মাধ্যমে ১৩৪৭ সালে। এই বন্দরটি ক্রিমিয়ায় অবস্থিত ছিল। এখানে মোঙ্গল সৈন্যরা প্লেগ রোগে আক্রান্ত মানুষদের কাফা শহরের প্রাচীরে ছুঁড়ে ফেলেছিল। ফলে কাফা অঞ্চলের মানুষেরা প্রথম প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়।
  • (২) এরপর জেনোয়ার বাণিজ্য জাহাজের মাধ্যমে প্লেগ রোগ সিসিলি অঞ্চলে চলে যায়। এরপর উত্তর ইতালিতে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যেই ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড সহ প্রায় সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।
  • (৩) তেমনি মধ্য এশিয়ার সিরিয়া, মিশর, প্যালেস্তাইন প্রভৃতি দেশেও প্লেগ রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ঘটে। ১৩৪৭ সাল থেকে প্রায় ১৩৯০ সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময়কালে ইউরোপ প্লেগ রোগের আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়েছিল।

ব্ল্যাকডেথের ফলাফল

প্লেগ রোগের কারণে সংঘটিত ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারীর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। যেমন –

(ক) অগনিত মানুষের মৃত্যু

  • (১) ব্ল্যাকডেথের সর্বাধিক মর্মান্তিক ফলাফল হল লক্ষ লক্ষ অসহায় মানুষের মৃত্যু। শিশু ও কমবয়সী মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সবচেয়ে বেশী। মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা, প্লেগ রোগে আক্রান্ত মানুষের জামা-কাপড় পুড়িয়ে ফেলেও এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয় নি।
  • (২) মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও বাতাসে এই রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছিল। ঐতিহাসিক K. Lopez, A. Ricardo, Philip Daileder প্রমুখ ব্ল্যাকডেথের ফলে ইউরোপে মানুষের মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিয়েছেন। দেখা গেছে মিশরের প্রায় ৪০% মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
  • (৩) প্যারিসের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মারা যায়। ইতালির বিভিন্ন শহরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু হয়। ইংল্যান্ডের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষের মৃত্যু ঘটে। রানী মেরীও প্লেগের হাত থেকে রেহাই পান নি। দেখা গেছে সমগ্র ইউরোপের প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল।

(খ) গ্ৰাম ও শহর জীবনের উপর ব্ল্যাক ডেথের প্রভাব

  • (১) মহামারির ফলে ইউরোপের গ্রাম ও শহর জীবনের উপর প্রভাব পড়েছিল। গ্রামের মানুষেরা মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য গ্রাম পরিত্যাগ করে কখনো জঙ্গলে আবার অনেকে শহরের দিকে পালিয়ে যায়। ফলে গ্রামগুলি জনশূন্য হয়ে পড়ে। বিশেষভাবে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের জনসংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।
  • (২) এর প্রভাব পড়ে কৃষিব্যবস্থার উপর। উৎপাদন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রচুর জমি চাষের পরিবর্তে পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। খাদ্য উৎপাদন কম হলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। সামন্তশ্রেণীর খাজনার পরিমাণ কমে যায়। তখন তারা কৃষকদের জোর করে নিজেদের এলাকায় রাখার চেষ্টা করতে থাকে।

(গ) নগর জীবনের উপর ব্ল্যাক ডেথের প্রভাব

ইউরোপের নগর জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। দলে দলে মানুষ শহরগুলিতে ভীড় করলে বহু নতুন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন – বাসস্থান সমস্যা, খাদ্য সমস্যা, পরিবেশ, পানীয় জল, নিকাশী ব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্য প্রভৃতি বিষয়গুলি উপেক্ষিত হতে থাকে। আবার শহরগুলিতে পালিয়ে এসেও প্লেগের হাত থেকে মানুষ রেহাই পায় নি। শহরগুলিতে মানুষের মৃত্যু ঠেকানো যায় নি।

(ঘ) ব্ল্যাক ডেথের ফলে শহরের সমস্যা

  • (১) শহরে প্লেগ রোগে মানুষের মৃত্যু বহু সমস্যা তৈরী করেছিল। যেমন – শহরে আগত গ্রামের মানুষেরা বিভিন্ন শিল্পে শ্রমিক হিসাবে অথবা কারিগরের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু মহামারীতে মানুষের মৃত্যুতে শিল্পকেন্দ্রগুলি শ্রমিকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কারিগর শ্রেণীর মানুষের মৃত্যু বহু হস্তশিল্প এবং ক্ষুদ্র শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। পাশাপাশি বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
  • (২) আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য বন্ধের মুখে পড়ে। বন্দরগুলিতে কাজের লোকের মানুষ পাওয়া যায় নি। এর ফলে ইউরোপের দেশগুলির অর্থনীতি বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। খাদ্যের অভাব, অপুষ্টি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রভৃতির ফলে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলিতে সাধারণ মানুষ করের পরিমাণ হ্রাস, মজুরী বৃদ্ধি প্রভৃতির দাবীতে আন্দোলন শুরু করেছিল।

(ঙ) ব্ল্যাক ডেথের ফলে ইংল্যান্ডে কৃষক বিদ্রোহ

ইংল্যান্ডে ব্ল্যাকডেথের ফলে ব্যাপক কৃষক বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল। ইংল্যান্ডে প্রচুর সংখ্যক কৃষক ও শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে একদিকে কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আবার অন্যদিকে শিল্পগুলিতে শ্রমিকের সমস্যা দেখা যায়। কৃষক ও শ্রমিকরা বাড়তি মজুরীর দাবী করতে থাকে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের কৃষি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। Enclosure আন্দোলন শুরু হয়। ১৩৮১ সালে ইংল্যান্ডে কৃষক বিদ্রোহ ঘটলেও কৃষক সমাজের বিশেষ কোন উন্নতি ঘটে নি।

(চ) ব্ল্যাক ডেথের ফলে শহরের অবক্ষয়

  • (১) ইউরোপের শহরগুলিতে ব্ল্যাকডেথের ফলে অবক্ষয় দেখা দেয়। শহরগুলিতে ব্যাপক হারে মানুষের মৃত্যু একদিকে যেমন শিল্প-ব্যবস্থাকে সংকটে ফেলেছিল। তেমনি বন্দর ও নগরগুলিতে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলে শহরগুলিতে আর্থিক সংকট শুরু হয়।
  • (২) পাশাপাশি খাদ্য সমস্যা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ শহর জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছিল। ইউরোপের শহরগুলি প্লেগ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়। ফলে শহরগুলিও জনশূন্য হতে থাকে। লন্ডন শহর কয়েকবার জনশূন্য হয়ে পড়ে।

(ছ) ব্ল্যাক ডেথের ফলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সূচনা

প্লেগ রোগের প্রতিরোধ করার উপায় খোঁজার প্রচেষ্টাও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে। ইতালী ও জার্মানীর বিভিন্ন শহরে মানুষের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ চালু করা হয়েছিল।

(জ) ধর্মীয় জীবনের উপর ব্ল্যাক ডেথের প্রভাব

  • (১) ইউরোপের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনের উপর এই Black Death এর প্রতিক্রিয়া ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যাজকরা প্রচার করেছিল যে এই মৃত্যু হল মানুষের অনাচারের ফল। আবার বিভিন্ন অঞ্চলে ইহুদীদের এই মহামারীর জন্য দায়ী করা হলে বহু ইহুদীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা শুরু হয়।
  • (২) ঐতিহাসিক Benedictow মন্তব্য করেছেন, “Most people believed plague and mass illness to be a punishment from God for their sins. They responded with religious penitential acts aimed at tempering the Lord’s wrath, or with passivity and fatalism; it was a sin to try to avoid God’s will.”
  • (৩) কিন্তু কোনো রকম ভাবেই মৃত্যুর হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হয় নি। এর ফলে গীর্জা ব্যবস্থার এতদিন পর্যন্ত যে ক্ষমতা ও আধিপত্য ছিল তা ক্রমশঃ দুর্বল হয়ে পড়ে।

উপসংহার :- ঐতিহাসিক Fernand Braudel দেখিয়েছেন যে, ব্ল্যাক ডেথের পর থেকে গীর্জার গুরুত্ব হ্রাস পায় এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সমাজ জীবনে ধর্ম নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব ঘটতে থাকে।

(FAQ) ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কোন রোগের কারণে ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথ বা মহামারী শুরু হয়েছিল?

প্লেগ।

২. ব্ল্যাক ডেথ এর সময়কাল কত?

১৩৪৭ থেকে ১৩৯০ সাল পর্যন্ত।

৩. প্রেম রোগ কয় ধরনের ও কি কি?

দুই ধরনের – নিউমোনিক এবং বিউবোনিক।

৪. ব্ল্যাক ডেথ নামকরণের কারণ কি?

সাধারণভাবে প্লেগ রোগে মানুষের শরীরের রং কালো হয়ে গিয়ে মৃত্যু ঘটতো। তাই এ ধরনের মৃত্যুকে কৃষ্ণ মৃত্যু বা ব্ল্যাক ডেথ নামে চিহ্নিত করা হয়।

অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি

Leave a Comment