চেকোস্লোভাকিয়া সমস্যা

চেকোস্লোভাকিয়া সমস্যা প্রসঙ্গে চেকোস্লোভাকিয়ার গুরুত্ব, হিটলারের সমস্যা ও সুযোগ, হিটলারের যুদ্ধ্যোদম, হিটলারের নুরেমবার্গ ভাষণ, হিটলারের বর্ধিত দাবি, মিউনিখ বৈঠক, মিউনিখ চুক্তি ও সম্পূর্ণ চেক রাজ্য দখল সম্পর্কে জানবো।

চেকোস্লোভাকিয়া সমস্যা

ঐতিহাসিক ঘটনাচেকোস্লোভাকিয়া সমস্যা
চেক রাজ্য দখলহিটলার
মিউনিখ চুক্তি২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
চেকোস্লোভাকিয়া সমস্যা

ভূমিকা:- বিনা বাধায় অস্ট্রিয়া দখলের পর হিটলারের নজর পড়ে রাশিয়াফ্রান্স -এর মিত্র জার্মানির পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত চেকোশ্লোভাকিয়ার দিকে। তৎকালীন সময়ে চেকোস্লোভাকিয়ার বিশেষ গুরুত্ব ছিল।

চেকোশ্লোভাকিয়ার গুরুত্ব

  • (১) এই দেশটির ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দেশটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ -এর প্রবেশদ্বার। এর উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারলে জার্মানির পক্ষে ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কর্তৃত্ব বিস্তার করা সহজসাধ্য হত।
  • (২) দেশটি ছিল খনিজ সম্পদে পূর্ণ এবং কৃষি ও শিল্প – দু’দিক থেকেই সমৃদ্ধশালী। স্কোডার বিখ্যাত অস্ত্র কারখানাও এখানে অবস্থিত ছিল। সুতরাং নিজ শক্তিবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে হিটলার এই অঞ্চল সম্পর্কে উৎসাহী ছিলেন।
  • (৩) এই রাষ্ট্রের ১৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে সাড়ে তিন মিলিয়ন ছিল জার্মান। তারা চেকোশ্লোভাকিয়ার সুদেতান অঞ্চলে বসবাস করত। ভার্সাই সন্ধির পূর্বে এই অঞ্চল জার্মানির সাইলেশিয়া প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভার্সাই সন্ধি এই অঞ্চলকে চেক রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করে।
  • (৪) হিটলারের তৃতীয় রাইখ গঠনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে চেকোস্লোভাকিয়ার সুদেতান অঞ্চলের উপর তাঁর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য ছিল।

হিটলারের সমস্যা

এই অঞ্চল দখলে হিটলারের কিছু সমস্যাও ছিল। যেমন –

  • (১) ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের এক চুক্তি দ্বারা ফ্রান্স বিদেশি আক্রমণের বিরুদ্ধে চেকোশ্লোভাকিয়াকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়।
  • (২) সোভিয়েত ইউনিয়নও এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেয়।

হিটলারের সুবিধা

এই সব সমস্যা সত্ত্বেও হিটলার নিরুৎসাহ হন নি। কারণ,

  • (১) ইতিপূর্বে মাঞ্চুরিয়া, আবিসিনিয়া ও স্পেন -এর ব্যাপারে পশ্চিমি রাষ্ট্রবর্গের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা তাঁকে উৎসাহিত করেছিল।
  • (২) এছাড়া পোল্যান্ড ও রুমানিয়ার ‘সীমান্ত অবরোধ নীতি’-র কারণে রাশিয়ার পক্ষে চেকোশ্লোভাকিয়াকে রক্ষা করা সম্ভব ছিল না।

সুদেতান জার্মানদের তৎপরতা

  • (১) জার্মানিতে হিটলারের ক্ষমতা দখলের পর থেকে সুদেতান অঞ্চলের জার্মানরা খুব তৎপর হয়ে ওঠে। হিটলারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। তারা জার্মান সরকারের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য ও ইন্ধন পেতে থাকে এবং তারা স্বশাসনের দাবি তোলে।
  • (২) তাদের নেতা ছিলেন কনরাড হেনলিন। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘সুদেতান-জার্মান হোমল্যান্ড ফ্রন্ট’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে জার্মানদের দাবির অনুকূলে প্রচার চালাতে শুরু করেন।

চেক সরকারের প্রতিক্রিয়া

চেক সরকারের পক্ষে জার্মানদের স্বশাসনের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। কারণ,

  • (১) সুদেতান অঞ্চল হস্তচ্যুত হলে চেকোশ্লোভাকিয়ার সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এবং খণ্ডিত চেকোশ্লোভাকিয়া সরাসরি জার্মান আক্রমণের সম্মুখীন হবে।
  • (২) সুদেতান জার্মানরা স্বশাসনের অধিকার পেলে চেক রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী (পোল, ম্যাগিয়ার প্রভৃতি) এই একই দাবি তুলে চেকোশ্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রীয় ঐক্য ধ্বংস করবে।

হিটলারের যুদ্ধের উদ্দ্যোগ

  • (১) হিটলারের প্ররোচনায় সুদেতান জার্মানদের নেতা কনরাড হেনলিন চেক সরকারের কাছে এমন সব দাবি উত্থাপন করতে থাকেন, যা তাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে এপ্রিল সুদেতান জার্মানদের সমর্থনে তিনি আট দফা দাবি পেশ করেন।
  • (২) স্বাভাবিকভাবেই চেক সরকার এই দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করেন। জার্মানির সমর্থনে দাবিগুলি তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। সুদেতান জার্মানদের উপর অত্যাচার হচ্ছে – এই অজুহাতে জার্মানি চেক সীমান্তে সেনা সমাবেশ করতে থাকে।
  • (৩) এর উত্তরে চেকোশ্লোভাকিয়াও সীমান্তে সেনা সমাবেশ করে। এই সময় ফ্রান্স ও রাশিয়াও বহিরাক্রমণের বিরুদ্ধে চেকোশ্লোভাকিয়াকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এছাড়া, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স এই ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে হিটলারকে সতর্ক করে দিলে তিনি সংযত হন।

হিটলারের নুরেমবার্গ ভাষণ

হিটলার আপাতত শান্ত হলেও নিরস্ত্র হন নি। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ই সেপ্টেম্বর হিটলার তাঁর বিখ্যাত নুরেমবার্গ বক্তৃতায় সুদেতান জার্মানদের জন্য স্বায়ত্তশাসন দাবি করেন এবং সুদেতান জার্মানদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

ইউরোপীয় নেতৃবর্গের উপলব্ধি

হিটলারের ইন্ধনে সুদেতান জার্মানরা নানাপ্রকার প্ররোচনামূলক কাজকর্ম শুরু করে। এইসব বন্ধ করার কোনও ক্ষমতা ইউরোপীয় নেতৃবর্গের ছিল না। তাঁরা বুঝে যান যে, হিটলার যে কোনও সময় চেকোশ্লোভাকিয়া আক্রমণ করতে পারেন – কোনও হুমকির কাছে তিনি মাথা নত করবেন না।

যুদ্ধ রোধে ব্রিটেনের উদ্যোগ

যুদ্ধ এড়াবার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলেন জার্মানিতে গিয়ে হিটলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং চেক সমস্যার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার আবেদন জানান। হিটলার তাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, সুদেতান জার্মানদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার না দিলে তিনি চেকোশ্লোভাকিয়া আক্রমণ করবেন।

ইঙ্গ-ফরাসি বৈঠক

এরপর চেম্বারলেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী দালাদিয়ের-এর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন যে, চেকোশ্লোভাকিয়াকে অবশ্যই জার্মান-প্রধান এক বিরাট অঞ্চল জার্মানিকে ছেড়ে দিতে হবে।

নিরুপায় চেক সরকার

চেক সরকার এই প্রস্তাবে আপত্তি করলে বলা হয় যে, সেক্ষেত্রে চেক সরকারকে এককভাবে জার্মান আক্রমণের মোকাবিলা করতে হবে। সুতরাং এ প্রস্তাব গ্রহণ করা ছাড়া চেক সরকারের গত্যন্তর ছিল না।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য

চেম্বারলেনের মতে, এই পদক্ষেপ ছিল প্রয়োজনীয় শল্য চিকিৎসার মতো। তিনি মনে করতেন যে, এই অঞ্চল জার্মানির প্রাপ্য। এছাড়া, জার্মানি পূর্ব ইউরোপের দিকে অগ্রসর হলে রুশ সাম্রাজ্যবাদের প্রসার রোধ হবে।

প্রতিরোধের পরামর্শ

ব্রিটিশ কূটনীতিক লয়েড জর্জ এবং উইনস্টন চার্চিল ব্রিটেন ও রাশিয়াকে ঐক্যবদ্ধভাবে জার্মান আগ্রাসন প্রতিরোধের পরামর্শ দেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেন তাদের পরামর্শে কর্ণপাত করেন নি।

হিটলারের বর্ধিত দাবি

এরপর ২২শে সেপ্টেম্বর চেম্বারলেন দ্বিতীয়বার হিটলারের সঙ্গে দেখা করে তাঁর দাবি পুরণের কথা জানান। হিটলার ইতিমধ্যে তাঁর দাবি বর্ধিত করেছেন। তিনি জানান যে, তাঁর দাবি পূরণ না হলে ২৮শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিনি সুদেতান অঞ্চল দখল করবেন।

তোষণ নীতি পরিত্যাগ

ক্ষুব্ধ চেম্বারলেন এবার তোষণ নীতি ত্যাগ করে জানান যে, চেকোশ্লোভাকিয়া আক্রান্ত হলে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স চেক সরকারকে সাহায্য করবে। তিনি আসন্ন যুদ্ধের প্রস্তুতিও শুরু করেন।

এই অবস্থায় আমেরিকার রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট হিটলারের কাছে একটি সম্মেলনের মাধ্যমে এই বিবাদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রস্তাব দেন। ইতিমধ্যে তোষণ নীতির প্রবক্তা চেম্বারলেন-ও তাঁর মত পরিবর্তন করে ফেলেন। তিনি বলেন যে, কেবলমাত্র চেকোশ্লোভাকিয়ার জন্য তিনি সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে যুদ্ধে জড়াতে পারেন না। সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি মুসোলিনির কাছেও আবেদন জানান।

মিউনিখ বৈঠক

শেষ পর্যন্ত হিটলার, মুসোলিনি, চেম্বারলেন ও ফরাসি প্রধানমন্ত্রী দালাদিয়ের মিউনিখে এক বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকে রাশিয়া বা চেকোশ্লোভাকিয়ার কোনও প্রতিনিধি আপ্লুত হন নি। এই চার শক্তি এখানে এক মীমাংসায় উপনীত হন।

মিউনিখ চুক্তি

বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধির ২৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ‘মিউনিখ চুক্তি’ স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি অনুসারে স্থির হয় যে, সুদেতান অঞ্চল জার্মানিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। হিটলার চেকোশ্লোভাকিয়ার বাকি অংশের সার্বভৌমত্বের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন যে, “সুদেতান জেলাই হল ইউরোপের কাছে আমার শেষ দাবি।

মিউনিখ চুক্তির সমালোচনা

মিউনিখ চুক্তি ইঙ্গ-ফরাসি তোষণ নীতির চূড়ান্ত পর্ব। এর গুরুত্ব ছিল সুদূরপ্রসারী। যেমন –

  • (১) এই চুক্তির ফলে চেকোশ্লোভাকিয়া তার পঞ্চাশ লক্ষ্য প্রজা-সহ (এর মধ্যে ১০ লক্ষ চেক ও শ্লোভাক) প্রায় এক-চতুর্থাংশ ভূখণ্ড হারায়। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স একটি সার্বভৌম দেশের রাজ্যাংশ সেই দেশের বিনা অনুমতিতে হিটলারকে অর্পণ করে।
  • (২) হিটলার বিনা যুদ্ধে কেবলমাত্র হুমকির মাধ্যমে ভার্সাই সন্ধি অগ্রাহ্য করে বিনা রক্তপাতে সুদেতান জেলা জার্মানির অন্তর্ভুক্ত করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেন মিউনিখ চুক্তিকে ‘কুটনৈতিক বিজয়’ বলে অভিহিত করলেও নৈতিক দিক থেকে এই চুক্তি কখনোই সমর্থন করা যায় না।
  • (৩) চেকোশ্লোভাকিয়ার মতামত না নিয়ে যে রকম নির্লজ্জভাবে তার অঙ্গহানি করা হয়েছিল কুটনৈতিক ইতিহাসে তার দৃষ্টান্ত বিরল। অধ্যাপক এ. জে. পি. টেলর-এর মতে, মিউনিখ সম্মেলন ছিল নির্লজ্জ আচরণের পরিচায়ক। এখানে ‘আন্তর্জাতিক ন্যায়নীতি’ জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছিল।
  • (৪) ব্রিটিশ কূটনীতিক উইনস্টন চার্চিল-এর মতে, মিউনিখ চুক্তি ছিল ‘এক প্রথম শ্রেণির বিপর্যয়’। এই চুক্তি ছিল সার্বিক ও অবিমিশ্র পরাজয়। তিনি বলেন যে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যদি এই চুক্তি দ্বারা সম্মান অর্জন করে থাকেন, তাহলে ইংরেজি অভিধানে সম্মান কথাটির অর্থ পরিবর্তন করতে হবে।
  • (৫) অধ্যাপক ডেভিড টমসন বলেন যে, চেকদের জন্য যৌথ নিরাপত্তার পরিবর্তে যৌথ ব্ল্যাকমেল বা ধাপ্পার নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল।

হিটলারের সম্পূর্ণ চেক রাজ্য দখল

ইঙ্গ-ফরাসি নেতৃত্বের ধারণা ছিল যে এইভাবে হিটলারকে তুষ্ট করা যাবে, কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভবপর হয় নি। মিউনিখ চুক্তি ভঙ্গ করে মাত্র ছয়মাসের মধ্যে (১৫ই মার্চ, ১৯৩৯ খ্রিঃ) হিটলার সম্পূর্ণ চেক রাজ্য দখল করে নেন।

উপসংহার:- ইঙ্গ-ফরাসি নেতৃত্বের তোষণ নীতির সুযোগ নিয়ে হিটলার বিনা যুদ্ধে কেবলমাত্র মৌখিক হুমকির দ্বারা ভার্সাই সন্ধি উপেক্ষা করে সমগ্র চেকোশ্লোভাকিয়া দখল করে নেন।

(FAQ) চেকোস্লোভাকিয়া সমস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কবে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?

২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে।

২. কাদের মধ্যে মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?

জার্মানি, ইতালি, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স।

৩. মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরকারী চার প্রধান কারা ছিলেন?

হিটলার, মুসোলিনি, চেম্বারলেন, দালাদিয়ের।

৪. হিটলার কবে সম্পূর্ণ চেক রাজ্য দখল করেন?

১৫ মার্চ, ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে।

Leave a Comment