জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার প্রসঙ্গে তার জন্ম, বংশ পরিচয়, শিক্ষা, আর্ট স্কুলে ভর্তি, ভিয়েনা আগমন, ইহুদী বিদ্বেষের সঞ্চার, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান, নাৎসী দলের প্রধান, নাৎসী দলের জনপ্রিয়তা, দেশের জনপ্রিয় নেতা, ভার্সাই সন্ধির বিরোধিতা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান ও তার চরম পরিণতি সম্পর্কে জানবো।
জার্মানির ফুয়েরার অ্যাডলফ হিটলার
ঐতিহাসিক চরিত্র | অ্যাডলফ হিটলার |
জন্ম | ২০ এপ্রিল, ১৮৮৯ খ্রি: |
দেশ | জার্মানি |
পরিচিতি | জার্মানির চ্যান্সেলর |
গ্ৰন্থ | মেইন ক্যাম্ফ |
উপাধি | ফুয়েরার |
মৃত্যু | ৩০ এপ্রিল, ১৯৪৫ খ্রি: |
ভূমিকা :- অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ হিটলার ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সেই দেশের ফুয়েরার ছিলেন।
হিটলারের জন্ম
১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রিয়া ব্যাভেরিয়ার মাঝামাঝি ব্রনাউ নামে এক আধা গ্রাম আধা শহরে হিটলারের জন্ম।
হিটলারের বংশ পরিচয়
তার বাবা একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে সামান্য চাকরি করত। যা আয় করত তার তিন পত্নী আর তাদের ছেলেমেয়েদের দু বেলা খাবার সংকুলানই হত না। হিটলার ছিলেন তার বাবার তৃতীয় স্ত্রীর তৃতীয় সন্তান।
হিটলারের শিক্ষা
ছয় বছর বয়সে স্থানীয় অবৈতনিক স্কুলে ভর্তি হলেন। ছেলেবেলা থেকেই হিটলার ছিলেন একগুয়ে, জেদী আর রগচটা। সামান্য ব্যাপারেই রেগে উঠতেন। অকারণে শিক্ষকদের সঙ্গে তর্ক করতেন। পড়াশুনাতে যে তার মেধা ছিল না এমন নয়। কিন্তু পড়াশুনার চেয়ে তাকে বেশি আকৃষ্ট করত ছবি আঁকা। যখনই সময় পেতেন কাগজ পেন্সিল নিয়ে ছবি আঁকতেন।
আর্ট স্কুলে হিটলারের যোগদান
- (১) এগারো বছর বয়সে ঠিক করলেন, আর পড়াশুনা নয়, এবার পুরোপুরি ছবি আঁকতেই মনোযোগী হবেন। বাবার ইচ্ছা ছিল স্কুলের পড়াশুনা শেষ করে কোনো কাজকর্ম জুটিয়ে নেবে। বাবার ইচ্ছের বিরুদ্ধেরই স্কুল ছেড়ে দিলেন হিটলার।
- (২) স্থানীয় এক আর্ট স্কুলে ভর্তির চেষ্টা করলেন। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেন না। একটা বেসরকারী স্কুলে ভর্তি হলেন। কিন্তু কয়েক মাস পর অর্থের অভাবে স্কুল ছেড়ে দিলেন। মা মারা গেলে সংসারের সব বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেল।
হিটলারের ভিয়েনা আগমন
ভাগ্য অন্বেষণে বেরিয়ে পড়লেন হিটলার। ভিয়েনাতে চলে এলেন। ভিয়েনাতে এসে তিনি প্রথমে মজুরের কাজ করতেন। কখনো মাল বইতেন। এর পর রং বিক্রি করতে আরম্ভ করলেন।
হিটলারের মনে ইহুদী বিদ্বেষের সঞ্চার
ভিয়েনাতে থাকার সময়েই তার মনের মধ্যে প্রথম জেগে ওঠে ইহুদী বিদ্বেষ। তখন জার্মানির অধিকাংশ কলকারখানা, সংবাদপত্রের মালিক ছিল ইহুদীরা। দেশের অর্থনীতির অনেকখানিই তারা নিয়ন্ত্রণ করত। হিটলার কিছুতেই মানতে পারছিলেন না, জার্মান দেশে বসে ইহুদীরা জার্মানদের উপরে প্রভুত্ব করবে।
হিটলারের মিউনিখ আগমন
১৯১২ সালে তিনি ভিয়েনা ছেড়ে এলেন মিউনিখে। সেই দুঃখ-কষ্ট আর বেঁচে থাকবার সংগ্রামে আরো দুটো বছর কেটে গেল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসাবে হিটলারের যোগদান
১৯১৪ সালে শুরু হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। হিটলার সৈনিক হিসাবে যুদ্ধে যোগ দিলেন। এই যুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিলেও কোনো পদোন্নতি হয়নি।
গোয়েন্দা হিসেবে হিটলার
যুদ্ধ শেষ হল। দেশ জুড়ে দেখা দিল হাহাকার আর বিশৃঙ্খলা। তার মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বিভিন্ন বিপ্লবী দল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এদের উপর গোয়েন্দাগিরি করবার জন্য হিটলারকে নিয়োগ করলেন কর্তৃপক্ষ।
নাৎসী দলের প্রধান হিটলার
- (১) সেই সময় প্রধান রাজনৈতিক দল ছিল লেবার পার্টি। তিনি সেই পার্টির সদস্য হলেন। অল্পদিনেই পাকাপাকিভাবে পার্টিতে নিজের স্থান করে নিলেন হিটলার। এক বছরের মধ্যেই তিনি হলেন পার্টি প্রধান। দলের নতুন নাম রাখা হল ন্যাশানাল ওয়ার্কার্স পার্টি।
- (২) পরবর্তীকালে এই দলকেই বলা হত নাৎসী পার্টি। ১৯২০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি প্রথম নাৎসি দল-এর সভা ডাকা হল। এতেই হিটলার প্রকাশ করলেন তার পঁচিশ দফা দাবি। এর পর হিটলার প্রকাশ করলেন স্বস্তিকা চিহ্নযুক্ত দলের পতাকা।
হিটলারের নাৎসী দলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
ক্রমশই নাৎসী দলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তিন বছরের মধ্যেই দলের সদস্য হল প্রায় ৫৬০০০। এই দল জার্মান রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করল। হিটলার চেয়েছিলেন মিউনিখে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব যেন না থাকে।
বন্দী হিটলার
এই সময় তার পরিকল্পিত এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হল। পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন। তাকে এক বছরের জন্য ল্যান্ডসবার্গের পুরনো দুর্গে বন্দী করে রাখা হল।
দেশের জনপ্রিয় নেতা হিটলার
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবার রাজনৈতিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তার উগ্র স্পষ্ট মতবাদ, বলিষ্ঠ বক্তব্য জার্মানদের আকৃষ্ট করল। দলে দলে যুবকরা তার দলের সদস্য হতে আরম্ভ করল। সমস্ত দেশে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠলেন হিটলার।
হিটলার কর্তৃক পার্লামেন্ট ভঙ্গ
১৯৩৩ সালের নির্বাচন বিপুল ভোট পেলেন কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেন না। পার্লামেন্টের ৬৪৭টির মধ্যে তার দলের আসন ছিল ২৮৮। বুঝতে পারলেন ক্ষমতা অর্জন করতে গেলে অন্য পথ ধরে অগ্রসর হতে হবে। কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ায় হিটলার পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন।
হিটলারের ঘৃণ্য রাজনৈতিক চক্রান্ত
এইবার ক্ষমতা দখলের জন্য শুরু হল তার ঘৃণ্য রাজনৈতিক চক্রান্ত। বিরোধীদের অনেকেই খুন হলেন। অনেকে মিথ্যা অভিযোগে জেলে গেল। বিরোধী দলের মধ্যে নিজের দলের লোক প্রবেশ করিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলেন। অল্পদিনের মধ্যেই বিরোধী পক্ষকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে হিটলার হয়ে উঠলেন শুধু নাৎসী দলের নয়, সমস্ত জার্মানির ভাগ্যবিধাতা।
হিটলারের ইহুদী বিরোধী প্রচার
নাৎসী দল ও হিটলারের এই উত্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল ইহুদীদের বিরুদ্ধে তার প্রচার। তিনিই জার্মানদের মধ্যে ইহুদী বিদ্বেষের বীজকে রোপণ করেছিলেন। দেশ থেকে ইহুদী বিতাড়নই ছিল তার নাৎসী বাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্য। দেশের প্রান্তে প্রাপ্তে ইহুদী বিদ্বেষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। শুরু হল তাদের উপর লুঠতরাজ হত্যা। হিটলার চেয়েছিলেন এইভাবে ইহুদীদের দেশ থেকে বিতাড়ন করবেন।
হিটলার কর্তৃক নতুন আইন প্রণয়ন
- (১) কিন্তু কোনো মানুষই সহজে নিজের আশ্রয়স্থল ত্যাগ করতে চায় না। ১৯৩৫ সালে নতুন আইন চালু করলেন হিটলার। তাতে দেশের নাগরিকদের দুটি ভাগে ভাগ করা হল, জেন্টিল আর জু। জেন্টিল অর্থাৎ জার্মান, তারাই খাঁটি আর্য।
- (২) জু হল ইহুদীরা। তারা শুধুমাত্র জার্মান দেশের বসবাসকারী, এদেশের নাগরিক নয়। প্রয়োজনে তাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। দেশ জুড়ে জার্মানদের মধ্যে গড়ে তোলা হল তীব্র ইহুদী বিদ্বেষী মনোভাব।
হিটলার কর্তৃক ভার্সাই সন্ধির বিরোধিতা
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর ইউরোপ-এর মিত্রপক্ষ ও জার্মানদের মধ্যে যে ভার্সাই চুক্তি হয়েছিল তাতে প্রকৃতপক্ষে জার্মানির সমস্ত ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছিল। ১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় আসবার পর থেকেই জার্মানির হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করবার সংকল্প গ্রহণ করেন। তিনি একে একে ভার্সাই চুক্তি শর্তগুলি মানতে অস্বীকার করে নিজের শক্তি ক্ষমতা বিস্তারে মনোযোগী হয়ে ওঠেন।
জার্মানির ফুয়েরার হিটলার
১৯৩৪ সালে হিটলার রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে নিজেকে জার্মানির ফুয়েরার হিসাবে ঘোষণা করেন এবং অল্পদিনের মধ্যে নিজেকে দেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করলেন।
হিটলার কর্তৃক জনগণকে উদ্দীপিত করার ক্ষমতা
তার এই সাফল্যের মূলে ছিল জনগণকে উদ্দীপিত করবার ক্ষমতা। তিনি দেশের প্রান্তে প্রান্তে ঘুরে ঘুরে জনগণের কাছে বলতেন ভয়াবহ বেকারত্বের কথা, দারিদ্র্যের কথা, নানান অভাব-অভিযোগের কথা।
সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে হিটলারের মনযোগ
হিটলার তার সমস্ত ক্ষমতা নিয়োগ করলেন দেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে। তার সহযোগী হলেন কয়েকজন সুদক্ষ সেনানায়ক এবং প্রচারবিদ। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত প্রদেশে বিশাল সৈন্য সমাবেশ করলেন। কিছুদিনের মধ্যেই সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ করে রাইনল্যান্ড অধিকার করলেন।
জার্মানি ও ইতালির বিশ্বজয়ের আকাঙ্খা
অস্ট্রিয়া ও ইতালি ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ হল জার্মানির সাথে। ইতালির সর্বাধিনায়ক ছিলেন মুসোলিনি। একদিকে ইতালির ফ্যাসীবাদী শক্তি অন্যদিকে নাৎসী জার্মানি বিশ্বজয়ের আকাঙ্ক্ষায় উন্মত্ত হয়ে ওঠে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত
- (১) ইতালি প্রথমে আলবেনিয়া ও পরে ইথিওপিয়ার বেশ কিছু অংশ দখল করে নেয়। ইউরোপ জুড়ে যখন যুদ্ধ, চলছে, এশিয়ার জাপান জার্মানির পক্ষে যুদ্ধে যোগ দিল। তারা ৭ই ডিসেম্বর ১৯৪২ সালে আমেরিকার পার্ল হারবার বন্দরের উপর বোমা বর্ষণ করে বিধ্বস্ত করে ফেলল। এই ঘটনায় আমেরিকাও প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল।
- (২) প্রথম দিকে জার্মান বাহিনী সর্বত্র জয়লাভ করলেও মিত্রশক্তি যখন সম্মিলিতবাবে যুদ্ধ আরম্ভ করল, হিটলারের বাহিনী পিছু হটতে আরম্ভ করল। আফ্রিকায় ইংরেজ সেনাপতি মন্ট গোমারি রোমেলকে পরাজিত করলেন।
- (৩) এক বছরের মধ্যেই আফ্রিকা থেকে জার্মান বাহিনীকে বিতাড়িত করা হল। ইতালিতে মুসোলিনীকে বন্দী করা হল। ফ্যাসিবিরোধী জনগণ তাকে প্রকাশ্য রাস্তায় হত্যা করল।
হিটলারের জার্মানির সবচেয়ে বড় পরাজয়
জার্মান বাহিনীর সবচেয়ে বড় পরাজয় হল রাশিয়ার স্টালিনগ্রাডে। দীর্ঘ ছয় মাস যুদ্ধের পর লাল ফৌজের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল জার্মান বাহিনী। ১৯৪৪ সালে লাল ফৌজ স্বদেশভূমি থেকে জার্মান বাহিনীকে সম্পূর্ণ উৎখাত করে একের পর এক অধিকৃত পোল্যান্ড, রুমানিয়া, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, চেকোশ্লোভাকিয়া মুক্ত করতে করতে জার্মান ভূখণ্ডে এসে প্রবেশ করে। অন্যদিকে ইংরেজ আর আমেরিকান সৈন্যরাও জার্মানীর অভিমুখে এগিয়ে চলে।
উন্মত্ত হিটলার
যতই চারদিক থেকে পরাজয়ের সংবাদ আসতে থাকে, হিটলার উন্মত্তের মত হয়ে ওঠেন ১৯৪৫ সালের ২৯শে এপ্রিল হিটলারের শেষ ভরসা তার টেইনের সৈন্যবাহিনী বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তার অধিকাংশ সঙ্গীই তাকে পরিত্যাগ করে মিত্রপক্ষের কাছে আত্মসমপর্ণের প্রস্তাব পাঠায়।
হিটলারের বিবাহ
- (১) হিটলার বুঝতে পারেন তার সব স্বপ্ন চিরদিনের জন্য শেষ হয়ে গিয়েছে। বার্লিনের প্রান্তে রুশ বাহিনীর কামানের গর্জন শোনা যাচ্ছে। হিটলার তার বারো বছরের সঙ্গিনী ইভাকে বার্লিন ছেড়ে পালিয়ে যাবার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ইভা তাকে পরিত্যাগ করতে অস্বীকার করেন। দুজনে সেই দিনই বিয়ে করেন।
- (২) বিয়ের পর হিটলার উপস্থিত সঙ্গীদের সাথে একসঙ্গে শ্যাম্পেন পান করলেন। তারপর দুটি চিঠি লিখলেন। একটি চিঠিতে সব কিছুর জন্য ইহুদীদের অভিযুক্ত করলেন। অন্য চিঠিতে নিজের সব সম্পত্তি পার্টিকে দান করে গেলেন।
হিটলারের চরম পরিণতি
- (১) ৩০শে এপ্রিল ১৯৪৫। চারদিকে থেকে বার্লিন অবরোধ করে ফেলে লাল ফৌজ। হিটলার বুঝতে পারেন আর অপেক্ষা করা উচিত নয়। যে কোনো মুহূর্তে লাল ফৌজ এসে তাকে বন্দী করতে পারে। তিনি তার ড্রাইভার ও আরো একজনকে বললেন, মৃত্যুর পর যেন তাদের এমনভাবে পোড়ানো হয়, দেহের কোনো অংশ যেন অবশিষ্ট না থাকে।
- (২) বিকেল সাড়ে তিনটের সময় তিনি নিজের ঘর থেকে বার হয়ে তার পার্শ্বচরদের সাথে করমর্দন করে নিজের ঘরে ঢুকলেন। তারপরই গুলির শব্দ শোনা গেল। হিটলার নিজের মুখের মধ্যে গুলি করে আত্মহত্যা করলেন। আর ইভা আগেই বিষ খেয়েছেন।
- (৩) দুজন সৈন্য তাদের কম্বল দিয়ে মুড়ে বাগানে নিয়ে এল। চারদিকে থেকে কামানোর গোলা এসে পড়ছে। সেই অবস্থাতেই মৃতদেহের উপর পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল।
উপসংহার :- যিনি সমস্ত মানবজাতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, নিজের অপরিণামদর্শিতায় শেষ পর্যন্ত নিজেই ধ্বংস হয়ে গেলেন।
(FAQ) জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
অ্যাডলফ হিটলার।
ফুয়েরার।
মেইন ক্যাম্ফ।
ইভা ব্রাউন।
আত্মহত্যা করে।