চেকোস্লোভাকিয়া দেশটি প্রসঙ্গে অবস্থান, আয়তন ও জনসংখ্যা, রাজধানী, দেশটির জন্ম, সমাজতান্ত্রিক দেশ, উন্নতি সাধন, অস্তিত্ব সংকট, স্বীকৃতি অর্জন, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার, অর্থনীতি ও কমিউনিস্ট সরকার সম্পর্কে জানবো।
চেকোস্লোভাকিয়া
দেশ | চেকোস্লোভাকিয়া |
জন্ম | ২৮ অক্টোবর, ১৯১৮ |
বিলুপ্ত | ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৯২ |
রাজধানী | প্রাগ |
সরকার | প্রজাতন্ত্র |
ভাষা | চেক ও স্লোভাক |
ভূমিকা :- অক্টোবর ১৯১৮ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত চেকোস্লোভাকিয়া সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে অস্তিত্বশীল ছিল। এই রাষ্ট্রটি ১৯৯৩ সালে বিভক্ত হয়ে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া নামে দুটি রাষ্ট্র গঠিত হয়।
চেকোস্লোভাকিয়ার অবস্থান
মধ্য ইউরোপ -এ অবস্থিত একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র ছিল চেকোস্লোভাকিয়া।
চেকোস্লোভাকিয়ার আয়তন ও জনসংখ্যা
অস্তিত্বকালীন সময়ে দেশটির আয়তন ছিল ১ লক্ষ ৪০ বর্গকিমি এবং জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ হাজারেরও বেশি।
চেকোস্লোভাকিয়ার রাজধানী
চেকোস্লোভাকিয়া দেশটির রাজধানী ছিল প্রাগ।
চেকোস্লোভাকিয়া রাষ্ট্রের জন্ম
১৯১৮ সালে অস্ট্রিয়া–হাঙ্গেরি থেকে বের হয়ে মধ্য ইউরোপে উদয় হয় নতুন রাষ্ট্র চেকোস্লোভাকিয়া।
সমাজতান্ত্রিক দেশ চেকোস্লোভাকিয়া
মূলত চেক ও স্লোভাক জাতিগোষ্ঠীর লোকদের নিয়ে গঠিত এই রাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ -এর পর সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি ঝুঁকে পড়ে।
চেকোস্লোভাকিয়ার উন্নতি সাধন
তৎকালীন কমিউনিস্ট ব্লকের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে চেকোস্লোভাকিয়া উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছিল।
চেকোস্লোভাকিয়ার অস্তিত্ব সংকট
১৯৩৮ সালে মিউনিখ চুক্তির পরে দেশটি জার্মানির অংশ হয়ে ওঠে এবং হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড -এর কাছে আরও অঞ্চল হারায়। ১৯৩৯-১৯৪৫ সালের মধ্যে রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব সংকটে পড়ে।
চেকোস্লোভাকিয়ার স্বীকৃতি অর্জন
১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, প্রাক্তন চেকোস্লোভাক রাষ্ট্রপতি এডভার্ড বেনেস সরকার গঠন করেন এবং মিত্রদের কাছ থেকে স্বীকৃতি চান।
চেকোস্লোভাকিয়া রাষ্ট্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা
১৯৩৮ সালের আগে কার্পেথিয়ান রুথেনিয়া বাদ দিয়ে চেকোস্লোভাকিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ইউক্রেনীয় এসএসআর (সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি প্রজাতন্ত্র) এর অংশ হয়ে ওঠে।
দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার চেকোস্লোভাকিয়া
এই দেশটির ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দেশটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার।
চেকোস্লোভাকিয়া দেশের অর্থনীতি
দেশটি ছিল খনিজ সম্পদে পূর্ণ এবং কৃষি ও শিল্প – দু’দিক থেকেই সমৃদ্ধশালী। স্কোডার বিখ্যাত অস্ত্র কারখানাও এখানে অবস্থিত ছিল। নিজ শক্তিবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে হিটলার এই অঞ্চল সম্পর্কে উৎসাহী ছিলেন।
চেকোস্লোভাকিয়ার জার্মান অধিবাসী
এই রাষ্ট্রের ১৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে সাড়ে তিন মিলিয়ন ছিল জার্মান। তারা চেকোশ্লোভাকিয়ার সুদেতান অঞ্চলে বসবাস করত। ভার্সাই সন্ধির পূর্বে এই অঞ্চল জার্মানির সাইলেশিয়া প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভার্সাই সন্ধি এই অঞ্চলকে চেক রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করে।
হিটলারের চেকোস্লোভাকিয়া দখল
ইঙ্গ-ফরাসি নেতৃত্বের তোষণ নীতির সুযোগ নিয়ে ১৯৩৯ সালে হিটলার বিনা যুদ্ধে কেবলমাত্র মৌখিক হুমকির দ্বারা ভার্সাই সন্ধি উপেক্ষা করে সমগ্র চেকোশ্লোভাকিয়া দখল করে নেন।
চেকোস্লোভাকিয়ার ক্ষমতাচ্যুত কমিউনিস্ট সরকার
১৯৮৯ সালে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী সরকার এবং কমিউনিজম সমগ্র মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ জুড়ে পতনোন্মুখ হলে চেকোস্লোভাকরা ভেলভেট বিপ্লবে ১৭ নভেম্বর ১৯৮৯ সালে তাদের কমিউনিস্ট সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতাচ্যুত করে।
উপসংহার :- ১ জানুয়ারী ১৯৯৩ সালে স্লোভাকদের জাতীয় উত্তেজনার ফলে চেকোস্লোভাকিয়া শান্তিপূর্ণভাবে চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভাকিয়া দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্র -এ বিভক্ত হয়ে পড়ে।
(FAQ) চেকোস্লোভাকিয়া দেশটি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ।
১৯৯২ সালে।
চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া।
১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে।