লেনিন

রুশ বিপ্লবের নায়ক লেনিন -এর জন্ম, নাম, পরিবার, শিক্ষা, শ্রমিক সংগঠন তৈরি, প্রবন্ধ ও পুস্তিকার মাধ্যমে প্রচার, নির্বাসন, ইসক্রা পত্রিকা প্রকাশ, বলশেভিক দল, রাশিয়ায় প্রত্যাবর্তন, এপ্রিল থিসিস প্রকাশ, বলশেভিক বিপ্লব, এক নেতা – লেনিন, নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, অন্যতম কৃতিত্ব ও তার মৃত্যু সম্পর্কে জানবো।

রুশ বিপ্লবের প্রধান নায়ক ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন প্রসঙ্গে লেনিনের জন্ম, লেনিনের নাম, লেনিনের পরিবার, লেনিনের শিক্ষা, লেনিনের অধ্যয়ন, প্রবন্ধ ও পুস্তিকার মাধ্যমে লেনিনের প্রচার, লেনিনের নির্বাসন, লেনিনের ইসক্রা পত্রিকা প্রকাশ, বলশেভিক দলে লেনিনের যোগদান, লেনিনের এপ্রিল থিসিস, লেনিনের বক্তব্য, বলশেভিক বিপ্লবের নেতা লেনিন, লেনিনের নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, লেনিনের অন্যান্য কৃতিত্ব ও লেনিনের মৃত্যু।

ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন

ঐতিহাসিক চরিত্রলেনিন
জন্ম২২ এপ্রিল ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ
প্রকৃত নামভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ
প্রকাশিত পত্রিকাইসক্রা
পরিচালিত বিপ্লবরুশ বিপ্লব বা বলশেভিক বিপ্লব
মৃত্যু২১ জানুয়ারি, ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ
লেনিন

ভূমিকা:- বিশিষ্ট তাত্ত্বিক, সংগঠক এবং দেশনেতা ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ ছিলেন ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের রুশ বিপ্লবের প্রধান নায়ক এবং বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা।

লেনিনের জন্ম

১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ২২শে এপ্রিল কাজান প্রদেশে সিমব্রিস্ক নামে এক ক্ষুদ্র শহরে এক বিপ্লবী ঐতিহ্যসম্পন্ন পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা ছিলেন শিক্ষা বিভাগের একজন কর্মচারী।

লেনিনের নাম

বিশ্ব ইতিহাসে ‘লেনিন’ নামে সমধিক প্রসিদ্ধ ও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকলেও ‘লেনিন’ ছিল তাঁর ছদ্মনাম।

লেনিনের পরিবার

  • (১) তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা আলেকজান্ডার রুশ নারোদনিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জার তৃতীয় আলেকজান্ডারকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিনি ধৃত হন এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ২২ বছর বয়সে তাঁর ফাঁসি হয়।
  • (২) তাঁর অপর এক ভ্রাতা এবং দুই ভগিনীও পুলিশের নজরবন্দি ছিলেন। সতেরো বছরের তরুণ লেনিন এইসব ঘটনায় খুবই মর্মাহত হন এবং স্বৈরাচারী জারতন্ত্রকে উচ্ছেদের সংকল্প গ্রহণ করেন।

লেনিনের শিক্ষা

বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে মেধাবী ছাত্র লেনিন কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি মার্কসবাদী চিন্তাধারার সংস্পর্শে আসেন এবং মার্কসীয় দর্শন ও তত্ত্বে অসাধারণ ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেনিনকে বহিস্কার

তাঁর এই প্রত্যয় সুদৃঢ় হয় যে, একমাত্র সমাজতান্ত্রিক পথেই রুশ জাতির মুক্তি সম্ভব। এ সময় এক ছাত্র বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার অপরাধে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন।

সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেনিনের অধ্যয়ন

কয়েক বছর পর তিনি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অনুমতি পান এবং সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রের স্নাতক হন এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন।

লেনিন কর্তৃক শ্রমিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা

১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পিটার্সবার্গে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে এইসব সংগঠনগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে তিনি গঠন করেন ‘লিগ অব স্ট্রাগল ফর দি ইমানসিপেসন অব দি ওয়ার্কিং ক্লাস’।

প্রবন্ধ ও পুস্তিকার মাধ্যমে লেনিনের প্রচার

এই লিগের পরিচালনায় পিটার্সবার্গে বেশ কয়েকটি শ্রমিক ধর্মঘট সংঘটিত হয়। শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রবন্ধ ও পুস্তিকা রচনা করেও তিনি তাঁর চিন্তাধারা ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হন। এর ফলে কেবলমাত্র পিটার্সবার্গই নয়, রাশিয়ার অন্যান্য শহরেও শ্রমিক সংগঠন গড়ে উঠতে থাকে।

লেনিনের নির্বাসন

এইসব কার্যকলাপের জন্য ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে তিন বছরের জন্য সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত করা হয়। নির্বাসনদণ্ড ভোগের পর ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি রাশিয়ায় ফিরে আসেন।

লেনিনের সুইজারল্যান্ড গমন

রাশিয়ার পুলিশ তাঁর জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। তিনি উপলব্ধি করেন যে, সমগ্র রাশিয়াই জারের কারাগারে পরিণত হয়েছে এবং সেখানে থেকে কোনওরকম বৈপ্লবিক কাজকর্ম চালানো অসম্ভব। তাই তিনি স্বেচ্ছায় সুইজারল্যান্ডে চলে যান।

লেনিন কর্তৃক ‘ইসক্রা’ পত্রিকা প্রকাশ

সুইজারল্যান্ডে অবস্থানকালে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে লেনিন ‘ইসক্রা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। ‘ইসক্রা’ কথার অর্থ হল স্ফুলিঙ্গ। এই পত্রিকায় বড়ো হরফে ছাপা ‘ইসক্রা’-র নীচে ছোটো করে লেখা থাকত “এই স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুন জ্বলবে।” এই কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। এই পত্রিকায় মার্কসবাদী দর্শন ও বিপ্লবতত্ত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন রচনা প্রকাশ করে তিনি তা রাশিয়ায় পাঠাতে থাকেন। তাছাড়া, তিনি বিভিন্ন পুস্তিকা মারফতও তাঁর মতাদর্শ প্রচার করতে থাকেন।

লেনিনের আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব

মার্কসীয় দর্শন ও বিপ্লবতত্ত্ব পর্যালোচনা করে তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, নিছক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের দ্বারা বিপ্লবীদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না, সুসংগঠিত আন্দোলন এবং সুশৃঙ্খল বিপ্লবী দল গঠনের মধ্যেই ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিহিত আছে। যাই হোক, তাঁর রচনাদির মাধ্যমে রুশ বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষিত মানুষরা বিপ্লবী ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে থাকে।

বলশেভিক দলে লেনিনের যোগদান

১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ায় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দল’ গঠিত হয়। লেনিন এই দলে যোগদান করেন। ১৯০৩ সালে রাশিয়ার বাইরে লন্ডনে ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের’ দ্বিতীয় অধিবেশন বসে। জারের অত্যাচারের ভয়ে রাশিয়ায় এই ধরনের সম্মেলন হওয়া সম্ভব ছিল না। এই সম্মেলনে তিনি দুটি বক্তব্য তুলে ধরেন। যথা –

  • (১) দলের বিভিন্ন শাখার কাজকর্মে নিয়োজিত সক্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যেই দলের সদস্যপদ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
  • (২) দলের লক্ষ্য হল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব।

বলশেভিক দলে ভাঙ্গন

জারতন্ত্র, জমিদার ও পুঁজিপতিদের উচ্ছেদ করে সর্বহারা শ্রেণির একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠাই হল এর উদ্দেশ্য। এই নীতিগত প্রশ্নে দল দু’ভাগে বিভক্ত হয় – বলশেভিক ও মেনশেভিক দল। লেনিন ছিলেন বলশেভিক বা সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের অন্যতম প্রধান নেতা।

বিপ্লবী দলে পরিণত

এতদিন পর্যন্ত শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচির মধ্যেই এই দলের কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯০৩ সালে লেনিনের প্রস্তাবের মাধ্যমে এই দল একটি প্রকৃত বিপ্লবী দলে পরিণত হল। এর উদ্দেশ্য শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায় নয় – জারতন্ত্রের উচ্ছেদ। ডেভিড টমসন বলেন যে, কেবলমাত্র একটি মানুষ – লেনিনের কাজের দ্বারাই এই পরিবর্তন ঘটেছিল।

লেনিনের বহিস্কার

১৯০৫ সালে রাশিয়ায় বিপ্লব শুরু হলে বলশেভিকরা তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। এই সময় সাময়িকভাবে তিনি রাশিয়ায় ফিরে আসেন, কিন্তু আবার তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।

লেনিনের রাশিয়ায় প্রত্যাবর্তন

১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ বিপ্লবের সময় তিনি সুইজারল্যান্ডে ছিলেন এবং সেখান থেকেই বিপ্লবীদের পরিচালিত করতেন। এই বিপ্লবের মাধ্যমে জারতন্ত্রের অবসান হলে জার্মান সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তিনি এপ্রিল মাসে রাশিয়ায় ফিরে আসেন।

রাশিয়ায় অস্থায়ী বুর্জোয়া সরকার

জারতন্ত্রের অবসানে রাশিয়ায় এক অস্থায়ী বুর্জোয়া প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় জীবন তখন নানা সমস্যায় জর্জরিত এবং এইসব সমস্যার সমাধান করা এই বুর্জোয়া সরকারের পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। উপরন্তু, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ -এ রাশিয়ার অংশগ্রহণের ফলে এই সমস্যা জটিলতর রূপ ধারণ করে।

লেনিনের এপ্রিল থিসিস

এই পরিস্থিতিতে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই এপ্রিল লেনিন সুইজারল্যান্ড থেকে স্বদেশে ফিরে এসে পরের দিনই বলশেভিক কর্মীদের সামনে তাঁর বিখ্যাত ‘এপ্রিল থিসিস’ ঘোষণা করেন।

লেনিনের বক্তব্য

  • (১) তিনি বলেন যে, মার্চ বিপ্লবে জারতন্ত্রের পতন ঘটেছে মূলত বলশেভিকদের জন্যই এবং এই কারণে রাষ্ট্রক্ষমতা তাদেরই প্রাপ্য।
  • (২) তিনি বলেন যে, বুর্জোয়া সরকারের অনিবার্য সংকটের জন্য অপেক্ষা না করে, বলশেভিক কর্মীদের উচিত এক্ষুনি রাষ্ট্রক্ষমতা খেল করা। এইভাবে রাশিয়াতে ‘সর্বহারার একনায়কত্ব’ প্রতিষ্ঠিত হবে।
  • (৩) তাঁর ‘শান্তি, জমি ও রুটি’-র শ্লোগান জনমনে আশার সঞ্চার করে এবং দলে দলে মানুষ বিপ্লবের রক্তপতাকার নীচে সমবেত হতে থাকে।

রাশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ

অস্থায়ী সরকারের ব্যর্থতায় মানুষের ক্ষোভ তখন তুঙ্গে উঠেছিল। লেনিন কৌশলে এই ক্ষোভকে বলশেভিকদের অনুকূলে নিয়ে আসেন। এই সময় দেশের ৪১টি সংবাদপত্র তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাদের প্রচারকার্য বলশেভিকদের যথেষ্ট সাহায্য করে।

লেনিনের যুদ্ধ বন্ধের দাবি

সারা দেশে তখন যুদ্ধবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে পড়েছে। লেনিন এই যুদ্ধকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে সরকারকে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি জানান। তিনি বলেন যে, এই যুদ্ধ দ্বারা কেবলমাত্র পুঁজিপতিরাই লাভবান হবে।

লেনিনকে সেনাদলের সাহায্য

তাঁর যুদ্ধবিরোধী মনোভাবের জন্য জার্মান বাহিনী তাঁকে দেশে ফিরতে সাহায্য করে এবং পরাজিত, বিধ্বস্ত ও অভুক্ত রুশ সেনাবাহিনী তাঁর পাশে দাঁড়ায়। সেনাদলের সাহায্য না পেলে তাঁর পক্ষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হত না।

লেনিনের গোপন বৈঠক

১৯১৭ খ্রিস্টব্দের ১০ই অক্টোবর লেনিন গোপনে পেট্রোগ্রাড শহরে আসেন এবং দলের সদস্যদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকে তিনি যেভাবেই হোক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের আবেদন জানান। সামান্য তর্ক-বিতর্কের পর সদস্যরা সকলেই এ বিষয়ে একমত হন।

লেনিনের বলশেভিক বিপ্লব

তিনি সুযোগ্য শিষ্য ট্রটস্কি ‘লাল ফৌজ’ গড়ে তোলেন এবং ৭ই নভেম্বর প্রায় ২৫,০০০ সশস্ত্র শ্রমিক নিয়ে তিনি পেট্রোগ্রাডের সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, রেলস্টেশন, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এবং জারের ‘শীতকালীন প্রাসাদ’ দখল করেন। এর ফলে ‘অস্থায়ী সরকারের’ পতন হয়। এইভাবে লেনিনের নেতৃত্বে রাশিয়ায় শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হল।

লেনিনের প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব

লেনিন ছিলেন রুশ বিপ্লবের শ্রেষ্ঠ নায়ক। তাঁর নিষ্ঠা, ভাবাদর্শ, রণকৌশল ও কর্মপদ্ধতি ছিল অতুলনীয়। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে রাশিয়ায় বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং এই বিপ্লব ছিল বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব।

এক নেতা-লেনিন

বলা হয় যে, ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ফরাসি বিপ্লব -এ বিশেষ কোনও একজন নায়ক বা নেতা ছিলেন না – এর বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন নেতার আবির্ভাব হয়। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের বলশেভিক বিপ্লবের নেতা ছিলেন একজন – তিনি লেনিন।

লেনিনের নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। গৃহযুদ্ধ ও বৈদেশিক আক্রমণের সমস্যায় রাশিয়ার অবস্থা ছিল শোচনীয়। এই সময় ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে লেনিন এক নতুন অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করেন, যা লেনিনের নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা New Economic Policy নামে পরিচিত।

লেনিনের অন্যতম কৃতিত্ব

১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যুর পূর্বে রুশ অর্থনীতি অনেক সুদৃঢ় হয়। রাশিয়ার বিভিন্ন প্রজাতন্ত্রগুলির ঐক্যসাধন করে এক যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার গঠন তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব।

লেনিনের মৃত্যু

১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ২১শে জানুয়ারি নিরবচ্ছিন্ন কর্মজীবনের পর ৫৪ বছর বয়সে এই মহানায়কের মৃত্যু ঘটে।

উপসংহার:- খ্রিস্টোফার হিল বলেন যে, “রুশ বিপ্লব ছিল লেনিনের বিপ্লব” (“The Russian Revolution was Lenin’s revolution.”)। তিনি ছিলেন অক্টোবর বিপ্লবের প্রাণপুরুষ, মূল সংগঠক ও পরিচালক – বিশ্বের প্রথম শ্রমিক ও কৃষক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা।


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “লেনিন” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।

সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।

(FAQ) লেনিন সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. রুশ বিপ্লবের জনক কাকে বলা হয়?

লেনিন।

২. লেনিনের প্রকৃত নাম কি?

ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ।

৩. ইসক্রা পত্রিকা কে প্রকাশ করেন?

লেনিন।

৪. ইসক্রা কথার অর্থ কি?

স্ফুলিঙ্গ।

অন্যান্য ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি

Leave a Comment