বিজয়া দশমী (Vijaya Dashami)

দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী (Vijaya Dashami) প্রসঙ্গে বিজয়া দশমীর সময়কাল, দুর্গাপূজার সমাপ্তি বিজয়া দশমী, উত্তর-মধ্য ভারতে বিজয়া দশমী, নদী বা মহাসাগরে বিজয়া দশমী পালন, বিজয়া দশমীতে রাবণের দহণ, বিজয়া দশমী বলার কারণ, বিজয়া দশমী সম্পর্কে পৌরাণিক ব্যাখ্যা, বিজয়া দশমীতে দশেরা পালনের তাৎপর্য, বিজয়া দশমীতে দান, বিজয়া দশমীতে দানের মাহাত্ম্য, মহাভারতে বিজয়া দশমীর উল্লেখ, বৌদ্ধ ধর্ম মতে বিজয়া দশমী, বিজয়া দশমীতে মাটির প্রতিমা থেকে দেবীর মুক্তি, বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা, বিজয়া দশমীতে ধুনুচি নাচ, বিজয়া দশমীর মাহাত্ম্য, বিজয়া দশমীতে দুর্গাপূজার সমাপ্তি, বিষাদের সুরে বিজয়া দশমী এবং বিজয়া দশমীতে অপরাজিতা পূজা।

বিজয়া দশমী (Vijaya Dashami)

উৎসববিজয়া দশমী
অন্য নামদশেরা, নবরাত্রি
পালনকারীহিন্দু সম্প্রদায়
ধরণধর্মীয়, সংস্কৃতি
সময়কালআশ্বিন মাস
তিথিদশমী তিথি
সম্পর্কিতমহালয়া, দুর্গাপূজা, অকালবোধন
বিজয়া দশমী

ভূমিকা:- প্রতি বছর নবরাত্রি বা দূর্গাপূজার শেষ একটি প্রধান হিন্দু ধর্মীয় উৎযাপন হল বিজয়া দশমী। রীতি রেওয়াজ মেনে দুর্গাষষ্ঠী বা মহাষষ্ঠী থেকে শুরু করে মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী পেরিয়ে দুর্গা পুজো পদার্পণ করে মহাদশমী তিথিতে।

বিজয়া দশমীর সময়কাল

এই উৎসব হিন্দু বর্ষপঞ্জীর আশ্বিন বা কার্তিক মাসের দশম দিনে পালন করা হয়, মাস দুটি হিন্দু চান্দ্র-সৌর বর্ষপঞ্জীর যথাক্রমে ষষ্ঠ এবং সপ্তম মাস, যা সাধারণত ইংরেজি সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে পড়ে।

দুর্গাপূজার সমাপ্তি বিজয়া দশমী

বিজয়াদশমী বিভিন্ন কারণে পালিত হয় এবং ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৃথক পৃথক ভাবে উদযাপিত হয়। দক্ষিণ, পূর্ব, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের কয়েকটি উত্তর ভারতীয় রাজ্যে বিজয়াদশমী ধর্ম পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষার জন্য মহিষাসুরের বিরুদ্ধে দেবী দুর্গার জয়কে স্মরণীয় করে এবং দুর্গাপূজার সমাপ্তি চিহ্নিত করে।

উত্তর-মধ্য ভারতে বিজয়া দশমী

উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারত -এর রাজ্যগুলিতে, উৎসবটি ‘বিজয়াদশমী’ শব্দের প্রতিশব্দ দশেরা নামে অভিহিত হয় (দাসরা, দশাহরা)। এই অঞ্চলগুলিতে এটি ‘রামলীলা’-এর সমাপ্তি চিহ্নিত করে এবং রাবণের উপর রামের বিজয়ের কথা স্মরণ করে।

নদী বা মহাসাগরে বিজয়া দশমী পালন

বিজয়াদশমী উদযাপনের মধ্যে একটি নদী বা মহাসাগরের সম্মুখভাগে শোভাযাত্রার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা পূজার সঙ্গে জড়িত সঙ্গীত ও মন্ত্র সহ দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, দেবী সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের মাটির মূর্তি বহন করে এবং শোভাযাত্রার শেষে মূর্তিগুলি জলে বিসর্জন দেওয়া হয়।

বিজয়া দশমীতে রাবণের দহণ

দশহরাতে রাবনের মূর্ত প্রতীকগুলি দুষ্টের প্রতীক হিসাবে আতশবাজি দিয়ে পোড়ানো হয় এবং এটি অশুভ শক্তির ধ্বংসকে চিহ্নিত করে। এই উৎসবটি গুরুত্বপূর্ণ আলোর উৎসব দীপাবলির ও দেওয়ালীর প্রস্তুতিও শুরু করে, যা বিজয়া দশমীর ১৯ দিন ও ২০ দিন পরে পালিত হয়।

বিজয়া দশমী বলার কারণ

‘দশমী’ কথাটির সাধারণ অর্থ খুবই সহজ। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দেবী দুর্গা আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে বাপের বাড়ি ছেড়ে পাড়ি দেন স্বামীগৃহ কৈলাসের দিকে। সেই কারণেই এই তিথিকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়।

বিজয়া দশমী সম্পর্কে পৌরাণিক ব্যাখ্যা

  • (১) পুরাণে মহিষাসুর বধ কাহিনীতে লেখা আছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন দেবী দুর্গা। নারী শক্তির এই জয়লাভকেই ‘বিজয়া’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
  • (২) আবার, শ্রী চণ্ডীর কাহিনী অনুযায়ী, দেবী আবির্ভূত হন আশ্বিন মাসের কৃষ্ণাচতুর্দশী-তে। মহিষাসুর বধ করেন শুক্লা দশমীতে। তাই দশমীতে এই বিজয়কেই চিহ্নিত করে বলা হয় ‘বিজয়া দশমী’।

বিজয়া দশমীতে দশেরা পালনের তাৎপর্য

সংস্কৃত শব্দ ‘দশহর’ থেকে ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি। যা দশানন রাবণের মৃত্যু-কে সূচিত করে। বাল্মীকি রচিত রামায়ণ -এ আছে, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতেই রাবণ বধ করেছিলেন রাম। রাবণ বধের পর ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন সস্ত্রীক রামচন্দ্র। তাই এই দিনটিকে দশেরা বা দশহরা হিসেবে পালন করা হয় উত্তর ও মধ্য ভারতের কিছু জায়গায়। কিন্তু, মহিশূরে দশেরা পালন করা হয় দেবী দুর্গার মহিষাসুরকে বধ করার স্মরণে।

বিজয়া দশমীতে দান

দশমীর দিনে কোনও নতুন স্থানে গিয়ে ঝাটা দান করা উচিত। দশমীর দিনে অন্নের পাশাপাশি বস্ত্র দান করা উচিত। এর পর লক্ষ্মীর কাছে আশীর্বাদ বর্ষণের জন্য প্রার্থনা করুন।

বিজয়া দশমীতে দানের মাহাত্ম্য

এই দিন দুর্গা, রাম ও গণেশের পুজোর প্রথা প্রচলিত আছে। বিজয়াদশমীকে বিজয়া তিথি বলা হয়ে থাকে। মনে করা হয় এই তিথিটি লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করার জন্য অত্যন্ত শুভ। এছাড়াও বিজয়াদশমীর দিনে দানের বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। এর ফলে লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং পরিবারে কখনও অর্থাভাব হয় না।

মহাভারতে বিজয়া দশমীর উল্লেখ

ভারতের মহাকাব্য মহাভারতেও এই বিশেষ তিথিটির উল্লেখ আছে। ১২ বছর বনবাস ও এক বছর অজ্ঞাতবাসের শেষে পাণ্ডবরা আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমীতেই একটি শমীগাছের কোটরে তাঁদের লুকনো অস্ত্র পুনরুদ্ধার করেন এবং নিজেদের পরিচয় ঘোষণা করেন।

বৌদ্ধধর্ম মতে বিজয়া দশমী

অনেকে মনে করে বিজয়া দশমীর আসল নাম অশোক বিজয়া দশমী। কলিঙ্গ যুদ্ধ -এ জয়ের পর ১০ দিন ধরে মৌর্য সাম্রাজ্য -এর সম্রাট অশোক বিজয় উত্‍সব পালন করেছিলেন, সেটিই অশোক বিজয়া দশমী। আর শুক্লা দশমীতেই তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাই বৌদ্ধদের কাছেও এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।

বিজয়া দশমীতে মাটির প্রতিমা থেকে দেবীর মুক্তি

অনেকে মনে করেন এই দিনে দেবীকে মাটির প্রতিমা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। সেই কারণেই এটি বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। চার দিন ধরে চিন্ময়ী দেবীকে যে মৃন্ময়ী রূপে পুজো করা হয়, দশমীতে বিসর্জনের পর তার থেকে মুক্তি পান দেবী দুর্গা।

বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা

  • (১) এই দশমীর দিন একাধিক নিয়ম আচার পালন করা হয়ে থাকে। এই সময় যেমন নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হয়, তেমনই পাড়ায় পাড়ায়, কিংবা বনেদি বাড়িগুলোতে দেবীকে বরণের পর চলে সিঁদুর খেলা। বিবাহিত মহিলারা এই সিঁদুর খেলায় যোগ দেন। যদিও আজকাল বিবাহিত, অবিবাহিত সকলেই এই আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন।
  • (২) হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ের সময় সিঁদুর দান একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আচার। বিবাহিত মহিলারা স্বামীর মঙ্গল কামনা করে সিঁদুর পরে থাকেন। সিঁদুরকে মনে করা হয় ব্রহ্মার প্রতীক। ব্রহ্মা জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করে আনন্দে ভরে রাখবেন বলেই প্রচলিত মত আছে।
  • (৩) কপালে ব্রহ্মা অধিষ্ঠান করেন বলেই মনে করা হয়। তাঁকে তুষ্ঠ রাখতেই কপালে লাল সিঁদুর পরা হয়। এই কারণে দশমীর দিন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী দেবী বরণের পর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা। তাঁরা এই নিয়মকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন।
  • (৪) অন্যদিকে কাত্যায়নী ব্রত উপলক্ষে কৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করে গোপিনীদের সিঁদুর খেলার উল্লেখ পাওয়া যায় শ্রীমৎভাগবতে। দশমীর দিন মহিলারা আগে দেবীকে বরণ করেন, তাঁর কপালে সিঁদুর ছুঁইয়ে, সেই সিঁদুর একে অন্যের সিঁথিতে দেন। মনে করা হয় এতে সৌভাগ্য পাওয়া যায়।

বিজয়া দশমীতে ধুনুচি নাচ

দশমীর দিনে সিঁদুর খেলার প্রথার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ধুনুচি নাচ। বহু বছর ধরেই এই দিনে মহিলারা সিঁদুর খেলে থাকেন এবং স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

বিজয়া দশমীর মাহাত্ম্য

  • (১) দশহরাকে অধর্মের ওপর ধর্মের বিজয় রূপে মনে করা হয়। তাই একে বিজয়া দশমী বলা হয়ে থাকে। অহংকারী রাবণের পতনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজয়া দশমী। রাবণ বধের পর এই তিথিটি অসত্যের ওপর সত্যের জয়ের উৎসব হিসেবে পালিত হয়। রাবণ বধ ছাড়াও, শাস্ত্র মতে এই দিন দুর্গা মহিষাসুরের অত্যাচার থেকে দেবতাদের মুক্তি দেন।
  • (২) বিজয়াদশমীর উৎসব কাম, ক্রোধ, মোহ, লোভ, অহংকার, হিংসার মতো অভ্যাস থেকে দূরে থাকার অনুপ্রেরণা দেয়। অন্য দিকে এ দিনই কৈলাসে গমন করেন উমা। তাঁকে বরণ করে বিদায় জানানো হয়। দুর্গাকে বরণ করার পর সিঁদূর খেলায় মেতে ওঠেন সকল মহিলারা।

বিজয়া দশমী দুর্গাপূজার সমাপ্তি

দুর্গাপূজার অন্ত চিহ্নিত হয় ‘বিজয়া দশমী’-র মাধ্যমে। তাই ‘দশমী’ কথাটির মধ্যেই রয়েছে আবেগ, কষ্ট। ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গা স্বামীগৃহ ছেড়ে সপরিবারে এসেছিলেন পিতৃগৃহে। আজ দশমী তিথিতে দেবী আবার পাড়ি দেবেন কৈলাসে। আজকের দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় এবং শুরু হয় আবার এক বছরের অপেক্ষার প্রহর।

বিষাদের সুরে বিজয়া দশমী

দেবী দুর্গার বিদায় দিনে বিষাদের সুরেই ‘বিজয় দশমী’ পালন করেন মর্ত্যবাসীরা। মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়, চলে একে অপরকে আলিঙ্গন ও মিষ্টিমুখ। বিশ্বসংসারে ছড়িয়ে পড়ে ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা। ‘আসছে বছর আবার হবে’ এই আশা নিয়েই মহামায়াকে বিদায় জানান শতকোটি মর্ত্যবাসী।

বিজয়া দশমীতে অপরাজিতা পূজা

  • (১) দেবী দুর্গার বিসর্জনের পরেই দশমীতে হয় অপরাজিতা পূজা। দেবী অপরাজিতাকে আদিশক্তিরই অন্য এক রূপ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে, স্বয়ং রামচন্দ্র দেবী অপরাজিতার পূজোর প্রচলন করেছিলেন। শত্রুকে দমনের জন্য এই পুজো করা হয়।
  • (২) এই পূজা সাধারণের পূজা নয়। তাই খুব বেশি মানুষ এর কথা জানেন না। পুরোহিতরা চুপচাপ এই পুজোটি সেরে ফেলেন। সাধারণত দেবীর বিসর্জনের পরে এই পূজা করা হয়। দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জনের পরই হয় দেবী অপরাজিতার বোধন।
  • (৩) মনে করা হয়, দেবী অপরাজিতা দেবী দুর্গারই এক রূপ। সাদা অপরাজিতা গাছকেই দেবী রূপে কল্পনা করে এই পূজা করা হয়। আধুনিক নগর সভ্যতায় কাজটি কঠিন। কিন্তু আগে এই দিনে অপরাজিতা গাছের চারা রোপণ করা হত। পূজার শেষে ভক্তদের হাতে সেই গাছের ডাল বেঁধে দেওয়া হত দেবীর বিজয়ের প্রতীক হিসাবে।
  • (৪) মৌর্য সাম্রাজ্য -এর রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য -এর প্রধানমন্ত্রী কৌটিল্য -এর অর্থশাস্ত্র অনুসারে, কোনও রাজা যদি দশমীর পরে বিজয় যাত্রা শুরু করেন, তাহলে তাঁকে যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করতে হয় না। পণ্ডিত রঘুনন্দনের তিথিতত্ত্ব গ্রন্থেও রয়েছে এই বিশেষ পূজার কথা।
  • (৫) দেবীর বিসর্জনের পরেও যে দেবী থেকে যান বিজয়ের প্রতীক হিসাবে, তা প্রমাণ করতেই অপরাজিতা পূজা করা হয়। দেবীর সর্ব সময়ের উপস্থিতির প্রার্থনার জন্যও এই পূজার প্রচলন রয়েছে বলেই শোনা যায়। তবে সর্ব সাধারণ এই পুজোয় অংশ নেন না। এটি একেবারেই পুরোহিতদের প্রথা এবং আচার।

উপসংহার:- ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন। এই প্রবাদবাক্য মন খারাপ করিয়ে দেয়। তবে এটাই সত্যি। পুজো আসছে আসছে ভাবটাই যেন ভাল। পুজো এসে গেলে তো কিছু সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর তখন বলতেই হয় ‘এবার মাগো বিদায় তবে তবে আসছে বছর আবার হবে’।

(FAQ) বিজয়া দশমী (Vijaya Dashami) সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. দুর্গাপূজার শেষ দিন কি নামে পরিচিত?

বিজয়া দশমী।

২. বিজয়া দশমী আর কি কি নামে পালন করা হয়?

দশেরা, নবরাত্রি।

৩. দুর্গাপূজার সময় সিঁদুর খেলা হয় কবে?

বিজয়া দশমীর দিন।

৪. বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের পর কার পূজা করা হয়?

অপরাজিতা পূজা।

৫. বিজয়া দশমীতে কোন পাখি ওড়ানো হয়?

নীলকন্ঠ পাখি।

Leave a Comment