পৌরাণিক কাহিনী প্রসঙ্গে, তার ভিত্তি, উদাহরণ, বৈশিষ্ট্য, বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীর সাদৃশ্য, পৌরাণিক কাহিনী চর্চার দৃষ্টিভঙ্গি, বিভিন্ন দেশের পৌরাণিক কাহিনী ও ইতিহাসে পৌরাণিক কাহিনীর গুরুত্ব সম্পর্কে জানবো।
পৌরাণিক কাহিনী
ঐতিহাসিক বিষয় | পৌরাণিক কাহিনি |
ভিত্তি | কাল্পনিক ঘটনা |
হিন্দু পুরাণের | কাহিনী দেবী দুর্গার কাহিনী |
বাইবেলের কাহিনী | নোয়ার নৌকা কাহিনী |
গ্ৰিস-এর কাহিনী | জিউসের কাহিনী |
ভূমিকা :- প্রাচীনকালের যে সময়ে ইতিহাসের কোনো লিখিত উপাদান পাওয়া যায় না সেই যুগকে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলা হয়। এই যুগের বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি বা মিথ থেকে সে যুগের কিছু কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা জানা যায়।
পৌরাণিক কাহিনি
প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিভিন্ন কাহিনি বা ঘটনার বিবরণ যে ঐতিহাসিক উপাদানগুলিতে তুলে ধরা হয় তাকে পৌরাণিক কাহিনি বলে। এটি সাহিত্যের সর্বপ্রথম রূপ, এককথায় মৌখিক ইতিহাস।
পৌরাণিক কাহিনির ভিত্তি
জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনিগুলির ভিত্তি হল মানব সভ্যতার উদ্ভবের পূর্বে ঐশ্বরিক জগতে সংঘটিত হওয়া নানা কাল্পনিক ঘটনা।
পৌরাণিক কাহিনির উদাহরণ
হিন্দু পুরাণ অনুসারে ভগবান ব্রহ্মার মানসকন্যা হলেন দেবী দুর্গা। একসময় বিশ্বসংসারে অসুরদের রাজত্ব চলছিল, চারিদিকে অসুরদের জয়জয়কার ছড়িয়ে পড়েছিল। অসুরদের দাপটে মানবকুল চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল, অসুররা তাদের অপশক্তির দ্বারা সবার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। অসুরদের হিংসার আগুন দিয়ে পৃথিবীর শান্তি সমৃদ্ধিকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেই আগুনে মানুষের যাবতীয় মানবীয় সত্তা পুড়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে ভগবান ব্রহ্মা তাঁর মানসকন্যা দেবী দুর্গাকে সৃষ্টি করে তাঁকে সর্বশক্তিতে শক্তিশালী করে অসুরদের ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে মর্ত্যে পাঠান। দেবী দুর্গা মর্ত্যে এসে তাঁর দিব্যশক্তির দ্বারা অসুর শক্তিকে পরাজিত করেন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে তিনি দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করেন।
পৌরাণিক কাহিনির বৈশিষ্ট্য
জে. এফ. বিয়ারলেইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পৌরাণিক কাহিনিগুলির ছয়টি সাধারণ বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেছেন। এই বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
(১) উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত
পৌরাণিক কাহিনিগুলি অতীতের সময় থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে বর্তমান মানব সমাজে প্রচলিত হয়। বিয়ারলেইনের মতে, পৌরাণিক কাহিনি হল আমাদের অবচেতন মনের কাহিনির্বিশেষ যা সম্ভবত আমাদের জিন -এ লিপিবদ্ধ থাকে।
(২) প্রাগৈতিহাসিক বিবরণ
পৌরাণিক কাহিনিগুলি হল প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস। মানব সভ্যতার উন্মেষের আগে মানুষ কেমন ছিল তার বিভিন্ন খন্ডচিত্র পাওয়া যায় এই কাহিনিগুলিতে।
(৩) বিষয়ের বিশিষ্টতা
পৌরাণিক বিবরণের ভাষা এমন হয় যা আমাদের উপলব্ধির বাইরের বিষয়গুলির বিবরণও দেয়। অতীন্দ্রিয় বা অলৌকিক জগতের বিষয় আমাদের উপলব্ধির বাইরে। অথচ পৌরাণিক কাহিনির ভাষার মাধ্যমে আমরা সেই অতীন্দ্রিয় বা অলৌকিক জগত সম্পর্কেও পরিচিত হতে পারি।
(৪) পরিচয়ের ভিত্তি
পৌরাণিক কাহিনিগুলি হল কোনো সমাজ এবং সম্প্রদায়ের পরিচয়ের মূলভিত্তি। কোনো সমাজ বা সম্প্রদায়ের অতীত পরিচয় কী ছিল তা পৌরাণিক কাহিনিগুলি থেকে অনেকটা জানা সম্ভব।
(৫) বিধিনিয়নের স্বীকৃতি
পৌরাণিক কাহিনি সমাজের প্রচলিত ধর্ম ও বিধিনিয়মগুলিকে স্বীকৃতি দেয়। এর ফলে সামাজিক বিধিনিয়মগুলি সুদৃঢ় হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়।
(৬) জীবনের অর্থবহতা
পৌরাণিক কাহিনি হল এক ধরনের বিশ্বাস যা জীবনকে অর্থবহ করে তোলে।
বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির সাদৃশ্য
অতীতের জনশ্রুতিগুলি কখনও রাজনৈতিক বা ভৌগোলিক বিভাজন মেনে নেয় নি। তাই বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জনশ্রুতির কাহিনি প্রতিবেশী অঞ্চলেও প্রচারিত হয়। পৌরাণিক কাহিনির আকর্ষণে গ্রামীণ মানুষ অন্য জনগোষ্ঠীর জনশ্রুতিগুলিকে আপন করে নেয় এবং নিজেদের জনগোষ্ঠীর মধ্যেও প্রচার করে। জে. এফ. বিয়ারলেইন তাঁর Parallel Myths গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে, পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে এক ধরনের অদৃশ্য বিশ্বজনীনতা রয়েছে। যেমন –
(১) বিশ্বব্যাপী বন্যা
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি জনগোষ্ঠীতেই একটি পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে যে, একসময় ভয়াংকর বন্যায় সারা পৃথিবী ডুবে গিয়েছিল এবং তাতে নৌকায় একটিমাত্র মনুষ্য পরিবার ও বিভিন্ন প্রজাতির একজোড়া করে পশু রক্ষা পেয়েছিল।
(২) পেগান ধর্মের মূর্তি
পৃথিবীর প্রতিটি আদিম সমাজের পেগান ধর্মে নির্দিষ্ট কিছু দেবতার মূর্তি নির্মাণ এবং সেইসব দেবতার প্রতি আত্মত্যাগের ধারণার প্রচলন রয়েছে।
(৩) ঈশ্বরের অবয়ব
প্রাচীনকালের সকল পৌরাণিক কাহিনিতেই কল্পনা করা হয় যে, মানুষের মতো ঈশ্বরের শারীরিক আকার আছে, তাদের বিবাহ এবং সন্তান-সন্তুতি হয় ইত্যাদি।
পৌরাণিক কাহিনীর সাদৃশ্য সম্পর্কে বিয়ারলেইনের বক্তব্য স্বীকার
বিভিন্ন ঐতিহাসিক, নৃতত্ত্ববিদ, সমাজবিজ্ঞানী, প্রাচীন সাহিত্যের গবেষক প্রমুখ বিয়ারলেইনের এই বক্তব্য স্বীকার করেছেন।
পৌরাণিক কাহিনিচর্চার দৃষ্টিভঙ্গি
বর্তমান সময়ে পৌরাণিক কাহিনী চর্চার চারটি দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে। এগুলি হল –
(১) পুরাণের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা
পুরাণের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যায় বলা হয় যে, পুরাণ হল সাংস্কৃতিক সাহিত্য বা গল্পগাথা। কোনো সমাজে প্রাচীনকালে কী ঘটেছিল তাই পুরাণে প্রকাশ পায়। পুরাণের প্রাচীনত্ব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মনে কোনো সংশয় নেই। পুরাণ যেহেতু লিখিত সাহিত্য নয়, তাই এর প্রাচীনত্ব সম্পর্কে কোনো সঠিক ও যথার্থ সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই।
(২) পশুকথা
সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, পৌরাণিক কাহিনিগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন সৃষ্টি হল বিভিন্ন পশুকথা। পুরাণের পশুকথাগুলিতে পশুপাখিরাই প্রধান চরিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং তাদের ঘিরেই পুরাণের লৌকিক কাহিনি গড়ে ওঠে। পশুকথার পশুপাখিগুলি আচার-আচরণে পশু-পাখি নয়, এরা মানবচরিত্রের মতোই আচরণ করে। বিভিন্ন দেশের পুরাণে বর্ণিত বিভিন্ন পশুপাখি দেবতা হিসেবেও পূজিত হত।
(৩) রূপকথা
পৌরাণিক কাহিনির অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যময় বিষয় হল রূপকথা। প্রাচীন ভারত-এর মহাকাব্য মহাভারত এবং প্রাচীন গ্রিসের মহাকাব্য ইলিয়াড ও ওডিসি-তে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন পৌরাণিক রূপকথার উল্লেখ পাওয়া যায়। অধিকাংশ রূপকথার চরিত্রেরই কোনো নাম থাকে না। ‘এক যে ছিল রাজা, তার ছিল দুই রানি ও দুই পুত্র – এরূপ নামহীন ব্যক্তিরাই রূপকথার প্রধান চরিত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রূপকথাগুলি সর্বদা মিলনাত্মক হয়।
(৪) পুরাণ ধর্মতত্ত্ব
অধিকাংশ পুরাণে আমাদের নিজস্ব জগতের পাশাপাশি অবস্থিত অপর একটি জগতের কথা বলে যা আমাদের কাছে অদৃশ্য। এই অদৃশ্য জগত আমাদের মূর্ত জগতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, কেননা তা দেবতাদের পৃথিবী বলে বিশ্বাস করা হয়। আধুনিক বিজ্ঞাননির্ভর মানবসমাজেও পুরাণ-ধর্মতত্ত্বের এতটাই ক্ষমতা যে, মানুষের সামাজিক প্রতিষ্ঠান, আচার-অনুষ্ঠান প্রভৃতির ক্ষেত্রে পৌরাণিক কাহিনির গভীর প্রভাব রয়েছে।
বিভিন্ন দেশের পৌরাণিক কাহিনি
প্রাচীনকালের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে অসংখ্য পৌরাণিক কাহিনির উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন –
(১) বাইবেলের পৌরাণিক কাহিনি
খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে উল্লিখিত একটি উল্লেখযোগ্য পৌরাণিক কাহিনি হল প্রবল বন্যায় পৃথিবীর স্থলভাগ ডুবে গেলে বিভিন্ন প্রাণীর একজোড়া করে প্রতিনিধি নোয়া-র নৌকায় আশ্রয় নেয়। এই প্রাণীদের থেকেই পরে আবার পৃথিবীতে জীবজগতের প্রসার ঘটে।
(২) হিন্দু পুরাণের কাহিনি
প্রাচীন হিন্দু পুরাণের একটি জনপ্রিয় কাহিনি হল মহাকবি কালিদাসের কাহিনি। প্রথম জীবনে মূর্খ কালিদাস গাছের ডালে বসে সেই ডালের গোড়া কাটছিলেন। পরবর্তীকালে দেবী সরস্বতীর বর পেয়ে তিনি মহাকবি হন এবং সংস্কৃত ভাষায় অসাধারণ কয়েকটি কাব্য রচনা করেন।
(৩) গ্রিসের গৌরাণিক কাহিনি
- (ক) প্রাচীনকালের বিভিন্ন গ্রিক সাহিত্যিক এস্কাইলাস, সফোক্লিস, ইউরিপিডিস প্রমুখ পৌরাণিক কাহিনি থেকে তাদের লেখার সূত্র গ্রহণ করেছেন। গ্রিক পুরাণ থেকে প্রাচীন গ্রিকদের নিজস্ব সংস্কৃতি, প্রথা ও রীতিনীতি জানা যায়।
- (খ) বিগত দুই শতাব্দীতে মাইসিনিয় ও মিনোয়ান সভ্যতার আবিষ্কারের ফলে প্রাচীন গ্রিকের বহু দেবতা ও যোদ্ধাদের পৌরাণিক কাহিনি এবং হোমারের ইলিয়াড ও ওডিসি মহাকাব্যে উল্লিখিত বহু ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়।
- (গ) ক্রেনাস ও তাঁর পুত্র দেবরাজ জিউসের কাহিনি প্রাচীন গ্রিস পৌরাণিক কাহিনির অন্যতম উদাহরণ। ক্রেনাস তাঁর পিতাকে খোজা করে দেবতাদের রাজা হন এবং বোন রেহয়াকে বিবাহ করেন। পিতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার ফলে ক্রেনাসের মনে ভয় হয় যে, তাঁর সন্তানও তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে। তাই রেহয়া-র জন্ম দেওয়া প্রতিটি সন্তানকে ক্রেনাস ভক্ষণ করতেন। এরপর রেহয়া জিউসের জন্ম দিয়ে তাঁকে লুকিয়ে নবজাতকের কাঁথায় একটি পাথর মুড়িয়ে ক্রেনাসকে ধোঁকা দেন। ক্রেনাস সেই পাথরটিই ভক্ষণ করেন। পরবর্তীকালে জিউস বড়ো হয়ে তাঁর পিতাকে একটি ঔষধি পানীয় খাওয়ালে জিউসের সকল ভ্রাতাকে ক্রেনাস উগরে দেন। এরপর ক্রেনাসকে যুদ্ধে হারিয়ে জিউস দেবরাজ হন।
(৪) রোমের পৌরাণিক কাহিনি
প্রাচীন রোমানগণ তাঁদের পূর্বতন গ্রিক সভ্যতার পৌরাণিক কাহিনিগুলি উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেন। রোমের পৌরাণিক কাহিনিগুলি মূলত রোমুলাসের জীবনকাহিনি, রোম নগরী ও রোমান সাম্রাজ্য-এর প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচনা করে। রোমান পুরাণে তাঁদের ধর্মে বিভিন্ন দেবতা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা রয়েছে।
ইতিহাসে পৌরাণিক কাহিনীর গুরুত্ব
আজকাল বহু ক্ষেত্রেই পৌরাণিক কাহিনির ঘটনাগুলিকে ঐতিহাসিকভাবে ভিত্তিহীন বলে অনেকে অভিমত দিয়ে থাকেন। তা সত্ত্বেও বর্তমানকালে মানব সংস্কৃতি ও ধর্মের ইতিহাসে এসব পৌরাণিক কাহিনি বা মিথগুলির বিশেষ গুরুত্ব অনেকেই স্বীকার করে নিয়েছেন। যেমন –
(১) সত্য ঐতিহাসিক উপাদান
পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে অতীত ইতিহাসের বহু সত্য ও যথার্থ উপাদান লুকিয়ে থাকে। প্রাচীন গ্রিসের পৌরাণিক কাহিনিগুলিকে তাদের দেবতা, পূর্বপুরুষ এবং বীরপুরুষ’-এর গল্প বলে মনে করা হয়। প্রাচীন গ্রিসের পৌরাণিক কাহিনির সূত্র ধরেই আধুনিককালে ট্রয় নগরী ও ট্রয়ের যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে।
(২) সময়কাল নির্ণয়
পৌরাণিক কাহিনিগুলির সঙ্গে তুলনামূলক পদ্ধতিতে যাচাই করে ইতিহাসের বহু সাল তারিখ নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
(৩) বংশ তালিকা
পুরাণগুলি থেকে প্রাচীনকালের বিভিন্ন রাজবংশের বংশ তালিকা জানা যায়। প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন পুরাণে বহু প্রাচীন রাজবংশের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়। পুরাণে উল্লিখিত সকল ঘটনার সত্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ড. রণবীর চক্রবর্তী মনে করেন যে, “পুরাণে বর্ণিত রাজবংশগুলির অস্তিত্বের বেশিরভাগই স্বীকৃত সত্য।”
(৪) ধারাবাহিকতা
পৌরাণিক কাহিনিগুলি ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনিতে প্রাচীন মানব সংস্কৃতি সম্পর্কিত বিভিন্ন গল্প বহু যুগ অতিক্রম করে বর্তমানকালেও প্রচলিত রয়েছে। প্রাচীন সেই সংস্কৃতি থেকে যেসব আধুনিক মানব সংস্কৃতির উৎপত্তি হয়েছে তারা স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয় যে, প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনির গল্পে তাদের সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে যেসব কাহিনি প্রচলিত রয়েছে সেগুলি সত্য।
উপসংহার :- প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনিগুলির কতটা বিষয়বস্তু ঐতিহাসিকভাবে ঠিক বা ভুল, অর্থাৎ সত্য বা মিথ্যা, তা যাচাই করা খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু তা সত্ত্বেও জে. এফ. বিয়ারলেইন মনে করেন যে, মিথ বা পৌরাণিক কাহিনিগুলি হল গল্পের আকারে কোনো মানব সংস্কৃতির সত্য ঘটনার প্রকাশ।
(FAQ) পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
পৌরাণিক কাহিনী।
প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিভিন্ন কাহিনি বা ঘটনার বিবরণ যে ঐতিহাসিক উপাদানগুলিতে তুলে ধরা হয় তাকে পৌরাণিক কাহিনি বলে।
হিন্দু পুরাণের মহাকবি কালিদাসের কাহিনী।
জে এফ বিয়ারলেইন।