দুর্গাপূজার দুর্গাষষ্ঠী (Durga Sashthi) প্রসঙ্গে দুর্গাষষ্ঠীর সময়কাল, দুর্গাষষ্ঠী পাল, দুর্গাষষ্ঠী পালনের নিয়ম, দুর্গাষষ্ঠী ব্রত, দুর্গাষষ্ঠী ব্রতর বিধান ও দ্রব্য, দুর্গাষষ্ঠী ব্রত কথা, দুর্গাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, দুর্গাষষ্ঠীতে অকালবোধন, দুর্গাষষ্ঠীতে দুর্গাপূজার সূচনা, দুর্গাষষ্ঠীতে সকলের প্রার্থনা, দুর্গাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গা ও চণ্ডীর আরাধনা, দুর্গাষষ্ঠীতে কাত্যায়নীর আরাধনা, দুর্গাষষ্ঠীতে নিয়ম পালন, শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে রাত্রিকালে বোধন, দুর্গাষষ্ঠীতে লাল রঙের পোশাক ও দুর্গাষষ্ঠী উৎসবের সমাপ্তি।
দুর্গাষষ্ঠী (Durga Sashthi)
উৎসব | দুর্গাষষ্ঠী |
ধরণ | ধর্মীয় উৎসব |
সময়কাল | আশ্বিন মাস |
তিথি | শুক্লাষষ্ঠী |
সংঘটন | বার্ষিক |
পালনকারী | হিন্দু সম্প্রদায় |
সম্পর্কিত | মহালয়া, দুর্গাপূজা |
ভূমিকা:- বাংলার হিন্দুসমাজের অশাস্ত্রীয় বা মেয়েলি ব্রতগুলির অন্তর্গত অন্যতম একটি সধবা ব্রত হল দুর্গাষষ্ঠী ব্রত বা বোধনষষ্ঠী ব্রত। গ্রামীণ বাংলার বাঙালি হিন্দুঘরের মহিলারা সাংসারিক মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালন করেন।
দুর্গাষষ্ঠীর সময়কাল
এই পূজা আশ্বিন মাসের শুক্লাষষ্ঠী তিথিতে শারদীয়া দুর্গাপূজার বোধনের দিনে ষষ্ঠী পূজা হিসাবে পালন করা হয়। এরপর মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী পর পর উদ্ যাপিত হয়।
বাঙালির দুর্গাষষ্ঠী পালন
এই দিন সন্তানের কল্যাণে দুর্গাষষ্ঠী পালন করেন মায়েরা। মায়েরা দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন সকালে মা ষষ্ঠীর পুজো দেন। এই পুজো সন্তানদের জন্য। ষষ্ঠী প্রতি মাসে একবার আসে, এক এক ষষ্ঠী পুজোর এক একরকম মাহাত্ম্য। চৈত্র মাসে নীল ষষ্ঠীর দিনও সন্তানের কল্যাণের জন্য শিব ঠাকুর কে পুজো করা হয়ে থাকে।
দুর্গাষষ্ঠী পালনের নিয়ম
এই দুর্গাষষ্ঠী ব্রত পালনের প্রথম পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ অর্থাৎ ফুল, ফল, ধূপ, দীপ, দূর্বা, আতপচাল ও মিষ্টান্ন সংগ্রহ করতে হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে উপকরণগুলি দিয়ে দেবীর পূজা করতে হয়। এই দিন অন্নভোগ বা ভাত খাওয়া নিষিদ্ধ।
বাঙালির দুর্গাষষ্ঠী ব্রত
- (১) এই দুর্গাষষ্ঠীর ব্রতকথায় আছে গণেশের জন্ম বৃত্তান্ত। শিব পুরাণ অনুযায়ী একবার পার্বতী শিবের গণ অর্থাৎ অনুচর নন্দীকে দ্বার রক্ষার দায়িত্ব দিয়ে বলেন, ‘কেউ যেন মহলের ভিতর যেতে না পারে’। এমন সময় শিব সেখানে এসে উপস্থিত হলেন।
- (২) এরপর ধর্ম সংকটে পড়লেন নন্দী। একদিকে শিব তাঁর প্রভু, অন্য দিকে পার্বতীর আদেশ। কিন্তু নন্দী প্রভুকে বাধা দিলেন না। এদিকে শিবকে ভেতরে দেখে ক্রুদ্ধ হলেন পার্বতী। তখনই সখীদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন এমন এক অনুচর তৈরি করতে হবে যে সব সময় পার্বতীর কথা শুনে চলবে।
- (৩) এরপর পার্বতী নিজে যে চন্দন এবং হলুদ মেখে রূপচর্চা করতেন, শরীর থেকে সেই চন্দন এবং হলুদ নিয়ে এক বালকের মূর্তি গড়ে তুললেন। এরপর সেই বালকের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়।
- (৪) লোককথায় জানা যায়, শ্রীনারায়ণই সেই পুতুলের শরীরে প্রবেশ করে দুর্গা-পুত্র গণেশ হন। তাই মহাষষ্ঠীর ব্রতকথার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শ্রীগণেশের জন্ম মাহাত্ম্য।
দুর্গাষষ্ঠী ব্রতের দ্রব্য ও বিধান
ফুল, দূর্বা, ধূপ, দীপ, আতপচালের নৈবেদ্য, ফল, মিষ্টান্ন ইত্যাদি। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীর দিন সন্তানের মায়েরা, দিনের বেলা উপোস করে থেকে ষষ্ঠীর পুজো করে, ষষ্ঠী পূজোর প্রসাদ খাবে। ওই যষ্ঠীর পূজোর ব্রত করে সেদিন ভাত খাওয়া বারণ, রাত্তিরে ফল-মূল খেয়ে থাকতে হবে আর আহারের আগে ষষ্ঠীর ব্রতকথা শুনবে।
বাঙালির দুর্গাষষ্ঠী ব্রতকথা
- (১) একবার আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীর দিন কৈলাসে দেবী দুর্গা মহাদেবের ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে অনেকক্ষণ কথা বলেন নি।’ অনেক সাধ্যসাধনা করে মহাদেব দুর্গাকে বললেন, “দেবি। আজ ষষ্ঠীর দিন তুমি মৌনী হয়ে চুপ করে রয়েছ কেন? আমি এত ডেকেও তোমার কোনো সাড়া পেলাম না, ব্যাপার কী বলতো?”
- (২) দুর্গা বললেন, “তোমায় বলে আর ফল কী? তোমারই বরে সন্তান পেয়ে কত সন্তানের মায়েরা আজ ষষ্ঠীর দিনে কত আনন্দ করছে, কিন্তু আমার কোনো সন্তান নেই যে আমি একটু আনন্দ করব।”
- (৩) মহাদেব বললেন, “পৃথিবীর সকলেই তোমাকে ‘মা’ বলে ডাকছে তবু তোমার সন্তানের সাধ মিটলো না?” দুর্গা বললেন, “না, আমার সাধ মেটেনি, তুমি এখুনি আমার কার্তিককে এনে দাও।” মহাদেব তখন গেলেন কার্তিককে আনতে চন্দ্রলোকে। কার্তিক দুর্গার গর্ভে না জন্মালেও সে শিবেরই ছেলে।
- (৪) এদিকে কৈলাশে জয়া ও বিজয়া মা দুর্গাকে তেল-হলুদ মাখাতে লাগল। এতে মা দুর্গার গা থেকে যত ময়লা বেরুলো তাই দিয়ে দুর্গা একটি পুতুল গড়লেন। সেই সময় নারায়ণ সেইখান দিয়ে যাচ্ছিলেন পুতুলটি দেখে তাঁর খুব ভালো লাগল, তিনি তখুনি তার মধ্যে প্রবেশ করলেন।
- (৫) এতে পুতুলটি প্রাণ পেল আর মা দুর্গাকে ‘মা, মা’ বলে তাঁর স্তন পান করতে লাগল। দুর্গা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলেন, এমন সময় মহাদেব কার্তিককে এনে দুর্গার কোলো দিলেন। দুর্গার কাছে মহাদেব পুতুলের সব কথা শুনলেন আর কৈলাসে উৎসব করার জন্য সব দেবতাদের নিমন্ত্রণ করলেন। সমস্ত দেবতারা কৈলাসে এলেন। কিন্তু শনি আসেন নি।
- (৬) শনি আসে নি দেখে মহাদেবের খুব রাগ হল। তাই শনিকে শেষ পর্যন্ত আসতেই হল। কিন্তু শনি চোখে হাত চাপা দিয়ে থাকলেন। শনি ছিলেন সম্পর্কে দুর্গার ভাই। এক সময় দুর্গা তাঁকে বর দিয়েছিলেন যে, শনি যার দিকে চাইবে সঙ্গে সঙ্গে তার মুণ্ডচ্ছেদ হবে।
- (৭) এদিকে শনি ছেলেটিকে দেখছে না বলে মহাদেবের আরও রাগ হল। শনি তখন বাধ্য হয়ে চোখ খুলে ছেলেটির দিকে তাকালেন, তাঁর দৃষ্টিতে তখুনি ছেলেটির মাথা খসে পড়ল। দুর্গা তখন খুব কাঁদতে লাগলেন, তিনি শনির ওপর ভয়ানক অসন্তুষ্ট হলেন, কিন্তু হঠাৎ তাঁর শনিকে বর দেওয়ার কথা মনে পড়ে গেল।
- (৮) দুর্গা নিজের ভুল বুঝলেন বটে, তবে ছেলেটির জন্য কাঁদতে লাগলেন। এই রকম ঘটনা ঘটার ফলে দেবতাদের অনুরোধে মহাদেব নন্দীকে বললেন, “যাও নন্দী, তুমি ত্রিভুবন ঘুরে দেখো যেখানে দেখবে কেউ উত্তর দিকে মাথা করে শুয়ে আছে তখনি তার মুখটা কেটে নিয়ে আসবে।”
- (৯) নন্দী সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল ঘুরে এক জায়গায় দেখল একটা হাতি উত্তর দিকে মাথা করে শুয়ে আছে। নন্দী তখনই তার মাথাটা কেটে মহাদেবের কাছে নিয়ে এল। মহাদেব সেটি ছেলের কাঁধে জোড়া দিয়ে দিলেন আর ছেলেটিও ‘মা, মা’ বলে ডাকতে লাগল।
- (১০) ছেলের মুখ, হাতির মাথা হলো দেখে দুর্গা খুব দুঃখ করতে লাগলেন। দুর্গার এই রকম ভাবে দুঃখ করার জন্য দেবতারা তাকে বললেন, “মা, আপনি দুঃখ করবেন না। এই ছেলের নাম রাখা হোক গণপতি। এর পূজো সকলের আগে লোককে করতে হবে তারপর আমরা সকল দেবতারা পুজো নেবো।”
- (১১) এরপর দুর্গা, কার্তিক আর গণেশকে নিয়ে হিমালয়ে গিরিরাজের ঘরে এসে ছেলেদের দেখিয়ে মেনকাকে সব ঘটনার কথা বললেন, তখন মেনকা খুব ঘটা করে গিরিপুরে দুর্গাষষ্ঠীর ব্রত করলেন। দুর্গা বললেন, “মা! আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে যে স্ত্রীলোক ভক্তিভরে আমার পুজো করবে এবং কথা শুনবে আমার মতো তার সুন্দর সন্তান লাভ হবে।”
- (১২) ক্রমে এই দুর্গাষষ্ঠীর কথা জগতে প্রচার হল। সবাই তখন এই ব্রত খুব ভক্তিভরে করতে আরম্ভ করল। এই ব্রত পালন করার ফলে ছেলে-মেয়েদের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ হয়ে থাকে।
দুর্গাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন
শারদীয়া দুর্গাপূজায় ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন। বোধনের পর দেবীর অধিবাস৷ বেল গাছের তলায় দেবীর আরাধনা। গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী-সপরিবারে একরাত সেখানেই থাকেন মা দুর্গা। সপ্তমীর সকালে পা দেবেন বাপের বাড়িতে৷
বাঙালির দুর্গাষষ্ঠীতে অকালবোধন
ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন করা হয়। একে অকালবোধন বলা হয়। কারণ শাস্ত্র শরত্কাল সূর্যের দক্ষিণায়নে দেবতাদের নিদ্রার সময়। তাই পুজো করার আগে দেবীর ঘুম ভঙানো জরুরি। অসময়ে ঘুম ভাঙানো হচ্ছে বলে একে অকাল বোধন বলা হয়ে থাকে।
দুর্গাষষ্ঠীতে বোধনের মাধ্যমে দেবীর আবাহন
প্রথমে দেবীর মুখ উন্মোচন করে ষষ্ঠীর পূজা শুরু হয়। তারপর হয় বোধন। এই বোধন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল জাগ্রত করা। বোধনের মাধ্যমে দশভূজা কে আবাহন করা হয় মর্ত্যে।
হিন্দু উৎসব দুর্গাষষ্ঠীতে দুর্গাপূজার সূচনা
শরৎকাল দক্ষিণায়ণের সময়, দেবতাদের রাত্রিকাল। তাই শরৎকাল পূজার্চনার জন্য় উপযুক্ত সময় নয় – ‘অকাল’। অকালে দেবতার পুজো করতে হলে তাঁকে জাগরিত করতে হয়। জাগরনের এই প্রক্রিয়াটিই হল ‘বোধন’। সেই কারণে দুর্গাপুজো শুরু হয় দেবীর অকাল বোধন করে।
দুর্গাষষ্ঠীতে সকলের প্রার্থনা
ষষ্ঠীর সকাল থেকেই শুরু হয় পুজোর প্রক্রিয়া। এরপর নিয়ম-কানুন মেনে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চলে দেবীর আরাধনা। এদিন বোধনের মাধ্যমে সকলেই প্রার্থনা করে এই পাঁচদিন কোনও রকম বাধা-বিঘ্ন না আসে।
বাঙালির দুর্গাষষ্ঠীতে দুর্গা ও চণ্ডীর আরাধনা
একটি তামার পাত্রে করে গঙ্গা থেকে জল পূর্ণ করে মণ্ডপের এককোণে স্থাপন করা হয়। সেখানেই চলে দুর্গা ও চণ্ডীর আরাধনা। তারপর শুরু হয় বোধন। তারপর একে একে অধিবাস ও আমন্ত্রণ পর্ব।
দুর্গাষষ্ঠীতে কাত্যায়নীর আরাধনা
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠীতে দেবীর ষষ্ঠী রূপ কাত্যায়নীর আরাধনা করা হয়। নবরাত্রিতে দেবীর নয় রূপের আরাধনা করা হয়। ষষ্ঠ দিনে কাত্যায়ণী রোগ, শোক, দুঃখ, কষ্ট ও ভয়কে দূর করার আশীর্বাদ প্রদান করেন।
বাঙালির দুর্গাষষ্ঠীতে নিয়ম পালন
জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর করতে ও সংসার সুখে সমৃদ্ধশালী করতে এই দিন কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। তারমধ্যে সন্তানের মঙ্গলকামনায় এই দিন বাড়ির সব মহিলা ও মায়েরা দুর্গাষষ্ঠী পালন করেন।
শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে রাত্রিকালে বোধন
মহাশক্তির মহাপূজার সূচনা হয় বোধনের মধ্যে দিয়ে৷ দেবীপক্ষের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে দেবীকে উদবোধিত করা হয়৷ কৃত্তিবাসী রামায়ণ -এ দুর্গাপূজার বিবরণের থেকে পৌরাণিক দুর্গাপূজার বিবরণ কিছুটা আলাদা। কালিকাপুরাণ অনুযায়ী, রাবণবধে রামচন্দ্রকে সাহায্য করার জন্য রাত্রিকালে দেবীর বোধন করেছিলেন ব্রহ্মা।
দুর্গাষষ্ঠীতে লাল রঙের পোশাক
প্রসঙ্গত, শাক্ত মতে দেবী কাত্যায়নী হলেন মহাশক্তির একটি ভয়ংকর রূপ। চণ্ডী বা ভদ্রকালীর যত যুদ্ধের দেবী হিসেবে পূজিত হন তিনি। নবরাত্রির এই ষষ্ঠ রূপের দেবীর গায়ের রং সূর্যের মত লাল৷ উমার মতই গায়ে রঙ তার। ষষ্ঠীতে লাল রঙের পোশাক পরা তাই শুভ বলে মনে করা হয়।
বাঙালির দুর্গাষষ্ঠী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি
ষষ্ঠীতিথির সন্ধ্যায় প্রথমে দেবীর বোধন, পরে অধিবাস ও আমন্ত্রণ করা হয়৷ শৈলশিখর কৈলাস থেকে দেবী আসছেন৷ তাই তাঁকে যথাযথ আমন্ত্রণ করে এই দিনের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷
উপসংহার :- দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠীতে উত্তর, দক্ষিণ, সব জায়গাতেই এক ছবি৷ ষষ্ঠীর সকাল থেকেই ঠাকুর দেখার ভিড়৷ নতুন জামাকাপড়৷ নতুন জুতো৷ হৈ-হুল্লোড়, খাওয়া-দাওয়া ৷ উৎসবের আনন্দে ভাসছে শহর থেকে গ্ৰাম সর্বত্র। থিম, সাবেকিয়ানা, নান্দনিকতায় মিলে-মিশে একাকার হয়ে গেছে উদযাপনের রঙ।
(FAQ) দুর্গাষষ্ঠী (Durga Sashthi) সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
আশ্বিন মাসে।
শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে।
দুর্গোৎসব।
দেবী দুর্গার।
দুর্গাপূজা।