সঞ্জীবনী পত্রিকার প্রকাশ প্রসঙ্গে প্রথম সম্পাদক, প্রথম প্রকাশ, আদর্শ বাণী, সঞ্জীবনী পত্রিকার উদ্দেশ্য, সঞ্জীবনী পত্রিকার সম্পাদকের খ্যাতি ও সঞ্জীবনী পত্রিকার লেখনি সম্পর্কে জানব।
ভারতের সাপ্তাহিক সঞ্জীবনী পত্রিকা প্রসঙ্গে সঞ্জীবনী পত্রিকার ধরণ, সঞ্জীবনী পত্রিকার ভাষা, সঞ্জীবনী পত্রিকার উদ্দেশ্য, সঞ্জীবনী পত্রিকার প্রকাশকাল, সঞ্জীবনী পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ও সঞ্জীবনী পত্রিকার লেখনী সম্পর্কে জানব।
সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা সঞ্জীবনী পত্রিকা
ঐতিহাসিক পত্রিকা | সঞ্জীবনী পত্রিকা |
ধরণ | সাপ্তাহিক পত্রিকা |
ভাষা | বাংলা |
সম্পাদক | কৃষ্ণকুমার মিত্র |
প্রকাশকাল | ১৮৮৩ খ্রি |
ভূমিকা :- একখানি বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হল সঞ্জীবনী। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজভূক্ত উন্নতশ্রেণীর ব্রাহ্মদের যত্নে এই পত্রিকার জন্ম।
সঞ্জীবনী পত্রিকার প্রথম সম্পাদক
সিটি কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্র এই সঞ্জীবনী পত্রিকার সম্পাদক।
সঞ্জীবনী পত্রিকার আদর্শবাণী
এই পত্রিকার শীর্ষদেশে ‘সাম্য, স্বাধীনতা, মৈত্রী’ এই আদর্শবাণী মুদ্রিত হতো। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরেরও অধিক এই পত্রিকা কৃষ্ণকুমারের জনসংযোগের মাধ্যম ছিল।
সঞ্জীবনী পত্রিকার উদ্দেশ্য
বাহ্মদের স্বার্থসংরক্ষণ এই পত্রিকার উদ্দেশ্য হলেও, যাতে সর্বশ্রেণীর লোকের হিতসাধন হতে পারে, এরূপ বহু বিষয় অপক্ষপাতে ও যুক্তিসঙ্গতভাবে এই পত্রিকায় আলোচিত হয়ে থাকে। অতি উদার নীতিতে এবং অত্যন্ত সুবুদ্ধিসহকারে এই পত্রিকা পরিচালিত হয়ে থাকে।
সঞ্জীবনী পত্রিকার সম্পাদকের খ্যাতি
কৃষ্ণকুমার মিত্র সঞ্জীবনী নামে জাতীয়তাবাদী বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৮৮৩ সালে তিনি অন্যদের সাথে নিয়ে পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন এবং প্রতিষ্ঠালগ্নেই এর সম্পাদক নিযুক্ত হন। পত্রিকার মাধ্যমে তিনি সম্পাদক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
সঞ্জীবনী পত্রিকার লেখনী
আসামের চা মালিকদের কর্তৃক তাদের শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের কাহিনী নিয়ে ‘চা অথবা কুলির রক্ত’ শিরোনামে কৃষ্ণকুমারের লেখনী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ফলশ্রুতিতে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় একটি আইন পাশ হয়।
উপসংহার :- সঞ্জীবনী পত্রিকার মাধ্যমে ১৯০৫ থেকে ১৯১১ পর্যন্ত ৬নং বাড়ি হয়ে উঠল বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও অন্যান্য কয়েকটি আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র।
(FAQ) সঞ্জীবনী পত্রিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা।
কৃষ্ণকুমার মিত্র।
১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে।