বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকা

বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকা প্রসঙ্গে পত্রিকার প্রকাশ, বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকার প্রকাশের দিন, বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকার সম্পাদক, বাঙ্গাল গেজেটি প্রেস স্থাপন, বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকার দ্বারা অভাব পূরণ, বাঙালি কি পত্রিকার দুজন পরিচালক ও ‘বাঙ্গাল গেজেটি’ পত্রিকার লেখনী বিষয় সম্পর্কে জানবো।

গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকা প্রসঙ্গে বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকার সম্পাদক, বাঙালি সম্পাদকের সম্পাদনায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকা, বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকার প্রকাশকাল, বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকার লেখনী সম্পর্কে জানব।

বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকা

ঐতিহাসিক পত্রিকাবাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকা
ধরণসাপ্তাহিক পত্রিকা
ভাষাবাংলা
প্রথম প্রকাশজুন ১৮১৮ খ্রি
প্রকাশকগঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য
বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকা

ভূমিকা :- শ্রীরামপুর থেকে যখন ‘সমাচার দর্পণ‘ প্রকাশিত হয়, প্রায় সেই সময়েই কলিকাতাতেও ‘বাঙ্গাল গেজেটি’ নামে একটি বাংলা সাপ্তাহিক পত্রের সৃষ্টি হয়েছিল। এটিই ছিল বাঙালী পরিচালিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র বাঙ্গাল গেজেটি।

বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকার প্রকাশক

এই পত্রিকাখানির প্রকাশক গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্য। গঙ্গাকিশোরের নিবাস শ্রীরামপুরের নিকটবর্তী বহরা গ্রামে। ব্যাপটিস্ট মিশনরীরা প্রচারকার্যের সুবিধার জন্য শ্রীরামপুরে বাংলা মুদ্রাযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলে তিনি কম্পোজিটর রূপে মিশনের ছাপাখানায় প্রবেশ করেন। সেখানে কিছু দিন চাকরি করার পর, স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জন করার জন্য উদ্যোগী পুরুষ গঙ্গাকিশোর কলকাতায় এসে পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রয়ের ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করেন। এদিকে তখনও কোনো বাঙালীর নজর পড়ে নি।

‘বাঙ্গাল গেজেটি’ পত্রিকার প্রকাশের দিন

এই পত্রিকা প্রতি শুক্রবার প্রকাশিত হত।

বেঙ্গল গেজেটি পত্রিকার সম্পাদক সম্পর্কে সমাচার দর্পণ পত্রিকার লেখনি

সমাচার দর্পণ পত্রিকা গঙ্গাকিশোর সম্বন্ধে লিখেছিলেন, “এতদ্দেশীয় লোকের মধ্যে বিক্রয়ার্থে বাঙ্গালা পুস্তক মুদ্রিতকরণের প্রথমোদ্যোগ কেবল ১৬ বৎসরাবধি হইতেছে ইহা দেখিয়া আমারদের আশ্চর্য্য বোধ হয় যে এত অল্প কালের মধ্যে এতদ্বেশীয় লোকেরদের ছাপার কর্মের এমত উন্নতি হইয়াছে। প্রথম যে পুস্তক মুদ্রিত হয় তাহার নাম অন্নদামঙ্গল শ্রীরামপুরের ছাপাখানার এক জন কর্মকারক প্রস্তুত গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য্য তাহা বিক্রয়ার্ধে প্রকাশ করেন। (৩০ জানুয়ারি ১৮৩০)।”

বাঙ্গাল গেজেটি প্রেস স্থাপন

পুস্তকের ঘাটতি ক্রমশঃ বাড়তে থাকায় গঙ্গাকিশোর কলকাতায় একটি আপিস ও বইয়ের দোকান খোলেন। পুস্তকের ব্যবসায়ে তাঁর বিলক্ষণ লাভ হয়েছিল। তিনি ভরসা করে অতঃপর একটি বাংলা মুদ্রাযন্ত্র স্থাপন করেন। তাঁর মুদ্রাযন্ত্রটি ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হয়। এর নাম বাঙ্গাল গেজেটি প্রেস বা আপিস।

বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকার দ্বারা অভাব পূরণ

মুদ্রাযন্ত্র স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গাকিশোরের দৃষ্টি পড়ে সংবাদপত্র প্রকাশের উপর। তখন পর্যন্ত খাস কলকাতা থেকে কোনো বাংলা সাময়িকপত্র বের হয় নি। বাঙালীর একখানি বাংলা সংবাদপত্র হলে অনেক পাঠক ছুটতে পারে। এই অভাব পূরণ হয় ‘বাঙ্গাল গেজেটি’র দ্বারা।

বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকার দুজন পরিচালক

এই পত্রিকার দুই জন পরিচালক গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য ও হরচন্দ্র রায় জীবিত, কিন্তু তাদের কেউই এই উক্তির প্রতিবাদ করেছিলেন বলে আমার জানা নেই। সমাচার দর্পণ পত্রিকার সম্পাদকও দৃঢ়তার সাথে অনুরূপ কথা বলেন ।

‘বাঙ্গাল গেজেটি’ পত্রিকার লেখনী বিষয়

এই পত্রে সরকারী বিজ্ঞাপন, আইন ও কর্মচারি-নিয়োগ সংক্রান্ত নানা সংবাদ ও সরল বাংলায় স্থানীয় লোকের রুচিকর নানা কথা স্থান পেত এবং তার সম্ভাব্য মাসিক মূল্য ছিল দুই টাকা।

বেঙ্গল গেজেটি পত্রিকায় রামমোহন রায়ের পুস্তক প্রকাশ

সমকালীন সাময়িক পত্ৰ পাঠে আরও জানা যায়, ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত সহমরণ বিষয়ে রামমোহন রায়-এর ‘প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ’ ‘বাঙ্গাল গেজেট’ পত্রে পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল।

উপসংহার :- ‘বাঙ্গাল গেজেটি’ পত্রিকার কোনো সংখ্যা এই পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয় নেই। বছরখানেক চলবার পর তার প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।

(FAQ) বাঙ্গাল গেজেটি পত্রিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. বেঙ্গল গেজেটি কি ধরনের পত্রিকা?

সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা।

২. বেঙ্গল গেজেটি পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।

৩. বেঙ্গল গেজেটি পত্রিকা প্রকাশিত হয় কখন?

জুন ১৮১৮ খ্রি।

অন্যান্য ঐতিহাসিক পত্রিকাগুলি

Leave a Comment