বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা

বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা প্রসঙ্গে বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখনী, বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার পৃষ্ঠা সংখ্যা ও মূল্য, ‘বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা’র প্রথম সংখ্যার (আশ্বিন, ১২০২) নির্ঘণ্ট, ‘বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা’র প্রথম চার খণ্ড, বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার পঞ্চম খণ্ড, বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার বিস্তৃত আলোচনা ও বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকায় উল্লেখিত শ্লোক সম্পর্কে জানবো।

মাসিক বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা প্রসঙ্গে বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার ভাষা, বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার প্রকাশকাল, বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার সম্পাদক, বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার বিস্তৃত আলোচনা সম্পর্কে জানব।

বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা

ঐতিহাসিক পত্রিকাবঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা
ধরণমাসিক পত্রিকা
ভাষাবাংলা
প্রকাশকালসেপ্টেম্বর ১৮৪৫ খ্রি
সম্পাদকনবীনচন্দ্র আঢ্য
বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা

ভূমিকা :- ১২৬২ সালের আশ্বিন, ইংরেজি ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে রং সেপ্টেম্বর মাসে নবীনচন্দ্র আঢ্যের সম্পাদনায় ‘বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।

বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখনী

এই পত্রিকা প্রচারের উদ্দেশ্য ছিল নিম্নরূপ –

“যে সমস্ত পত্রী প্রচলিত আছে সর্ব সাধারণে তন্মচল্য প্রদান করিতে প্রায় সক্ষম হয় না এক বা অৰ্দ্ধ মুদ্রা মূল্যের প্রাত্যহিক পত্র গ্রহণ করিতেও অনেকে বিমুখ হন। অতএব সকল লোকের সুলভ নিমিত্ত ‘বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা’ নামে একখানি মাসিক পত্রী প্রকটন করা গিয়াছে। এই পত্রীতে নীতি বিদ্যা শিক্ষা, বাণিজ্য ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ের সার বিবরণ এবং যে সমস্ত বিষয়ের আন্দোলনে জ্ঞান ও স্বভাব বৃদ্ধি ও সাধারণোপকার সম্ভাবনা তাহার সংক্ষেপ বর্ণন থাকিবেক।”

মাসিক বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার পৃষ্ঠা সংখ্যা ও মূল্য

আপাততঃ অকটেবো পরিমাণের ষোলটি পৃষ্ঠায় প্রত্যেক সংখ্যা প্রকাশ হবে। এর মূল্য সংখ্যা প্রতি এক আনা মাত্র।

‘বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা’র প্রথম সংখ্যার (আশ্বিন, ১২০২) নির্ঘণ্ট

ভূমিকা। ঈশ্বর তত্ত্ব। বিদ্যানুশীলন। বাণিজ্য। রাজত্ব। নীতি। উষ্ট্র। হিতকথা। পদ্য।

মাসিক ‘বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা’র প্রথম চার খণ্ড

এই পত্রিকার প্রথম চার খণ্ড মাসিক আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। এই চার খণ্ডের হিসাব হল –

  • (১) প্রথম খণ্ড – ১ম থেকে ৭ম সংখ্যা, ১৯৬২ সাল।
  • (২) দ্বিতীয় খণ্ড – অষ্টম থেকে উনবিংশ সংখ্যা, ১৯৬৩ সাল। বিশ সংখ্যা, ১৯৬৪ সাল। একবিংশ সংখ্যা, ১৯৬৫ সাল।
  • (৩) তৃতীয় খণ্ড – দ্বাবিংশ থেকে চতুর্বিংশ সংখ্যা, ১৯৬৫ সাল।
  • (৪) চতুর্থ খণ্ড – পঞ্চবিংশ থেকে অষ্টবিংশ সংখ্যা, ১২৬৫ সাল। শেষ সংখ্যা, ১২৬৬ সাল। চতুর্থ খণ্ডের শেষ বা ২৯শ সংখ্যা ৪৬২ পৃষ্ঠায় শেষ হয়েছে।

বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার পঞ্চম খণ্ড

এরপর পত্রিকার পঞ্চম খণ্ড প্রথমে পাক্ষিক আকারে এবং পরে দৈনিক আকারে বের হতে থাকে।

মাসিক বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার বিস্তৃত আলোচনা

ডক্টর শ্রীনরেন্দ্রনাথ লাহা ‘সুবর্ণবণিক সমাচারে’ (পঞ্চম-অষ্টম বর্ষ) ‘বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা সম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন,

  • (১) “চতুর্থ খণ্ড বা ঊনত্রিংশ সংখ্যা পৰ্যন্ত বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা মাসিক আকারেই বাহির হয়। কিন্তু পঞ্চম খণ্ড বা ত্রিংশ সংখ্যা হইতে ইহা পাক্ষিক আকারে দেখা দেয়। এই (২৯শ) সংখ্যায় মাঘ ও ফাল্গুন মাসে (১৯৬৬ সালের) সংঘটিত কয়েকটি বিশিষ্ট ঘটনার উল্লেখ আছে। তৎপাঠে মনে হয়, এই ঊনত্রিংশ সংখ্যা ১২৬৬ সালের চৈত্র মাসে বাহির হয়। ইহা দ্বারা আমরা বুঝিতে পারি যে, পরবর্তী ১৯৬৭ সালে বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার পঞ্চম খণ্ড আরম্ভ হয়। পাক্ষিক আকারের প্রথম সংখ্যাটি বৈশাখ মাসে প্রকাশিত হয় নাই, সম্ভবত উহা জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রকাশিত হইয়া থাকিবে। কারণ এই সংখ্যায় “পাক্ষিক সংবাদ” শীর্ষক ( ৪৭০ পৃষ্ঠা) ঘটনাবলীর মধ্যে “বৈশাখের শেষ দিবসে বড়বাজারে জাফিনহাটার নিকট” সংঘটিত ঘটনাবিশেষের বিবরণ স্থান পাইয়াছে।”
  • (২) “কত দিন এই পত্রিকা পাক্ষিকাকারে চলিয়াছিল, এবং তাহার পর ইহা সাপ্তাহিক আকারে বাহির হইয়াছিল কি না বলা সুকঠিন। কারণ আমরা পাক্ষিকাকারে প্রকাশিত পত্রিকার ৪৩ সংখ্যা পর্যন্ত পাইয়াছি। এই ৪৩ সংখ্যা ১২৬৭ সালে প্রকাশিত এবং ইহা বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার পঞ্চম বর্ষের অন্তর্গত সংখ্যা। এই সংখ্যার পরে আমরা ১২৭৫ সালের ২রা বৈশাখের (১৪শ বর্ষ) ‘বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা’র দর্শন পাই। তখন ইহা দৈনিক সংবাদ পত্ররূপে প্রকাশিত হইতেছে।”
  • (৩) ১৯৭৫ সালের ২রা বৈশাখের বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকাখানি রয়েল ৪ পেজী আকারের আট পৃষ্ঠাব্যাপী ছিল। ইহা রবিবার ব্যতীত প্রত্যহ প্রকাশিত হইত। প্রতি সংখ্যা পত্রিকার শীর্ষদেশে প্রথমে ইংরেজী তৎপরে দেবনাগর তার পর বাঙ্গালা অক্ষরে পত্রিকার নাম। তৎনিয়ে “Daily Advertiser. প্রাত্যহিক পত্র” এবং দেবনাগর অক্ষরে “হর রোজ পত্র” লেখা আছে।

বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকায় উল্লেখিত শ্লোক

এই পত্রিকার নামের নীচেই নিম্নলিখিত সংস্কৃত শ্লোকটি স্থান পেয়েছে। –

“আম্রাততল্যাখ্যপুরা রমারমা নবীনচন্দ্রাঢ্যসদাঢ্যদাঢ্যতা।

পত্রী সুপত্রীবহুতাসতাং সতাং সা বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা।।”

উপসংহার :- বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার মূল্য কম হলেও তৎকালীন সময়ে এটি জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হয়।

(FAQ) বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা কি ধরণের পত্রিকা?

সাপ্তাহিক পত্রিকা।

২. বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

নবীনচন্দ্র আঢ্য।

৩. বঙ্গবিদ্যা প্রকাশিকা পত্রিকা প্রকাশিত হয় কখন?

সেপ্টেম্বর ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে।

অন্যান্য ঐতিহাসিক পত্রিকাগুলি

Leave a Comment