টিপু সুলতান

মহীশূর রাজ্যের শাসক টিপু সুলতান, মহীশূর শার্দুল, ভারতের বীর পুত্র, নেপোলিয়নের সাথে বন্ধুত্ব, রাজ্যের প্রতীক, দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে যোগদান, ম্যাঙ্গালোরের সন্ধি, সন্ধির শর্ত, টিপুর কূটনৈতিক জয়, পরবর্তী যুদ্ধের প্রস্তুতি, ফরাসিদের সাথে টিপুর যোগাযোগ, তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ, টিপুর পরাজয়, শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি, সন্ধির শর্ত, টিপুর পতন সুনিশ্চিত, চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের প্রস্তুতি, বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে টিপুর যোগাযোগ, স্বাধীনতার স্মারক বৃক্ষ রোপণ, অধীনতামূলক মিত্রতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ, টিপুর পরাজয়, স্বাধীন মহীশূর রাজ্যের পতন, টিপুর রাজ্যের ভাগবাটোয়ারা, টিপুর কৃতিত্ব, টিপু সুলতান জয়ন্তী উদযাপন ও জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে অবদান সম্পর্কে জানবো।

শাসক টিপু সুলতান

ঐতিহাসিক চরিত্রটিপু সুলতান
জন্ম২০ নভেম্বর, ১৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ
রাজত্বকাল১৭৮২-১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ
পূর্বসূরিহায়দার আলি
রাজধানীশ্রীরঙ্গপত্তম
মৃত্যু৪ মে, ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ
টিপু সুলতান

ভূমিকা :- ব্রিটিশ ভারত -এর মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন টিপু সুলতান বা ফতেহ আলী সাহাব টিপু। তিনি একজন বীর যোদ্ধা ছিলেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে তিনি বীরত্ব সহকারে যুদ্ধ করেন।

মহীশূর শার্দুল টিপু সুলতান

টিপু সুলতান তার শৌর্যবীর্যের কারণে শের-ই-মহীশূর বা মহীশূরের বাঘ বা মহীশূর শার্দুল নামে পরিচিত ছিলেন।

ভারতের বীর পুত্র টিপু সুলতান

ভারতের স্বাধীনতা কামীতার জন্য তাকে ভারতের বীরপুত্র বলা হয়। তিনি বিশ্বের প্রথম রকেট আর্টিলারি এবং বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি করেছিল। তিনি তাঁর শাসনকালে বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক উদ্ভাবন চালু করেছিলেন।

টিপু সুলতান কর্তৃক মহীশূরে রেশম শিল্পের সূচনা

একটি নতুন মুদ্রা ব্যবস্থা, ক্যালেন্ডার প্রবর্তন ও একটি নতুন ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেন, যা মহীশূরের রেশম শিল্পের বিকাশের সূচনা করেছিল।

টিপু সুলতানের মিত্র নেপোলিয়ন

পিতা হায়দার আলী মহীশূর রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট তার মিত্র ছিল এবং ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে সাহায্য করেছিল।

টিপু সুলতানের রাজ্যের প্রতীক

টিপু সুলতানের রাজ্যের প্রতীক ছিল বাঘ। এই বাঘ ছিল তাঁর অনুপ্রেরণার মতো। তাঁর রাজ্যের পতাকায় কানাড়ী ভাষায় লেখা ছিল “বাঘই ঈশ্বর”।

দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ

প্রথম ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ -এ (১৭৭৫-৮২খ্রিঃ) ইংরেজদের ব্যস্ততার সুযোগে হায়দার ইংরেজদের মিত্র রাজ্য কর্ণাটকের উপর আক্রমণ হানেন (১৭৮০খ্রিঃ) এবং রাজধানী আর্কট দখল করে নেন। এর ফলে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ শুরু হয়।

হায়দার আলির মৃত্যু

দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের সময় ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে কর্কট রোগে হায়দার আলির মৃত্যু হয়।

টিপু সুলতানের যুদ্ধে যোগদান

১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে ভার্সাই সন্ধি দ্বারা ইউরোপ -এ ইঙ্গ-ফরাসি দ্বন্দ্বের অবসান হয়। হায়দারের সুযোগ্য পুত্র টিপু সুলতান ফরাসি সাহায্য ছাড়া একাই বীর বিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যান।

ম্যাঙ্গালোরের সন্ধি

শেষ পর্যন্ত রণক্লান্ত ইংরেজ কর্তৃপক্ষ টিপু সুলতানের সঙ্গে ম্যাঙ্গালোরের সন্ধি (TreatyofMangalore) স্বাক্ষরে বাধ্য হয় (১৭৮৪খ্রিঃ)।

টিপু সুলতান ও ইংরেজদের মধ্যে ম্যাঙ্গালোরের সন্ধির শর্ত

এই সন্ধির শর্তানুসারে উভয়পক্ষ পরস্পরের অধিকৃত স্থানগুলি ফেরত দেয়। বলা বাহুল্য, এই সন্ধি একটি সাময়িক যুদ্ধ-বিরতি ছিল মাত্র। অচিরেই তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ শুরু হয়।

টিপুর কূটনৈতিক জয়

ওয়ারেন হেস্টিংস ম্যাঙ্গালোরের সন্ধিকে ‘অপমান জনক শান্তি’ (‘humiliatingpacification’) বলে অভিহিত করেন। ঐতিহাসিক ডঃমহিবুল হাসান -এর মতে এই সন্ধি ছিল টিপুর‘ কূটনৈতিক জয়’।

টিপু সুলতান ও ইংরেজদের পরবর্তী যুদ্ধের প্রস্তুতি

ম্যাঙ্গালোরের সন্ধি ছিল একটি শূন্যগর্ভচুক্তি। এর দ্বারা দু’পক্ষের বিবাদের কোনও অবসান হয়নি। এই সন্ধি একটি সাময়িক যুদ্ধ-বিরতি ছিল মাত্র। উভয়পক্ষই জানত যে, অচিরেই আবার যুদ্ধ শুরু হবে। তাই দুই পক্ষই যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে।

ফরাসিদের সাথে টিপু সুলতানের যোগাযোগ

যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে টিপু সুলতান ইংরেজদের শত্রু ফরাসিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন এবং কনস্টান্টিনোপল, কাবুল, মরিশাস প্রভৃতি স্থানে দূত পাঠান।

টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে নিজামকে সামরিক সাহায্য প্রদান

গুন্টুর লাভের বিনিময়ে টিপুর দ্বারা অধিকৃত নিজামের কিছু রাজ্য নিজাম-কর্তৃক পুনরাধিকারের জন্য ইংরেজ কর্তৃপক্ষ নিজামকে সামরিক সাহায্য দেবেন—যদিও ম্যাঙ্গালোরের সন্ধি দ্বারা ঐ স্থান গুলিরও পর টিপুর অধিকার স্বীকৃত হয়েছিল।

ইংরেজদের মিত্র রাজ্যের তালিকায় মহীশূর রাজ্যের নাম অনুপস্থিত

১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে কর্ণওয়ালিস নিজামের কাছে ইংরেজদের মিত্ররাজ্য গুলির এক তালিকা দেন—তাতে মহীশূরের নাম ছিল না।

ইংরেজদের সঙ্গে টিপু সুলতানের তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ

স্বভাবতই টিপু সুলতান রুষ্ট হন এবং ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংরেজদের মিত্র রাজ্য ত্রিবাঙ্কুর আক্রমণ করেন।ফলে তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ শুরু হয়।

টিপু সুলতানের পরাজয়

নিজাম ও মারাঠারা ইংরেজ পক্ষে যোগদান করে। দু’বছর ধরে বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের পর ত্রি-শক্তি জোটের আক্রমণে টিপু কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি

ইংরেজ ও তাদের মিত্রপক্ষ রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্তম অবরোধ করলে টিপু সুলতান শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি (১৭৯২খ্রিঃ) স্বাক্ষরে বাধ্য হন।

ইংরেজদের ও টিপু সুলতানের মধ্যে শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধির শর্ত

এই সন্ধির শর্ত অনুসারে,

  • (১) যুদ্ধের ক্ষতি পূরণ হিসেবে তিনি ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা এবং ইংরেজ, নিজাম ও মারাঠাদের নিজ রাজ্যের অর্ধাংশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
  • (২) ক্ষতি পূরণের টাকার জামিন হিসেবে টিপু তাঁর দুই পুত্রকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেন।

টিপু সুলতানের পতন সুনিশ্চিত

তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ ও শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধির ফলে ‘মহীশুর শার্দুল’ টিপুর শক্তি প্রবলভাবে খর্ব হয় এবং তাঁর পতন সুনিশ্চিত হয়ে ওঠে।

ইংরেজদের সঙ্গে টিপু সুলতানের চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের প্রস্তুতি

শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি টিপুর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। মহীশূরের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও সেনাবাহিনী সুসংহত করে তিনি নিজশক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করেন।

বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে টিপু সুলতানের যোগাযোগ

সামরিক সাহায্য লাভের আশায় টিপু ফ্রান্স, মরিশাস, কনস্টান্টিনোপল, আরব, কাবুল প্রভৃতি বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

টিপু সুলতান কর্তৃক স্বাধীনতার স্মারক বৃক্ষরোপণ

তিনি নিজে ফ্রান্সের ‘জেকোবিন ক্লাব’ (JacobinClub) -এর সদস্য হন এবং কিছু ফরাসি স্বেচ্ছাসেবক তার পক্ষে যুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য মহীশূরে উপস্থিত হয়।তাদের প্রেরণায় টিপু রাজধানী শ্রীরঙ্গ পত্তমে ‘স্বাধীনতার স্মারক বৃক্ষ’ বা ‘Tree of Liberty’ রোপন করেন।

টিপু সুলতানের অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

টিপু গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি গ্ৰহণের প্রস্তাব ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেন।

ইংরেজদের সঙ্গে টিপু সুলতানের চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ

টিপু সুলতান অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্ৰহণে অস্বীকার করলে ইংরেজ ও নিজামের যুগ্ম বাহিনী মহীশূর আক্রমণ করে (১৭৯৯খ্রিঃ)। এর ফলে শুরু হয় চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ

টিপু সুলতানের পরাজয়

সদাশির ও মলভেরীর যুদ্ধে পরাজিত হয়ে টিপু রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্তমে আশ্রয় নেন। শত্রুপক্ষ রাজধানী অবরোধ করে এবং তিনি এই যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হন (৪ ঠা মে, ১৭৯৯খ্রিঃ)।

টিপু সুলতানের মৃত্যুতে স্বাধীন মহীশূর রাজ্যের পতন

এই যুদ্ধে টিপু সুলতানের পরাজয় ও মৃত্যুতে হায়দার আলির প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন মহীশূর রাজ্যের পতন ঘটে।

টিপু সুলতানের মহীশূর রাজ্যের ভাগ বাটোয়ারা

  • (১) টিপুর মৃত্যুর পর তাঁর রাজ্যের বৃহৎ অংশ ইংরেজ ও নিজামের মধ্যে বণ্টিত হয়। ইংরেজরা পায় শ্রীরঙ্গপত্তম, কোয়েম্বাটুর, কানাড়া, মালাবার প্রভৃতি অঞ্চল।
  • (২) হায়দ্রাবাদ-সংলগ্ন কয়েকটি জেলা নিজামকে দেওয়া হয়, যদিও কিছু দিনের মধ্যেই তা আবার ইংরেজরা দখল করে (১৮০০খ্রিঃ)।
  • (৩) অপর অংশে মহীশূরের প্রাচীন হিন্দু রাজবংশের এক নাবালককে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করা হয়।এইভাবে দাক্ষিণাত্যে ইংরেজদের প্রবলতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহীশূর রাজ্যের পতন ঘটে।

টিপুর কৃতিত্ব

  • (১) ভারতের আধুনিক ইতিহাস -এ টিপু সুলতান এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। ইংরেজ ঐতিহাসিকরা তাঁকে ‘নিষ্ঠুর বর্বর’, ‘অসভ্য উন্মাদ’, ‘দুর্ধর্ষ ধর্মোন্মত্ত অশিক্ষিত মুসলমান’ প্রভৃতি আখ্যায় ভূষিত করলেও, প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন শিক্ষিত, সদাশয়, সাহসী, বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, পরিশ্রমী, ধর্মভীরু, জনপ্রিয় ও বিদ্বান নরপতি।
  • (২) সমকালীন সকল কলুষতামুক্ত টিপু সুলতান ছিলেন ফরাসি বিপ্লব -এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ স্বাধীনতার নির্ভীক যোদ্ধা, প্রজাহিতৈষী ও ধর্মনিরপেক্ষ শাসক।
  • (৩) ফারসি, উর্দু, কানাড়ী প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষায় তাঁর যথেষ্ট ব্যুৎপত্তি ছিল এবং তাঁর একটি বিশাল গ্রন্থাগার ছিল। স্যার জন শোর শ্রমিক-কৃষকদের উন্নয়নের জন্য তাঁর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।

টিপু সুলতান জয়ন্তী

  • (১) ২০১৫ সালে কংগ্রেসের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধরামাইয়ের নেতৃত্বে কর্ণাটক সরকার টিপুর জন্মবার্ষিকীটিকে “টিপু সুলতান জয়ন্তী” হিসাবে পালন করা শুরু করে।
  • (২) ২৯ জুলাই ২০১৯ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরপ্পা এই জয়ন্তী বাতিল করার আদেশ দিয়েছিলেন।
  • (৩) উদ্‌যাপন বাতিল করার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে পূর্ববর্তী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া বলেছিলেন: “সংখ্যালঘুদের প্রতি তাদের ঘৃণার কারণে বিজেপি সরকার এটিকে বাতিল করেছে।
  • (৪) টিপু মহীশুরের একজন শাসক ছিলেন ও একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তাঁর সময়ে কৃষ্ণ রাজা সাগর বাঁধের ভিত্তি স্থাপন তৈরি হয়েছিল।
  • (৫) তিনি শিল্প, কৃষি ও বাণিজ্যের উন্নতিরও চেষ্টা করেছিলেন। লোকসভা কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়গও এর আগে বিজেপি এবং আরএসএসের উদ্‌যাপনের বিরোধিতা করার জন্য সমালোচনা করে বলেছিলেন যে, “আরএসএস যখন নাথুরাম গডসে উদ্‌যাপন করতে পারে, তখন আমরা কি টিপু সুলতান উদ্‌যাপন করব না।”

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে টিপু সুলতান

টিপু সুলতানের জীবন কাহিনী অবলম্বনে দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান নামে একটি ভারতীয় ঐতিহাসিক নাটক নির্মিত হয়, যা ১৯৯০ সালে ডিডি ন্যাশনালে প্রথম সম্প্রচারিত হয়।

উপসংহার :- টিপু সুলতান ভারত, পাকিস্তান এবং আরো অনেক এলাকায় ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন নায়ক হিসেবে সম্মানিত। যদিও ভারতের অনেক এলাকায় তাকে অত্যাচারী শাসক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

(FAQ) টিপু সুলতান সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. মহীশূরের বাঘ কাকে বলা হয়?

টিপু সুলতান।

২. ভারতের কোন নৃপতি নেপোলিয়নের সাথে বন্ধুত্ব করেন?

টিপু সুলতান।

৩. কোন যুদ্ধে টিপু সুলতানের মৃত্যু হয়?

১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ বা শ্রীরঙ্গপত্তমের যুদ্ধে।

৪. শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয়?

১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে।

৫. চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের সময় বাংলার গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

লর্ড ওয়েলেসলি।

Leave a Comment