মুঘল সম্রাট আকবরের গন্ডোয়ানা রাজ্য জয় প্রসঙ্গে রানী দুর্গাবতী, আসফ খানের নেতৃত্বে অভিযান, গণ্ডোয়ানার পরাজয় ও মুঘল অধিকার ভুক্ত গণ্ডোয়ানা সম্পর্কে জানবো।
মুঘল সম্রাট আকবরের গন্ডোয়ানা রাজ্য জয়
বিষয় | আকবরের গন্ডোয়ানা রাজ্য জয় |
সময়কাল | ১৫৬৪ খ্রি: |
নেতৃত্ব | আসফ খান |
মুঘল বাদশা | আকবর |
গণ্ডোয়ানা রাণী | রানি দুর্গাবতী |
ভূমিকা :- ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে আকবর কারা ও পূর্ব অঞ্চলের শাসনকর্তা আসফ খানকে মধ্যপ্রদেশের গড়-কাটাঙ্গার রাজ্য গন্ডোয়ানা আক্রমণের জন্য প্রেরণ করেন। এই রাজ্যের রাজধানী ছিল জব্বলপুর।
আকবরের আমলে গন্ডোয়ানা রাজ্যের রানি দুর্গাবতী
- (১) এই সময় মাহবার চান্দেল্য রাজকুমারী রানি দুর্গাবতী তাঁর নাবালক পুত্রের অভিভাবিকা রূপে রাজ্যশাসন করছিলেন। রানি দুর্গাবতী ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও বিদুষী শাসনকর্ত্রী।
- (২) তিনি এক শক্তিশালী সেনাবাহিনীর অধিকারী ছিলেন। মালবের শাসক বাজবাহাদুর ও আফগান শাসকদের আক্রমণ থেকে গন্ডোয়ানাকে তিনি রক্ষা করেছিলেন।
আসফ খানের নেতৃত্বে মুঘলদের গন্ডোয়ানা রাজ্য অভিযান
আকবর কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না করে, আসফ খানকে পঞ্চাশ হাজার সেনার এক বাহিনী দিয়ে গন্ডোয়ানা অভিযানে প্রেরণ করেন।
আকবরের নিকট গণ্ডোয়ানা রাজ্যের পরাজয়
- (১) রানি দুর্গাবতী অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে গড়ের পূর্বদিকে নারহীতে দুদিন মুঘল সেনাকে বাধা দেন। বীর নারায়ণ আহত হন এবং তাঁর মায়ের অনুরোধে তিনি সেনা প্রত্যাহার করেন।
- (২) কিন্তু সাহসের সঙ্গে বাধাদান সত্ত্বেও তাঁর মাতাও তিরের আঘাতে আহত হন এবং নিজের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য নিজেই আত্মহত্যা করেন। বালক রাজা বীর নারায়ণও যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত ও নিহত হন।
মুঘল অধিকার ভুক্ত গণ্ডোয়ানা রাজ্য
আসফ খান বিরাট পরিমাণ সোনা, রুপো, মণিমুক্তো এবং একহাজার হাতি গন্ডোয়ানা রাজ্য থেকে হস্তগত করেন। এইভাবে গন্ডোয়ানা রাজ্য মুঘল অধিকারভুক্ত হয়।
উপসংহার :- পরিশেষে, আকবর পুরাতন রাজবংশের চন্দ্রশাহ নামক এক ব্যক্তির হাতে গন্ডোয়ানা রাজ্যের শাসনভার অর্পণ করেন। বিনিময়ে গন্ডোয়ানাকে স্বীয়-রাজ্যের কিছু অংশ (বর্তমান ভোপাল) মুঘলদের হাতে ছেড়ে দিতে হয় এবং চন্দ্রশাহ আকবরের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন।
(FAQ) মুঘল সম্রাট আকবরের গন্ডোয়ানা রাজ্য জয় সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে।
বীর নারায়ণ।
রানি দুর্গাবতী।
আসফ খান।