পেশোয়া প্রথম বাজিরাও

মারাঠা পেশোয়া প্রথম বাজিরাও এর জন্ম, বিভিন্ন নাম, পিতামাতা, পেশোয়া পদ লাভ, শ্রেষ্ঠ গেরিলা যুদ্ধ বিশারদ, সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য স্থাপন, হিন্দু-পাদ-পাদশাহি নীতি গ্রহণ, রাজ্যজয়, লালকেল্লায় গৈরিক পতাকা উত্তোলন, মারাঠা সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা, ঐতিহাসিক সরদেশাই ও যদুনাথ সরকারের অভিমত ও তার ত্রুটি সম্পর্কে জানবো।

মারাঠা পেশোয়া প্রথম বাজিরাও

ঐতিহাসিক চরিত্রপেশোয়া প্রথম বাজিরাও
জন্ম১৭ আগস্ট, ১৭০০ খ্রিস্টাব্দ
পেশোয়া পদের সময়১৭২০-১৭৪০ খ্রিস্টাব্দ
পূর্বসূরিবালাজি বিশ্বনাথ
উত্তরসূরিবালাজি বাজিরাও
মৃত্যু২৮ এপ্রিল, ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দ
পেশোয়া প্রথম বাজিরাও

সূচনা :- বহু গুণের অধিকারী প্রথম বাজিরাও ছিলেন সমরকুশলসাহসী যোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতি বিদ। ক্রীড়া, অশ্বারোহণ ও সংস্কৃত শাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ দক্ষতা ছিল।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের জন্ম

১৭০০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ আগস্ট  প্রথম বাজিরাও মারাঠি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের বিভিন্ন নাম

মারাঠা পেশোয়া প্রথম বাজিরাও, বাজিরাও বল্লাল এবং থোরালে বাজিরাও নামেও পরিচিত ছিলেন। তার ডাকনামছিল রাও।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের পিতামাতা

বাজিরাও একজন মারাঠী ব্রাহ্মণ ছিলেন। তার বাবার নাম হল বালাজি বিশ্বনাথ এবং মায়ের নাম হল রাধাবাই।

প্রথম বাজিরাওয়ের পেশোয়া পদ লাভ

১৭২০ খ্রিস্টাব্দে পেশোয়া বালাজি বিশ্বনাথের মৃত্যু হলে তাঁর উনিশ বছরের পুত্র প্রথম বাজিরাও ‘পেশোয়া’ পদ লাভ করেন।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাও সম্পর্কে গ্রান্ট ডাফের অভিমত

ঐতিহাসিক গ্রান্ট ডাফ তাকে মারাঠা জাতির নেপোলিয়ন‘ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, প্রথম বাজিরাও-এর মস্তিষ্ক ছিল পরিকল্পনার জন্মভূমি এবং তাঁর দুই বাহু ছিল পরিকল্পনা কার্যকর করার অস্ত্র।

শ্রেষ্ঠ গেরিলা যুদ্ধবিশারদ প্রথম বাজিরাও

তাঁর সম্বন্ধে বলা হয় যে, শিবাজির পরেই তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ গেরিলা যুদ্ধবিশারদ। তাঁর আমলেই মারাঠারা সর্বপ্রথম সর্বভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।

সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য স্থাপনে প্রথম বাজিরাওয়ের অবদান

  • (১) মোগল সাম্রাজ্যের ধ্বংসস্তূপের ওপর তিনি এক সর্বভারতীয় মারাঠা সাম্রাজ্য স্থাপনে প্রয়াসী হন। তিনি মনে করতেন যে, মোগল সাম্রাজ্যের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী।
  • (২) তিনি শাহুকে বোঝাবার চেষ্টা করেন যে, “মৃতপ্রায় শুষ্ক বৃক্ষের কাণ্ডে আঘাত করলেই বৃক্ষের শাখা-প্রশাখাগুলি আপনা থেকেই খসে পড়বে। এভাবেই মারাঠা পতাকা কৃষ্ণা নদী থেকে সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিস্তৃত ভূখন্ডে উড্ডীন হবে।”
  • (৩) সকল মারাঠা নেতৃমণ্ডলী পেশোয়ার এই যুক্তি মানতে রাজি ছিলেন না। অনেকে উত্তর ভারত -এ অভিযান প্রেরণের পূর্বে দাক্ষিণাত্যে মারাঠা আধিপত্য বিস্তারের পক্ষপাতী ছিলেন।
  • (৪) অনেকে আবার রাজ্যবিস্তারের পরিবর্তে মারাঠা রাজ্যকে শক্তিশালী ও সুসংহত করার কথা বলেন। শেষ পর্যন্ত মারাঠা অধিপতি শাহু তাঁকে সমর্থন জানান এবং তিনি একটি সর্বভারতীয় মারাঠা সাম্রাজ্য বিস্তারে উদ্যোগী হন।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের ‘হিন্দু-পাদ-পাদশাহি’ আদর্শ

  • (১) সর্বভারতীয় মারাঠা সাম্রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য হিন্দু রাজন্যবর্গের সাহায্য লাভের আশায় তিনি হিন্দু পাদ পাদশাহি বা মারাঠা নেতৃত্বে হিন্দু সাম্রাজ্য স্থাপনের আদর্শ ঘোষণা করেন।
  • (২) বিভিন্ন রাজপুত রাজা ও জমিদারেরা তাঁর প্রতি সমর্থন জানায়। প্রথমে তিনি গৃহশত্রু সেনাপতি ত্রিম্বকরাও ধাবাড়ে ও কোলাপুর শাখার শম্ভুজি-কে দমন করে দাক্ষিণাত্যে নিজাম-এর বিরুদ্ধে অগ্রসর হন।
  • (৩) পরাজিত নিজামের সঙ্গে এক গোপন চুক্তি দ্বারা স্থির হয় যে, দাক্ষিণাত্যের মোগল সুবাগুলি থেকে ‘চৌথ’ ও ‘সরদেশমুখি’ আদায় করা ব্যতীত মারাঠারা সেখানে আর কোনও উপদ্রব করবে না। এর বিনিময়ে মারাঠাদের উত্তর ভারত অভিযানের সময় নিজাম নিরপেক্ষ থাকবেন।
  • (৪) ১৭২৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি মালব আক্রমণ করলে হিন্দু জমিদারগণ তাঁকে নানাভাবে সাহায্য করেন। এর অল্পকাল পরে সমৃদ্ধশালী গুজরাট রাজ্যে এক গৃহবিবাদের সুযোগে বাজিরাও অতি সহজেই সেখানে মারাঠা আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করেন।
  • (৫) বুন্দেলখণ্ড-র অধিপতি ছত্রশালের সঙ্গে মোগলদের সংঘর্ষ চলছিল। ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে বাজিরাও বুন্দেলখণ্ড আক্রমণ করে – ছত্রশালের পক্ষে মোগলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং মোগল শাসনকর্তা মহম্মদ শাহকে বিতাড়িত করেন।
  • (৬) ‘হিন্দু-পাদ-পাদশাহি’-র আদর্শে উদ্বুদ্ধ ছত্রশাল প্রকাশ্য দরবারে বাজিরাও-কে সম্বর্ধনা জানান, তাঁকে ‘চৌথ’ দানে সম্মত হন এবং রাজ্যের একাংশ তাকে সমর্পণ করেন।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের রাজ্য জয়

  • (১) অম্বর-রাজ দ্বিতীয় জয়সিংহের সঙ্গে তাঁর প্রীতির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি দিল্লির উপকণ্ঠে হাজির হন। ভীত সম্রাট মহম্মদ শাহ মারাঠাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় দাক্ষিণাত্যে নিজাম উল্-মূলক-কে সংবাদ পাঠান।
  • (২) ভূপালের যুদ্ধে (১৭৩৮ খ্রিঃ) পরাজিত হয়ে নিজাম সন্ধি স্বাক্ষরে বাধ্য হন। সন্ধির শর্ত অনুসারে নিজাম যুদ্ধের ব্যয় বাবদ পেশোয়াকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেন এবং নর্মদা থেকে চম্বল পর্যন্ত সমগ্র ভূভাগে পেশোয়ার কর্তৃত্ব স্বীকার করে নেন। এইভাবে উত্তর ভারতে প্রথম স্বাধীন মারাঠা রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • (৩) ডঃ জি. এস. সরদেশাই বলেন যে, ভূপালের যুদ্ধ হল “প্রথম বাজিরাও-এর শেষ ও মহান জয়” (“The last and highest triumph of Baji Rao.”)। পেশোয়া ইচ্ছে করলে চাপ দিয়ে আরও কিছু সুবিধা আদায় করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেন নি।
  • (৪) ডঃ ভি. জি. দিঘে (V. G. Dighe)-র মতে, “ভূপালের বিজয় একটি নতুন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা করে।” নিজামের পরাজয়ের পর মারাঠা সেনা দিল্লির কাছে যমুনা তীরে উপনীত হয়, কিন্তু পেশোয়ার নির্দেশে বাদশার সম্মান রক্ষার্থে দিল্লিতে প্রবেশ করে নি।
  • (৫) বস্তুত এই সময় উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে মারাঠা শক্তি অপ্রতিহত হয়ে পড়ে। এর পরের বছর (১৭৩৯ খ্রিঃ) বাজিরাও-ভ্রাতা চিমন্‌জি আপ্পারাও-এর নেতৃত্বে মারাঠা সেনাবাহিনী পর্তুগিজ-দের পরাজিত করে ভারতের পশ্চিম উপকূলে সলসেট ও বেসিন দখল করে।
  • (৬) এই সময় ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে পারস্যের অধিপতি নাদির শাহের ভারত আক্রমণ -এর সংবাদ প্রচারিত হলে, মাতৃভূমির স্বাধীনতা-রক্ষার্থে তিনি প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করে নাদির শাহের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রয়াসী হন।
  • (৭) বলা বাহুল্য, এর পূর্বেই ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৪২ বৎসর বয়সে অকস্মাৎ এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ মারাঠা রাজনীতিবিদের জীবনদীপ নির্বাপিত হয়।

লালকেল্লায় প্রথম বাজিরাওয়ের গৈরিক পতাকা উত্তোলন

১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দে মোগলদের হারিয়ে ৪৮ দিনের পথ ২ দিনেই অতিক্রম করে লালকেল্লাতে গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেন, যা ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।

মারাঠা সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা পেশোয়া প্রথম বাজিরাও

পেশোয়াদের মধ্যে প্রথম বাজিরাও যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন সে সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি ছিলেন একজন সুদক্ষ সামরিক নেতা এবং সামরিক প্রতিভায় তাঁর স্থান ছিল শিবাজির পরেই। তাঁকে যথার্থভাবেই ‘মারাঠা সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা’ (‘Second founder of the Maratha Empire) বলা যায়।

সর্বভারতীয় মারাঠা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের অবদান

শিবাজি যদি ‘মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা’ হন, তাহলে প্রথম বাজিরাও-কে অবশ্যই ‘মারাঠা সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা’ বলা যাবে। শিবাজি কেবলমাত্র স্বাধীন মারাঠা রাষ্ট্রের পত্তন করেন, কিন্তু প্রথম বাজিরাও একটি সর্বভারতীয় মারাঠা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাও সম্পর্কে সরদেশাই ও যদুনাথ সরকারের অভিমত

ঐতিহাসিক ডঃ সরদেশাই-এর মতে, প্রথম বাজিরাও হলেন ‘বৃহত্তর মহারাষ্ট্রের সৃষ্টিকর্তা’ (“The creator of greater Maharastra.”)। স্যার যদুনাথ সরকার বলেন যে, ইংল্যাণ্ড -এর প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ওয়ালপোলের মতো মহারাষ্ট্রের ‘পেশোয়া’ বা প্রধানমন্ত্রীর পদকে তিনি অপরিমিত ক্ষমতার আধারে পরিণত করেন।

মারাঠা রাজ্যকে সাম্রাজ্যের রূপদানে পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের অবদান

মাত্র কুড়ি বছরের মধ্যে তিনি মারাঠা সাম্রাজ্যের কাঠামোতে একটি পরিবর্তন সাধনে সক্ষম হন এবং মারাঠা রাজ্যকে উত্তর ভারত পর্যন্ত প্রসারিত করে সাম্রাজ্যের রূপ দান করেন।

পেশোয়া প্রথম বাজিরাওয়ের ত্রুটি

অবশ্য এই কথা মানতে হবে যে, তিনি মারাঠা সাম্রাজ্যের ভিত্তিভূমি সুদৃঢ় করতে পারেন নি। এক্ষেত্রে তার ত্রুটি গুলি হল –

  • (১) তাঁর প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্যে কোনও শাসনগত বা ভাবগত ঐক্য ছিল না। বহু সম্প্রদায়ের দেশ ভারতবর্ষে তাঁর ‘হিন্দু-পাদ-পাদশাহি’র আদর্শ ভ্রান্ত ছিল। মুসলিম সম্প্রদায় এতে আতঙ্কিত হয় এবং হিন্দুরা অচিরেই এই ভুয়া আদর্শ ধরে ফেলে।
  • (২) তিনি উত্তর ভারতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দক্ষিণ ভারতকে অবহেলা করেন। চতুর নিজাম ও হায়দার আলি যখন দক্ষিণ ভারতে রাজ্য গঠনে তৎপরতখন তারউত্তর ভারতে অভিযান পাঠানো যুক্তিযুক্ত হয় নি।
  • (৩) তিনি সেনানায়ক হিসেবে যতটাদক্ষ ছিলেন, শাসক হিসেবে তার খণ্ডাংশও ছিলেন না। তিনি নিজ রাজ্যে জায়গির প্রথা বা সামন্ত প্রথা লোপ করার চেষ্টা করেন নি। রাজ্যবিস্তার ও শাসনের কাজেতিনি সামন্তদেরই নিয়োগ করতেন।
  • (৪) তিনি নতুন নতুন বেশ কিছু রাজ্য জয় করেন, কিন্তু সেগুলিতে সুশাসন প্রবর্তিত হয় নি। বিজয়ী মারাঠা সর্দারদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল রাজস্ব আদায় সুশাসন নয়।
  • (৫) মারাঠা রাজা রাজারামের আমলে জায়গির প্রথার পুনঃপ্রবর্তন হলে কয়েকটি অর্ধ-স্বাধীন রাজবংশের উৎপত্তি হয়। এগুলি হল- বেরারের ভোঁসলে, বরোদার গাইকোয়াড়, গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া, ইন্দোরের হোলকার এবং মালবের ধার নামক স্থানে পাবার বংশ।
  • (৬) এই রাজ্যগুলির মধ্যে কোনও ঐক্য ছিল না—তারা সর্বদাই নিজেদের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদে লিপ্ত থাকত এবং সময় সময় পেশোয়ার কর্তৃত্বকেও উপেক্ষা করত। বলা বাহুল্য, এই অর্ধ-স্বাধীন পাঁচটি সামন্ত রাজ্য মারাঠা সাম্রাজ্যের ঐক্য ও সংহতির মূলে কুঠারাঘাত করে তার পতনকে অবশ্যম্ভাবী করে তোলে।
  • (৭) মহারাষ্ট্রের আর্থিক ভিত্তি ছিল খুবই দুর্বল। কৃষির উন্নতির জন্য জলসেচ ও বাঁধ নির্মাণের কোনও ব্যবস্থা হয় নি। মহারাষ্ট্রের বন্দরগুলিকে বহির্বাণিজ্য বা অন্তর্বাণিজ্যের জন্য ব্যবহারের কোনও চেষ্টা করা হয় নি। কেবলমাত্র চৌথ ও সরদেশমুখি-র মতো কোনও অনিশ্চিত ও জবরদস্তিমূলক করের মাধ্যমে একটি রাজ্য চলতে পারে না।

উপসংহার :- হিন্দু সাম্রাজ্যকে সবদিকে বিস্তারের জন্য তিনি কৃতিত্বের দাবিদার। প্রথম বাজিরাও ৪১ টি যুদ্ধে অপরাজিত থাকেন, যা পৃথিবীর আর কোনো রাজা বা যোদ্ধাদের পক্ষে সম্ভব হয় নি।

(FAQ) পেশোয়া প্রথম বাজিরাও সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কোন পেশোয়া হিন্দু-পাদ-পাদশাহি নীতি গ্রহণ করেন?

পেশোয়া প্রথম বাজিরাও।

২. সর্বভারতীয় মারাঠা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন কে?

মারাঠা পেশোয়া প্রথম বাজিরাও।

৩. মোগলদের পরাজিত করে লালকেল্লাতে গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেন কে?

পেশোয়া প্রথম বাজিরাও।

Leave a Comment