কনৌজের রাজা যশোবর্মন প্রসঙ্গে যশোবর্মনের পরিচয়, সিংহাসন লাভ, রাজত্বকাল, কার্যাবলীর বিবরণ, যশোবর্মনের পরাক্রম, যশোবর্মনের পরাজয়, ললিতাদিত্যের সাথে মিত্রতা, ললিতাদিত্য ও চীন সম্রাটের সাহায্য, কাশ্মীরের সাথে তিক্ত সম্পর্ক, ললিতাদিত্যের কনৌজ আক্রমণ, যশোবর্মনের মৃত্যু ও কলহনের বর্ণনা সম্পর্কে জানবো।
রাজা যশোবর্মন
ভূমিকা :- অষ্টম শতাব্দীর প্রথমার্ধে যশোবর্মন নামে এক পরাক্রান্ত নরপতির অধীনে কনৌজ কিছুকালের জন্য তার পূর্ব গৌরব ফিরে পায়।
যশোবর্মনের পরিচয়
রাজা যশোবর্মনের বংশ পরিচয় বা তাঁর পূর্ব পরিচয় সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায় না।
যশোবর্মনের সিংহাসন লাভ
রাজা যশোবর্মনের সিংহাসন আরোহণকাল সুনিশ্চিতভাবে জানা যায় নি।
যশোবর্মনের রাজত্বকাল
যশোবর্মনের সিংহাসন আরোহণকাল সুনিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও তিনি ৭৪০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সগৌরবে রাজত্ব করেন।
রাজা যশোবর্মনের কার্যাবলীর বিবরণ
যশোবর্মনের কার্যাবলীর বিবরণ তাঁর সভাকবি বাকপতিরাজের গৌড়বহো নামে প্রাকৃত ভাষায় রচিত ঐতিহাসিক এক কাব্য থেকে জানা যায়।
যশোবর্মনের পরাক্রম
যশোবর্মনের পরাক্রম প্রায় হর্ষবর্ধনের সঙ্গে তুলনীয়। তিনি গৌড় রাজের বিরুদ্ধে অভিযান করে তাঁকে রণক্ষেত্রে নিহত করেন। তারপর তিনি মগধ ও বঙ্গদেশ জয় করে নর্মদার তীরে উপনীত হন।
যশোবর্মনের পরাজয়
চালুক্যরাজ নিলয়াদিত্যের নিকট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। এরপর যশোবর্মন রাজপুতনার মরুভূমি ও থানেশ্বরের মধ্য দিয়ে কনৌজে প্রত্যাবর্তন করেন।
ললিতাদিত্যের সাথে যশোবর্মনের মিত্রতা
তিনি কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্য-এর সঙ্গে মিত্রতায় আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং ৭৩১ খ্রিস্টাব্দে হর্ষবর্ধনের ন্যায় তিনিও চীন সম্রাটের নিকট দূত পাঠিয়েছিলেন।
ললিতাদিত্য ও চীন সম্রাটের সাহায্য
আধুনিক ঐতিহাসিকগণ মনে করেন যে তিনি কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্যের ও চীনের সম্রাটের সাহায্য নিয়ে আরব ও তিব্বতের আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
কাশ্মীরের সাথে যশোবর্মনের তিক্ত সম্পর্ক
অল্পকালের মধ্যেই ললিতাদিত্যের সঙ্গে মিত্রতার পরিবর্তে যশোবর্মনের সঙ্গে এক তিক্ত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ললিতাদিত্যের কনৌজ আক্রমণ
তিক্ত সম্পর্কের কারণে যশোব রাজত্বের শেষ দিকে কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্য মুক্তাপীড় তাঁর রাজ্য আক্রমণ করে তাঁকে সিংহাসনচ্যুত করেন।
যশোবর্মনের মৃত্যু
ললিতাদিত্যের সাথে যুদ্ধের সময় যশোবর্মন যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন এবং ললিতাদিত্য কনৌজ দখল করেন।
রাজতরঙ্গিনীর বর্ণনা
কলহণের রাজতরঙ্গিণী থেকে কাশ্মীর ও কনৌজের যুদ্ধের বিশদ বর্ণনা পাওয়া যায়। রাজতরঙ্গিণী থেকে জানা যায় যে, উত্তর রামচরিত রচয়িতা ভবভূতি ও বাকপতিরাজ যশোবর্মনের সভা অলঙ্কৃত করেছিলেন।
উপসংহার :- রাজা যশোবর্মনের রাজত্বকালে কনৌজ যেমন তার পূর্ব গৌরব ফিরে পায় তেমনি তার মৃত্যুর পর কনৌজের ইতিহাস আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
(FAQ) রাজা যশোবর্মন সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
অষ্টম শতাব্দীর প্রথমার্ধে।
বাকপতিরাজ রচিত গৌড়বহ।
কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্য।
৭৩১ খ্রিস্টাব্দে চীনে।