পাল যুগের সভ্যতা ও সংস্কৃতি

পাল যুগের সভ্যতা ও সংস্কৃতি প্রসঙ্গে পাল সংস্কৃতি, সন্ধ্যাকর নন্দী, গৌড়পাদ, চক্রপাণি দত্ত, সুরেশ্বর, নাটক, টীকা রচনা, আইন গ্ৰন্থ, পাল যুগে বৌদ্ধ শাস্ত্রচর্চা, বাংলা ভাষায় উদ্ভব ও প্রসার, স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও চিত্রকলা সম্পর্কে জানবো।

পাল যুগের সভ্যতা ও সংস্কৃতি

ঐতিহাসিক ঘটনাপাল যুগের সভ্যতা ও সংস্কৃতি
সাম্রাজ্যপাল সাম্রাজ্য
প্রতিষ্ঠাতাগোপাল
শ্রেষ্ঠ রাজাদেবপাল
ভাস্করধীমান ও বীতপাল
পাল যুগের সভ্যতা ও সংস্কৃতি

ভূমিকা :- পাল যুগের চার শত বৎসরে বাংলার সংস্কৃতির বিশেষ অগ্রগতি ঘটে। ডঃ মজুমদারের মতে, “এই সাম্রাজ্য বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গেই বাঙালীর নতুন জাতীয় জীবনের সূত্রপাত হয়।”

পাল যুগের সংস্কৃতি

  • (১) সংস্কৃত সাহিত্যে বাংলায় অলঙ্কার-বহুল গৌড়ী রীতির উদ্ভব হয়। সংস্কৃত নাটকের ক্ষেত্রে “ওড্র-মাগধী-রীতির” উদ্ভব হয়। পাল যুগে বৌদ্ধরা বিশুদ্ধ সংস্কৃতের স্থলে প্রাকৃতভাষা বহুল সংস্কৃত ব্যবহার করতেন। তাঁদের এই রীতিকে বৌদ্ধরীতি বলা হয়।
  • (২) বৌদ্ধ সিদ্ধাই বা সিদ্ধাচার্যরা ও ব্রাহ্মণ কবিরা সৌরসেনী অপভ্রংশ ব্যবহার করতেন। এই যুগে বাংলা তার রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে নিজস্ব ঘরানার সংস্কৃত প্রচলন করে। সেই যুগে ভারত -এর অন্য অঞ্চলে প্রচলিত বৈদর্ভ রীতি ত্যাগ করে নিজস্ব গৌড়ী রীতি চালু হয়। বৌদ্ধতন্ত্র সাহিত্যগুলি এই সংস্কৃতে রচিত।

সন্ধ্যাকর নন্দী

সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিত একটি বিখ্যাত ইতিহাসাশ্রিত শ্লেষ কাব্য। প্রতি পদের দুরকম অর্থ ছিল, রামচন্দ্রের জীবনী ও রামপাল-এর জীবনী। সন্ধ্যাকর নন্দীর রচনার ঐতিহাসিক মূল্য রামপালের প্রতি তাঁর পক্ষপাত দোষে দুষ্ট। সন্ধ্যাকর নন্দী নিজেকে “কলিকাল বাল্মীকি’ বলে নিজের উচ্চাকাঙ্খা প্রকাশ করেছেন।

গৌড়পাদ

পাল যুগে দর্শন শাস্ত্রে গোড়পাদকারিকা রচনা করেন প্রখ্যাত বাঙালী দার্শনিক গৌড়পাদ। সম্ভবতঃ গৌড়পাদ ছিলেন পাল যুগের আগের লোক। কিংবদন্তি অনুসারে তাকে শঙ্করাচার্যের শুরু বলে মনে করা হয়। গৌড়পাদ মাধ্যমিক দর্শনের নেতিবাদের সঙ্গে উপনিষদের ইতিবাদের মিলন সাধন করেন।

চক্রপাণি দত্ত

শারীর ও চিকিৎসা বিদ্যা সম্পর্কে পাল যুগে কয়েকটি গ্রন্থ রচিত হয়। চক্রপানি দত্ত চিকিৎসা সংগ্রহ নামে এক বিখ্যাত চিকিৎসা গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি চরক ও শুশ্রুতের ওপর টীকা গ্রন্থ আয়ুর্বেদ দীপিকা ও ভানুমতী রচনা করেন। চিকিৎসা সংগ্রহ নামে আর একটি গ্রন্থ তিনি রচনা করেন। তিনি ভেষজের গুণাগুণ বিশ্লেষণ এবং খনিজ দ্রব্যের গুণাগুণ বিচার করে শব্দচন্দ্রিকা রচনা করেন।

সুরেশ্বর

সুরেশ্বর ও বঙ্গসেনও এযুগে শারীরবিদ্যা ও চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন। সুরেশ্বর ছিলেন উদ্ভিদবিদ্যায় পণ্ডিত। তিনি মানব শরীরের ওপর বিভিন্ন উদ্ভিদের রস ও ফল প্রয়োগের ফলে কি ঘটে বিশ্লেষণ করেন।

নাটক

গৌড় অভিনন্দ কাদম্বরী কথাসার নামে এক কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। নীতি বর্মা কীচক বধ ও ক্ষেমিধর চন্ড কৌশিক নাটক রচনা করেন। কবীন্দ্র বচনসমুচ্চয় নামে এক কাব্য সঙ্কলন কোনো অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রকাশ করেন।

টীকা রচনা

এই যুগের বৌদ্ধ সংস্কৃত গ্রন্থগুলির তিব্বতীয় অনুবাদ পাওয়া যায়। মূল গ্রন্থগুলি নষ্ট হয়ে গেছে। বৌদ্ধ ধর্ম -এর বিভিন্ন যান সম্পর্কে এই গ্রন্থগুলিতে রচনা ছিল। হুগলীর ভুরশুট পরগণার কবি চীবর ভট্ট ন্যায় কন্দলী নামে ন্যায়সূত্রের একটি টীকা রচনা করেন। অভিনব নামে এক পণ্ডিত যোগাবশিষ্ঠ রচনা করেন। সর্বনন্দ, ভট্টজী দীক্ষিত নামক পণ্ডিতেরাও টীকা রচনায় নাম করেন।

আইন গ্ৰন্থ

ভবদেব ভট্ট ছিলেন পাল যুগের বিখ্যাত শাস্ত্রকার। জীমুতবাহন বিখ্যাত হিন্দু আইনের গ্রন্থ দায়ভাগ রচনা করেন। তবে জীমুতবাহনের কালপঞ্জী সম্পর্কে বিতর্ক আছে।

পাল যুগে বৌদ্ধশাস্ত্র চর্চা

  • (১) পাল যুগে বৌদ্ধ দর্শন ও ধর্ম শাস্ত্রের চর্চার প্রকৃত অগ্রগতি হয়। মহাপণ্ডিত অতীশ বা দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ছিলেন পাল যুগের পণ্ডিত। অতীশ বাংলার ঢাকা বিক্রমপুরে ১৮০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। এখানে এখনও অতীশের ভিটা নামে একটি স্থান আছে। তাঁর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি দেশবিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
  • (২) তিনি তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্ম সংস্কারের জন্য যান এবং এদেশেই দেহত্যাগ করেন। অতীশের পিতা ছিলেন কল্যাণ শ্রী, মাতা প্রভাবতী। অতীশ ছিলেন দার্শনিক জেতারির ছাত্র এবং বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। অতীশ ১৯ বৎসর বয়সে প্রব্রজ্যা নেন এবং ওদন্তপুরী বিহারের স্থবির শীল রক্ষিতের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
  • (৩) তিনি চন্দ্রকীর্তি, ধর্মরক্ষিত ও জেতারির নিকট দর্শন শিক্ষা করেন। অতীশ ছাড়া পাল যুগের অন্যান্য বিখ্যাত বৌদ্ধ পণ্ডিতদের মধ্যে কমল শীল, রাহুল ভদ্র, কল্যাণ রক্ষিত প্রমুখের নাম উল্লেখ্য। পাল যুগে বৌদ্ধ তন্ত্রশাস্ত্রে ও বৌদ্ধ দর্শনের ওপর অনেক গ্রন্থ রচিত হয়। পাল যুগের কিছু আগে শীলভদ্র তার আর্য-বুদ্ধভূমি বাখ্যান রচনা করেন।
  • (৪) শান্তিদেব তিনটি বজ্রযানী গ্রন্থ রচনা করেন। মহাজেতারি বাঙালী ছিলেন। তিনি অতীশ বা দীপঙ্করকে শিক্ষাদান করেন। তিনি বৌদ্ধ ন্যায়শাস্ত্র সম্পর্কে গ্রন্থ রচনা করেন। জেতারি ছিলেন পৃথক লোক। তিনি বজ্রযানের সাধনার ওপর ১০/১১টি গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি তিব্বতে তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম প্রচার করে খ্যাতি পান।

পাল যুগে বাংলা ভাষার উদ্ভব ও প্রসার

  • (১) পাল যুগে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের নবজন্ম হয়। এর আগে লোকের মুখের ভাষা ছিল মাগধী বা মাগধী প্রাকৃতের অপভ্রংশ। পাল যুগ হতে বাংলা ভাষা তার নিজস্ব রূপ পেতে আরম্ভ করে। লোকের মুখের ভাষাকে অবলম্বন করে বাংলা ভাষার বিকাশ ঘটে।
  • (২) বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা তাদের চর্যাপদে এই নতুন মুকুলিত ভাষা ব্যবহার করেন। এই ভাষা মাগধী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক নতুন বেগে বাড়তে থাকে। মাগধী ও সৌরসেনীর মিশ্রণে এই ভাষার নতুন ছাঁদ তৈরি হয়। অনেকের মতে, প্রাকৃতের সঙ্গে অপভ্রংশ ভাষার মিশ্রণে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়।
  • (৩) পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে চারটি মূল্যবান পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেছেন। তার একটিতে ৪৬টি পদ আছে। পণ্ডিত শাস্ত্রীর আবিষ্কৃত এই পাণ্ডুলিপিতে ২২ জন লেখক পদ বা দোহা রচনা করেছেন। ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ৯৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই পদগুলি রচিত হয়।
  • (৪) ডঃ মহম্মদ শহীদুল্লাহ অবশ্য মনে করেন যে, আরও আগে প্রায় সপ্তম খ্রিস্টাব্দে এই পদগুলি রচনার সূত্রপাত হয়। পদগুলি বিভিন্ন গানের আকারে বিভিন্ন রাগিনীতে রচিত। পদগুলিতে বাঙালীর কাব্যপ্রীতি, সঙ্গীত প্রীতি পরিস্ফুটিত হয়েছে। বাঙালী বাউল যে “অচিন পাখী” ও গুরুর খোঁজে একতারা হাতে অজানা পথে বেরিয়ে পড়ে তার সূচনা এই চর্যাপদগুলিতে পাওয়া যায়।
  • (৫) পরবর্তী যুগের পদাবলী সাহিত্য ছিল এই চর্যাপদের ক্রম-পরিণতি। এগুলিকে চর্যাপদ বলা হয়। পয়ার ছন্দে এই পদগুলি লিখিত। আদি বাংলা ভাষার রূপ এই চর্যাপদে দেখা যায়। বাংলা ভাষার উদ্ভবের ফলে বাঙালী ভারতবর্ষে তার স্বাতন্ত্র্য চিরদিনের মত খুঁজে পায়। সুতরাং পাল যুগে ৮০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বাঙালীর সাংস্কৃতিক দিক থেকে নতুনভাবে জন্ম হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়

  • (১) পাল যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ের খুবই প্রসার হয়েছিল। সম্রাট ধর্মপাল তাঁর নিজ নাম বিক্রমশীলদেব অনুসারে বিক্রমশীলা বিহার বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিব্বতী ভাষা ও ধর্ম সম্পর্কে বিশেষ বিভাগ ছিল। এখান থেকে বহু সংস্কৃত গ্রন্থ তিব্বতী ভাষায় অনুদিত হয়।
  • (২) রাজশাহী জেলায় সম্রাট ধর্মপাল সোমপুরী বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। অধুনা বাংলাদেশ -এর পাহাড়পুর অঞ্চলে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এছাড়া পাল সম্রাটরা জগদ্দল, পাণ্ডুভূমি, ত্রৈকুক্ত, দেবীকোটা বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিহারগুলিরও শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে সুনাম ছিল। পাল সম্রাটরা ভুবন-বিখ্যাত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বা বিহারের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। বুদ্ধজ্ঞানপাদ, অতীশ প্রভৃতি ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

পাল যুগের স্থাপত্য

বাংলার পাল যুগের স্থাপত্য ও শিল্পকলার কথা এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য। পাল যুগের স্থাপত্যের বিশেষ কোনো নিদর্শন এখন দেখা যায়নি। কালের করাল স্রোতে সেগুলি ধ্বংস হয়েছে। পাল যুগে যে স্তূপগুলি তৈরি হয় তার অধিকাংশ ছিল “নিবেদক স্তূপ।” যারা বৌদ্ধ তীর্থস্থানে পুজো দিতে আসত তারা এই সকল স্তূপ তৈরি করত। এই স্তূপগুলি নিম্নমানের এবং অধিকাংশ ইটের বা পাথরের তৈরি। ঢাকার আশরফপুরে সপ্তম শতকে তৈরি ব্রোঞ্জের স্তূপের নিদর্শন দেখা যায়। রাজশাহীর পাহাড়পুরে ও চট্টগ্রামের ঝেওয়ারীতে এরূপ দুটি স্তূপ আছে।

পাল যুগের ভাস্কর্য

  • (১) পাল যুগে বাংলার যে স্বাতন্ত্র্য তার রাষ্ট্রীয় অভ্যুত্থান, ভাষা, সাহিত্যের বৈশিষ্ট্যে দেখা দেয়, ভাস্কর্যের ক্ষেত্রেও সেই বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে। গুপ্ত যুগের ভাস্কর্য রীতির একঘেয়েমী মুক্ত হয়ে পাল যুগে বাংলার ভাস্কর্য শিল্প নিজ বৈশিষ্ট্যে মণ্ডিত হয়।
  • (২) ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে পাল যুগের দুই শ্রেষ্ঠ ভাস্কর ছিলেন বীতপাল ও ধীমান। ব্রোঞ্জ, পাথর খোদাই ও চিত্র আঁকার কাজে এঁদের খুবই খ্যাতি ছিল। পোড়ামাটি ও কালো পাথরের ওপরেই পাল যুগের ভাস্কর্য বেশী কাজ করত। প্রধানতঃ মনুষ্য মূর্তি নির্মাণই ছিল পাল ভাস্কর্যের প্রধান বিষয়বস্তু। মূর্তির নির্মাণে নানা “ভঙ্গ” ও “মুদ্রা” ব্যবহার করা হত।

পাল যুগের শিল্প

  • (১) পাল যুগের শিল্প রচনায় ধনী ও বিত্তবান শ্রেণীর আনুকূল্য নিশ্চয় ছিল। ধর্মীয় চিন্তাধারাও এই শিল্পকে নিয়ন্ত্রিত করে। বৌদ্ধ, জৈন, ব্রাহ্মণ্য শিল্পের রীতিগত তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। মূর্তিগুলি প্রধানত কষ্টি পাথরে তৈরি। পিতল, কাসা ও অষ্ট ধাতুর তৈরি মূর্তিও দেখা যায়।
  • (২) মূর্তিগুলি হয় পৃষ্ঠপটের গায়ে ভার দিয়ে ক্ষোদিত অথবা স্বাধীন, স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়ান। নারী মূর্তিগুলি উন্নত বক্ষ, শুরু নিতম্ব, হাতের মুদ্রা শাস্ত্র-সম্মত। নর মূর্তিগুলি সিংহগ্রীব, বৃষস্কন্দ, ক্ষীণ কটি। তান্ত্রিক চিন্তা ও ইন্দ্রিয়তার অভিজ্ঞতা মূর্তিগুলির রচনায় প্রত্যক্ষ। পাল যুগের মৃৎ শিল্পও বিশেষ উন্নত ছিল।

চিত্রকলা

  • (১) পাল যুগের চিত্রকলার নিদর্শন রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল, কেমব্রিজ সংগ্রহশালায় দেখতে পাওয়া যায়। বজ্রযান ও তন্ত্রযানের ধর্মমতকে বিষয়বস্তু করে অধিকাংশ চিত্র আঁকা হয়েছিল। বৌদ্ধ পাণ্ডুলিপিগুলিকে অলঙ্করণের জন্য সম্ভবত এই চিত্রগুলি আঁকা হয়।
  • (২) রাজশাহীর বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি, অক্সফোর্ডের বোডেলিয়ান গ্রন্থাগারেও পাল যুগের চিত্রকলার নিদর্শন রক্ষিত আছে। অনেকে বলেন যে, এই সবগুলি চিত্র বাংলাদেশে রচিত হয়নি। পাল সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে রচিত হয়।

উপসংহার :- পাল যুগে বাংলার সংস্কৃতি বিশেষ বিকাশ লাভ করেছিল। সমকালীন ভাষা, সাহিত্য, শিল্প, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, চিত্রকলা পাল সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছিল।

(FAQ) পাল যুগের সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. পাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?

গোপাল।

২. গোপালের পর কে সিংহাসনে আরোহণ করেন?

ধর্মপাল।

৩. কোন পাল রাজার সময় ত্রিশক্তি দ্বন্দ্ব শুরু হয়?

ধর্মপাল।

৪. পাল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন?

দেবপাল।

৫. পাল যুগের বিখ্যাত ভাস্কর কারা ছিলেন?

ধীমান ও বীতপাল।

Leave a Comment