স্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা

স্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, নির্বাচন ব্যবস্থা, সাংবিধানিক প্রধান শাসক, প্রকৃত শাসক, কেন্দ্রীয় আইনসভা, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগ ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার মূল্যায়ন সম্পর্কে জানবো।

ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে স্বাধীন ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, স্বাধীন ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা, স্বাধীন ভারতের প্রকৃত শাসক, স্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা, স্বাধীন ভারতের বিচার বিভাগ ও স্বাধীন ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে জানব।

স্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা

ঐতিহাসিক ঘটনাস্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা
স্বাধীনতা লাভ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ খ্রি
প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ খ্রি
সংবিধান রচনাবি আর আম্বেদকর
রাষ্ট্রপ্রধানরাষ্ট্রপতি
প্রকৃত শাসকপ্রধানমন্ত্রী
সর্বোচ্চ আদালতসুপ্রিম কোর্ট
স্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা

ভূমিকা :- ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীন ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয়দের সুদীর্ঘ লড়াই এবং ব্রিটিশ শাসননীতি – উভয়েরই প্রভাব পড়েছিল।

আম্বেদকরের মন্তব্য

সংবিধান রচনা পরিষদের সভাপতি বি. আর. আম্বেদকর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫ নভেম্বর বলেন “১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি আমরা একটি পরস্পর বিরোধী জীবনে প্রবেশ করতে চলেছি। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা সাম্যের অধিকার পাব এবং অর্থনৈতিক জীবনে আমরা পাব অসাম্য।”

গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভারত

৪৪৪টি ধারা, ১২টি তপশিল এবং ৯৭টি সংশোধন নিয়ে ভারতীয় সংবিধান বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংবিধান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতবর্ষকে একটি ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ বলে ঘোষণা করা হয়।

ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান তিনটি দিক

স্বাধীন ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান ৩টি দিক আছে। যথা –

  • (A) কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা,
  • (B) অঙ্গরাজ্যের বা স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা,
  • (C) কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক।

কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা

ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় প্রধান দিকগুলি হল –

(ক) গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা

  • (১) জনসংখ্যার বিচারে ভারতবর্ষে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিনটি গণতান্ত্রিক আদর্শ – সুবিচার, স্বাধীনতা এবং সাম্য স্বীকৃতি লাভ করেছে।
  • (২) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে একই সময়ে পথ চলা শুরু করেও পরবর্তীকালে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ-এর গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বারবার আঘাত পেয়েছে। সেই বিচারে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে ভারতীয় জনগণ যথেষ্ট কৃতিত্বের দাবি করতে পারে।

(খ) ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র

  • (১) সংবিধান অনুসারে ভারতবর্ষ হল একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ভারত কোনো একটি বা একাধিক বিশেষ ধর্মকে অগ্রাধিকার বা রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নি। নিজেদের ইচ্ছানুসারে যে-কোনো ধর্ম গ্রহণ বা ধর্মাচরণের অধিকার ভারতীয়দের আছে।
  • (২) ভেঙ্কটরমনের মতে, “রাষ্ট্র কোনো ধর্মের পৃষ্ঠপোষক নয়, কোনো ধর্মের বিরোধীও নয় বা অধার্মিকতার আশ্রয়স্থলও নয়। সকল প্রকার ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং কার্যকলাপ থেকে সম্পর্কমুক্ত হয়ে ধর্ম সম্পর্কে রাষ্ট্র নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।”

(গ) নির্বাচন ব্যবস্থা

  • (১) ভারতীয় শাসনব্যবস্থার একটি অন্যতম স্তম্ভ হল নির্বাচন ব্যবস্থা। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভারতীয় জনগণ কেন্দ্র ও প্রদেশগুলির শাসক নির্বাচন করেন। স্বাধীনতা লাভের পর ভারতে ১৯৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরিচালনার উদ্দেশ্যে ভারতের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেনের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।
  • (২) ২১ বছর ও তাঁর বেশি বয়সের ১৭ কোটি ৩০ লক্ষ ভোটদাতা এই প্রথম নির্বাচনে ভোট দেয়। এই নির্বাচনে ১৪টি জাতীয় দল, ৬৩টি আঞ্চলিক দল এবং বহু নির্দল প্রার্থী অংশ নেয়। লোকসভার ৪৮৯টি এবং রাজ্য বিধানসভার ৩২৮৩টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় কংগ্রেস লোকসভার ৭৫ শতাংশ এবং রাজ্য বিধানসভার ৬৮.৫ শতাংশ আসনে জয়লাভ করে।
  • (৩) মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল ব্রেচারের মতে, এই নির্বাচন ছিল ভারতের রাজনৈতিক গণতন্ত্রের প্রথম বৃহত্তম পরীক্ষা। ভারত সসম্মানে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ড. বিপান চন্দ্রের মতে এই নির্বাচন ছিল পৃথিবীর যে-কোনো দেশের তুলনায় গণতন্ত্রের বৃহত্তম পরীক্ষা, যা স্বাধীন ভারতের গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করে।

(ঘ) ব্রিটিশ ও মার্কিন রীতির মিশ্রণ

  • (১) ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক কাঠামোর কিছু কিছু উপাদান গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন – ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স-এর অনুকরণে ভারতের আইনসভার নিম্নকক্ষ অর্থাৎ লোকসভার সৃষ্টি হয়েছে।
  • (২) আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার অনুকরণে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে ২৮টি অঙ্গরাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে।

(ঙ) সাংবিধানিক প্রধান শাসক

  • (১) সংবিধান অনুসারে, ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি পাঁচ বছরের জন্য নিযুক্ত হন। প্রকৃতপক্ষে তিনি হলেন ইংল্যান্ড-এর রাজা বা রানির মতোই নামসর্বস্ব বা নিয়মতান্ত্রিক শাসক। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে দেশ শাসন করেন। কেন্দ্রীয় আইনসভা কোনো আইন পাস করতে চাইলে তাতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন হয়।
  • (২) সংবিধান অনুসারে, রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্টের বিলে সম্মতি দিতে বাধ্য। তবে দেশে জরুরি অবস্থা ও অন্য কয়েকটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রকৃত শাসক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। এ ছাড়া একজন উপরাষ্ট্রপতি থাকেন যিনি আইনসভার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করেন।

(চ) প্রকৃত শাসক

ভারতের প্রকৃত শাসক হলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন। প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদ গঠন করেন।

(ছ) কেন্দ্রীয় আইনসভা

ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা বা পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। এর নিম্নকক্ষের নাম লোকসভা এবং উচ্চকক্ষের নাম রাজ্যসভা।

  • (১) সংবিধান অনুসারে, লোকসভার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা হতে পারে ৫৫২ জন। এর মধ্যে ৫৩০ জন বিভিন্ন রাজ্য থেকে, ২০ জন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে এবং ২ জন রাষ্ট্রপতির দ্বারা মনোনীত হয়ে আইনসভায় যান। ভারতে বর্তমানে লোকসভার সদস্য সংখ্যা হল ৫৪৫ জন। লোকসভার মেয়াদ হল ৫ বছর।
  • (২) সংবিধান অনুসারে, রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা হল ২৫০ জন। এদের মধ্যে ১২ জন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত এবং বাকি সদস্যরা বিধানসভার সদস্যদের দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার সদস্যরা ৬ বছর এইপদে বহাল থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ে নিম্নকক্ষ আইনসভা বেশি ক্ষমতা ভোগ করে।

(জ) মৌলিক অধিকার

  • (১) ড. আম্বেদকর ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে বলেছিলেন যে, ভারতীয়রা নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাম্যের অধিকার পাবে। এই উদ্দেশ্যে সংবিধানের ১২ থেকে ৩৫ নং ধারায় নাগরিকদের কতকগুলি মৌলিক অধিকার দান করাও হয়েছে।
  • (২) মৌলিক অধিকারগুলির মধ্যে অন্যতম হল সাম্যের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার, সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার প্রভৃতি। প্রসঙ্গত, প্রথমে সম্পত্তির অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এই অধিকার খর্ব করা হয়।
  • (৩) এই অধিকারগুলি লঙ্ঘিত হলে আদালত নাগরিকদের সেই অধিকার ফিরিয়ে দেবে। তবে বাস্তবক্ষেত্রে রাষ্ট্রের হাতে এমন কিছু অধিকার তুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে রাষ্ট্র তার প্রয়োজনমতো নাগরিকদের এই অধিকারগুলি খর্ব করতে পারে। নিবর্তনমূলক আটক আইন-সহ বিভিন্ন দমনমূলক আইন প্রণয়নের দ্বারা সরকার নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করতে পারে।

(ঝ) নির্দেশমূলক নীতি

ভারতীয় সংবিধানের ৩৯ থেকে ৫১ নং ধারায় নাগরিকদের জন্য কতকগুলি নির্দেশমূলক নীতি উল্লেখ রয়েছে। নির্দেশমূলক নীতিগুলির মধ্যে অন্যতম হল কাজের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, দারিদ্র্য ও অপুষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকার প্রভৃতি। মৌলিক অধিকারগুলি আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য হলেও নির্দেশমূলকনীতিগুলি আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য নয়।

(ঞ) বহুদলীয় ব্যবস্থা

ভারতে বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। জাতীয় কংগ্রেস, বি.জে.পি., সি.পি.আই.(এম.), সমাজবাদী পার্টি, প্রভৃতি জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলি ছাড়াও ভারতে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো বহু আঞ্চলিক দলের অস্তিত্ব রয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর ভারতে সবচেয়ে বেশিদিন কেন্দ্রে সরকার পরিচালনা করেছে জাতীয় কংগ্রেস দল। সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রে সরকার গঠনে আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্ব যথেষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে।

(ট) বিচার বিভাগ

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত হল সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিমকোর্টে প্রধানবিচারপতি-সহ মোট ২৬ জন বিচারপতি থাকতে পারেন। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতির দ্বারা নিযুক্ত হন। বিচারপতিরা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকতে পারেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার মূল্যায়ন

ভারতে সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য সত্ত্বেও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার গণতান্ত্রিক কাঠামোর উন্নত রূপ এখনও ভারতীয় গণতন্ত্র লাভ করতে পারে নি। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে মহাত্মা গান্ধির হত্যাকাণ্ড, ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ইন্দিরা গান্ধির হত্যাকাণ্ড, ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে রাজীব গান্ধির হত্যাকাণ্ড প্রভৃতি তারই প্রমাণ দেয়। ভারতীয় নির্বাচনে এখনও সাম্প্রদায়িকতার যথেষ্ট প্রভাব দেখা যায়। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের একটি বড়ো অংশই সীমাহীনভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত।

উপসংহার :- সর্বোপরি দেশের অগণিত দরিদ্র ও নিরক্ষর মানুষের কাছে সাংবিধানিক সাম্য ও স্বাধীনতার অধিকার এখনও প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। তা সত্ত্বেও এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, প্রতিবেশী অন্যান্য রাষ্ট্রের তুলনায় ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা অনেকটাই সফল।

(FAQ) স্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ভারত স্বাধীন হয় কবে?

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট।

২. ভারতের প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় কখন?

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি।

৩. ভারতের সংবিধান রচনা করেন কে?

বি আর আম্বেদকর।

৪. স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কখন?

১৯৫১-৫২ সালে।

৫. ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার কে ছিলেন?

সুকুমার সেন।

৬. ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান কে?

রাষ্ট্রপতি।

৭. ভারতের প্রকৃত শাসক কে?

প্রধানমন্ত্রী।

৮. ভারতের সর্বোচ্চ আদালত কোনটি?

সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Comment