ভারতের সুপ্রিম কোর্ট -এর গঠনের ইতিহাস, বিচারপতিদের নিয়োগ পদ্ধতি, যোগ্যতা, কার্যকাল, পদচ্যুতি, বেতন ও ভাতা, সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকা, আপিল এলাকা, পরামর্শদান এলাকা, আদেশ, নির্দেশ ও লেখ জারির এলাকা এবং অন্যান্য কার্যাবলী সম্পর্কে জানবো।
ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বা আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান, সুপ্রিম কোর্টের স্থাপনাকাল, সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার আইন, সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি, মাদ্রাজে সুপ্রিম কোর্টের স্থাপনাকাল, সুপ্রিম কোর্টের গঠন ও কার্যাবলি, সুপ্রিম কোর্টের এলাকা, সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার, কলকাতায় সুপ্রিম কোর্টের স্থাপনাকাল, সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতির সংখ্যা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বেতন ও ভাতা।
সুপ্রিম কোর্ট
অধিক্ষেত্র | ভারত |
অবস্থান | ভগবান দাস রোড, নতুন দিল্লি |
অনুমোদনকর্তা | ভারতের সংবিধান |
বিচারকের মেয়াদ | ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত |
নীতিবাক্য | यतो धर्मस्ततो जयः (যেখানে ধর্ম সেখানে জয়) |
ভূমিকা :- আমাদের দেশ ভারতবর্ষ -এর অখন্ড বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই কোর্ট ভারতীয় সংবিধানের ব্যাখ্যা দান করে জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত হিসেবে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা বজায় রেখে থাকে। এদিক থেকে ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট অসামান্য গুরুত্বের অধিকারী।
ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সুপ্রিম কোর্ট
সর্বোচ্চ বিচারবিভাগীয় অধিকরণ ও ভারতের সংবিধানের অধীনে সর্বোচ্চ আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সাংবিধানিক পর্যালোচনার অধিকারপ্রাপ্ত।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের গঠনের ইতিহাস
- (১) ১৮৬১ সালে ভারতীয় হাইকোর্ট আইন পাস হয়। এই আইন দ্বারা বিভিন্ন প্রদেশে হাইকোর্ট গঠিত হয় এবং কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বাই সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্সি শহরগুলির সদর আদালত অবলুপ্ত করা হয়।
- (২) নবগঠিত হাইকোর্ট গুলি সকল মামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে কাজ করতে থাকে।
- (৩) ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন বলে ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া গঠিত হয়। এখানে বিভিন্ন প্রদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজ্যগুলির মধ্যে বিবাদ নিরসন ও হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করা হত।
- (৪) ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তদনীন্তন ভারতের সর্বোচ্চ বিচারব্যবস্থার দুই কেন্দ্র ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া ও জুডিশিয়াল কমিটি অফ দ্য প্রিভি কাউন্সিলের পরিবর্তে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বা সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।
- (৫) প্রথম দিকে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সংসদ ভবনের চেম্বার অফ প্রিন্সেস কক্ষে বসত। এখানেই ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া বসত।
- (৬) ভারতের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন স্যার এইচ. জে. কানিয়া। প্রথম বাঙালী প্রধান বিচারপতি স্যার বিজন কুমার মুখার্জী।
- (৭) ১৯৫৮ সালে সর্বোচ্চ আদালত তার বর্তমান ভবনে উঠে আসে। প্রথম দিকে ভারতের সংবিধান সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে একজন প্রধান বিচারপতি ও ৭ জন বিচারপতির ব্যবস্থা রেখেছিল এবং বিচারপতির সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষমতা সংসদের হাতের ন্যস্ত করেছিল।
- (৮) প্রথম বছরগুলিতে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বছরে ২৮ দিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে অবধি বসত।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গঠন
২০১১ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত আইন অনুসারে ১ জন প্রধান বিচারপতি এবং সর্বাধিক ৩০ জন অন্যান্য বিচারপতি-সহ মােট ৩১ জন বিচারপতি নিয়ে বর্তমানে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট গঠনের কথা বলা হয়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ােগ পদ্ধতি
- (১) সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতি বিচারপতিদের নিয়ােগ করেন। রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন বিচারপতিদের নিয়ােগের পূর্বে সুপ্রিমকোর্ট বা হাইকোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার, তাহলে তিনি তাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।
- (২) প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্যান্য বিচারপতি নিয়ােগের পূর্বে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করা বাধ্যতামূলক।
- (৩) প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে যে পরামর্শ দেন সেই পরামর্শ অনুযায়ীই বিচারপতিগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের যোগ্যতা
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে হলে একজন ব্যক্তিকে
- (ক) ভারতের নাগরিক হতে হবে।
- (খ) হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- (গ) ১০ বছর অ্যাডভােকেট হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং তিনি রাষ্ট্রপতির মতে বিশিষ্ট আইনজ্ঞ হবেন।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কার্যকাল
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত পদে আসীন থাকতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণের পদচ্যুতি
- (১) বিচারপতির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন অথবা সংসদের প্রস্তাব অনুসারে রাষ্ট্রপতি তাকে ইমপিচমেন্ট পদ্ধতির সাহায্যে পদচ্যুত করে থাকেন।
- (২) অসদাচরণ অথবা উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ সংক্রান্ত কোনাে প্রস্তাব পার্লামেন্ট (সংসদ) -এর উভয় কক্ষে উপস্থিত হলে এবং ভােটদানকারী সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের ও প্রত্যেক কক্ষের মােট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের দ্বারা সমর্থিত হলে প্রস্তাবটি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়। রাষ্ট্রপতি ওই প্রস্তাব অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিচারপতিকে পদচ্যুত করে থাকেন।
- (৩) অবসর গ্রহণের পর কোনাে বিচারপতি ভারতের কোনাে আদালতে ওকালতি করতে পারেন না। বিচারপতিগণের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্যই সংবিধানে এই ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেতন ও ভাতা
- (১) বিচারপতিগণের বেতন ও ভাতা সংবিধানের দ্বিতীয় তপশিলে নির্দিষ্ট করা আছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মাসিক ২,৮০,০০০ টাকা ও অন্যান্য বিচারপতিরা ২,৫০,০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
- (২) বিচারপতিদের বেতন ও ভাতা ভারতের সঞ্চিত তহবিল থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া বিচারপতিরা অন্যান্য ভাতা ও সুযোগ সুবিধা ভােগ করে থাকেন।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলি
ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট দ্বৈত ভূমিকা (Dual role) পালন করে থাকে তাই সুপ্রিমকোর্টকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করতে হয়। সুপ্রিমকোর্টের কর্মক্ষেত্রের মূলত চারটি এলাকা রয়েছে। এই এলাকাগুলির মধ্য দিয়েই সুপ্রিমকোর্ট তার যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে। এই এলাকাগুলি হল –
- (১) মূল এলাকা।
- (২) আপিল এলাকা।
- (৩) পরামর্শদান এলাকা।
- (৪) আদেশ, নির্দেশ ও লেখ জারি এলাকা।
(১) ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকা
সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকার বিষয়গুলি হল –
- (ক) ভারতীয় সংবিধানের ১৩১ নং ধারা অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকা যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত বিরােধের মীমাংসা করে থাকে।
- (খ) কোনো বিরােধের সঙ্গে যদি এমন প্রশ্ন জড়িত থাকে যার উপর বৈধ অধিকারের অস্তিত্ব ও প্রসার নির্ভর করে এবং সেই বিরােধের এক পক্ষ যদি ভারত সরকার হয় তাহলে অপরপক্ষ হবে এক বা একাধিক রাজ্য সরকার। অথবা উভয় পক্ষই যদি রাজ্য সরকার হয় তাহলে সেই বিরােধের মীমাংসা সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকায় হয়ে থাকে।
- (গ) সংবিধানের ৭১(১) নং ধারায় উল্লেখ আছে, সুপ্রিমকোর্টের মূল এলাকা রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনােরকম বিরােধ সৃষ্টি হলে তার মীমাংসা করতে পারে। এই কারণে সুপ্রিম কোর্টের মূল এলাকা অনন্য এলাকা বলেও অভিহিত করা হয়।
(২) ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আপিল এলাকা
ভারতের যে-কোনাে রাজ্যের হাইকোর্টের রায় বা ডিক্রির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল এলাকা চার ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন –
(ক) সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আপিল
সংবিধানের ১৩২ (১) নং ধারা অনুসারে দেওয়ানি, ফৌজদারি কিংবা অন্য যে কোনো মামলার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে হাইকোর্ট যদি এই মর্মে একটি সার্টিফিকেট দেয় যে উক্ত মামলার সঙ্গে সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত রয়েছে, তাহলে সেই মামলা বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা যায়।
(খ) দেওয়ানি আপিল
সংবিধানের ১৩৩ (১) নং ধারায় উল্লেখ আছে যে, কোনো দেওয়ানি মামলায় হাইকোর্টের রায় বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করা যায়। যদি হাইকোর্ট এই মর্মে প্রমাণপত্র দেয় যে, সংশ্লিষ্ট মামলাটির সঙ্গে আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত আছে তাহলে সেই মামলার বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করা যায়।
(গ) ফৌজদারি আপিল
যদি হাইকোর্ট কোনাে অভিযুক্ত ব্যক্তির যুক্তির আদেশ বাতিল করে তাকে মৃত্যুদণ্ড ঘােষণা করে, নিম্ন আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত কোনাে ব্যক্তিকে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড প্রদান করলে, যদি কোনাে মামলা সুপ্রিম কোর্টে আপিল যোগ্য এই মর্মে হাইকোর্ট নিজে থেকে কোনো সার্টিফিকেট প্রদান করলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যেতে পারে।
(ঘ) বিশেষ অনুমতি সূত্রে আপিল
সংবিধানের ১৩৬ (১) নং ধারা অনুসারে যে-কোনাে আদালত বা ট্রাইবুনালের রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার বিশেষ অনুমতি সুপ্রিমকোর্ট নিজেই প্রদান করতে পারে।
(৩) ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শদান এলাকা
সংবিধানের ১৪৩ (১) নং ধারায় উল্লেখ করা রয়েছে যে, সর্বজনীন গুরুত্ব রয়েছে এমন কোনাে আইন বা তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্ন রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ চাইতে পারেন। সংবিধানের ১৪৩ (২) নং ধারানুযায়ী সংবিধান চালু হওয়ার আগে সম্পাদিত সন্ধিচুক্তি, অঙ্গীকারপত্র যা আজ পর্যন্তও বলবৎ রয়েছে, সে বিষয়ে কোনাে বিরােধ দেখা দিলে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে আইনগত পরামর্শ চাইতে পারেন।
(৪) ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ, নির্দেশ ও লেখ জারির এলাকা
সুপ্রিমকোর্ট ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত এবং তৃতীয় অধ্যায়ে উল্লিখিত নাগরিকদের মৌলিক অধিকার -এর রক্ষাকর্তা হিসেবে চিহ্নিত। তাই ৩২ নং ধারানুসারে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি ক্ষুন্ন হলে তার প্রতিকার সুপ্রিম কোর্ট করে থাকে। এই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়ােজনমতাে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। যেমন –
(ক) বন্দি-প্রত্যক্ষীকরণ
এটি হল গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে আদালতে সশরীরে উপস্থিত করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ।
(খ) পরমাদেশ
এটি হল ব্যক্তি সরকার বা অন্য কোনো সংস্থাকে নিজের আইন নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে বলার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ।
(গ) প্রতিশেধ বা নিষেধাজ্ঞা
এটি হল নিম্ন আদালতকে তার এলাকার বাইরে গিয়ে কাজ করতে নিষেধ করার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ।
(ঘ) অধিকার পৃচ্ছা
এটি হল উপযুক্তহীন বা যোগ্যতাহীন ব্যক্তি কোনো পদের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলে বা ভোগ করার দাবি করলে তার একরকম ভোগ বা দাবির যথার্থ জিজ্ঞাসা করার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ।
(ঙ) উৎপ্রেষণ
এটি হল নিম্ন আদালতে কোন মামলার সুবিচার হওয়া সম্ভব নয় মনে করলে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক সেই মামলাটিকে তুলে নেওয়ার আদেশ।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য কার্যাবলী
উপরোক্ত ক্ষমতা ও কার্যাবলিগুলির গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অন্যান্য যেসব দায়িত্ব সুপ্রিমকোর্ট পালন করে থাকে। সেগুলি হল –
- (১) ১২৯ নং ধারা অনুযায়ী অভিলেখ আদালত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।
- (২) সুপ্রিম কোর্ট নিজের অবমাননার জন্য অবমাননাকারীকে শাস্তি প্রদান করা।
- (৩) নিজের দেওয়া রায় বা সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করা প্রভৃতি।
উপসংহার :- ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলােচনার শেষে এর ক্ষমতার পরিধি সহজেই অনুমেয়। সংবিধান বিশেষজ্ঞ আল্লাদি কৃষ্ণস্বামী আয়ারের ভাষায় বলা যায় যে, কাজের পরিধি ও ক্ষমতার বৈচিত্র্যের দিক থেকে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের অবস্থান এক ও অদ্বিতীয়।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “সুপ্রিম কোর্ট” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ।
নতুন দিল্লি।
মূল এলাকা, আপিল এলাকা, পরামর্শদান এলাকা, আদেশ, নির্দেশ ও লেখ জারি এলাকা।
একজন প্রধান বিচারপতি ও ৩০ জন অন্যান্য বিচারপতি।