ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁ

ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁ প্রসঙ্গে ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে শিক্ষাগত বিষয়, পণ্ডিত ব্যক্তিদের সমাবেশ, ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস সম্পর্কে বিরোধী মন্তব্য, ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে ল্যাটিন কবিতা, ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে সাহিত্যের নিদর্শন, ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসের অঙ্গ মিনুস্কুল, লাইব্রেরি ও ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে শিল্পকলা সম্পর্কে জানবো।

শার্লেমেনের আমলে ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁ বা নবজাগরণ প্রসঙ্গে ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে পণ্ডিত ব্যক্তিদের সমাবেশ, ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে ল্যাটিন কবিতা, ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে শিল্পকলা ও ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস সম্পর্কে বিরোধী মন্তব্য বিষয়ে জানব।

ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁ

ঐতিহাসিক ঘটনাক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস
কৃতিত্বশার্লামেন
Palace Schoolআখেন নগর
বিখ্যাত পণ্ডিতআলকুইন
বাইবেল বিশেষজ্ঞAngilbert
প্রাসাদআখেন, আই লা শ্যাপেল
ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁ

ভূমিকা :- ইউরোপ -এর ইতিহাসে ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছিল। মৃতপ্রায় সংস্কৃতি ও শিক্ষার ধারাকে জীবন্ত করার ক্ষেত্রে ক্যারোলিঞ্জিয় সম্রাট শার্লামেন সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি কোনো কাজই ফেলে রাখেন নি, যখন যা করার তা তিনি করেছেন।

ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস

খ্রিস্টান সম্রাট হিসাবে তিনি কেবলমাত্র তাঁর কর্তব্যই পালন করেন নি, তিনি শিক্ষার ধারাকে সকলের মধ্যে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। তার সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে সাহিত্যক্ষেত্রে এবং দর্শনের ক্ষেত্রে পুনর্জাগরণের দিকগুলিকে ‘ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

শার্লামেণের আমলে ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে শিক্ষাগত বিষয়

  • (১) আখেনের “Palace School” ছিল জ্ঞান ও শিক্ষার পুনর্জাগরণের কেন্দ্রস্বরূপ। এই বিদ্যালয়টির পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ড-এর বিখ্যাত পণ্ডিত আলকুইনকে। শার্লামেন স্বয়ং এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষালাভ ও জ্ঞানার্জনের জন্য আসতেন। শার্লামেন বই পড়তে জানলেও লিখতে জানতেন না বলে মনে করা হয়।
  • (২) ‘Palace School’-এ শার্লামেন তাঁর পত্নী, নিকট আত্মীয় এবং রাজকর্মচারীদের যোগদান করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। York-এর Alexin ছিল “Palace School” এর প্রধান ব্যক্তিত্ব। ক্যারোলিঞ্জিয়ান রেনেসাঁসের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন।
  • (৩) এই বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের জন্য শার্লামেন পূর্ব এবং পশ্চিম থেকে বহু পণ্ডিত ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ করে এনেছিলেন। এদের মধ্যে ঐতিহাসিক Paul the Deacon, Monte Cassino এবং পিসার Peter প্রমুখরা উল্লেখযোগ্য ছিলেন। Theodulf স্পেন থেকে এসেছিলেন। তিনি এই সময়কালে সভাকবি হিসাবে কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।
  • (৪) এই সময়কালের একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন Einhard। তিনি “Palace School” এ শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়েছিলেন এবং শার্লামেনের জীবনীকার হিসাবে তিনি পরিচিত ছিলেন। খ্রিস্টানজগৎ-এর নামকরা বিদ্যালয়গুলির মধ্যে “Palace School” পরিচিতি লাভ করেছিল।
  • (৫) শিক্ষার জগৎ-এ মঠের বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত Fulda, Tours এবং Reichenau উল্লেখ্যনীয়। শার্লামেন তাঁর সাম্রাজ্য-এ বিদ্যালয় স্থাপন করে শিক্ষার মান উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন।

পণ্ডিত ব্যক্তিদের সমাবেশ

  • (১) ইতালির পিসা শহরের পণ্ডিত ছিলেন Peter। তিনি ছিলেন একজন ব্যাকরণবিদ। শার্লামেন শিক্ষা বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে রেখেছিলেন, তাঁর সাম্রাজ্যে প্রকৃত পণ্ডিত ও গুণী ব্যক্তির অভাব রয়েছে। তাই তিনি বিখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তিদের তাঁর রাজ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
  • (২) এইরকমভাবে পিটার এবং পণ্ডিত Paulinus এসেছিলেন। Paulinus ব্যাকরণবিদ, কবি এবং ধর্মতত্ত্ববিদ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। পল দ্য ডেকন যিনি “History of the Lombards” নামক একটি গ্রন্থ লিখে জনপ্রিয় হয়েছিলেন।
  • (৩) শার্লামেনের সময়কালে আলকুইন অলঙ্কারশাস্ত্রে, ব্যাকরণ, বানান প্রভৃতি বিষয়ে পাণ্ডিত্য দেখিয়েছিলেন। ভিসিগথ বংশের Theodulf কবি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন।
  • (৪)  Angilbert যিনি St. Riquier -এর Abbot ছিলেন, পরবর্তী সময়ে তিনি পাণ্ডুলিপি সংগ্রাহক হিসাবে পরিচিত হন। তিনি প্রায় ২০০টি পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেছিলেন। শার্লামেনের জীবনীকার হিসাবে Einhard গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। শার্লামেনের সময়কালে সাংস্কৃতিক উন্নতির বিষয়টি তিনি তাঁর লেখায় বারবার উল্লেখ করেছেন।

ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস সম্পর্কে বিরোধী মন্তব্য

  • (১) H. Pirenne ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসকে “অধঃপতন” বলে অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত দিকটিই লক্ষ্য করা যায়। ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁস সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পধারাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসের দিকটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন শার্লামেন।
  • (২) ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের সাথে ধ্রুপদী সংস্কৃতির পতন হয়েছিল বলে মনে করা হয়। ক্যারোলিঞ্জিয় সময়কালে এই ধ্রুপদী বা সনাতন ঐতিহ্যে ফিরে যাওয়ার দিকটিকেই রেনেসাঁস বলে অভিহিত করা হয়েছিল।
  • (৩) খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান গ্রন্থগুলি ল্যাটিন ভাষায় লেখা হয়েছিল। তাই খ্রিস্টানদের ধর্মীয় চিন্তাধারা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ল্যাটিন ভাষা শেখার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছিল। ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসের ক্ষেত্রে ল্যাটিন ভাষার কদর বেড়ে যায়।

শার্লামেণের আমলে ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে ল্যাটিন কবিতা

  • (১) Theodulf এর কবিতাগুলিতে শার্লামেনের রাজদরবারের চমৎকার চিত্র ফুটে উঠেছিল। তাঁর কবিতার ভাষা ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। M.C. W. Laistner তাঁর “Thought and Letters in Western Europe” গ্রন্থে Theodulf এর ভাষায় আকর্ষণীয় দিকগুলির বর্ণনা দিয়েছেন।
  • (২) ক্যারোলিঞ্জিয় সময়কালে ল্যাটিন ভাষায় লেখা কবিতা পাওয়া গিয়েছিল P. S. Allen এবং H. M. Jones তাঁদের “The Romanesque Lyric” গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন, ক্যারোলিঞ্জিয় সময়কালে ৪ খণ্ড ল্যাটিন কবিতা পাওয়া গিয়েছিল। ‘ভার্জিল’ এবং ‘ওভিদ’ অনুকরণ করে লেখা এই কবিতাগুলি বেশ দীর্ঘ হত।
  • (৩) এই কবিতার বিষয়বস্তুর মধ্যে শার্লামেনের বিজয় অভিযান, খ্রিস্টান ধর্মের বিভিন্ন বিষয়, মঠজীবনের দিকগুলি থাকত। ধর্মকে কেন্দ্র করে কবিতাগুলি লেখা হলেও মানব জীবনের নানান বিষয়, মন বা হৃদয়ের আবেগ এখানে দেখতে পাওয়া যায়। আলকুইনের ভাষায়, “আমি ভয় পাই যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন সমুদ্র আছড়ে পড়ে তার মাথার উপর ঘূর্ণিস্রোতে আটকে পড়ে, স্রোতের নিচে মৃত্যু হাতছানি দেয়।”
  • (৪) Helen Waddell ও “Medieval Latin Lyrics” গ্রন্থে ক্যারোলিঞ্জির সময়কালের কবিতার ভাষাগত দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। Theodulf তাঁর কবিতায় শার্লামেনের রাজদরবারের সৌন্দর্য এবং শিল্পকলা বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। Walafrid Strabo ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি। আপেল গাছের সবুজ অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ তার কবিতায় স্থান পেয়েছিল। শার্লামেনের রাজসভার কবি ও বাইবেল বিশেষজ্ঞ Angilbert ‘হোমার’ নামে পরিচিত ছিলেন।

ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে সাহিত্যের নিদর্শন

  • (১) মেইনজের আর্চ বিশপ Rabanus Maurus পাণ্ডিত্য ও শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব রেখেছিলেন। সেইজন্য তাকে ‘জার্মানির প্রথম শিক্ষক’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল। তাঁর লিখিত বিশ্বকোষের নাম ছিল ‘De Rerum Naturis’। নবম শতকের মাঝামাঝি সময়ে স্যাক্সনির বিখ্যাত পণ্ডিত ও ধর্মতত্ত্ববিদ ছিলেন Gottschalk।
  • (২) Sedulius Scotus নবম শতকের একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি Liege এর একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি সরকার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন। এই গ্রন্থটিতে তৎকালীন জীবনযাত্রার দিকটিও দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।
  • (৩) P. S. Allen এবং H. M. Jones এর লেখা থেকে জানা যায়, Adam সুরা পান করে উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন। যার পরিচয় Adam এর লেখায় পাওয়া যায়। Einhard শার্লামেনের জীবনীকার ছিলেন। Helen Waddell তাঁর “Medieval Latin Lyrics” গ্রন্থে Liege এর বিশপ Hartgar-এর লেখার বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন।
  • (৪) বিশপ Hartgar নিজেকে একজন লেখক হিসাবেই মেলে ধরেছিলেন। জার্মানির বীরত্বের কবিতাগুলির মধ্যে ‘Lay of Hildebrand’ (Hildebrandslied) এর কথা বলা যায়। যেখানে Odovacar এবং Theodoric এর সংগ্রাম এর বিষয়টি লেখা হয়েছে। Savior (Heliand) লেখা হয়েছিল পুরাতন স্যাক্সন ভাষায়, যা উৎকৃষ্ট জার্মান ধারাতে লিখিত হয়েছিল।

শার্লামেণের আমলে ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসের অঙ্গ মিনুস্কুল

রোমে ক্যারোলিঞ্জিয় সময়কালে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ছিল লিপিশৈলীর ব্যবহার। এই সময়ে একধরণের লিপিশৈলীর ব্যবহার শুরু হয়েছিল যে লিপিশৈলীতে পরিষ্কার ও ছোট হাতের অক্ষরে লিপিগুলি সহজেই বুঝতে পারা যেত। পণ্ডিত আলকুইনের সহায়তায় এই লিপিশৈলীর প্রচলন হয়েছিল। এই ধরনের নতুন লিপিশৈলী ‘Minuscule’ নামে পরিচিতি লাভ করেছিল।

ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসের অঙ্গ লাইব্রেরি

  • (১) এই ক্যারোলিঞ্জিয় সময়কালে লাইব্রেরিগুলো দেখাশোনার ভার ছিল মঠগুলির উপর। তাই এই লাইব্রেরিগুলিকে বলা হত মঠের লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরিগুলি ছিল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের ভাণ্ডার। এছাড়া এখানে বিভিন্ন লেখাগুলি নতুন করে লিখে রেখে দেওয়া হত।
  • (২) প্রাচীন সাহিত্যগুলি ক্যাথ্রিডাল বা চার্চ সংরক্ষণ করে রেখেছিল। Lupas নামক একজন Abbot এই সময়কালে লাইব্রেরি বিষয়ে বিশেষ পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি বহু পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেছিলেন এবং তিনি তার বাসস্থানটিকে জ্ঞান ক্ষেত্রে বা পড়াশুনা ও শিক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তুলেছিলেন।

শার্লামেণের আমলে ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসে শিল্পকলা

  • (১) ক্যারোলিঞ্জিয় সময়কালে স্থাপত্য ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান দেখতে পাওয়া যায়। শার্লামেন স্থাপত্য শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতাও করেছিলেন। রাভেনা থেকে বহু বিখ্যাত স্থপতিকে তিনি তার সাম্রাজ্যে এনেছিলেন। কোলোন ও ওয়ামর্স এর বহু প্রাসাদ, মঠ, গির্জায় স্থাপত্য শিল্পের ধারাগুলি প্রশংসার দাবি রাখে।
  • (২) শার্লামেনের সময়কালে বহু গির্জা নির্মাণ করা হয়। আখেন বা আই লা শ্যাপেল ছিল শার্লামেনের রাজধানী। এই রাজধানীতে স্থাপত্য শিল্পের উৎকৃষ্ট নিদর্শন দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। প্রাচীন রোমান খ্রিস্টান ধারা এবং আঞ্চলিক ধারার সংমিশ্রণে ক্যারোলিঞ্জিয় শিল্পকলার বিকাশ হয়েছিল। রোমান স্থাপত্যরীতিতে নির্মাণ করা হয়েছিল আখেন নগরিটি। সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি প্রাসাদগুলির অপরূপ শোভা সকলের নজর কাড়ত।
  • (৩) শার্লামেনের প্রাসাদের পাশে যে চার্চ নির্মাণ করা হয়েছিল তা জাস্টিনিয়ানের সময়ে সানভিতেল গির্জার অনুকরণে করা হয়েছিল। এই চার্চের প্রাসাদস্তম্ভগুলি থিওডোরিকের প্রাসাদস্তম্ভের অনুরূপ রীতিতে তৈরি হয়েছিল। ইতালির বাইজানটাইন রীতি অনুসারে চার্চের মেঝেতে রঙিন মোজাইক পাথরের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ক্যারোলিঞ্জিয় যুগে রোমান বাইজানটাইন শিল্পরীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

উপসংহার :- ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসের দিকটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন শার্লামেন। ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের সাথে ধ্রুপদী সংস্কৃতির পতন হয়েছিল বলে মনে করা হয়। ক্যারোলিঞ্জিয় সময়কালে এই ধ্রুপদী বা সনাতন ঐতিহ্যে ফিরে যাওয়ার দিকটিকেই রেনেসাঁস বলে অভিহিত করা হয়েছিল।

(FAQ) ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. ক্যারোলিঞ্জিয় রেনেসাঁসের অগ্ৰগতিতে কার ভূমিকা ছিল?

সম্রাট শার্লামেন।

২. Palace School কোথায় অবস্থিত ছিল?

আখেন নগরে।

৩. “History of the Lombards” কার লেখা।

পল দ্য ডেকন।

৪. পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয় কখন?

৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে।

৫. শার্লামেনের রাজধানী দুটির নাম কি ছিল?

আখেন ও আই লা শ্যাপেল।

অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি

Leave a Comment