বাইজানটাইন সভ্যতা-সংস্কৃতির নানা দিক

বাইজানটাইন সভ্যতা পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি, যা খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতক থেকে পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এটি মূলত কনস্টান্টিনোপলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। সভ্যতাটি গ্রিক, রোমান এবং খ্রিস্টীয় সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে ওঠে এবং বাইজানটাইন শিল্প, স্থাপত্য, ধর্ম এবং আইন প্রভাবশালী ছিল। বিশেষ করে আইকন চিত্রকলা, গির্জার স্থাপত্য (যেমন: হাগিয়া সোফিয়া), এবং খ্রিস্টীয় ধর্মতত্ত্বের বিকাশে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বাইজানটাইন সংস্কৃতি ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং রাশিয়ান অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।

সমৃদ্ধ বাইজানটাইন সভ্যতা-সংস্কৃতির নানা দিক

ঐতিহাসিক ঘটনা বা গল্পবাইজানটাইন সভ্যতা-সংস্কৃতির নানা দিক
রাজনীতিবাইজানটাইন সাম্রাজ্য ছিল কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত। সম্রাট ছিল সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এবং তাকে “গড’স রিপ্রেজেন্টেটিভ অন আর্থ” হিসেবে গণ্য করা হতো।
ধর্মপূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের প্রধান ধর্ম ছিল খ্রিস্টধর্ম। এটি ছিল অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্র, যা পরে পূর্ব অর্থোডক্স চার্চ নামে পরিচিত হয়।
শিল্প ও স্থাপত্যবাইজানটাইন শিল্প আইকনোগ্রাফি ও মোজাইক কাজে প্রসিদ্ধ। স্থাপত্যে বিশাল গম্বুজযুক্ত গির্জা, বিশেষ করে হাগিয়া সোফিয়া এর অনন্য উদাহরণ।
আইন ও বিচারজাস্টিনিয়ান কোড ছিল বাইজানটাইন আইনের ভিত্তি, যা আধুনিক ইউরোপীয় আইনব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
শিক্ষা ও সাহিত্যবাইজানটাইন শিক্ষায় ধর্মতত্ত্ব, দর্শন এবং ক্লাসিক্যাল গ্রিক সাহিত্য গুরুত্ব পেত। তারা গ্রিক ও রোমান জ্ঞানের সংরক্ষণ ও প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সামরিক শক্তিবাইজানটাইন সামরিক বাহিনী শক্তিশালী ছিল এবং গ্রিক ফায়ারসহ উন্নত যুদ্ধ কৌশল এবং অস্ত্র ব্যবহার করত।
অর্থনীতিসাম্রাজ্যটির অর্থনীতি প্রধানত কৃষি, বাণিজ্য এবং শিপিংয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কনস্টান্টিনোপল বাণিজ্যের একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগ্রিক ভাষা ও সংস্কৃতি ছিল বাইজানটাইন জীবনের মূল ভিত্তি। বাইজানটাইনরা নিজেদের “রোমান” বলে দাবি করলেও তাদের সংস্কৃতি ছিল অনেকটাই গ্রিক।
বাইজানটাইন সভ্যতা-সংস্কৃতির নানা দিক

ভূমিকা :- ইতিহাসের নিরিখে ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতন-এর মধ্যে দিয়ে রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে নি। রোমান সাম্রাজ্যের তথা পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের পতন তথা বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে। সুতরাং রোম-এর ইতিহাসে বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের প্রভাব ছিল বহুমুখী ও সুদূরপ্রসারী।

বাইজানটাইন সভ্যতা-সংস্কৃতির স্বরূপ

পঞ্চদশ শতকের প্রায় মাঝামাঝি সময়কাল পর্যন্ত টিকেছিল বাইজানটাইন সভ্যতা। সাংস্কৃতিক অগ্রগতির ইতিহাসে এই সভ্যতার গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে গড়ে উঠেছিল এক উন্নত সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিতে একদিকে রোমান দেশজ সংস্কৃতি এবং অপরদিকে প্রাচ্যদেশীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায়। আরও সহজভাবে বলা যায় যে-হেলেনীয় বা গ্রিক সভ্যতার পতনের পর কনস্ট্যান্টিনোপলকে কেন্দ্র করেই গ্রিক সভ্যতা টিকেছিল।

সমৃদ্ধ বাইজানটাইন সাম্রাজ্যে নানা জাতির মানুষের বসবাস

এই বাইজানটাইন সাম্রাজ্যে নানা জাতির মানুষের বসবাস ছিল। এদের মধ্যে মিশরীয়, গ্রিক, পারসিক, ইহুদি, সিরীয় ও আর্মেনীয়রা ছিল উল্লেখযোগ্য।

ব্যাবসাবাণিজ্য-অর্থনীতি

(১) পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য তথা বাইজানটাইন অর্থনীতির ভিত্তি যেমন কৃষি ও শিল্প ছিল, ঠিক তেমনি এক্ষেত্রে ব্যাবসাবাণিজ্যের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সম্রাট জাস্টিনিয়ান বিভিন্ন কারণে স্থলপথ ও নৌপথের উন্নতি সাধন করেন। এসময় কনস্ট্যান্টিনোপল হয়ে ওঠে প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র।

(২) চিন, ভারত, মিশর, ইংল্যান্ড, স্পেন, স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশসমূহ এবং আরব উপদ্বীপের সঙ্গে বাইজানটাইনের বাণিজ্য চলত। মেসোপটেমিয়া ও দূর প্রাচ্যের সঙ্গে স্থলপথেও বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল। বাণিজ্যের সুবিধার জন্য জলপথে পাহারায় থাকত বাইজানটাইনের রাজকীয় নৌবাহিনী।

(৩) কনস্ট্যান্টিনোপল থেকে রপ্তানি করা হত-শিল্পকারখানাজাত দ্রব্য এবং কৃষিজ দ্রব্য এবং আমদানি করা হত মদ, মশলা, বিলাসদ্রব্য, রেশম, ধাতব দ্রব্য, চামড়ার সামগ্রী, মূল্যবান পাথর, রং, মশলাপাতি, কারুকার্য করা বস্ত্র, গালিচা ও অলংকার প্রভৃতি।

(৪) কনস্ট্যান্টিনোপল ছাড়া অপর বাণিজ্যকেন্দ্রগুলি হল আলেকজান্দ্রিয়া, অ্যান্টিয়ক, সাইরেনাইকা, টায়ার, দামেস্ক প্রভৃতি। বাইজানটাইনের অর্থনীতির স্মারক হিসেবে স্বর্ণমুদ্রার প্রচলন হয়। শিল্প ও বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নতি বাইজানটাইন সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেছিল।

পূর্ব রোমান বা বাইজনটাইন সমাজাজীবন

বাইজানটাইন সমাজ ছিল মিশ্র প্রকৃতির। এই সমাজের একদিকে ছিল ধনী শ্রেণির মানুষ এবং অন্যদিকে ছিল দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। ধনীরা অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন সম্রাট, পারিষদবর্গ, সামন্তপ্রভু ও যাজক সম্প্রদায়। অন্যদিকে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ বলতে শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষকে বোঝায়। এদের অনাহার ও অর্ধাহারে দিন কাটত। অনেকে অবশ্য বণিক ও কারখানার মালিকদের বাইজানটান সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণি বলে মনে করেছেন। এই সমাজে দাসপ্রথার অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করা হয়।

বাইজনটাইন ধর্মীয় জীবন

ধর্ম ছিল বাইজানটাইন সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বাইজানটাইন সমাজে খ্রিস্টধর্ম কেবলমাত্র ব্যক্তিগত ধর্ম নয়, রাষ্ট্রীয় ধর্মে রূপান্তরিত হয়। প্রথম দিকে এই ধর্মকে নিয়ন্ত্রণ করত অর্থোডক্স চার্চগুলি। বাইজানটাইন সমাজে ধর্মের বিশেষ প্রভাব ছিল। ফলে সমাজে চার্চ, মঠ ও যাজকশ্রেণি একটি স্বতন্ত্র শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়। গির্জার অধীনে থাকা প্রচুর ভূ-সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছিল যাজকরাই। চার্চগুলি অনেকসময় রাজনৈতিক ব্যাপারেও হস্তক্ষেপ করত। সাধারণ মানুষের ধর্মের প্রতি তীব্র আসক্তি ছিল। যদিও এ সময় রোমের পোপতন্ত্র ও কনস্ট্যান্টিনোপলর অর্থোডক্স চার্চের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

পূর্ব রোমান বা বাইজানটাইন শিল্পকলা

প্রথম দিকে বাইজানটাইন শিল্পকলায় রোমান শিল্পকলারই বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায়। পরবর্তীকালে এই শিল্পকলা একদিকে হেলেনীয় এবং অন্যদিকে সাসানীয় শিল্পকলার দ্বারা প্রভাবিত হয় ও অনুপম শিল্পকলার রূপ নেয়। সেক্ষেত্রে বাইজানটাইন শিল্পকলাকে একটি মিশ্র শিল্পকলা বলা যায়। বাইজানটাইন শিল্পকলার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলি খুঁজে পাওয়া যায় তার স্থাপত্য, ভাস্কর্য এবং চিত্রকলায়।

(১) স্থাপত্যশিল্প

বাইজানটাইন শিল্পকলার উৎকর্ষের পরিচয় পাওয়া যায় তার স্থাপত্যশিল্পে। এই শিল্পে রোমান, গ্রিক ও প্রাচ্য শিল্পধারার সংমিশ্রণ ঘটেছিল। এই শিল্পে স্থাপত্যে অলংকরণ, প্রতীক, খিলান, গম্বুজ প্রভৃতি ব্যবহারের ধারণা এসেছিল প্রাচ্য থেকে। বিশাল কক্ষে সারি সারি স্তম্ভের ব্যবহার এবং অলংকরণের ধারণা এসেছিল রোমান শিল্পরীতি থেকে। তেমনি অন্যান্য বৈশিষ্ট্য এসেছিল গ্রিক শিল্পধারা থেকে। বাইজানটাইন সম্রাটদের মধ্যে জাস্টিনিয়ান ছিলেন স্থাপত্য শিল্পের একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তাঁর আমলে হাইয়া সোফিয়া (Hagia Sophia) বা সান্তা সোফিয়া গির্জাসহ অন্যান্য গির্জা এবং সাধারণ প্রাসাদ ও অট্টালিকা নির্মিত হয়। হাইয়া সোফিয়া গির্জা স্থাপত্য শিল্পের এক অনুপম নির্দশন। প্রায় দশ হাজার লোক পাঁচ বছর পরিশ্রম করে এটি নির্মাণ করেন। এর প্রধান স্থপতি ছিলেন মিলেটাসের ইসিডোরাস এবং ট্রালেসের আস্থেমিয়াস। হাইয়া সোফিয়া গির্জার বিশাল আকৃতি, বিশালাকার কেন্দ্রীয় গম্বুজ, পাথর ও রংবেরং-এর মোজাইকের সাবলীল ব্যবহার বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের উন্নত স্থাপত্য শিল্পের পরিচায়ক। ভেনিসের সেন্ট মার্কের গির্জাটিও এই আমলের অনুপম স্থাপত্য নির্দশন রূপে চিহ্নিত।

(২) ভাস্কর্য শিল্প

বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের ভাস্কর্য শিল্পের ক্ষেত্রেও উন্নতির পরিচয় পাওয়া যায়। তবে এইসব ভাস্কর্য নিদর্শন ছিল ক্ষুদ্রাকার। ভাস্কর্য শিল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল হাতির দাঁতের কারুকার্য, বই-এর মলাট, ভস্মাধার, সূচিকর্ম, সোনা ও এনামেলের কাজ প্রভৃতি।

(৩) চিত্রকলা

বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অবদান তার অনুপম চিত্রকলা। বাইজানটাইন শিল্পীরা নানাভাবে এই চিত্রকলা ফুটিয়ে তুলেছেন। চার্চের দেয়ালে মোজাইক, বর্ণিল কাচের টুকরো ও পাথর ব্যবহারে শিল্পীরা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এ ছাড়া চিত্রকলার প্রমাণ পাওয়া যায় হাতির দাঁতের শিল্পকর্মে, পান্ডুলিপি অলংকরণে, বই-এর প্রচ্ছদ অলংকরণে, সিন্দুক বা আলমারির দেরাজ অলংকরণে, সিংহাসন অলংকরণে এবং প্রার্থনার বেদি অলংকরণে। বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের চিত্রকলায় গ্রিক, পারসিক ও আসিরীয় চিত্রকলার প্রভাব দেখা যায়। তবে পরবর্তীকালের ইতালির শিল্পীরা এই চিত্রকলা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।

সাহিত্য-দর্শন এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান

  • (১) বাইজানটাইন সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল সাহিত্য, দর্শন এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে। বাইজানটাইন সম্রাটরা গ্রিক ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছিলেন। ফলে দর্শন, সাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার প্রসার ঘটে। পঞ্চম শতক থেকে কনস্ট্যান্টিনোপলে নানা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। যেগুলিতে গ্রিক ও লাতিন ভাষার নানা শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।
  • (২) বাইজানটাইন সাহিত্যের বিষয়বস্তু ছিল ঐতিহাসিক ঘটনাবলি, ধর্মীয় বিষয় এবং গান ও কবিতা প্রভৃতি। এ সময়ের বিখ্যাত দার্শনিক ও শিক্ষক ছিলেন মাইকেল সেলাস (Michael Psellus)। রাজনীতি, বিজ্ঞান, আইন ও ইতিহাসের ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। বাইজানটাইনের বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ছিলেন প্রকোপিয়াস।
  • (৩) এসময় সাহিত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ফটিয়াস। তাঁর ছাত্র এরেথাস ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কিত বহু গ্রন্থ রচনা করেন। ষষ্ঠ শতাব্দীর বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও চিকিৎসাবিদ ছিলেন জন দি গামারিয়ান ইটিয়াস এবং আলেকজান্ডার। অপর একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন সিমনসেথ। তবে খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতকে বাইজানটাইন সাম্রাজ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় অবক্ষয় শুরু হয়।

উপসংহার :- বৈদেশিক আক্রমণে ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে কনস্ট্যান্টিনোপলের পতন ঘটলে বাইজানটাইন সংস্কৃতি থমকে যায়। তবে নবজাগরণ-এর প্রভাবে ইতালির সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এই সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।

(FAQ) বাইজানটাইন সভ্যতা-সংস্কৃতির নানা দিক সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের মূল রাজধানী কোথায় ছিল?

বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তানবুল)।

২. বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

বাইজানটাইন সাম্রাজ্য অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্র ছিল, এবং ধর্মীয় চর্চা, শিল্প এবং সংস্কৃতিতে খ্রিস্টধর্ম গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছিল।

৩. বাইজানটাইন শিল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

বাইজানটাইন শিল্পে আইকনোগ্রাফি, মোজাইক কাজ এবং ধর্মীয় চিত্রকলা বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছিল। বিশাল গম্বুজযুক্ত গির্জা, যেমন হাগিয়া সোফিয়া, স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন।

৪. বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কী ছিল?

বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের পতনের প্রধান কারণ ছিল ক্রমাগত বাইরের আক্রমণ, বিশেষ করে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা ১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপলের দখল।

৫. বাইজানটাইন আইন ব্যবস্থা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বাইজানটাইন আইনের ভিত্তি ছিল জাস্টিনিয়ান কোড, যা আধুনিক ইউরোপীয় আইনব্যবস্থার উন্নয়নে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

৬. বাইজানটাইন সাম্রাজ্য কীভাবে শিক্ষা ও জ্ঞান সংরক্ষণে ভূমিকা রেখেছিল?

বাইজানটাইনরা গ্রিক এবং রোমান শাস্ত্রীয় জ্ঞান সংরক্ষণ এবং তা পুনরুজ্জীবিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, যা পরে ইউরোপের রেনেসাঁকে প্রভাবিত করে।

Leave a Comment