ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুর শহরটির অবস্থান, বিভিন্ন শহর থেকে দূরত্ব, শহরটির প্রতিষ্ঠা, চিতোরগড় আক্রমণ, ব্রিটিশ রাজ্য, ভৌগোলিক সুবিধা প্রদান, পরিবহন, বিমানবন্দর, ভাষা, রোমান্টিক স্থান, হ্রদের শহর, ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্য, প্রাচ্যের ভেনিস, অর্থনীতি ও পাবলিক অফিস সম্পর্কে জানবো।
উদয়পুর
প্রতিষ্ঠা | রাজা উদয়সিংহ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৫৫৯ খ্রিস্টাব্দ |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | রাজস্থান |
জেলা | উদয়পুর |
ভাষা | হিন্দি, ইংরেজি, রাজস্থানী বা মেবারী |
ভূমিকা:- ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুর জেলার একটি শহর ও পৌর কর্পোরেশনহল উদয়পুর। এটি উদয়পুর জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর। এটি প্রাক্তন রাজপুতানা মেবার রাজ্যের ঐতিহাসিক রাজধানী।
অবস্থান
উদয়পুর শহরটি রাজস্থানের দক্ষিণতম অংশে, গুজরাট সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এটি আরাবলি পর্বত দ্বারা বেষ্টিত, যা থরমরুভূমি থেকে শহরটিকে পৃথক করেছে।
বিভিন্ন শহর থেকে দূরত্ব
শহরটি দিল্লি থেকে প্রায় ৬৬০ কিলোমিটার, মুম্বাই থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার এবং ব্যাঙ্গালোর থেকে ১৭২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দুটি প্রধান ভারতীয় মেট্রো শহরের প্রায় মাঝখানে অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠা
১৫৫৯ সালে রাজপুতের সিসোদিয়া বংশের উদয় সিং দ্বারা এই শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
চিতোরগড় আক্রমণ
আকবর কর্তৃক চিতোরগড় অবরোধের পর তিনি চিতোরগড় শহর থেকে উদয়পুরে তার রাজধানী স্থানান্তর করেছিলেন। এটি ১৮১৮ সাল পর্যন্ত রাজধানী শহর হিসাবে থেকে যায়।
ব্রিটিশ রাজ্য
পরবর্তীতে এটি একটি ব্রিটিশ রাজকীয় রাজ্যে পরিণত হয়এবং তারপরে ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করলে মেবার প্রদেশটি রাজস্থানের একটি অংশ হয়ে ওঠে।
ভৌগোলিক সুবিধা প্রদান
গুজরাট বন্দরের সাথে সংযোগ উদয়পুরকে একটি কৌশলগত ভৌগলিক সুবিধা প্রদান করে।
পরিবহন
উদয়পুর শহরটি রাস্তা, রেল এবং বিমান পরিবহন সুবিধার মাধ্যমে কাছাকাছি শহর ও রাজ্যগুলির সাথে ভালভাবে সংযুক্ত।
বিমানবন্দর
এই শহরটি মহারানা প্রতাপ বিমানবন্দর দ্বারা পরিবেশিত হয়। মেবারের মহারানা প্রতাপ সিংহের নামে এই বিমান বন্দরটির নামকরণ করা হয়েছে।
ভাষা
উদয়পুর শহরের কথ্য ভাষাগুলির মধ্যে রয়েছে হিন্দি,ইংরেজি এবং রাজস্থানী (মেবারি)।
রোমান্টিক স্থান
উদয়পুর একটি পর্যটন স্থান এবং এর ইতিহাস, সংস্কৃতি, মনোরম স্থান ও রাজপুত যুগের প্রাসাদের জন্য ব্রিটিশ প্রশাসক জেমস টড দ্বারা “ভারত মহাদেশের সবচেয়ে রোমান্টিক স্থান” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
হ্রদের শহর
অত্যাধুনিক হ্রদ ব্যবস্থার কারণে এটি “হ্রদের শহর” নামে পরিচিত। এই শহরকে ঘিরে সাতটি হ্রদ আছে। ফতেহ সাগর হ্রদ, লেক পিচোলা, স্বরূপ সাগর হ্রদ, রঙ্গসাগর এবং দুধ তালাই হ্রদ নামে পাঁচটি বড় হ্রদকে ভারত সরকারের জাতীয় লেক সংরক্ষণ পরিকল্পনা (NLCP) এর পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্য
হ্রদ ছাড়াও উদয়পুর তার ঐতিহাসিক দুর্গ, প্রাসাদ, জাদুঘর, গ্যালারি, প্রাকৃতিক অবস্থান এবং বাগান, স্থাপত্য মন্দির, পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী মেলা, উৎসব এবং কাঠামোর জন্যও পরিচিত।
প্রাচ্যের ভেনিস
উদয়পুর শহরে উপস্থিত বেশ কয়েকটি হ্রদের কারণে এই শহরটিকে কখনো কখনো “প্রাচ্যের ভেনিস” বলা হয়।
অর্থনীতি
উদয়পুর প্রাথমিকভাবে পর্যটন শিল্পের দ্বারা চালিত হয়।এছাড়া খনিজ, মার্বেল প্রক্রিয়াকরণ, রাসায়নিক উৎপাদন ও উন্নয়ন, ইলেকট্রনিক উৎপাদন এবং হস্তশিল্প শিল্পও অর্থনীতিতে অবদান রাখে।
পাবলিক অফিস
উদয়পুরে খনি ও ভূতত্ত্বের পরিচালকের অফিস সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং আঞ্চলিক পাবলিক অফিস রয়েছে।
উপসংহার:- গৌরবময় রাজপুত রাজত্বের এক ঝলক দেখতে আসা পর্যটকদের উদয়পুরের দুর্গ এবং প্রাসাদগুলি দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
(FAQ) উদয়পুর সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
ভারতের রাজস্থান রাজ্যে।
রাজা উদয়সিংহ ১৫৫৯ খ্রিস্টাব্দে।
রাজা উদয়সিংহ।