প্রাচীন ভারতের শিশুনাগ বংশ প্রসঙ্গে রাজা শিশুনাগ, রাজা কালাশোক বা কাকবর্ণ, দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি ও শিশুনাগ বংশের পতন সম্পর্কে জানবো।
প্রাচীন ভারতের শিশুনাগ বংশ
ঐতিহাসিক যুগ | শিশুনাগ বংশ |
সময়কাল আনুমানিক | ৪৩০-৩৬৪ খ্রি.পূ. |
প্রতিষ্ঠাতা | শিশুনাগ |
রাজধানী | বৈশালী, পাটলিপুত্র |
ভূমিকা :- হর্যঙ্ক বংশ-এর শেষ রাজা দর্শক বা নাগদশককে নিহত করে তার সভাসদ শিশুনাগ মগধ-এর সিংহাসন অধিকার করলে হর্যঙ্ক বংশের পতন হয় এবং শিশুনাগ বংশের শাসন শুরু হয়।
ভারতের শিশুনাগ বংশের রাজা শিশুনাগ
- (১) শিশুনাগ ছিলেন বৈশালীর ভূতপূর্ব রাজপুত্র। তিনি মগধের সিংহাসনে বসে অবন্তীর সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপৃত হন। পুরাণে বলা হয়েছে যে, তিনি প্রদ্যোত বংশের গৌরব ধ্বংস করেন। মগধের সঙ্গে অবন্তীর বিরোধ অজাতশত্রুর আমল থেকে দেখা যায়।
- (২) উদয়িনের আমল থেকে অবন্তীর সঙ্গে মগধ-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়ে উঠেছিল। অবন্তীর রাজা আর্ষকের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য শিশুনাগ কিছুদিন গিরিব্রজে তাঁর রাজধানী স্থানান্তর করেন।
- (৩) গৃহযুদ্ধে বিক্ষত অবন্তী মগধের আক্রমণে পরাস্ত ও অধিকৃত হলে শিশুনাগ মগধের রাজধানী তাঁর পিতৃরাজ্য বৈশালীতে স্থানান্তর করেন। শিশুনাগ সম্ভবত বৎস রাজ্যও অধিকার করেন।
প্রাচীন শিশুনাগ বংশের রাজা কালাশোক বা কাকবর্ণ
রাজা শিশুনাগের পর মগধের সিংহাসনে বসেন কাকবর্ণ বা কালাশোক।। তাঁর আমলে মগধ উত্তর ভারত-এর শ্রেষ্ঠ রাজ্যে পরিণত হয়। তিনি মগধের রাজধানী পাকাপাকিভাবে পাটালিপুত্র নগরে স্থাপন করেন। তার আমলে বৈশালীতে দ্বিতীয় বৌদ্ধ সঙ্গীতির অনুষ্ঠান হয়। কালাশোক খুব যোগ্যতাপূর্ণ রাজা ছিলেন না।
উপসংহার :- গ্রীক লেখক কুইন্টাস কার্টিয়াসের রচনা থেকে জানা যায় যে, জনৈক শূদ্র, কালাশোকের রাণীর প্রেমিক ছিলেন। তিনি রাণীর সহায়তায় কালাশোক ও তাঁর দশ পুত্রকে নিহত করে মগধের সিংহাসন অধিকার করেন। এই শূদ্র ছিলেন ইতিহাস-বিখ্যাত মহাপদ্ম নন্দ। তিনি শৈশুনাগ বংশকে উচ্ছেদ করে নন্দ বংশ-এর শাসন স্থাপন করেন।
(FAQ) প্রাচীন ভারতের শিশুনাগ বংশ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
শিশুনাগ।
কালাশোক বা কাকবর্ণ।
পাটলিপুত্র।
আনুমানিক ৪৩০-৩৬৪ খ্রিস্টপূর্ব।