কুতুবউদ্দিন আইবক

সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক প্রসঙ্গে প্রথম স্বাধীন সুলতান, নামের অর্থ, দাস জীবন, দাস জীবনের মুক্তি, সমস্যার সম্মুখীন, মালিক ও সিপাহসালার, স্বাধীন ও সার্বভৌম সুলতান, নিরাপত্তা ও সংগঠন, দিল্লি সুলতানির প্রতিষ্ঠাতা, ব্যক্তিগত গুণাবলী ও তার মৃত্যু সম্পর্কে জানবো।

সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক

সুলতানকুতুবউদ্দিন আইবক
বংশদাস বংশ
রাজধানীদিল্লী
রাজত্ব১২০৬-১২১০ খ্রি
উপাধিমালিক, সিপাহসালার
সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক

ভূমিকা :- ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘুরীর মৃত্যু হলে ভারতে তাঁর প্রতিনিধি দাস কর্মচারী কুতবউদ্দিন আইবক তাঁর প্রভুর ভারতীয় রাজ্যের শাসনভার নিজ হাতে নেন। ১২০৬-১২০৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সুলতান উপাধি গ্রহণ করেননি। ১২০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি দিল্লীর স্বাধীন সুলতান হিসেবে নিজেকে স্থাপন করেন।

প্রথম স্বাধীন সুলতান

অধিকাংশ ঐতিহাসিক কৃতরউদ্দিন আইবককেই দিল্লীর প্রথম স্বাধীন সুলতান বলে গণ্য করেন। তার শাসনকাল স্বল্পকালীন হলেও এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে, গজনী বা ঘুরের আধিপত্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে তিনি দিল্লীর স্বাধীন সুলতানি স্থাপন করেন।

নামের অর্থ

কুতবউদ্দিন আইবকের জন্ম হয় তুর্কীস্থানের এক সম্ভ্রান্ত বংশে। তুর্কী ভাষায় আইবক কথার অর্থ হল “চাদের মত সুন্দর”। কুতুবউদ্দিন অবশ্য দৈহিক সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন না। তাঁর হাতের একটি আঙুল কাটা ছিল।

দাস জীবন

  • (১) ভাগ্যদোষে তিনি দাসে পরিণত হন। নিশাপুরের দাস বাজার থেকে কাজী ফকরউদ্দিন কুফী তাকে ক্রয় করে পুত্র স্নেহে পালন করেন। শাস্ত্র ও শস্ত্রে এই সময় কুতবউদ্দিনের শিক্ষা হয়। কাজীর মৃত্যুর পর তিনি পুনরায় দাস হিসেবে বিক্রি হলে, সুলতান মহম্মদ ঘুরী কুতুবউদ্দিনকে ক্রয় করেন।
  • (২) কিছুদিনের মধ্যে কুতুবউদ্দিনের বদান্যতা ও সামরিক প্রতিভা মহম্মদ ঘুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শেষ পর্যন্ত মহম্মদের দুই প্রধান দাস সেনাপতি নাসিরুদ্দিন কুবাচা, তাজউদ্দিন ইলদুজের তিনি সমান পদমর্যাদা ও ক্ষমতা পান।

বিবাহ সম্পর্ক

কুতুবউদ্দিন আইবক মহম্মদ ঘুরীর প্রধান দাস সেনাপতি তাজউদ্দিন ইলমুজের কন্যাকে বিবাহ করেন। কুতুবউদ্দিনের ভগিনীকে নাসিরুদ্দিন কুবাচার সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়। আইবকের কন্যার সঙ্গে তুর্কী দাস সেনাপতি ইলতুৎমিসের বিবাহ হয়। এই বিবাহগুলির ফলে কুতুবউদ্দিনের মর্যাদা ও প্রভাব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।

দাস জীবনে মুক্তি

মুহাম্মদ ঘুরীর মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী গিয়াসউদ্দিন মামুদ কুতুবউদ্দিন আইবককে ক্রীতদাসত্ব থেকে মুক্তির ছাড়পত্র দেন।

মহম্মদ ঘুরী ও কুতুবউদ্দিন আইবক

  • (১) মহম্মদ ঘুরীর ভারত বিজয়ের সময় কুতুবউদ্দিন আইবক ছিলেন তার ডান হাতের মতই। তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে তিনি তার সামরিক প্রতিভার পরিচয় দেন। এর পর মহম্মদ ঘুরী প্রধানত মধ্য এশিয়ার যুদ্ধে ব্যাপৃত ছিলেন।
  • (২) মহম্মদ ঘুরী উত্তর ভারতে তুর্কী বিজয়কে সম্পন্ন ও দৃঢ় করার কাজ তাঁর ভারপ্রাপ্ত সেনাপতি হিসেবে কুতুবউদ্দিন সম্পন্ন করেন। মহম্মদ নীতি নির্ধারণ করেন, তার সুযোগ্য শাসক কুতুবউদ্দিন তাকে কার্যকরী করেন। তিনি কনৌজের জয়চন্দ্রকে পরাস্ত করেন, রণথম্ভোর, কালিঞ্জর, মীরাট ও বারাণসী জয় করেন।

সমস্যার সম্মুখীন

মহম্মদ ঘুরীর মৃত্যুর পর কুতুবউদ্দিন আইবক কয়েকটি জটিল সমস্যার সম্মুখীন হন। যেমন –

  • (১) তার প্রভু মহম্মদ তাকে ভারতীয় রাজ্যের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন নি। মহম্মদ তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যুর জন্য উত্তরাধিকারের প্রশ্নটিকে সমাধান করতে পারেন নি। সুতরাং দিল্লীর সিংহাসনে কুতবউদ্দিনের কোনো বৈধ অধিকার ছিল না। de facto অর্থাৎ হাতে-কলমে অধিকার থাকলেও আইনত তিনি ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে দিল্লীতে নিজেকে মহম্মদের উত্তরাধিকারী দাবী করতে পারতেন না।
  • (২) বাংলার বখতিয়ার খলজি নিজেকে মহম্মদ ঘুরীর অনুচর বলে দাবী করতেন। বখতিয়ার খলজির ওপর কুতুবউদ্দিনের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সুতরাং সুলতানি সাম্রাজ্যের পূর্ব সীমান্তে তার অধিকার নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।
  • (৩) মহম্মদ ঘুরী তাঁর নিজ রাজধানী গজনীকেই তার সমগ্র সাম্রাজ্যের শাসন কেন্দ্র মনে করতেন। দিল্লীকে রাজধানী হিসেবে কোনো মর্যাদা দেওয়া হয় নি। দিল্লী অপেক্ষা লাহোরের মর্যাদা বেশীই ছিল। আসলে একটি সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক প্রশ্নের সমাধান কুতুবউদ্দিনকে করতে হয়। মহম্মদ ঘুরী তার জীবিত কালে দিল্লীতে স্বতন্ত্র রাজধানীর মর্যাদা দেননি।
  • (৪) সর্বাপেক্ষা বড় সমস্যা ছিল যে, মহম্মদের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার দুই দাস কর্মচারী তাজউদ্দিন ইলদুজ ও নাসিরুদ্দিন কুবাচা তার রাজ্য দাবী করেন। এঁদের দাবীর বিরুদ্ধে কুতুবউদ্দিন কে নিজ দাবী প্রতিষ্ঠা করতে হয়।

ত্রিপাঠীর অভিমত

ডঃ আর পি ত্রিপাঠীর মতে, মহম্মদ গজনীকেই তার মূল রাজধানী হিসেবে গণ্য করতেন। এক্ষেত্রে বৈধভাবে দিল্লীর স্বাধীন সুলতানির মর্যাদা লাভ করা কঠিন ছিল।

মালিক ও সিপাহসালার

১২০৬ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ ঘুরীর মৃত্যুর পর কুতুবউদ্দিন লাহোর যাত্রা করেন এবং লাহোরে নাগরিকদের সমর্থন ক্রমে দিল্লীর স্বাধীন শাসনকর্তা হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন। কিন্তু তিনি আপাতত ‘মালিক ও সিপাহশালার’ উপাধি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন।

স্বাধীন ও সার্বভৌম সুলতান

১২০৮ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদের বংশধর গিয়াসউদ্দিন ঘুর, কুতব উদ্দিনকে ‘সুলতান’ উপাধি দিলে এবং তাকে ‘দাসত্ব’ থেকে মুক্তিপত্র দিলে কুতুবউদ্দিন পুরোপুরি স্বাধীন ও সার্বভৌম সুলতানরূপে নিজ অধিকার ঘোষণা করেন। তিনি নিজ নামে খুৎবা পাঠ করেন বলে কোনো কোনো মুসলিম ঐতিহাসিক বলেন।

গজনীর সঙ্গে সম্পর্ক

  • (১) কুতবউদ্দিনের এই ক্ষমতা বৃদ্ধি মহম্মদের অপর ক্রীতদাস তাজউদ্দিনের পছন্দ হয়নি। তাজউদ্দিন ইলদুজ গজনীর সুলতান হিসেবে নিজ ক্ষমতা স্থাপন করে কুতুবউদ্দিনের বশ্যতা দাবী করেন। তাজউদ্দিন পাঞ্জাব জয় করার চেষ্টা করলে, আইবক তাকে বিতাড়িত করেন।
  • (২) কুতুবউদ্দিন সাময়িকভাবে গজনী অধিকার করে তাজউদ্দিনকে গজনী হতে বিতাড়ন করেন। গজনীতে থাকার সময় কুতুবউদ্দিন সুরাপান ও আমোদ-প্রমোদে মত্ত হলে, গজনীর নাগরিকরা তার প্রতি বিরক্ত হয়। এই সুযোগে তাজউদ্দিন পুনরায় গজনী দখল করেন। কুতুবউদ্দিন গজনী থেকে পিছু হঠে এসে পাঞ্জাবে তাঁর সীমান্ত দৃঢ় করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি লাহোরে দীর্ঘকাল বসবাস করেন।

বাংলায় অধিরাজত্ব

উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে প্রতিদ্বন্দ্বী তাজউদ্দিনকে প্রতিহত করার পর কুতুবউদ্দিন তার পূর্ব সীমান্তে বাংলার দিকে দৃষ্টি দেন। বাংলায় বখতিয়ার খলজি নিহত হওয়ার পর আলিমর্দান খলজির সঙ্গে অন্যান্য মালিকদের ঘোর বিরোধ দেখা দেয়। আলিমর্দান ছিলেন কুতুবউদ্দিনের অনুগত। শেষ পর্যন্ত তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হস্তক্ষেপে বাংলায় আলিমর্দান খলজির শাসন স্থাপিত হয়। বাংলায় দিল্লীর অধিরাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।

নিরাপত্তা ও সংগঠন

  • (১) কুতবউদ্দিন আইবক সুলতানি সাম্রাজ্যের বিস্তার অপেক্ষা সাম্রাজ্যের নিরাপত্তা ও সংগঠনের দিকে বেশী দৃষ্টি দেন। তিনি রাজপুত শক্তিকে সম্পূর্ণ জয় করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকেন। তুর্কী মালিক ও আমীরদের তিনি নিজ বশ্যতায় এনে দিল্লী সুলতানির ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করেন। তাঁর প্রধান কৃতিত্ব ছিল গজনীর তাজউদ্দিন ইলদুজের আগ্রাসন থেকে দিল্লী সুলতানিকে রক্ষা করা।
  • (২) তিনি গজনীর মত মধ্য এশিয়ার রাজনীতিতে দিল্লীকে না জড়িয়ে দিল্লী সুলতানিকে সম্পূর্ণ ভারতীয় চরিত্র দেন। তিনি দিল্লী নগরীতে তার রাজধানী স্থাপন করে সুলতানি সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ অগ্রগতির সূচনা করেন। তিনি ইলদুজ ও কুবাচার সঙ্গে আত্মীয়তা স্থাপন করে নিজ মর্যাদা ও ক্ষমতা বাড়িয়ে ফেলেন।

দিল্লীর প্রকৃত সুলতান

  • (১) তাকে দিল্লীর স্বাধীন সুলতানির প্রতিষ্ঠাতা বলা যায় কিনা সে সম্পর্কে বিতর্ক আছে। যদিও মুসলিম ঐতিহাসিকরা বলেন যে আইবক নিজ নামে খুৎবা পাঠ করেন ও মুদ্রা ছাপাই করেন, এই জিনিষগুলির কোনো অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায় নি।
  • (২) ডঃ আর ত্রিপাঠীর মতে কুতুবউদ্দিন আইবককে অবিসংবাদীভাবে দিল্লীর স্বাধীন সার্বভৌম সুলতান বলা যায় না। কারণ, তাজ উদ্দিন ইলদুজ তাঁর অধিকার মানতেন না। মহম্মদের সকল ভারতীয় কর্মচারী তার আধিপত্য বিনা প্রতিবাদে মেনে নেন এমন কোনো প্রমাণ আমাদের হাতে নেই।
  • (৩) বিয়ানার মুসলিম সেনাপতি কুতুবউদ্দিনের দাবীর বিরোধিতা করেন। ইবন বতুতা তাকে দিল্লীর প্রথম স্বাধীন সুলতান বলে গণ্য করেন নি। ফিরোজ তুঘলক প্রতি শুক্রবার যে খুৎবা পাঠের আদেশ দেন তাতে অন্যান্য সুলতানদের নাম থাকলেও, কুতবউদ্দিন আইবকের নাম নেই।
  • (৪) এজন্য ডঃ আর. পি. ত্রিপাঠি মন্তব্য করেছেন যে “প্রকৃতপক্ষে ভারতে মুসলিম সার্বভৌমত্বের ইতিহাস ইলতুৎমিসের আমল থেকেই সূচীত হয়” (The history of Muslim Sovereignty in India begins properly speaking with Iltutmish )।

দিল্লী সুলতানির প্রতিষ্ঠাতা

  • (১) সকল কথা বলার পরও একথা বলা প্রয়োজনীয় যে, দিল্লী সুলতানির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কুতুবউদ্দিন আইবকের দাবী একেবারে নস্যাৎ করা যায় না। কারণ, ভারতে অবস্থিত ঘুরীর তুর্কী সেনাপতিদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ। লাহোরে তিনি বিশেষ জনপ্রিয় ছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম গজনীর কর্তৃত্ব অস্বীকার করে দিল্লীর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
  • (২) তিনি পদমর্যাদায় তাজউদ্দিন ইলদুজের সমকক্ষ ছিলেন। তাছাড়া যখন মহম্মদ ঘুরীর অকস্মাৎ মৃত্যুর পর ভারতে বিস্তৃত সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়, ঘুরীর কর্মচারীরা তাদের উচ্চাকাঙ্খা বশত স্বাধীনতা ঘোষণার উদ্যোগ নেয়, তখন কুতুবউদ্দিন আইবক তাদের দমন করে ভারতে তুর্কী সাম্রাজ্যকে রক্ষা করেন।

ত্রুটি

  • (১) ডঃ নিজামীর মতে, “আইবক ছিলেন প্রধানত সামরিক নায়ক ( Aibek was a military leader par-excellence)। তিনি দিল্লী সুলতানিকে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক চরিত্র দান অথবা শাসন পরিচালনার জন্য শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রশাসনযন্ত্র স্থাপন করতে পারেন নি। তিনি সুলতানি রাজস্বের উন্নতির কোনো চেষ্টা করেন নি।
  • (২) অবশ্য তিনি এত স্বল্পকাল রাজত্ব করেন যে এই সকল কাজ করার মত সময় তার ছিল না। তথাপি যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি যেরূপ কৃতিত্ব দেখান সেই তুলনায় শাসন ও শাসন সংগঠনের ক্ষেত্রে তাঁর প্রতিভার হ্রস্বতা লক্ষ্য করা যায়।

ব্যক্তিগত গুণাবলী

আইবকের ব্যক্তিগত বহু গুণ ছিল। ক্ষমতা তাকে নষ্ট করতে পারেনি। তার হৃদয় ছিল উদার। ডাঃ হাবিবুল্লাহ যথার্থই মন্তব্য করেছেন যে আইবকের মধ্যে তুর্কী সাহসিকতার সঙ্গে পারসিক মার্জিত রুচি ও ঔদার্যের সমন্বয় দেখা যায়” (He combined the intrepedity of the Turk with the refined taste and generosity of the Persian)।

লাখ বক্স

সাহসিকতা, সামরিক শৌর্য, ন্যায়পরায়ণতা, উদারতা ও দানশীলতা তাঁর চরিত্রে ছিল। তিনি এতই দানশীল ছিলেন যে, লোকে তাঁকে “লাখ-বক্স” বলত। তিনি দিল্লীর কুতুবমিনারের নির্মাণ কার্য আরম্ভ করেন।

মৃত্যু

১২১০ খ্রিস্টাব্দে চৌগান (পোলো) খেলার সময় ঘোড়া থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

উপসংহার :- দুর্ঘটনার ফলে কুতবউদ্দিনের অকস্মাৎ মৃত্যু হলে লাহোরের মালিক বা উচ্চ তুর্কী কর্মচারীরা কুতুবউদ্দিনের পুত্র আরাম শাহকে সিংহাসনে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে। দিল্লির অভিজাতরা কুতুবউদ্দিন এর জামাতা ঋতুৎমিস কে সুলতানি হিসেবে নির্বাচিত করেন।

(FAQ) সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. দিল্লী সুলতানির প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

কুতুবউদ্দিন আইবক।

২. লাখবক্স কাকে বলা হয়?

কুতুবউদ্দিন আইবক।

৩. কুতুবউদ্দিন আইবক কার দাস ছিলেন?

মহম্মদ ঘুরী কুতুবউদ্দিন।

৪. আইবকের পর কে দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন?

ইলতুৎমিস।

Leave a Comment