দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জাপানের অগ্রসরতা প্রসঙ্গে জাপানি মনরো নীতি প্রয়োগ, পূর্ব এশিয়ায় নতুন বিধান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, ত্রিপাক্ষিক অক্ষ চুক্তি, ইন্দোচীন দখল, পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ, এশিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রসার, পশ্চিমি উপনিবেশ দখল, কৌশলে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও জাপানের ব্যর্থতা সম্পর্কে জানবো।
জাপানের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অগ্রসরতা প্রসঙ্গে এশিয়ার বিস্তার নীতির বৃহত্তর পরিকল্পনা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জাপানিদের অগ্রগতি, প্রাথমিক জাপানি সাফল্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বিমান যুদ্ধ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতি জাপানের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে জানব।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জাপানের অগ্রসরতা
ঐতিহাসিক ঘটনা | দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জাপানের অগ্রসরতা |
ত্রিপাক্ষিক অক্ষচুক্তি | ১৯৪০ খ্রি |
পার্ল হারবার আক্রমণ | ৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ খ্রি |
হিরোশিমাতে বোমা | ৬ আগস্ট ১৯৪৫ খ্রি |
নাগাসাকিতে বোমা | ৯ আগস্ট ১৯৪৫ খ্রি |
জাপানের প্রধানমন্ত্রী | হিদেকি তোজো |
ভূমিকা :- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান তার দক্ষিণদিকে অর্থাৎ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে নিজ সাম্রাজ্য-এর সম্প্রসারণ ও আধিপত্য প্রসারের উদ্দেশ্যে সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তিকে একে একে পরাজিত করে জাপান এই অঞ্চল থেকে তাদের বিতাড়িত করতে থাকে।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় জাপানের অগ্ৰসর
ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির বিরুদ্ধে জাপান এই অঞ্চলে যে ধরনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে তা নীচে উল্লেখ করা হল –
(১) জাপানি মানরো নীতি প্রয়োগ
পূর্ব এশিয়ায় জাপান নিজের প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে যে নীতি গ্রহণ করে তা ‘পূর্ব এশিয়ায় জাপানি মনরো নীতি নামে পরিচিত। জাপানের বিদেশ মন্ত্রক ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল এই নীতি ঘোষণা করে। এই নীতির বক্তব্য ছিল পূর্ব এশিয়ার, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো বিষয়েই যেন পাশ্চাত্য শক্তিবর্ণ হস্তক্ষেপ না করে। এই নীতিতে প্রকাশ্যে পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির আগ্রাসন থেকে চীনকে রক্ষা করার কথা বলা হলেও এই নীতির প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব এশিয়ায় জাপানি সাম্রাজ্যবাদের প্রসার ঘটানো।
(২) পূর্ব এশিয়ায় নতুন বিধান
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিমারো কোনোয়ে ৩ নভেম্বর ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর ‘পূর্ব এশিয়ার নতুন বিধান’ নীতি ঘোষণা করেন। এই নীতির মূল কথা ছিল পূর্ব এশিয়ায় পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদের অবসান ঘটিয়ে জাপানি সাম্রাজ্যবাদের প্রসার ঘটানো। উদ্দেশ্য ছিল চিনের অর্থনীতির ওপর জাপানের একচেটিয়া অধিকার স্থাপন। চিনের জাতীয়তাবাদী সরকার যাতে বিদেশ থেকে সামরিক সাহায্য না পায় তার ব্যবস্থা করা। এই নীতি অনুসারে জাপান শীঘ্রই চিনে আগ্রাসন চালায়। পশ্চিমি শক্তিগুলিও যথারীতি চিনের সপক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
(৩) মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত
১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই জাপানের মন্ত্রীসভার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। এই বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে ইঙ্গ-ফরাসি-পোর্তুগিজ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতা করা হয়। দাবি করা হয় যে, এশিয়ার এই অঞ্চলে ইউরোপীয় শক্তি নয়, জাপান আধিপত্য স্থাপন করবে। এই বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ইঙ্গ-ডাচ-ফরাসি-পোর্তুগিজ উপনিবেশগুলি দখলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
(৪) ত্রিপাক্ষিক অক্ষ চুক্তি
আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে জাপান ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর ইতালি ও জার্মানির সঙ্গে ‘ত্রিপাক্ষিক অক্ষ চুক্তি’ স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি ‘রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষচুক্তি‘ বা ‘অ্যান্টি কমিন্টার্ন চুক্তি’ নামেও পরিচিত। রোম-বার্লিন-টোকিও চুক্তি স্বাক্ষরের পর জাপানের সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়ে ওঠে। এই চুক্তির ফলে আমেরিকা ক্ষুব্ধ হয়ে জাপানে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য, লোহা ও যুদ্ধের প্রয়োজনীয় যাবতীয় উপকরণ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
(৫) ইন্দোচিন দখল
যুদ্ধের সময় জাপানের বিভিন্ন যুদ্ধোপকরণের এবং পেট্রোলিয়ামের খুবই প্রয়োজন ছিল। আমেরিকা এসব প্রয়োজনীয় পণ্য জাপানে রপ্তানি বন্ধ করে দিলে জাপান তৈলসম্পদে সমৃদ্ধ ডাচ বা ওলন্দাজ উপনিবেশ ইন্দোচিন বা ইন্দোনেশিয়ার ওপর নজর দেয়। জাপান ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে দক্ষিণ ইন্দোচিন দখল করে। এর ফলে আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া জাপানের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়।
(৬) পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ
বিভিন্ন ঘটনায় জাপানের ওপর আমেরিকা ক্ষুব্ধ হলে জাপানের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী হিদেকি তোজো আমেরিকার কাছে একটি চুক্তির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমেরিকা প্রথমে চিন ও ইন্দোচিন থেকে জাপানি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। জাপান এই প্রস্তাবে অসম্মত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে। এবিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে যখন ওয়াশিংটনে দু-পক্ষের মধ্যে বৈঠক চলছে, তখন ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর জাপান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটি পার্ল হারবারের ওপর বিমান আক্রমণ চালায় এবং বোমা বর্ষণ করে এই ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে আমেরিকা ও ইংল্যান্ড জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
(৭) এশিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রসার
জাপানের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইংল্যান্ড যুদ্ধ ঘোষণা করলে এশীয় ভূখণ্ডে বিশ্বযুদ্ধ সম্প্রসারিত হয়। জাপানি আক্রমণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নৌবহর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফিলিপিনসে মার্কিন জেনারেল ম্যাক আর্থারের বিমানবাহিনী তিনদিনের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়। এভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে জাপান পূর্ব এশিয়ায় অভাবনীয় সাফল্য পায়।
(৮) পশ্চিমি উপনিবেশ দখল
- (ক) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধের সময় জাপান দ্রুতগতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, সোলোমন্স, নিউ গিনি, ম্যানিলা, পেনাং, অ্যালিউসিয়ান দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি পশ্চিমি উপনিবেশগুলি দখল করে নেয়। এরপর একে একে বাটাভিয়া, ফিলিপিনস দ্বীপপুঞ্জ, হংকং, রেঙ্গুন, মালয়, সিঙ্গাপুর, মান্দালয়, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি স্থান জাপানের দখলে চলে যায়।
- (খ) এসব স্থান দখলের পর জাপান সেখানকার তেল, রাবার, টিন, বক্সাইট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে থাকে। এভাবে পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে জাপান সমগ্র পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। জাপান দাবি করে যে, তারা পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির হাত থেকে পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় মানুষদের স্বাধীন করেছে।
(৯) কৌশলে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা
জাপানের লক্ষ্য ছিল পশ্চিমি শক্তিগুলি চলে যাওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিজিত স্থানগুলিতে নতুন সাম্রাজ্যবাদী কাঠামো গড়ে তোলা এবং এই অঞ্চলে জাপানের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। পশ্চিমি দেশগুলির মতো জাপান যে সাম্রাজ্যবাদী নয়, তা বোঝানোর জন্য ব্রহ্মদেশ, থাইল্যান্ড ও ফিলিপিনসে জাপান তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা করে। ব্রহ্মদেশ, থাইল্যান্ড, চিন, ফিলিপিনস ও মাঞ্চুরিয়াকে নিয়ে ‘গ্রেটার ইস্ট এশিয়া কো-প্রসপারিটি স্ফিয়ার’ গঠিত হয়। টোকিওতে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে এর প্রথম অধিবেশন বসে।
জাপানের ব্যর্থতা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকে জাপান যথেষ্ট সাফল্য দেখলেও ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসের পর থেকে যুদ্ধের পরিস্থিতি জাপানের বিপক্ষে যেতে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যর্থাতার কারণ গুলি হল –
(১) পশ্চাদগতি
জাপান ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমা বর্ষণ করলে আমেরিকা তার বিপুল শক্তি নিয়ে মিত্রপক্ষের সমর্থনে যুদ্ধে যোগদান করে। ফলে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের জুন মাস থেকে যুদ্ধে জাপানের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। এই সময় থেকে মিত্রপক্ষীয় বাহিনী জাপানের ওপর প্রত্যাঘাত হানতে শুরু করে। চিনও আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
(২) পরাজয়
জাপান বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে শুরু করে। ৭ জুন, ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে জাপান প্রশান্ত মহাসাগরের মিডওয়ে-র নৌযুদ্ধে পরাজিত হয়। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে গুয়াদাল ক্যানাল এবং ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে নিউ গিনি জাপানের হাত থেকে মিত্রপক্ষের দখলে আসে। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে মিত্রপক্ষ মার্শাল, কারোলাইন, মারিয়ানা প্রভৃতি দ্বীপ জাপানের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়। মার্কিন বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণের ফলে জাপানের শিল্পাঞ্চল ধ্বংস হতে থাকে।
(৩) জাপানের পরাজয় সুনিশ্চিত
১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে সোভিয়েত রাশিয়া ও আমেরিকার সাহায্য নিয়ে চিন তার অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলি জাপানের হাত থেকে উদ্ধার করতে থাকে। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে জাপানের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে পড়ে। মে মাসে জাপানের মিত্র জার্মানির পতন ঘটে।
(৪) জাপানের আত্মসমর্পণ
মার্কিন বিমানবাহিনী ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোসিমায় এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে আণবিক বোমা বর্ষণ করলে জাপান সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। শেষপর্যন্ত ১৫ আগস্ট জাপান আত্মসমর্পণ করলে এশিয়ায় যুদ্ধের আতঙ্ক দূর হয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
(৫) জাপানের বিপর্যয়
১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির কাছে জাপানের পরাজয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে। পরাজিত জাপানের অধিকাংশ শিল্পকারখানা, পরিবহণ নেটওয়ার্ক এবং নাগরিক পরিসেবার কাঠামোগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে জাপান তার দখল করা উপনিবেশগুলিও হারায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সাময়িকভাবে জাপান দখল করে রাখে এবং সেখানকার সরকার পরিচালনা করে।
উপসংহার :- মিত্রবাহিনী জাপান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপান শীঘ্রই বিপর্যয় কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। জাপানের ভেঙে পড়া অর্থনীতি ও সমাজ অভি দ্রুত গড়ে তোলা হতে থাকে। জাপান ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময় থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বহু দেশের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু করে। এর ফলে জাপান আবার বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
(FAQ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জাপানের অগ্রসরতা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিমারো কোনোয়ে।
জার্মানি, জাপান ও ইতালি।
২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে।
৭ ডিসেম্বর ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে।
হিদেকি তোজো।
হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে।