রাজনৈতিক অঞ্চল ব্যাকট্রিয়া -র অবস্থান, নামকরণ, প্রবাহিত নদী, জরাথুস্ট্রবাদের প্রাথমিক কেন্দ্র, অন্যতম সত্রপ, প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু, সেলুকাসের দখল, ইন্দো-গ্ৰিক রাজ্যের ইতিহাস শুরু, কুষাণ সাম্রাজ্যের দখলে, ইসলামীকরণ, ইরানি নবজাগরণের কেন্দ্র, ভাষা, ব্যাকট্রিয়ানদের ধর্ম ও উর্বরতা সম্পর্কে জানবো।
ঐতিহাসিক স্থান ব্যাকট্রিয়া প্রসঙ্গে ব্যাকট্রিয়া নামকরণ, ব্যাকট্রিয়ার আধুনিক অবস্থান, ব্যাকট্রিয়ায় প্রবাহিত নদী, জরাথুস্ট্রবাদের প্রাথমিক কেন্দ্র ব্যাকট্রিয়া, প্রতিরোধের কেন্দ্র ব্যাকট্রিয়া, সেলুকাসের দখলে ব্যাকট্রিয়া, কুষাণ সাম্রাজ্যের দখলে ব্যাকট্রিয়া, ব্যাকট্রিয়া অঞ্চলের ইসলামীকরণ, নবজাগরণের কেন্দ্র ব্যাকট্রিয়া, ব্যাকট্রিয়া অঞ্চলের ভাষা, ব্যাকট্রিয়া অঞ্চলের ধর্ম ও উদারতা।
রাজনৈতিক অঞ্চল ব্যাকট্রিয়া
ঐতিহাসিক স্থান | |
বিশেষত্ব | রাজনৈতিক অঞ্চল |
রাজধানী | ব্যাকট্রা |
অধিবাসী | ব্যাকট্রিয়ান |
দখল | আলেকজান্ডার, সেলুকাস |
ভূমিকা:- মধ্য এশিয়ার একটি প্রাচীন অঞ্চল হল ব্যাকট্রিয়া বা ব্যাকট্রিয়ানা। ব্যাকট্রিয়ার সঠিক অবস্থান ছিল হিন্দুকুশ পর্বতমালার উত্তরে এবং আমু দরিয়া নদীর দক্ষিণে।
নামকরণ
ইংরেজি ব্যাকট্রিয়া শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্রিক ব্যাকট্রিয়ানি হতে, যা ব্যাকট্রিয়ান শব্দ ব্যাকলোর গ্রিক সংস্করণ। লাতিন নাম ব্যাকট্রিয়ানা এবং সংস্কৃত বাহ্লীক।
আধুনিক অবস্থান
আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানব্যাপী বিস্তৃত সমতল অঞ্চলটি ব্যাকট্রিয়া নামে পরিচিত। আরও বৃহত্তরভাবে ব্যাকট্রিয়া ছিল হিন্দুকুশের উত্তরে, পামিরের পশ্চিমে এবং তিয়ানশির দক্ষিণে।
প্রবাহিত নদী
আমু দরিয়া নদী ব্যাকট্রিয়ার মাঝখান দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছিল।
জরাথুস্ট্রবাদের প্রাথমিক কেন্দ্র
এটি জরাথুস্ট্রবাদের প্রাথমিক কেন্দ্রগুলির একটি এবং ইরানের কিংবদন্তি কায়ানীয় রাজত্বের রাজধানী।
অন্যতম ক্ষত্রপ
ব্যাকট্রিয়াকে দরায়ুস গ্রেট-এর বেহিসতান শিলালিপিতে হাখমানেশি সাম্রাজ্য -এর অন্যতম ক্ষত্রপ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে আকিমেনিয় সাম্রাজ্য -এর পতনের পরে ম্যাসেডোনিয়ার আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ব্যাকট্রিয়া।
সেলুকাসের দখল
ম্যাসিডোনিয়ার সম্রাট আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর ব্যাকট্রিয়া তার সেনাপতি সেলুকাস দ্বারা অধিকৃত হয়।
ইন্দো-গ্ৰিক রাজ্যের ইতিহাস শুরু
ব্যাকট্রিয়ার সত্রপ ডায়োডোটাস প্রথম কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণার পরে অঞ্চলটি হারিয়েছিলেন সেনাপতি সিলিউসিড।এভাবে গ্রিকো-ব্যাকট্রিয়ান এবং পরবর্তীকালে ইন্দো-গ্রীক রাজ্যের ইতিহাস শুরু হয়েছিল।
কুষাণ সাম্রাজ্যের দখলে
খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যে ইরানি পার্থিয়ান সাম্রাজ্য দ্বারা দখলকৃত হয় ব্যাকট্রিয়া এবং প্রথম শতাব্দীর গোড়ার দিকে ব্যাকট্রিয়া অঞ্চল কুষাণ সাম্রাজ্য -এর দখলে এসেছিল।
ইসলামীকরণ
সপ্তম শতকে ইরানের মুসলিম বিজয়ের সাথে সাথে ব্যাকট্রিয়ার ইসলামীকরণ শুরু হয়।
নবজাগরণের কেন্দ্র
অষ্টম এবং নবম শতাব্দীতে ব্যাকট্রিয়া ছিল একটি ইরানিয় রেনেসাঁ বা নবজাগরণ -এর কেন্দ্র।
ভাষা
প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় সময়ে ব্যাকট্রিয়া ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর সাধারণ ও প্রচলিত ভাষা ছিল ব্যাকট্রিয়া।
ব্যাকটেরিয়ানদের ধর্ম
ইসলাম ধর্মের উত্থানের পূর্বে জরাথ্রুস্টবাদ এবং গৌতম বুদ্ধ প্রচারিত বৌদ্ধধর্মই ছিল বেশিরভাগ ব্যাকট্রিয়ানের ধর্ম।
উর্বরতা
বেশিরভাগ প্রাচীন গ্রিক কৃষিজ পণ্য উৎপাদন করার ক্ষমতা ও উর্বতার জন্য উল্লেখযোগ্য ছিল ব্যাকট্রিয়া।
উপসংহার :- জিওফ্রে স্টোরি রচিত ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য উপন্যাস “অ্যানাবাসিস: আ নোভেল অভ হেলেনেস্টিক আফগানিস্তান অ্যান্ড ইন্ডিয়া”র একটি আখ্যান স্থান হল প্রথম দিমিত্রিয়াসের যুগের গ্রিকো-ব্যাকট্রিয়ান রাজ্য।
(FAQ) রাজনৈতিক অঞ্চল ব্যাকট্রিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
হিন্দুকুশ পর্বতমালার উত্তরে এবং আমু দরিয়া নদীর দক্ষিণে।
সেলুকাস।
আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।