দেবতা তথা দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা প্রসঙ্গে তার জন্মবিতর্ক, পিতা-মাতা, কীর্তি ও স্থাপত্য, রামায়ণের উল্লেখ, মহাভারতে উল্লেখ, বিশ্বকর্মা নামে পরিচিত, বিশ্বকর্মা পূজা, বিশ্বকর্মা মাহাত্ম্য, বিশ্বকর্মার গ্রন্থ রচনা ও বিশ্বকর্মা যোজনা সম্পর্কে জানবো।
শিল্পী বিশ্বকর্মা
ঐতিহাসিক চরিত্র | বিশ্বকর্মা |
পরিচিতি | হিন্দু দেবতা |
অন্তর্ভুক্ত | দেব |
বাহন | কালো হস্তী |
বিশেষ খ্যাতি | সমস্ত শিল্পের প্রকাশক |
পূজা | ভাদ্র সংক্রান্তি |
ভূমিকা :- হিন্দু ধর্মের অন্যতম একজন দেবতা হলেন বিশ্বকর্মা। ঋগ্বেদ অনুসারে, তিনি পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা। এই গ্রন্থে বিশ্বকর্মাকে সময়ের সূত্রপাতের প্রাক্-অবস্থা থেকে অস্তিত্বমান স্থপতি তথা ব্রহ্মাণ্ডের দিব্য স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেবতা বিশ্বকর্মার জন্ম
বিশ্বকর্মার জন্ম বিষয়ে পুরানে নানা আখ্যানের অবতারনা করা হয়েছে। কোনো পুরান মতে তাঁর জন্ম অষ্টবসুর অন্যতম প্রভাসের ঔরসে দেবগুরু বৃহস্পতির ভগিনী বরবর্ণিনীর গর্ভে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে প্রজাপতি ব্রহ্মার নাভিদেশ থেকে বিশ্বকর্মার উৎপত্তি বলে লেখা আছে। বেদ-এ এই বিশ্বকর্মাকে অজাত পুরুষ বা সনাতন পুরুষ রূপে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিশ্বকর্মার পিতামাতা
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, বিশ্বকর্মা হলেন দেবতাদের শিল্পী। তিনি দেব শিল্পী নামেও পরিচিত। বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা তার মাতা এবং অষ্টম বসু প্রভাস হলেন তার পিতা।
দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার কীর্তি ও স্থাপত্য
তিনি শ্রী কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন। রামায়ণ মহাকাব্যে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, পাণ্ডবদের মায়া সভা, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা বিশ্বকর্মা।
সমস্ত শিল্পের প্রকাশক বিশ্বকর্মা
দেবতা বিশ্বকর্মার ভক্তরা বিশ্বাস করে থাকে যে তিনি এই বিশ্বের সব কর্মের সম্পাদক। তিনিই সব ধরনের শিল্পের প্রকাশক। শিল্পবিদ্যায় বিশ্বকর্মার একচ্ছত্র অধিকার রয়েছে। তিনি নিজেই চতুঃষষ্টিকলা, স্থাপত্যবেদ এবং উপবেদ এর প্রকাশক। কথিত আছে যে, পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথমূর্তিও তিনিই নির্মাণ করেন। তাকে স্বর্গীয় সূত্রধরও বলা হয়ে থাকে।
বিশ্বকর্মা সম্পর্কে রামায়ণে উল্লেখ
- (১) রামায়ণে একাধিক স্থানে বিশ্বকর্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। এই কাব্যের আদিকাণ্ডে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্বকর্মা দুটি ধনুক নির্মাণ করেছিলেন। তার মধ্যে একটি ত্রিপুরাসুর বধের জন্য শিবকে এবং অপরটি বিষ্ণুকে প্রদান করেন তিনি।
- (২) আবার বিষ্ণু তার ধনুকটি প্রদান করেন পরশুরামকে। অন্যদিকে রাম শিবের ধনুকটি ভঙ্গ করে সীতাকে বিবাহ করেন এবং অপর আরেকটি ধনুকে জ্যা আরোপ করে পরশুরামের দর্প চূর্ণ করেন। রামায়ণের কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড অনুসারে মনে করা হয় বিশ্বকর্মার পুত্র বিশ্বরূপকে বধ করেছিলেন ইন্দ্র।
রামায়ণে উল্লিখিত বিশ্বকর্মার স্থাপত্যকীর্তি
ভারত -এর প্রাচীন মহাকাব্য রামায়ণে উল্লিখিত বিশ্বকর্মা কর্তৃক নির্মিত স্থাপত্যকীর্তিগুলি হল কুঞ্জর পর্বতের ঋষি অগস্ত্যের ভবন, কৈলাস পর্বতে অবস্থিত কুবেরের অলকাপুরী, রাবণের লঙ্কা নগরী। এছাড়া বিশ্বকর্মা ব্রহ্মার জন্য নানা অলংকারে সজ্জিত পুষ্পক বিমান বা রথ নির্মাণ করেছিলেন। এই বিমান বা রথ ব্রহ্মা কুবেরকে দান করেন। পরবর্তীতে লঙ্কেশ্বর দশানন রাবণ কুবেরের থেকে সেটি অধিকার করেন।
দেবতা বিশ্বকর্মার মাহাত্ম্য
বিশ্বকর্মা বৈদিক দেবতা। বৈদিক সভ্যতার প্রাচীন গ্ৰন্থ ঋগবেদের দশম মণ্ডলে ৮১ এবং ৮২ সূক্তদ্বয়ে বিশ্বকর্মার উল্লেখ আছে। ঋগবেদ অনুযায়ী তিনি সর্বদর্শী এবং সর্বজ্ঞ। তার চক্ষু, মুখমণ্ডল, বাহু ও পদ সর্বদিকে পরিব্যাপ্ত। তিনি বাচস্পতি, বদান্য, কল্যাণকর্মা ও বিধাতা অভিধায় বিভূষিত। তিনি হলেন ধাতা, বিশ্বদ্রষ্টা ও প্রজাপতি।
বিশ্বকর্মা পূজা
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে বিশ্বকর্মার পূজা হয়ে থাকে। প্রতিবছর একই দিনে এই পূজা হয়, এর বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয় না।
অরন্ধন, মনসাপূজা ও বিশ্বকর্মা পূজা
- (১) বিশ্বকর্মা পূজা হয় ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শেষ দিনে। আবার এই দিনেই হয় রান্নাপুজো বা অরন্ধন। এই অরন্ধন মনসা পূজার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ভাদ্রের আগে বাংলায় শ্রাবণ মাস বিরাজ করে। এই শ্রাবণ মাস শিবের মাস, এই শ্রাবণ মাস মনসার মাস।
- (২) পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে বর্ষা-প্লাবিত বাংলায় প্রাচীন কাল থেকেই সাপের প্রকোপ দেখা দেয়। আর সেই সাপের দংশন থেকে রক্ষা পেতে সহায় হন দেবী মনসা। তাই বর্ষার শেষে ভাদ্র সংক্রান্তিতে দেবী মনসার উদ্দেশ্যে করা হয় মনসা পূজা। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ভাদ্র সংক্রান্তির এই একটি মাত্র দিনেই একইসঙ্গে অরন্ধন, মনসাপূজা এবং বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
দাঁড়িপাল্লা ধারী বিশ্বকর্মা
বিশ্বকর্মার হাতে থাকে দাঁড়িপাল্লা। এই দাঁড়িপাল্লার দুটি পাল্লা জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। এই দুইয়ের মধ্যে সমতা বজায় রেখেছেন তিনি। এছাড়া তিনি হাতুড়ি ধারণ করেন, যেটি শিল্পের সাথে জড়িত। তিনি যে আসলে শিল্পের দেবতা এই হাতুড়ি তারই প্রতীক।
মহাভারতে উল্লেখিত বিশ্বকর্মা
প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারত অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলেন শিল্পকলার দেবতা, সকল দেবতার প্রাসাদ, সকল প্রকার অলঙ্কারের নির্মাতা। বিবরণ অনুসারে তাঁর চার বাহু, মাথায় রাজার মুকুট, হাতে জলের কলস, বই, দড়ির ফাঁস ও অপর হাতে একটি যন্ত্র।
ধ্যান ও প্রনাম মন্ত্রে বিশ্বকর্মার চিত্র
শাস্ত্রে ধ্যান ও প্রনাম মন্ত্র অনুযায়ী দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার যে চিত্র পাওয়া যায় তাতে তিনি একাধারে মহাবীর ও দয়াদি অষ্টগুন যুক্ত। তিনি সৃষ্টির নির্মাতা ও ধাতা। তিনি মান দণ্ড ধারী মহাশিল্পী। আবার তিনি মহাযোদ্ধা।
বিশ্বকর্মা নামে পরিচিতি
ঋক্ বেদের দশম মণ্ডলের ৮১ ও ৮২ সুক্তে বিশ্বকর্মার স্তুতি পাওয়া যায়। সেই ভাবার্থ অনুযায়ী দ্যুলোক ও ভূলোক উভয়ই প্রথমে জলাকার ও সম্মিলিত ছিল। ক্রমে উভয়েরই চতুঃসীমা যতই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তারা পরস্পর দূরবর্তী হতে হতে ক্রমে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যায়। সুধীর বিশ্বকর্মা মনে মনে চিন্তা ও উত্তম রূপে নিরীক্ষণ করে এই বিরাট সৃষ্টি চক্র প্রবর্তন করেন। এই বিশ্ব তাঁরই কর্ম বলে তিনি বিশ্বকর্মা।
দেবতাদের শিল্পের কার্য্য সাধক বিশ্বকর্মা
বেদে যিনি মুখ্যতঃ বিশ্বস্রষ্টা, পুরানে তাঁকে দেখি দেবশিল্পী হিসাবে। তিনি “কর্তা শিল্প সহস্রাণাম” অর্থাৎ তিনি সহস্র শিল্পের অধিকর্তা। তিনি “দেবানাং কার্য্যসাধকঃ” অর্থাৎ দেবতাদের শিল্পের কার্য্য সাধক।
দেবতা বিশ্বকর্মা সম্পর্কে মার্কেণ্ডেয় পুরাণের উল্লেখ
মার্কণ্ডেয় পুরানে দেখতে পাই বিশ্বকর্মা দেবীকে অভেদ্য কবচ, পরশু ও নানান অস্ত্র প্রদান করেছিলেন।
বিশ্বকর্মা পূজা উদযাপন
ছুতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে বিশ্বকর্মা পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশ -এ স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন।
বিশ্বকর্মা পূজার মন্ত্র
দংশপালঃ মহাবীরঃ সুচিত্রঃ কর্মকারকঃ।
বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক।।
ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ।
সোনার লঙ্কা নির্মাণকারী বিশ্বকর্মা
হিন্দু পুরাণ অনুসারে ত্রেতা যুগে রাবণ রাজার রাজধানী ছিল সোনার লঙ্কা। পার্বতীর সঙ্গে বিয়ের পর মহাদেব প্রাসাদ নির্মাণের ভার দেন বিশ্বকর্মাকে। স্বর্ণপ্রাসাদ নির্মাণ করেন বিশ্বকর্মা। গৃহপ্রবেশের পুজোর জন্য রাবণ রাজাকে আমন্ত্রণ জানান মহাদেব। পুজোর পর দক্ষিণা স্বরূপ মহাদেবের কাছে স্বর্ণলঙ্কা চান রাবণ। রাবণের হাতে স্বর্ণলঙ্কা তুলে দেন মহাদেব। সেই থেকেই রাবণের রাজধানী স্বর্ণলঙ্কা।
বিশ্বকর্মা কর্তৃক দ্বারকা নির্মাণ
দ্বাপর যুগে বিশ্বকর্মার অমর সৃষ্টি শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা। মহাভারতে দ্বারকাই কৃষ্ণের কর্মভূমি হিসেবে উল্লিখিত। হিন্দুদের অন্যতম দর্শনীয় ও পূজনীয় শহর এই দ্বারকা।
হস্তিনাপুর শহরের নির্মকর্তা বিশ্বকর্মা
কলিযুগে কৌরব ও পাণ্ডবদের রাজধানী হস্তিনাপুর ও ইন্দ্রপ্রস্থও নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ-এর পর কৃষ্ণ ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে হস্তিনাপুরে অভিষিক্ত করেন।
বিশ্বকর্মার দ্বারা নির্মিত ইন্দ্রপ্রস্থ শহর
পাণ্ডবদের শহর ইন্দ্রপ্রস্থ নির্মাণ করেছিলেন এই বিশ্বকর্মাই। পাণ্ডবদের থাকার জন্য এক টুকরো জমি দিয়েছিলেন ধৃতরাষ্ট্র। সেই খাণ্ডবপ্রস্থে ভাইদের সঙ্গে থাকতেন যুধিষ্ঠির। পরে খাণ্ডবপ্রস্থে রাজধানী নির্মাণের জন্য বিশ্বকর্মাকে আমন্ত্রণ জানান কৃষ্ণ। তৈরি হয় ইন্দ্রপ্রস্থ। এই ইন্দ্রপ্রস্থ ছিল মায়ানগরী। প্রাসাদের মাটি দেখলে মনে হত যেন স্বচ্ছ্ব জল টলটল করছে। পুকুরের স্বচ্ছ্ব জলের মধ্যে দিয়ে আয়নার মতো চকচক করতো মাটি। প্রাসাদ তৈরির পর পাণ্ডবদের নিমন্ত্রণ রক্ষায় ইন্দ্রপ্রস্থে যান কৌরবরা। মায়ানগরীর মায়া বুঝতে না পেরে পুকুরের জলে পড়ে যান দুর্যোধন। তাকে পড়ে যেতে দেখে হেসে উঠেছিলেন দ্রৌপদী। অন্ধ বাবার অন্ধ ছেলে বলে দুর্যোধনকে অপমান করেন দ্রৌপদী। এই ঘটনা থেকেই সূত্রপাত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের।
গ্ৰন্থ রচনায় বিশ্বকর্মা
বিশ্বকর্মা যে শুধু কর্মে সুদক্ষ তা নয়, তিনি বেশ কিছু গ্রন্থও লিখে রেখে গেছেন উত্তরসূরীদের জন্য। বিশ্বকর্মার রচিত স্থাপত্যশিল্প বিষয়ক গ্রন্থটির নাম “বাস্তুশাস্ত্রম”। “মানসার” এবং “ময়মতম” গ্রন্থে বস্তু ও বাস্তু শব্দদুটিকে সমার্থক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ‘বস্তু’ শব্দ থেকে ‘বাস্তু’ কথাটা এসেছে। ‘বাস্তু’ শব্দের অর্থ পৃথিবী। ব্যাপক অর্থে সমস্ত প্রাণীর আবাসস্থলই বাস্তু। অর্থাৎ, স্রষ্টার যে-কোনো সৃষ্টিই বাস্তু। কাজেই শুধু পরিকল্পিত মনুষ্যগৃহই নয়, দেবতা থেকে শুরু করে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর আবাসকেই বাস্তু বলে। বাস্তুশাস্ত্রে বাস্তু শব্দের অর্থ ব্যাপক। এই শিল্প নির্মাণ শিল্পকে না-বুঝিয়ে পরিকল্পনা, নির্মাণ, চিত্র, অলংকরণ, স্বর্ণ-চর্ম-বয়নশিল্প, অস্ত্রশিল্প, পোতনির্মাণ, মূর্তিনির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত আছে।
উপবেদ স্থাপত্যবিদ্যার রচয়িতা বিশ্বকর্মা
পুরাণে উল্লেখ আছে, চারটি বেদের মতো চারটি উপবেদও আছে। উপবেদগুলি হল আয়ুর্বেদ, ধনুর্বেদ, গান্ধর্ববেদ এবং স্থাপত্যবেদ। এই উপবেদ স্থাপত্যবিদ্যা বা বাস্তুবিদ্যার রচয়িতা হলেন বিশ্বকর্মা। বলা হয় তিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রধান বাস্তুকার। তাঁর রচিত অন্তত দশখানি পুথি এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
বিশ্বকর্মা যোজনা
ভারতের স্বাধীনতা দিবস -এ দিনমজুর , শ্রমজীবী অনগ্রসর মানুষের জন্য সুখবর দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শুরু হবে বিশ্বকর্মা যোজনা। লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী জানান, ওবিসি শিল্পীদের উন্নতিতে প্রায় ১৪ হাজার কোটির বিনিয়োগ করবে সরকার। কলোনি, ঝুপড়ি, ভাড়াবাড়িতে থাকেন এমন ব্যক্তিদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেবে কেন্দ্র। এই শ্রেণির মানুষজন যাতে সহজ শর্তে ঋণ পান, সেই ব্যবস্থা করবে সরকার। আগামী মাসেই শুরু হবে এই যোজনা। সব মিলিয়ে ১৩,০০০ কোটি থেকে ১৫,০০০ কোটি টাকা সাহায্য করবে সরকার। আগামী দিনে অনগ্রসর যেমন – ধোপা, নাপিত, স্বর্ণকার ছাড়াও দিনমজুররা পাবেন এই নতুন প্রকল্পের সুবিধা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই প্রকল্পটি বিশ্বকর্মা পুজো অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে।
উপসংহার :- হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মশাস্ত্র বেদে মাত্র তেত্রিশটি দেবতার উল্লেখ থাকলেও হিন্দুরা বিশ্বাস করেন তাদের দেবতা তেত্রিশ কোটি। অবশ্য বেশির ভাগ দেবতা স্বর্গে বাস করলেও বেশ কিছু দেবতা এই ধরাধামেই বসবাস করতেন বলে কেউ কেউ মনে করেন। এদেরই একজন দলিত গোষ্ঠীভুক্ত দেবতা বিশ্বকর্মা তথা বিশ্বকর্মা ঠাকুর। তার জন্য সারা বছরে একদিন মাত্র নির্ধারণ করেছেন শ্রমজীবী ভক্তরা। তিনি নিরুপদ্রব দেবতা, ক্রোধী নন, বদমেজাজি নন।
(FAQ) দেবতা তথা দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
দেবতা বিশ্বকর্মা।
বিশ্বকর্মা কে।
ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি বা ১৭ সেপ্টেম্বর।
বিশ্বকর্মা।
হাতি।