স্কলাস্টিক দর্শন

স্কলাস্টিক দর্শন প্রসঙ্গে কলাস্টিক দর্শনের প্রাণকেন্দ্র, স্কুলমেন, কলাস্টিক দর্শনে স্কুলমেনদের প্রধান চিন্তা, স্কলাস্টিক দর্শনের বিস্তার লাভ, প্রধান ব্যক্তি আনসেলম, স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত রোসেলিন, জন দ্য স্কট, স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত অ্যাবেলার্ড, টমাস অ্যাকুইনাস, স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত রোজার বেকন ও স্কলাস্টিক দর্শনে সিকোয়েন্স সম্পর্কে জানবো।

ইউরোপে স্কলাস্টিজম বা স্কলাস্টিক দর্শন প্রসঙ্গে ধর্মতত্ত্বের চেয়ে বেশি কিছু শেখার একটি পদ্ধতি স্কলাস্টিক দর্শন, স্কলাস্টিক দর্শনের বিষয়বস্তুতে বিজ্ঞান, কলাস্টিক দর্শনের প্রাণকেন্দ্র, স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত, কলাস্টিক দর্শনে স্কুলমেনদের প্রধান চিন্তা ও স্কলাস্টিক দর্শনের বিস্তার লাভ সম্পর্কে জানব।

স্কলাস্টিক দর্শন

ঐতিহাসিক ঘটনাস্কলাস্টিক দর্শন
স্থানইউরোপ
সময়কালএকাদশ-দ্বাদশ শতক
আনসেলমCur Deus Homo
টমাস অ্যাকুইনাসধর্মতত্ত্বের সংক্ষিপ্তসার
রোজার বেকনওপাস মাজুস
স্কলাস্টিক দর্শন

ভূমিকা :- J. W. Thompson এবং E. N. Johnson এর লেখা থেকে মধ্যযুগের চিন্তাধারার ক্ষেত্রে স্কলাসটিক দর্শন বা ‘Scholasticism’ এর কথা জানা যায়। Scholasticism ছিল এক ধরনের দার্শনিক চিন্তাধারা বিশেষ। একে সাংস্কৃতিক বুদ্ধিবাদ বা সাংস্কৃতিক দর্শনও বলা যেতে পারে।

কলাস্টিক দর্শনের প্রাণকেন্দ্র

মধ্যযুগের ইউরোপে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি গড়ে উঠেছিল সেগুলি ছিল ‘Scholasticism’ বা স্কলাস্টিক দর্শনের প্রাণকেন্দ্র স্বরূপ।

ইউরোপের কলাস্টিক দর্শনে স্কুলমেন

একাদশ এবং দ্বাদশ শতকে ইউরোপের যে পণ্ডিতরা এই চিন্তাধারাকে সমৃদ্ধ করেছিলেন তাঁরা ‘স্কুলমেন’ নামে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এই স্কুলমেনরা নতুন শিক্ষাধারা, জ্ঞানচর্চা ও দর্শনের প্রসারে উদ্যোগী হয়েছিলেন।

কলাস্টিক দর্শনে স্কুলমেনদের প্রধান চিন্তা

এদের প্রধান চিন্তাই ছিল খ্রিস্টধর্মের মতবাদকে বৈজ্ঞানিক সত্যের উপর প্রতিষ্ঠা করা এবং যুক্তিগ্রাহ্য বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া। স্কুলমেনদের শিক্ষা পদ্ধতি থেকেই ‘Scholasticism’ এর উদ্ভব।

ইউরোপে কলাস্টিক দর্শনের বিস্তারলাভ

নিজের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যুক্তিগ্রাহ্য দিকগুলিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। অ্যারিস্টটল-এর মত ও গ্রীক দার্শনিকদের যুক্তিগ্রাহ্য মতগুলিকে গ্রহণ করেই ‘Scholasticism’ বিস্তার লাভ করেছিল।

স্কলাসটিক দর্শনের প্রধান ব্যক্তিত্ব আনসেলম

  • (১) C. W. Previte তার ‘Orton The Shorter Cambridge Medieval History’ নামক গ্রন্থে স্কলাসটিক দর্শন সম্বন্ধে আলোচনায় আনসেলকে প্রধান ব্যক্তিত্ব বলেছিলেন। আনসেলম ক্যান্টারবেরীর আর্চ বিশপের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তার সময়কাল ছিল ১০৩৩-১১০৯ খ্রিস্টাব্দ।
  • (২) ব্যক্তির বিশ্বাস এবং সত্যের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তাকে দৃঢ় রাখাই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। তিনি ব্যক্তির বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে দেখে তার সত্যতা নির্ণয়ের চেষ্টা করতেন। ধর্মীয় বিষয় সম্পর্কে তাঁর প্রচুর জ্ঞান ছিল। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস থেকেই তিনি রচনা করেছিলেন বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Cur Deus Homo’। এছাড়া তিনি ‘De Fide Trinitatis’,’The Mongolium’, The Proslogion’ নামক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
  • (৩) মানবজীবন ও ঈশ্বরের সাধনার মধ্যে দিয়েই তার সমস্ত চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়েছিল। অসম্ভব জ্ঞানী ও ধার্মিক এই পণ্ডিত ব্যক্তি আনসেলমকে চার্চ ‘সেন্ট’ উপাধি দিয়েছিল। যদিও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার জন্য তিনি পোপের ক্ষমতার সীমারেখা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সম্রাট দ্বিতীয় উইলিয়াম ও প্রথম হেনরীর সঙ্গে তার তীব্র মতপার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
  • (৪) বিশ্বকে যিনি সৃষ্টি করেছেন সেই সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি কিভাবে ঈশ্বর রূপে পরিচিত হলেন সেই সমস্ত বিষয় তিনি দার্শনিক তত্ত্বের মধ্যে দিয়ে বিশ্লেষণ করেছিলেন। McGiffert তাঁর ‘A History of Christian Thought’ গ্রন্থে আনসেলেমের যুক্তি এবং বিশ্বাস সম্পর্কে ধারণাগুলি আলোচনা করেছিলেন।
  • (৫) বিশ্বে যে কোনো ঘটনার ক্ষেত্রেই যুক্তি রয়েছে। যে কোন বিশ্বাস তখনই সত্য হবে যদি তা যুক্তির দ্বারা বিশ্লেষণ করা যায়। আনসেলম অবশ্য ঈশ্বরের অবদানের কথাই তুলে ধরেছিলেন।

ইউরোপের স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত রোসেলিন

Randall তাঁর ‘The Making of the Modern Mind’ গ্রন্থে স্কলাস্টিক দর্শনের দিকগুলি আলোচনা করে সত্য বলতে ঈশ্বরকে সর্বশেষ অবলম্বন বলেছিলেন। আনসেলমের সময়কালে রোসেলিন ছিলেন একজন জনপ্রিয় পণ্ডিত ব্যক্তি। তাঁর সময়কাল ১০৫০-১১২০ খ্রিস্টাব্দ। তিনি যুক্তির দ্বারা কোন বিষয়কে বোঝার চেষ্টা করতেন।

স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত জন দ্য স্কট

  • (১) মধ্যযুগের ইউরোপে দর্শন শাস্ত্রের বিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন জন দ্য স্কট। তিনি চার্লস দ্য বল্ডের রাজসভাতে ছিলেন। গ্রীক ভাষায় সুপণ্ডিত জন দ্য স্কট Neo-Platonism-এর দর্শনের দ্বারা আকৃষ্ট হয়েছিলেন। তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম হল ‘De-Divisione Naturae’।
  • (২) তার এই গ্রন্থটিতে খ্রিস্টধর্ম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যের জন্য পোপ তৃতীয় হনোরিয়াস এই গ্রন্থটিকে পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এই গ্রন্থটিকে জন দ্য স্কটের নিজস্ব চিন্তাধারার ফসল বলা যেতে পারে, যা অন্য চিন্তাশীল ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করেছিল।

ইউরোপের স্কলাসটিক দার্শনিক স্কুলমেন

  • (১) Haskins তাঁর ‘Studies in Medieval Science’ গ্রন্থে মধ্যযুগের ইউরোপের বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গীর আলোচনা করতে গিয়ে যুক্তি ও বিশ্বাসের মধ্যে যে স্কুলমেন সংঘাত রয়েছে তা বলেছেন। মধ্যযুগের জ্ঞানচর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিলেন Albertus Magnus, Thomas Aquinas, Roger Bacon প্রমুখ। এঁরা স্কুলমেন নামে পরিচিত ছিলেন।
  • (২) স্কলাসটিক দার্শনিকদের বহু মূল্যবান রচনা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল Peter Lombard এর ‘Sentences’, ‘Summa Theologiae’ যা বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্রগুলির নির্যাসের সংকলন। এছাড়া ‘Encyclopedia’, Speculum doctrinale’ বা ‘Speculum Naturale’ অর্থাৎ ‘বিজ্ঞানের শাস্ত্র’ বলে অভিহিত করতেন।
  • (৩) স্কুলমেনরা ‘Nominalism’ কে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। অর্থাৎ বাস্তবের পরিবর্তে দার্শনিক চিন্তাধারাই তাদের প্রধান বিষয় ছিল। তাই ‘Realism’ বা বাস্তববাদীরা তাদের সমালোচনা করেছিলেন

স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত অ্যাবেলার্ড

  • (১) Henry Adams Mont Saint-Michel and Chartres’ গ্ৰন্থে Gothic স্থাপত্য নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও মধ্যযুগের ইউরোপের বাস্তব প্রেক্ষাপটও আলোচনা করেছিলেন। তাঁর আলোচনায় Abelard এবং St. Thomas Aquinas এর মতো পণ্ডিত ব্যক্তিদের আলোচনা করেছিলেন।
  • (২) মধ্যযুগের ইউরোপের একজন বিখ্যাত দার্শনিক ছিলেন অ্যবেলার্ড। তাঁর দর্শন বিষয়ক বিখ্যাত রচনা হল ‘Sic et Non’। অ্যাবেলার্ড বলেন, ঈশ্বর বিশ্বকে শাসন করলেও প্রাকৃতিক বিষয়গুলি বিশ্বের ভারসাম্য বজায় রেখেছে। বিশ্বে ধর্মের পাশাপাশি বিজ্ঞানও রয়েছে। অর্থাৎ তাঁর দার্শনিক চিন্তাধারার মধ্যে যুক্তিবাদ রয়েছে।
  • (৩) তাই তিনি ঈশ্বর ও বিজ্ঞান দুটি বিষয়ের কথা বলেছেন। অ্যাবেলার্ডের দার্শনিক মতবাদের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন সেন্ট বার্ণাড। কারণ অ্যাবেলার্ডের দার্শনিক মতবাদের মধ্যে বিশ্বাস থাকলেও তা গ্রহণযোগ্য নয় এবং বিজ্ঞান নয় বলে আধুনিক বিশ্বেও এই মতবাদ গ্রহণযোগ্য নয়।

ইউরোপের স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত টমাস অ্যাকুইনাস

  • (১) থর্নডাইক “A History of Magic and Experimental Science” গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগে সাধারণ বিজ্ঞানের বিষয়গুলি আলোচনা করেছিলেন। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের দ্বারা যা প্রমাণিত তা বিজ্ঞান বলে পরিচিত হয়। দ্বিতীয় ফ্রেডারিক জীববিদ্যা বিষয়ক একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন। সেই গ্রন্থটির নাম হল “On the Art of Hunting with Falcons”।
  • (২) টমাস অ্যাকুইনাস “Summa Theologiae” নামক একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন। যার অর্থ হল “ধর্মতত্ত্বের সংক্ষিপ্তসার” তার মতে, দর্শন এবং বিশ্বাসের মধ্যে কোনোরকম বিরোধ নেই, খ্রিস্টধর্ম বিরোধী মতবাদ যারা প্রচার করেন তাদের যুক্তির মধ্যেই ত্রুটি আছে এবং তাঁদের বিচার পদ্ধতিও সঠিক নয়।
  • (৩) টমাস অ্যাকুইনাস দক্ষিণ ইতালি এবং সিসিলিতে অবস্থিত ‘Aquino’-তে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যে অঞ্চলটি দ্বিতীয় ফ্রেডারিক-এর সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল এবং ‘Monte Cassino’-এর কাছাকাছি অবস্থিত ছিল। প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে অধ্যাপনা করেন।
  • (৪) তিনি পোপতন্ত্রের পরামর্শদাতা রূপে কাজ করেছিলেন। টমাস অ্যাকুইনাসের উল্লেখযোগ্য রচনা হল “Summa Contra Gentiles”। ধর্মতত্ত্ব ও দর্শনের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করতেন। Mckeon তাঁর “Selections from Medieval Philosophers” নামক গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগে দার্শনিক তত্ত্ব সম্পর্কে বিশদ জানা যায়।
  • (৫) টমাস অ্যাকুইনাসের সমালোচক ছিলেন স্কোর্টাস। ঈশ্বরের অস্তিত্ব, আত্মাগুলি অবিনশ্বর – খ্রিস্টানধর্মের এই মৌলিক ধ্যান ধারণাগুলি যুক্তি বা বিচারের উর্ধ্বে বলেই তিনি মত প্রকাশ করেছিলেন। ১২৭৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত রোজার বেকন

  • (১) রোজার বেকন মধ্যযুগের ইউরোপের একজন বিখ্যাত চিন্তাবিদ ছিলেন। বহুমুখী প্রতিভাবান এই চিন্তাবিদ “Wonderful Teacher” নামে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থগুলি হল ওপাস মাজুস, ওপাস টারটিউম, ওপাস মিনুস। মধ্যযুগের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পদ্ধতি এবং শিক্ষার মান সম্পর্কে রোজার বেকন তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
  • (২) তাঁর মতে, অনুমান করে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। বিজ্ঞানচর্চার জন্য তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার এবং বিশ্লেষণের উপর জোর দিয়েছিলেন। ১২৭৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মতবাদের জন্য রোজার বেকন কারাবরণ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি তাঁর মতবাদ থেকে দূরে সরে যান নি।

ইউরোপের স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিত পিটার দ্য লোম্বার্ড

দ্বাদশ শতকের চিন্তাবিদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ‘পিটার দ্য লোম্বার্ড।’ তিনি ‘Master of the Sentences’ নামে পরিচিত ছিলেন। ‘Libri Sententiarum IV তাঁর লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এই গ্রন্থে বাইবেলের আলোচনা ও বাইবেল সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বিষয় সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য রয়েছে।

স্কলাস্টিক দর্শনে সিকোয়েন্স

মধ্যযুগের ইউরোপের ছন্দোবদ্ধ কবিতার একটি ধারা ছিল সিকোয়েন্স। এই সিকোয়েন্স ধারাটির বিকাশ হয়েছিল অষ্টম ও নবম শতকে। দ্বাদশ শতকে প্যারিসের সজ্জন ব্যক্তি অ্যাডাম সিকোয়েন্সের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করেছিলেন। সিকোয়েন্সের কবিতাগুলি লাতিন গীতি কবিতাতেও অনুপ্রেরণা দান করেছিল।

উপসংহার :- স্কলাস্টিক দর্শনের প্রধান দিক ছিল খ্রিস্টধর্মের মতবাদকে বৈজ্ঞানিক সত্যের উপর প্রতিষ্ঠা করা এবং যুক্তিগ্রাহ্য বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া।

(FAQ) স্কলাস্টিক দর্শন সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. স্কলাস্টিক দর্শনের পণ্ডিতবর্গ কি নামে পরিচিত ছিল?

স্কুলমেন।

২. ওপাস মাজুস কার লেখা?

রোজার বেকন।

৩. ধর্মতত্ত্বের সংক্ষিপ্তসার কার লেখা?

টমাস অ্যাকুইনাস।

৪. স্কলাস্টিক দর্শনের প্রধান ব্যক্তিত্ব কে ছিলেন?

আনসেলম।

অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি

Leave a Comment