অব উপনিবেশিকরণের প্রকাশ প্রসঙ্গে মুক্তি সংগ্রামের সূত্রপাত, উপনিবেশবাদ বিরোধী আন্দোলনের কারণ ও উপনিবেশবাদ অবসানের কারণ সম্পর্কে জানবো।
অব উপনিবেশিকরণের প্রকাশ
ঐতিহাসিক ঘটনা | অব উপনিবেশীকরণের প্রকাশ |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ | ১৯৩৯-৪৫ খ্রি |
পরিবর্তনের হাওয়া | ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী |
জোটনিরপেক্ষ দেশ | ভারত, মিশর |
ভূমিকা :- পশ্চিমি ইউরোপীয় শক্তিগুলি তাদের উপনিবেশগুলির নিজস্ব শিক্ষা সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে পশ্চাৎপদ মনে করে এবং সেখানে নিজেদের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রসার ঘটায়। পাশ্চাত্য শিক্ষা ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংস্পর্শে এলে এই সমস্ত উপনিবেশগুলির মানুষের মনে জাতীয়তাবাদী চেতনা জন্ম নেয়। এভাবে ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি নিজেদের অজান্তেই পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রসার ঘটিয়ে উপনিবেশগুলিতে নিজেদের কবর খনন করে।
মুক্তি সংগ্রামের সূত্রপাত
বিংশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার উপনিবেশগুলিতে মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয়ে যায়।
উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের কারণ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে) পরবর্তীকালে বিশ্বের বিভিন্ন উপনিবেশে তীব্র মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয়। এর ফলে বিশ্বের অধিকাংশ উপনিবেশে অব উপনিবেশীকরণ অর্থাৎ উপনিবেশবাদের অবসান ঘটতে শুরু করে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার উপনিবেশগুলিতে মুক্তিসংগ্রাম শুরু হওয়ার বিভিন্ন কারণ ছিল। এই কারণগুলি হল –
(ক) পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব
- (১) পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার উপনিবেশগুলিতে পাশ্চাত্য শিক্ষার যথেষ্ট প্রসার ঘটে। এর ফলে উপনিবেশগুলির মানুষ ইউরোপীয় রেনেসাঁস থেকে উদ্ভুত জাতীয়তাবাদ ও মানবতাবাদী আদর্শের স্পর্শ পায়।
- (২) এই নতুন আদর্শে দীক্ষিত অনেক মানুষ নিজেদের জাতীয়তাবাদী চেতনা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। তারা উপলব্ধি করে, নিজ জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতা লাভের জন্য ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।
(খ) পশ্চিমি শোষণ
- (১) পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি তাদের নিজ নিজ উপনিবেশে তীব্র অর্থনৈতিক শোষণ চালিয়ে নিজ দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধি ঘটাতে থাকে। উপনিবেশ থেকে সস্তায় কাঁচামাল সংগ্রহ করে তার দ্বারা পশ্চিমি ঔপনিবেশিক দেশগুলিতে শিল্প উৎপাদন প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
- (২) আবার উৎপাদিত শিল্প-পণ্যই উপনিবেশের বাজারগুলি দখল করে নিলে উপনিবেশের স্থানীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। দিনের পর দিন উপনিবেশে শোষণ চালানোর ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনে চরম দুর্গতি নেমে আসে। তারা বাধ্য হয়ে পশ্চিমি শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
(গ) পশ্চিমি সংস্কৃতির বিরোধিতা
- (১) পাশ্চাত্য ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি তাদের অধীনস্থ উপনিবেশগুলির নিজস্ব সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে খুবই নীচু দৃষ্টিতে দেখত। এজন্য তারা সেখানকার সভ্যতা ও সংস্কৃতির ওপর নিজেদের পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়।
- (২) এভাবেই চাপিয়ে দেওয়া পশ্চিমি শিক্ষার প্রভাবে এইসব উপনিবেশের মানুষরা ইউরোপের নবজাগরণের সঙ্গে পরিচিত হয়। ফলে তাদের নিজ ঐতিহ্যের চেতনাবোধ জেগে ওঠে। তাই তারা নিজেদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষার জন্য পশ্চিমি সভ্যতা ও সংস্কৃতির আগ্রাসন ও বিধ্বংসী প্রভাবের বিরোধিতায় সরব হয়।
(ঘ) আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবি
পশ্চিমি ভাবধারার সংস্পর্শে আসার ফলে উপনিবেশগুলির বাসিন্দারা নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবি জানাতে থাকে। এভাবে উপনিবেশের বাসিন্দারা বিদেশি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের রাজনৈতিক ভাগ্য গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতে থাকে।
উপনিবেশবাদ অবসানের কারণ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী প্রায় ৩৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ থেকে পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে এবং অধিকাংশ উপনিবেশ সার্বভৌম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনাকে ‘পরিবর্তনের হাওয়া’ বলে উল্লেখ করেন। এই সময় উপনিবেশবাদের অবসানের বিভিন্ন কারণ ছিল। এই কারণগুলি হল –
(ক) বিশ্বযুদ্ধের ফলশ্রুতি
- (১) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলির অর্থনীতি খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকী তাদের রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যবস্থাও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এই ভঙ্গুর ও দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতিতে তারা দূরদূরান্তের উপনিবেশগুলিতে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হচ্ছিল না।
- (২) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এশিয়ার অন্যতম দেশ জাপানের অভাবনীয় সাফল্য প্রমাণ করেছিল যে, পশ্চিমি শক্তির বিরুদ্ধে এশিয়া বা আফ্রিকার দেশগুলির প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকরী করা সম্ভব। এই পরিস্থিতিতে উপনিবেশগুলি স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শক্তিগুলিও উপনিবেশগুলিকে স্বাধীনতা দিতে বাধ্য হয়।
(খ) আমেরিকা ও রাশিয়ার চাপ
আমেরিকা মনে করেছিল যে, ঔপনিবেশিক শাসনমুক্ত হওয়ার পর সদ্য স্বাধীন দেশগুলিতে আমেরিকার বাণিজ্যিক অগ্রগতি সম্ভব হবে। আবার এই সমস্ত দেশগুলিতে রাশিয়া সমাজতন্ত্র প্রসারের সম্ভাবনা দেখেছিল। সেই কারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তি আমেরিকা ও রাশিয়া পশ্চিমি দেশগুলিকে তাদের ঔপনিবেশিক দেশ হিসেবে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে।
(গ) দ্বন্দ্বের পরিণাম
- (১) বিভিন্ন ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির নিজেদের মধ্যে তীব্র বিরোধ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং লড়াই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের পটভূমি প্রস্তুত করেছিল। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব বা বিরোধ চলছিল, তার জেরে কোনো কোনো ঔপনিবেশিক দেশ তাদের শত্রুদেশের উপনিবেশের বাসিন্দাদের আন্দোলনে সমর্থন ও সহায়তা করে।
- (২) তাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিপাকে ফেলা। ফলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির বিরোধের কারণে অনেক দেশের উপনিবেশ-বিরোধী মুক্তিসংগ্রাম শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং উপনিবেশবাদের অবসান ঘটতে থাকে।
(ঘ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব
- (১) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন রণাঙ্গনে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স প্রভৃতি ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি তাদের অধীনস্থ উপনিবেশগুলির জনসাধারণের সাহায্য প্রার্থনা করেছিল।
- (২) এই সাহায্য লাভের বিনিময়ে তারা উপনিবেশগুলিকে যুদ্ধের পর স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে উপনিবেশগুলির বাসিন্দারা এই প্রতিশ্রুতি পালনের দাবি জানায়।
(ঙ) দারিদ্র্য মুক্তির আকাঙ্ক্ষা
ঔপনিবেশিক শাসনে জর্জরিত উপনিবেশগুলির বাসিন্দারা সীমাহীন শোষণ, দারিদ্র্য, অনাহার ও অশিক্ষার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে বাধ্য হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং এর পরবর্তীকালে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, কালোবাজারি প্রভৃতির ফলে এই দুর্দশা চরমে ওঠে। উপনিবেশের বাসিন্দারা অনুভব করে এই দারিদ্র্য ও দুর্দশা থেকে মুক্তিলাভের একমাত্র উপায় হল ঔপনিবেশিক শক্তির অধীনতা ছিন্ন করে স্বাধীনতা লাভ করা।
(চ) পাশ্চাত্য ভাবধারার প্রভাব
উপনিবেশগুলিতে পাশ্চাত্য দর্শন, জ্ঞানবিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ভাবধারার প্রসারের ফলে উপনিবেশগুলির বাসিন্দাদের মনে গণতন্ত্র, সাম্য, স্বাধীনতা ও জাতীয়তাবাদী চেতনা বৃদ্ধি পায়। ফলে উপনিবেশগুলিতে পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির বিরুদ্ধে বিরোধিতার পরিস্থিতি তৈরি হয়। উপনিবেশের প্রগতিশীল বহু নাগরিক পশ্চিমি দেশগুলি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে স্বদেশে ফিরে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল।
(ছ) জনমত গঠন
- (১) পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলিতে উদারনীতিবাদের সমর্থক কোনো কোনো মহান ব্যক্তি উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে প্রচার করেন। তাঁরা ঔপনিবেশিক শাসনের ত্রুটিবিচ্যুতির বিষয় উল্লেখ করে উপনিবেশগুলিকে মুক্তিদানের সপক্ষে জনমত গড়ে তোলেন।
- (২) বেত্থাম, ডিসরেইলি, বার্ক প্রমুখ মহান ব্যক্তি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের দাবি করেন। এর ফলে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপে জনমত গড়ে ওঠে এবং ঔপনিবেশিক শাসকদের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।
(জ) জাতীয়তাবাদের প্রসার
- (১) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে বিভিন্ন উপনিবেশে জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবি জোরদার হয়। এর ফলে উপনিবেশগুলিতে বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী সংগঠন ও রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে।
- (২) আত্মনিয়ন্ত্রণ অর্জনের লক্ষ্যে এই সব সংগঠন ও রাজনৈতিক দল শাসনক্ষমতা দখলের উদ্যোগ নেয়। এইসব জাতীয়তাবাদী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে উপনিবেশগুলিতে পশ্চিমি ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়।
(ঝ) জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের ভূমিকা
- (১) ভারত, যুগোশ্লাভিয়া, মিশর প্রভৃতি দেশগুলি একদা শোষণমূলক ঔপনিবেশিক শাসনের শিকার হয়েছিল বলে স্বাধীনতা লাভের পর তারা কোনো জোটে শামিল হতে চায় নি। এই সব দেশের নেতৃত্বে বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল।
- (২) এই আন্দোলনে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ও প্রতিটি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের সপক্ষে প্রচার চালানো হয়েছিল। জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের আদর্শে উদবুদ্ধ নেতাদের ভূমিকা বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ-বিরোধী আন্দোলনকে আরও সক্রিয় করে তুলেছিল।
(ঞ) জাতিপুঞ্জের ভূমিকা
- (১) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অন্যতম কর্মসূচি ছিল বিশ্বের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটানো। জাতিপুঞ্জের সনদের বিভিন্ন অংশে উপনিবেশগুলিকে মুক্তিদানের কথা বলা হয়েছে।
- (২) ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্র ও জাতির সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করাই ছিল জাতিপুঞ্জের অন্যতম লক্ষ্য। জাতিপুঞ্জের উদ্যোগের ফলে বহু উপনিবেশের মুক্তি ঘটে এবং স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর তারা জাতিপুঞ্জের সদস্যপদ গ্রহণ করে।
উপসংহার :- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন উপনিবেশ গুলি পশ্চিমি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অধীনতা থেকে মুক্তি লাভের উদ্দেশ্যে তীব্র সংগ্রাম শুরু করে এবং অধিকাংশ উপনিবেশই স্বাধীনতার লাভে সক্ষম হয়।
(FAQ) অব উপনিবেশিকরণের প্রকাশ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
১৯৩৯-৪৫ খ্রিস্টাব্দে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ভারত ও মিশর।