মৈত্রেয়ী

বৈদিক যুগের বিদুষী নারী মৈত্রেয়ী প্রসঙ্গে মৈত্রেয়ীর বংশ পরিচয় ও শিক্ষা লাভ, মৈত্রেয়ীর অসাধারণ জ্ঞানগরিমার পরিচয়, মৈত্রেয়ী পতি যাজ্ঞবল্ক্যের সংসার ত্যাগের সিদ্ধান্ত, যাজ্ঞবল্ক্য কর্তৃক মৈত্রেয়ীর কাছে অনুমতি প্রার্থনা, ধনবান ঋষি মৈত্রেয়ী পতি যাজ্ঞবল্ক্য, যাজ্ঞবল্ক্যের প্রতি মৈত্রেয়ীর ইচ্ছা প্রার্থনা, মৈত্রেয়ীর ইচ্ছা প্রার্থনার উত্তর, স্বামীর নিকট মৈত্রেয়ীর উপদেশ প্রার্থনা, মৈত্রেয়ীর কথায় যাজ্ঞবল্ক্যের প্রীতিলাভ, যাজ্ঞবল্ক্য কর্তৃক মৈত্রেয়ীর মুক্তির মহন্ত পুরুষের সন্ধান, যাজ্ঞবল্ক্য কর্তৃক মৈত্রেয়ীকে আত্মতত্ত্ব সম্বন্ধে উপদেশ, মৈত্রেয়ী কর্তৃক স্বামীর উপদেশ যাচাই করে গ্ৰহণ, সর্বশক্তিমান পরমাত্মা সম্পর্কে মৈত্রেয়ীর জ্ঞান লাভ ও স্বামীর উপদেশে মৈত্রেয়ীর প্রীতি লাভ সম্পর্কে জানবো।

প্রাচীন ভারতের পরবর্তী বৈদিক যুগের একজন দার্শনিক মৈত্রেয়ী প্রসঙ্গে মৈত্রেয়ী নামের অর্থ বন্ধুভাবাপন্না, মৈত্রেয়ীর শিক্ষা, মৈত্রেয়ীর স্বামী যাজ্ঞবল্ক্য, মৈত্রেয়ীর অসাধারণ জ্ঞানগরিমা, সর্বশক্তিমান পরমাত্মা সম্পর্কে মৈত্রেয়ীর জ্ঞান লাভ সম্পর্কে জানব।

বৈদিক যুগের বিদুষী নারী মৈত্রেয়ী

ঐতিহাসিক চরিত্রমৈত্রেয়ী
পরিচিতিপরবর্তী বৈদিক যুগের বিদুষী নারী
পিতামিত্র
স্বামীযাজ্ঞবল্ক্য মুনি
বৈদিক যুগের বিদুষী নারী মৈত্রেয়ী

ভূমিকা :- বৈদিক যুগের মহিলাদের ন্যায় উপনিষদের যুগেও বহু বিদুষী মহিলা জন্মগ্রহণ করে ভারতভূমিকে পবিত্র করে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পরবর্তী বৈদিক যুগ-এর বিদুষী নারী মৈত্রেয়ী।

মৈত্রেয়ীর বংশ পরিচয় ও শিক্ষা লাভ

বিদুষী মৈত্রেয়ীর পিতার নাম মিত্র। মিত্রও একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন। মিত্র কন্যা মৈত্রেয়ীকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে শিক্ষা দান করেছিলেন এবং পরে মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্যের সাথে তাঁর বিবাহ দিয়েছিলেন।

উপনিষদের যুগে মৈত্রেয়ীর অসাধারণ জ্ঞানগরিমার পরিচয়

বৃহদারণ্যক উপনিষদের দ্বিতীয় অধ্যায়ের চতুর্থ ব্রাহ্মণের প্রথম মন্ত্রে যাজ্ঞবল্ক্য ও মৈত্রেয়ীর মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছিল তা থেকেই মৈত্রেয়ীর অসাধারণ জ্ঞানগরিমার পরিচয় পাওয়া যায়।

মৈত্রেয়ী পতি যাজ্ঞবল্ক্যের সংসার ত্যাগের সিদ্ধান্ত

যাজ্ঞবল্ক্য স্থির করলেন সংসারধর্ম পরিত্যাগ করে সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করবেন। শাস্ত্রে বিধি আছে যে, যদি স্বামী গৃহস্থ আশ্রম পরিত্যাগ করতে ইচ্ছা করেন তাহলে স্ত্রী জীবিতা থাকলে পতির পত্নীর নিকট হতে অনুমতি গ্রহণ করতে হয়।

ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য কর্তৃক মৈত্রেয়ীর কাছে অনুমতি প্রার্থনা

যাজ্ঞবল্ক্য যখন সঙ্কল্প দৃঢ় করলেন, তখন মৈত্রেয়ীকে বললেন “মৈত্রেয়ী, আমি সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করব স্থির করেছি, এই বিষয়ে আমি তোমার অমুমতি প্রার্থনা করছি। আমি সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করলে তোমাদের যাতে কোন ক্লেশ না হয়, সেজন্য তুমি ও তোমার সপত্নী কাত্যায়নীকে আমার ধনসম্পত্তি সমুদয় সমান ভাগে ভাগ করে দেব। আমার প্রস্তুত সম্পত্তিতে তোমাদের অন্নবস্ত্রের কোনরূপ ক্লেশ হবে না।”

ধনবান ঋষি মৈত্রেয়ী পতি যাজ্ঞবল্ক্য

  • (১) যাজ্ঞবল্ক্য ধনবান ঋষি ছিলেন। মহারাজ জনকের বহু শাস্ত্রীয় জটিল প্রশ্নের সদুত্তর প্রদান করে তিনি বহুবার অনেক সহস্র ধেনু এবং বহু সহস্র সুবর্ণ লাভ করেছিলেন। কোন কোনবার জনক রাজা সহস্র ধিনুর প্রত্যেক শৃঙ্গদ্বয় সুবর্ণে ভূষিত করে মহর্ষিকে দান করেছিলেন। এইরূপ দানও বহুবার হয়েছিল।
  • (২) কাজেই যাজ্ঞবল্ক্য ধনসম্পত্তিশালী, সুখী এবং সঞ্চয়ী ও সদ্ব্যয়ী ব্যক্তি ছিলেন। তাহার পুণ্য তপোবনে বহু সহস্র শিষ্য অন্নবস্ত্রাদি প্রাপ্ত হয়ে শিক্ষালাভ করত। এই সহস্র শিল্পের ভরণপোষণের ব্যয় নির্ব্বাহ করা যে কত বড় ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার তা সহজেই হৃদয়ঙ্গম করতে পারা যায়। এজন্যই ধনবান ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য বলতে পেরেছিলেন, “আমার প্রদত্ত ধনসম্পত্তিতে তোমাদের অন্নবস্ত্রের কোন ক্লেশ হবে না।”

যাজ্ঞবল্ক্যের প্রতি মৈত্রেয়ীর ইচ্ছা প্রার্থনা

  • (১) স্বামীর মুখে সম্পত্তি বিভাগের কথা শুনে মৈত্রেয়ী দুঃখিতা হয়ে বলেন “বিবিধ ধনরত্নানিপূর্ণ সসাগরা পৃথিবী লাভ করলেও আমার অভীষ্ট সিদ্ধ হবে না। আপনার এই সুবর্ণ, আপনার এই শস্যসম্ভার পরিপূর্ণ ক্ষেত্র, আপনার ধেনুসমূহ এবং আপনার প্রদত্ত ধনসম্পত্তিতে আমার যে প্রাণের অভিলাষ তা কখনও পূর্ণ হবে না।
  • (২) এমন কি লক্ষ লক্ষ মুদ্রা ব্যয়ে আমি যদি অশ্বমেধ যজ্ঞও সম্পন্ন করি তাহলেও আমার প্রাণের যে কামনা তা সিদ্ধ হবার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ এই সকল যজ্ঞকার্যাদি অনুষ্ঠানের ফলে আমি স্বর্গে গমন করলেও, পুনরায় পুণ্যশেষে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করতে হবে। কাজেই আমার মনের বাসনা ত পূর্ণ হবে না।
  • (৩) আমি অমর হতে ইচ্ছা করি। আমি অমৃত প্রার্থনা করি। আমি কি চাই জান, প্রিয়তম ? পৃথিবীর সম্পদ ও ভোগবিলাস সুখেও আমার চিত্ত উন্মুখ নয়, জ্যোতির্লোক বা স্বর্গলোকেরও আমি প্রার্থিনী নই, আমি চাই সত্যলোক, আমি চাই জ্ঞানলোক, আনন্দলোক, আমি চাই অমৃতলোক। যে লোক লাভ হলে মানুষের কোনো বাসনা থাকে না, আমি সেই অমরত্ব লাভের জন্য সমুৎসুক।
  • (৪) তুমি আমাকে ধন, রত্ন, গো, গৃহ ইত্যাদির লোভে মুগ্ধ করে কি সামান্যা নারীর ন্যায় পরিত্যাগ করে যেতে পারবে ? বল প্রিয়তম! এই সমুদয় পার্থিব ধনসম্পত্তি কি আমায় অমরত্ব দান করতে পারবে? বল প্রিয়তম! আমি কেমন করে অমর হব? আপনার প্রদত্ত এই ধনসম্পত্তি গ্রহণে ও ভোগে আমার অমরত্ব লাভ হবে কি ?”

মৈত্রেয়ীর ইচ্ছা প্রার্থনার উত্তর

  • (১) মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য বললেন, “প্রিয়তমে ! তুমি যদি পৃথিবীর অধিশ্বরীও হও তাহলেও তোমার অমরত্ব লাভ হবে না। অট্টালিকা, সুবর্ণ, রৌপ্য, রত্ন, শস্যক্ষেত্র, হস্তী, ঘোটক ইত্যাদি যান, বিবিধ সুখভোগ্য খাদ্যদ্রব্য, এসকলে তোমার জীবনযাত্রা শান্তিসুখে নির্বাহিত হবে এইমাত্র। কিন্তু মৃত্যুর পর সাধারণ মানবের ন্যায় তোমাকে পুনরায় জন্মগ্রহণ করতে হবে এবং পুনরায় মৃত্যুর হস্তে পড়তে হবে।
  • (২) এই জন্মমৃত্যু-সম্বন্ধ একেবারে দূর হবে না। দীনদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত ব্যক্তিকে জীবনে-মরণে যেরূপ সুখদুঃখের ভিতর দিয়ে যেতে হয়, নিরবচ্ছিন্ন সুখলাভ অদৃষ্টে ঘটে না, সেরূপ তোমারও ধনী ব্যক্তির ন্যায় সুখস্বচ্ছন্দতার ভিতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত হবে। এই লাভ ব্যতীত তোমার মুক্তিপ্রাপ্তির কোন আশা নেই – একথা নিশ্চিত জানবে।”

স্বামীর নিকট মৈত্রেয়ীর উপদেশ প্রার্থনা

মৈত্রেয়ী স্বামীর কথা শুনে বললেন “সে সকল বস্তু দ্বারা আমার কি লাভ হবে? “যেনাহং নায়তা সাৎ কিমহং তেন কুর্য্যাম্ !” যাতে আমার অভীষ্ট সিদ্ধ হবে না, এমন দান গ্রহণ করে আমি কি করব ? অতএব প্রিয়তম ! আমাকে এমন উপদেশ দাও, যে উপদেশ পেলে আমি মুক্তিলাভ করতে পারব, পরমাত্মা পরমেশ্বরে বিলীন হতে পারব – আমি সেই উপদেশ, সেই শিক্ষাই আপনার নিকট চাই। চাই সেই জ্যোতির্ময় পুরুষের সন্ধান, যার কৃপায় আমি মৃত্যুকে লঙ্ঘন করতে পারব।”

মৈত্রেয়ীর কথায় যাজ্ঞবল্ক্যের প্রীতিলাভ

যাজ্ঞবল্ক্য পত্নীব কথায় প্রীতিলাভ করে বললেন, “প্রিয়তমে! তুমি আমার গার্হস্থ্য জীবনে যেমন প্রিয় অনুষ্ঠান দ্বারা আমার সন্তোষবিধান করেছ, তেমনি আজ এই সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণকালেও যে মধুর থাকা দ্বারা সদুপদেশ প্রার্থনা করে আমাকে আনন্দ দান করলে এতে আমি অত্যন্ত প্রীতিলাভ করেছি।

যাজ্ঞবল্ক্য কর্তৃক মৈত্রেয়ীর মুক্তির মহন্ত পুরুষের সন্ধান

আমি তোমাকে তাঁরই কথা বলব, সেই –

“মহান্ত পুরুষ যিনি আঁধারের পারে

জ্যোতির্ময়; তাঁরে জেনে, তাঁর পানে চাহি’

মৃত্যুরে লঙ্ঘিতে পারো, অন্য পথ নাহি। “

যাজ্ঞবল্ক্য কর্তৃক মৈত্রেয়ীকে আত্মতত্ত্ব সম্বন্ধে উপদেশ

  • (১) তারপর যাজ্ঞবল্ক্য ধীরে ধীরে বিদুষী মৈত্রেয়ীকে আত্মতত্ত্ব সম্বন্ধে উপদেশ দিতে আরম্ভ করলেন। আত্মা কি ? পরমাত্মা কি ? ব্রহ্ম কি ? কেমন করে আত্মোপলব্ধি দ্বারা মানুষ আত্মদর্শনে জ্ঞানলাভ করে ? কেমন করে সমদৃষ্টি এসে উপস্থিত হয়, কি জ্ঞান, শিক্ষা ও সাধনার দ্বারা মানবের মনে সমদৃষ্টি এসে উপস্থিত হয় ?
  • (২) মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত আত্মজ্ঞান লাভ না করে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিলাসসুখভোগের আকাঙ্ক্ষার হাত এড়াতে না পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনরূপেই তার মন হতে ভেদজ্ঞান বা দ্বৈতভাব বিলুপ্ত হয় না, ততক্ষণ পর্যন্ত নানারূপ ভেদবুদ্ধি এসে তার মনকে সংকীর্ণ করে তোলে।
  • (৩) যখন মানুষ সমদৃষ্টি লাভ করে, সমজ্ঞান লাভে সমদর্শী হয়, তখন তার কাছে সমুদয় বিশ্বজগৎ, সমুদয় বিশ্বপ্রাণী একান্ত নিজের হয়। তখন সেই সর্বজ্ঞ, সর্বব্যাপী, সর্বশক্তিসম্পন্ন, জ্যোতির্ময় ভগবানের নিকট হতে কোনো পার্থিব বস্তুই পরিলক্ষিত হয় না।

মৈত্রেয়ী কর্তৃক স্বামীর উপদেশ যাচাই করে গ্ৰহণ

এই ভাবে ধীরে ধীরে যাজ্ঞবল্ক্য নিত্যজ্ঞানস্বরূপ বিশ্বভগবানের রূপ, প্রকাশ ও বিকাশ সম্বন্ধে মৈত্রেয়ীকে বিবিধ উপদেশ দান করতে লাগলেন। মৈত্রেয়ী যাজ্ঞবল্ক্যের প্রত্যেকটি কথা, প্রত্যেকটি যুক্তি ও আলোচনা শুধু নীরবে মেনে নেন নি। তিনি প্রত্যেকটি বিষয় সমালোচনা করে, স্বামীকে প্রশ্ন করে, বুঝে নিয়েছিলেন।

সর্বশক্তিমান পরমাত্মা সম্পর্কে মৈত্রেয়ীর জ্ঞান লাভ

  • (১) যাজ্ঞবল্ক্য যখন বললেন “প্রিয়তমে! সূর্যের প্রকাশের জন্য যেমন সূর্যের প্রয়োজন হয় না, তেমন যিনি বিশ্বদেবতা, যিনি সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রচয়িতা, যিনি বাক্যমনের অতীত তাঁকে উপলব্ধি মানুষ কখন করতে পারে? যখন মানুষ আপনাকে এমন অবস্থায় উন্নত করে যে, বিশ্বদেবতার সাথে তার মিলন সম্পাদিত হয়, তখন তার আর কোনো স্বাতন্ত্র্য থাকে না।
  • (২) তখন একমাত্র সর্বব্যাপী সর্বশক্তিমান জ্ঞানময় মুক্ত পরমাত্মা বিদ্যমান থাকেন, মানুষ যখন জ্ঞান-বৈরাগ্যের মণিকাঞ্চন সংযোগে মুক্ত হয়ে যায়, যখন সেই বিশ্বপ্রাণের সাথে তার মিলন হয় তখন সে জন্ম-মরণ-বিরচিত হয়ে পরমপদ লাভ করে, তার সমুদয় বাসনাই নির্বাণ হয়।”

স্বামীর উপদেশে মৈত্রেয়ীর প্রীতি লাভ

মৈত্রেয়ী স্বামীর নিকট এইরূপ ভাবে উপদেশ লাভ করে প্রীতিলাভ করলেন। তিনিও স্বামীর সাথে সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করলেন। সেদিন হতে সংসারে অনাসক্ত হয়ে মৈত্রেয়ী মুক্তিপথাবলম্বিনী হলেন।

উপসংহার :- সেদিন সেই অতীত যুগে ভারতের পুণ্য তপোবনে মৈত্রেয়ীর ন্যায় বিদুষী এবং বুদ্ধিমতী নারী জন্মগ্রহণ করে যে আদর্শ স্থাপন করে গেছেন, তা বর্তমান সময়েও নারীসমাজের আদর্শস্থানীয় হওয়া উচিত। কি গৃহকার্যে, কি যজ্ঞানুষ্ঠানে, কি বিদ্যালোচনায়, কি ধর্মালোচনায় সকল বিষয়েই তিনি মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্যের উপযুক্ত জীবনসঙ্গিনী ছিলেন।

(FAQ) বৈদিক যুগের বিদুষী নারী মৈত্রেয়ী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. মৈত্রেয়ী কে ছিলেন?

পরবর্তী বৈদিক যুগের বিদুষী নারী।

২. মৈত্রেয়ীর স্বামী কে ছিলেন?

যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি।

৩. মৈত্রেয়ীর পিতার নাম কি?

মিত্র।

৪. যাজ্ঞবল্ক্য ও মৈত্রেয়ীর মধ্যে কথোপকথন কোথায় বিবৃত আছে?

বৃহদারণ্যক উপনিষদের দ্বিতীয় অধ্যায়ের চতুর্থ ব্রাহ্মণের প্রথম মন্ত্রে।

৫. মৈত্রেয়ী বিখ্যাত কেঁ?

মৈত্রেয়ীকে বৈদিক ভারতে মহিলাদের জন্য উপলব্ধ শিক্ষার সুযোগ এবং তাদের দার্শনিক কৃতিত্বের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে ভারতীয় বুদ্ধিজীবী নারীদের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং নতুন দিল্লিতে তার সম্মানে একটি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়।

৬. গার্গী ও মৈত্রেয়ীর সম্পর্ক কী ?

মৈত্রেয়ী ঋষি মৈত্রীর কন্যা এবং তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়। তিনি ঋষি গার্গীর ভাইঝিও ছিলেন।

অন্যান্য ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি

Leave a Comment