দোলযাত্রা প্রসঙ্গে দোলযাত্রার উদ্ভব স্থান, দোলযাত্রার উৎপত্তি রাধা কৃষ্ণ বিগ্ৰহের শোভাযাত্রা, দোলযাত্রা ও দোল পূর্ণিমা, দোলযাত্রার ধর্মনিরপেক্ষ দিক, বসন্ত উৎসব, ন্যাড়াপোড়ানো, দোলযাত্রার পৌরাণিক উপাখ্যান, দোলযাত্রা বিষয়ে বিষ্ণুর কিংবদন্তি, দোলযাত্রা উপলক্ষে কৃষ্ণের কিংবদন্তি, হিন্দু পুরাণের বর্ণনায় দোলযাত্রা ও ভালোবাসার উৎসব দোলযাত্রা সম্পর্কে জানবো।
হোলি উৎসব বা দোলযাত্রা
উৎসব | দোলযাত্রা |
অন্য নাম | হোলি, বসন্তোৎসব |
মাস | ফাল্গুন |
তিথি | পূর্ণিমা |
উদযাপন | বাৎসরিক |
পালন | হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, নেপালি |
ভূমিকা :- ভারত -এর একটি সনাতন হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব হল দোলযাত্রা। বাংলার বাইরে পালিত হোলি উৎসবের সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসব বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোল যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
দোলযাত্রার উদ্ভব স্থান
হোলি উৎসব বা দোলযাত্রার উদ্ভব হয় ভারতীয় উপমহাদেশে এবং সেখানেই বেশি উদযাপিত হয়। তবে দক্ষিণ এশীয় প্রবাসীদের মাধ্যমে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল এবং পশ্চিমা বিশ্বের কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়ছে।
হিন্দু ধর্মে দোলযাত্রার উৎপত্তি
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুসারে ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়।
রাধা-কৃষ্ণ বিগ্ৰহের শোভাযাত্রা
এই দোলযাত্রার দিন সকালে রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন।
দোলযাত্রা ও দোলপূর্ণিমা
এই দোল উৎসবের কারণে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। এই পূর্ণিমা তিথিতেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
হিন্দু দোলযাত্রার ধর্মনিরপেক্ষ দিক
দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও আছেছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়।
বসন্তোৎসব
শান্তিনিকেতন -এ বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর সময়কাল থেকেই চলে আসছে। বাংলার দোলযাত্রার পরদিন উত্তর ভারতে হোলি উৎসব পালিত হয়।
দোলযাত্রার পূর্বদিন ন্যাড়াপোড়া
এই দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্নি উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বহ্নি উৎসব হোলিকা দহন বা ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত।
হিন্দু দোলযাত্রার পৌরাণিক উপাখ্যান
হোলি উৎসব বা দোলযাত্রা সংক্রান্ত পৌরাণিক কাহিনী বা উপাখ্যান ও লোককথাগুলি মূলত দুই ধরনের – প্রথমটি দোলযাত্রার পূর্বদিন পালিত বহ্নি উৎসব হোলিকাদহন বা ন্যাড়াপোড়া সংক্রান্ত, এবং দ্বিতীয়টি রাধা ও কৃষ্ণের দোললীলা বা ফাগুখেলা কেন্দ্রিক কাহিনী।
দোলযাত্রা বিষয়ে বিষ্ণুর কিংবদন্তি
- (১) ভাগবত পুরাণের সপ্তম অধ্যায় অনুযায়ী দৈত্য রাজা হিরণ্যকশিপু অমর হতে চান। এজন্য ব্রহ্মার নিকট অমরত্বের বরপ্রাপ্তির জন্য তিনি কঠোর ধ্যানে মগ্ন হন। তাঁর ধ্যানে মুগ্ধ হয়ে ব্রহ্মদেব বর প্রদান করেন।
- (২) তিনি যে বর লাভ করেন যে, তাকে মানুষও হত্যা করতে পারবে না, কোনো প্রাণীও হত্যা করতে পারবে না, তাকে ঘরেও হত্যা করা যাবে না, আবার বাইরেও হত্যা করা যাবে না, তাকে দিনেও হত্যা করা যাবে না আবার রাতেও হত্যা করা যাবে না, তাকে অস্ত্রের (যা ছুড়ে মারা হয়) দ্বারাও হত্যা করা যাবে না আবার সস্ত্রের (যা হাতে থাকে) দ্বারাও হত্যা করা যাবে না, তাকে স্থল, জল বা বায়ু কোথাও হত্যা করা যাবে না।
- (৩) এই বর লাভ করে হিরণ্যকশিপু অহংকারী ও উদ্ধত হয়ে ওঠে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, কেবল তাকেই দেবতা হিসেবে পূজা করা হবে। কেউ তার আদেশ পালন না করলে তিনি তাকে শাস্তি দেবেন বা হত্যা করবেন। তার পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুভক্ত। তাই সে বিষ্ণুকেই পূজা করা চালিয়ে যান।
- (৪) এতে রাগান্বিত হয়ে হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে হত্যা করার বিভিন্ন চেষ্টা করেন। একবার হিরণ্যকশিপু তার বোন হোলিকার কাছে সাহায্য চান। হোলিকার একটি বিশেষ পোশাক ছিল যা তাকে আগুনে পুড়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা করত। হিরণ্যকশিপুকে তিনি তার কোলে বসতে বলেন এবং প্রহ্লাদের উপর আগুন জ্বালিয়ে দেন।
- (৫) এতে প্রহ্লাদ আগুনে পুড়ে মারা যাবে কিন্তু হোলিকার কাছে থাকা বিশেষ বস্ত্রের জন্য তার কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু সেই আগুন জ্বলতেই হোলিকার শরীর থেকে সেই বস্ত্র খসে গিয়ে প্রহ্লাদের শরীরকে আবৃত করে। এতে হোলিকা আগুনে পুড়ে যায়, আর প্রহ্লাদ ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়।
- (৬) বিষ্ণু নৃসিংহ অবতার (অর্ধমানব-অর্ধসিংহ) রূপে গোধূলি লগ্নে (দিন ও রাতের মাঝামাঝি সময়ে) আবির্ভূত হন। হিরণ্যকশিপুকে ঘরের চৌকাঠে (না বাইরে না ঘরে) নিয়ে যান এবং তাকে নিজের কোলে (না বায়ুতে, না স্থলে) স্থাপন করেন। এরপর হিরণ্যকশিপুর নাড়িভুড়ি বের করে ও তার থাবার নখ দিয়ে (না অস্ত্র না সস্ত্র) তাকে হত্যা করেন। এভাবেই হিরণ্যকশিপুর লাভ করা বর তাকে বাঁচাতে পারেনি।
- (৭) হিরণ্যকশিপুর মৃত্যুতে প্রহ্লাদ ও মানব জাতি বাধ্যবাধকতা ও ভয় থেকে মুক্তি পায়। নৃসিংহের দ্বারা হিরণ্যকশিপু বধের এই কাহিনী অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়কে নির্দেশ করে। হোলিকা দহন বা নেড়াপোড়া উৎসব এই ঘটনাকেই নির্দেশ করে।
- (৮) হোলিকার এই অগ্নিদগ্ধ হওয়ার কাহিনিই দোলের পূর্বদিনে অনুষ্ঠিত হোলিকাদহন বা চাঁচর উৎসবের সঙ্গে যুক্ত। স্কন্দপুরাণ গ্রন্থের ফাল্গুন মাহাত্ম্য গ্রন্থাংশে হোলিকা ও প্রহ্লাদের উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে।
হোলি বা দোলযাত্রা উপলক্ষে কৃষ্ণের কিংবদন্তি
- (১) কৃষ্ণের শৈশব বিজড়িত ভারতের ব্রজ অঞ্চলে রাধা ও কৃষ্ণের স্বর্গীয় ভালোবাসার স্মৃতি হিসেবে দিনটি রঙ পঞ্চমি নামে উদযাপিত হয়। উৎসবটি বসন্তে হয় এবং প্রেমের উৎসব হিসেবে দিনটি পালিত হয়।
- (২) রাজা কংস তার শিশু ভাগ্নে কৃষ্ণকে নিজের জীবনের জন্য সংকট বলে মনে করে। কংস রাক্ষসী পুতানাকে নারীর বেশে কৃষ্ণকে হত্যা করতে পাঠায়। পুতানা রাক্ষসী কৃষ্ণকে স্তন্যদান করাতে গিয়ে কৃষ্ণকে হত্যা করবে বলে বিষ প্রয়োগ করে।
- (৩) কিন্তু শিশু কৃষ্ণ কেবল পুতনার বিষাক্ত দুধই পান করে নি, সেই সঙ্গে পুতানার রক্তও পান করে। এরফলে পুতানা একজন রাক্ষসীতে পরিণত হয়। এরপর পুতানা পালিয়ে যায় ও আগুনে জ্বলে ওঠে, এবং কৃষ্ণের গায়ের রঙ ঘন নীল হয়ে যায়।
পুরাণের বর্ণনায় দোলযাত্রা
হিন্দু পুরাণ অনুসারে কৃষ্ণ তার যৌবনে হতাশ হয়ে ভাবে উজ্জ্বল বর্ণের রাধা ও অন্যান্য গোপিরা তার শ্যাম বর্ণের কারণে তাকে পছন্দ করবে কিনা। তখন কৃষ্ণের মা তাকে বলেন, রাধার কাছে গিয়ে সে রাধার মুখমণ্ডলকে যেকোনো রঙ দিয়ে রাঙ্গিয়ে দিতে পারে। কৃষ্ণ তাই করে, এরপর রাধা ও কৃষ্ণ জুড়ি হয়ে যায়। রাধা ও কৃষ্ণের এই রঙ নিয়ে খেলাই বর্তমানে হোলি বা দোলযাত্রা হিসেবে পালিত হয়।
ভারতের বাইরে দোলযাত্রার কিংবদন্তি
আমাদের দেশ ভারত-এর বাইরে হোলি সম্পর্কে কৃষ্ণের কিংবদন্তিটি কিছু ক্যারিবীয় এবং দক্ষিণ আমেরিকার ভারতীয় বংশদ্ভূত সম্প্রদায়ে দেখা যায়। বিশেষ করে গায়ানা এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে এটি দেখা যায়। মরিশাসেও এই দিন পালন করা হয়।
প্রেম ও ভালোবাসার উৎসব দোলযাত্রা
- (১) হোলি নিয়ে শিব ও কামদেবের একটি গল্প আছে, যা ভালোবাসার জন্য আগুনে পুড়ে আত্মত্যাগের সাথে সম্পর্কিত। শিবের সাথে পার্বতীর বিবাহ হবার পূর্বে, পার্বতী শিবকে যোগ ও ধ্যান থেকে বাস্তব জগতে ফিরিয়ে আনার জন্য বসন্ত পঞ্চমীর দিনে প্রেমের দেবতা কামদেবের সাহায্য প্রার্থনা করেন।
- (২) কামদেব এবং তার স্ত্রী প্রেমের দেবী রতি পার্বতীকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে পার্বতী শিবকে তার স্বামী রূপে অর্জন করতে পারে। শিব গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। কামদেব ও রতি শিবের ধ্যান ভঙ্গ করার জন্য তার দিকে তীর ছোড়ে।
- (৩) কিন্তু ধ্যানে বিঘ্ন ঘটবার কারণে শিব তার তৃতীয় চক্ষু খোলেন এবং সেই চোক্ষুর তেজদীপ্ত চাহনিতে কামদেব দগ্ধ হয়ে ছাইভস্মে পরিণত হয়। এই ঘটনায় কামদেবের স্ত্রী রতি বিমর্ষ হয়ে পড়ে। পরবর্তিতে শিব ও পার্বতির বিবাহ হয়।
- (৪) এই বিবাহের সময় রতি শিবের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে কামদেবকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শিব সম্মত হয়ে কামদেবকে সত্যিকারের আবেগ রূপ একটি অবাস্তব সত্তা হিসেবে তাকে ফিরিয়ে দেন। প্রেমের দেবতার এই ফিরে আসা উপলক্ষে বসন্ত পঞ্চমী উৎসবের চল্লিশ দিন পর হোলি হিসেবে পালিত হয়।
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দোলযাত্রা পালন
ঐতিহ্যগতভাবে এই উৎসবটি অ-হিন্দুদের মধ্যে জৈন ধর্ম অবলম্বী এবং নেপাল -এর বৌদ্ধ ধর্ম অবলম্বীদের মধ্যেও দেখা যায়।
শিখদের দোলযাত্রা
- (১) পাঞ্জাবের শিখ জাতির ঐতিহাসিক ধর্মে এই উৎসবকে হোলা বলা হয়। শিখদের শেষ গুরু গুরু গোবিন্দ সিংহ হোলিকে পরিবর্তন করে তিন দিনের হোলা মহল্লা উৎসবে পরিণত করেছিলেন। এখানে হোলি উৎসব বর্ধিত হয়ে তার মধ্যে মার্শাল আর্টও অন্তর্ভুক্ত হয়।
- (২) আনন্দপুর সাহিব -এর উৎসবের পর হোলি উৎসবের এই বৃদ্ধির সূচনা ঘটে। এই আনন্দপুর সাহিবে শিখ সৈন্যরা একটি নকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ, ঘোড়দৌড়, শরীরচর্চা, তীর চালানো ও সামরিক চর্চা করে।
- (৩) মহারাজা রণজিৎ সিংহ -এর সময় শিখ সাম্রাজ্য-এ হোলি খেলা হয়। এই উৎসবের সংস্কৃতি ভারত ও পাকিস্তান-এর উত্তর অঞ্চলে বিস্তৃত হয়। ট্রিবিউন ইন্ডিয়া-র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শিখ দরবারের একটি নথিতে বর্ণিত আছে যে, ১৮৩৭ সালে লাহোরে রঞ্জিত সিংহ ও তার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ৩০০ মাউন্ড এর রঙ ব্যবহার করেছিলেন।
- (৪) মহারাজা রঞ্জিত সিংহ বিলাবল বাগানে অন্যদের সাথে হোলি উৎসব উদযাপন করেছিলেন। ১৮৩৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপতি স্যার হেনরি ফেন রঞ্জিত সিংহের আয়োজিত হোলি উৎসবে যোগদান করেছিলেন।
- (৫) রঞ্জিত সিংহের উদ্যোগে লাহোর দুর্গে একটি দেওয়াল চিত্র তৈরি করা হয়, যেখানে কৃষ্ণকে গোপিদের সাথে হোলি খেলতে দেখা যায়। রঞ্জিত সিংহের মৃত্যুর পর তার পুত্রেরা এবং অন্যরা রঙ দিয়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে হোলি উৎসব পালন করা চালিয়ে যান।
দোলযাত্রা ও বসন্তোৎসব
- (১) শান্তিনিকেতন-এ এই দোলযাত্রা উৎসব বসন্তোৎসব নামে পরিচিত। অতীতে শান্তিনিকেতনের বিদ্যালয়ে বসন্তের আগমন উপলক্ষে একটি ছোটো ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নাচগান, আবৃত্তি ও নাট্যাভিনয় করা হত।
- (২) পরবর্তীতে এই অনুষ্ঠানটি পরিব্যপ্ত হয়ে শান্তিনিকেতনের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব বসন্তোৎসবের রূপ ধারণ করে। ফাল্গুনী পূর্ণিমা অর্থাৎ দোলপূর্ণিমার দিনই শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবের আয়োজন করা হয়।
- (৩) দোলের দিন সকালে ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল গানটির মাধ্যমে দোলযাত্রার মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সন্ধ্যায় গৌরপ্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -এর কোনো না কোনো নাটক অভিনীত হয়
হোলি বা দোলযাত্রার সাংস্কৃতিক তাৎপর্য
- (১) ভারতবর্ষের বিভিন্ন হিন্দু ঐতিহ্যেই হোলি উৎসবের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য বর্তমান। এই উৎসবমুখর দিনে মানুষেরা একে অপরের মধ্যেকার ঝগড়া-বিবাদ মিটমাট করে ফেলে। তারা পুরনো ঋণ মাফ করে দেয় এবং নতুন করে চুক্তি শুরু করে।
- (২) একই সাথে হোলি উৎসব বসন্তের আগমন বার্তাও নিয়ে আসে। অনেকের কাছে এই উৎসব নতুন বছরের শুরুকে নির্দেশ করে। মানুষের জন্য ঋতু পরিবর্তনকে উপভোগ করা ও নতুন বন্ধু বানাবার উৎসব হল দোলযাত্রা।
উপসংহার :- দোলযাত্রার সাথে জড়িয়ে আছে রাধা কৃষ্ণের অমর প্রেম কাহিনি। কোথাও অশুভকে হারিয়ে শুভ শক্তির জয়, আবার কোথাও ঘন প্রেমের আখ্যান – এই সবের সাথেই জড়িয়ে আছে দোল বা হোলির রঙ।
(FAQ) দোলযাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
ফাল্গুন মাসে।
ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে।
বিষ্ণু, কৃষ্ণ এবং শিব ও কামদেবের।
হোলিকা দহন বা ন্যাড়াপোড়া।