মহাবীর তাঁর জ্ঞান ও বাণী (Mahavir Quotes) মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে জৈন ধর্মকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেন। মহাবীরের জীবন, দর্শন, শিক্ষা এবং মহাবীরের বাণী আমাদের চিরন্তন সত্যের সন্ধান দেয়।
জৈন ধর্মের শেষ তীর্থঙ্কর ও শ্রেষ্ঠ প্রাচারক মহাবীরের বাণী প্রসঙ্গে জীবন সম্পর্কে বাণী, ঈশ্বর সম্পর্কে বাণী, অহিংসা সম্পর্কে বাণী, পাপ সম্পর্কে বাণী, ঈশ্বর লাভ সম্পর্কে বাণী, ভালোবাসা সম্পর্কে বাণী, ভেদাভেদ সম্পর্কে বাণী, ধর্ম সম্পর্কে বাণী, আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে বাণী, সহিষ্ণুতা সম্পর্কে বাণী, সুখ সম্পর্কে বাণী ও তার অহিংসার বাণী।
মহাবীরের বাণী, মহাবীরের আসল নাম কি, mahavir quotes, jain dharm quotes, mahaveer quotes, bhagwan mahavir quotes
ধর্মগুরু মহাবীরের বাণী (Dharmaguru Mahavir Quotes)
ভূমিকা :- মহাবীর ভারত -এ প্রচলিত জৈনধর্মের ২৪ তম এবং সর্বশেষ ‘তীর্থঙ্কর’ বা ধর্মগুরু ছিলেন। মহাবীরের জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও বাণী আমাদের চিরন্তন সত্যের সন্ধান দেয়।
তীর্থঙ্কর মহাবীরের বাণী
মহাবীর ধ্যান ও উপাসনার মাধ্যমে পরমজ্ঞান আহরণ করেছিলেন। আর সেই জ্ঞান ও বাণী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। ধর্মের মাধ্যমে মহাবীর তার প্রেম ও অহিংসার বাণী প্রচার করেন।
মহাবীরের বাণী -১
অযথা ভোগ সুখের জন্য জীবন কাটাবে না। মনে রাখবে এই যে বাহ্যিক ভোগ, এর অন্তরালে কিছুই নেই।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -২
ঈশ্বর বলে কোনো কিছু নেই। সর্বশক্তিমান কোনো সত্তায় আমাদের বিশ্বাস নেই।
মহাবীরের বাণী -৩
অহিংসা এবং সৎ আচরণ সকলকেই পালন করতে হবে।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -৪
আগুন জ্বাললে যেমন জীব হত্যা করা হয়, আগুন নির্বাপিত করলেও জীবহত্যা করা হয় – এটি হল সবথেকে বড়ো পাপ।
মহাবীরের বাণী -৫
আমাদের মূল ঈশ্বর আরাধনা বা স্বর্গপ্রাপ্তি যথেষ্ট নয়। মূল হল তিনটি – সৎ বিশ্বাস, সৎ জ্ঞান ও সৎ আচরণ।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -৬
পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে সমজ্ঞানে ভালোবাসতে হবে। ধর্ম-বর্ণ-অর্থে কোনো বিভাজন থাকবে না।
মহাবীর -এর বাণী -৭
তথাকথিত ধনী সম্প্রদায়ের মানুষ দরিদ্র সম্প্রদায়কে ভালোবাসবে, তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। তবেই একটি সত্যিকারের সুস্থিত সামজ স্থাপিত হতে পারবে।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -৮
সমাজে উঁচু এবং নীচুর মধ্যে কোনো তফাত থাকবে না।
মহাবীরের বাণী -৯
পৃথিবীর সব ধর্মের মূল কথা হল এক নিজেকে জানা অর্থাৎ নিজেকে উপলব্ধি করো।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -১০
ধর্মগুলির মধ্যে আপাত বিরোধ আছে। কিন্তু আসলে এদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই।
মহাবীর -এর বাণী -১১
নিজেকে বিশ্বপ্রকৃতির ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র অংশ বলে মনে করবে। নিজেকে কখনো ছোটো বলে ভাববে না। নিজেকে ছোটো ভাবলে তুমি কখনো আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে উঠতে পারবে না।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -১২
সবসময় সৎ চিন্তা করবে, সৎ বন্ধুর সান্নিধ্যে আসার চেষ্টা করবে, সৎ ভাবনায় মনকে প্রফুল্ল রাখবে। তাহলে দেখবে তোমার মধ্যে এক আশ্চর্য শক্তির উত্তরণ ঘটে গেছে।
মহাবীর -এর বাণী -১৩
ধার্মিক আচরণের দ্বারা মনকে পরিশুদ্ধ করবে। মন পরিশুদ্ধ না হলে আত্মা পরিশুদ্ধ হয় না।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -১৪
সবধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা প্রকাশ করবে। মনে রাখবে পৃথিবীর সব ধর্মই সমান। ধর্মের মধ্যে যে বিভাজন, তা আমাদের সৃষ্টি।
মহাবীর -এর বাণী -১৫
নিজেকে জানবার চেষ্টা করবে, সবসময় ঈশ্বরের কথা স্মরণ করবে, কিন্তু মনে রাখবে ঈশ্বর তোমার মধ্যে লুকিয়ে আছেন।
বর্ধমান মহাবীরের বাণী -১৬
গভীর শূন্যতায় মগ্ন এই পৃথিবী, এই শূন্যতার মধ্যে তুমি এক উড়ন্ত সত্তা।
মহাবীর -এর বাণী -১৭
ইচ্ছে করলে তুমি অসাধ্যকে সাধন করতে পারো, ইচ্ছে করলে তুমি এমন কাজ করতে পারো যা আর কেউ কখনো করেনি।
বর্ধমান মহাবীরের বাণী -১৮
কোনো মানুষকে কখনো ছোটো করবে না। কোনো মানুষের প্রতি কটুবাক্য প্রয়োগ করবে না। সব মানুষকে নিজের ভাই বা বোনের মতো দেখবে।
মহাবীর -এর বাণী -১৯
নিজস্ব পুরুষত্বের ওপর আস্থা রাখবে তাহলে দেখবে জয় তোমার করায়ত্ত হচ্ছে।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -২০
কামনা-বাসনার জগত থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। চেষ্টা করবে কখনো কামনার দাস না হতে।
মহাবীরে -এর বাণী -২১
মানুষ স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন সফল করতে করতে একদিন অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলে।
বর্ধমান মহাবীরের বাণী -২২
উচ্চাশা রাখবে, উচ্চাশা না থাকলে মানুষ জীবনে বড় হতে পারে না।
মহাবীর -এর বাণী -২৩
সদাসর্বদা সত্য কথা বলবে।
বর্ধমান মহাবীরের বাণী -২৪
নিজেকে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মহাবীর -এর বাণী -২৫
জীবনে এমন পরিমাণ সম্পদ সঞ্চয় করো না। যা তুমি তোমার জীবনে ততটা ব্যয় করতে পারবে না।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -২৬
জীবনে অহিংসার পথ অনুসরণ করো।
মহাবীর -এর বাণী -২৭
পৃথিবীর সব জীব সত্ত্বার প্রতি করুণা প্রদর্শন করো।
বর্ধমান মহাবীরের বাণী -২৮
যে কোনও সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ হলো অহিংসার পথ অনুসরণ করা।
মহাবীর -এর বাণী -২৯
সদাসর্বদা সকলের প্রতি সৎ হও।
বর্ধমান মহাবীর -এর বাণী -৩০
সুখ এবং দুর্ভোগে, আনন্দ এবং শোকের মধ্যে আমাদের নিজের প্রাণকে যেমন বিবেচনা করা হয় তেমনি সমস্ত প্রাণীকেও আমাদের বিবেচনা করা উচিত !
মহাবীর -এর বাণী -৩১
অহিংসা হলো মানবতার প্রথম ধর্ম এবং সত্য।
[FAQ] মহাবীরের বাণী সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
সদা সর্বদা সত্য কথা বলিবে।
নিজেকে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করে চলা।
অহিংসার পথ অনুসরণ করা।