সাম্প্রদায়িকতার প্রসার

সাম্প্রদায়িকতার প্রসার প্রসঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা প্রসারের বিভিন্ন দিক, মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ, লক্ষ্মৌ চুক্তি ও লখনৌ চুক্তির সমালোচনা সম্পর্কে জানবো।

পরাধীন ভারতে সাম্প্রদায়িকতার প্রসার

ঐতিহাসিক ঘটনাসাম্প্রদায়িকতার প্রসার
বঙ্গভঙ্গ১৯০৫ খ্রি
সিমলা দৌত্য১ অক্টোবর ১৯০৬ খ্রি
মুসলিম লিগডিসেম্বর ১৯০৬ খ্রি
লক্ষ্মৌ চুক্তি১৯১৬ খ্রি
পরাধীন ভারতে সাম্প্রদায়িকতার প্রসার

ভূমিকা :- বিভাজন ও শাসন নীতি দ্বারা সরকার এদেশে সাম্প্রদায়িক বিভেদের বীজ বপন করে। এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম সম্প্রদায়কে তোষণ করে তাদের হিন্দু সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করে এদেশে ব্রিটিশ শাসনকে নিরাপদ করা।

সাম্প্রদায়িকতা প্রসারের বিভিন্ন দিক

ঊনবিংশ শতকের শেষদিক থেকে ভারতীয় হিন্দু-মুসলিম বিভেদ ও সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক গুলি হল –

(ক) ব্রিটিশ সরকারের ইন্ধন

  • (১) ব্রিটিশ সরকার বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এদেশে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ক্রুশের আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার ভারতে সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্বের নীতি চালু করে। ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ্ বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা সমর্থন করায় লর্ড মিন্টো তাকে ১৪ লক্ষ টাকা সরকারি ঋণ দেন।
  • (২) কার্জনের স্বরাষ্ট্রসচিব রিজলে ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে ঘোষণা করেন যে, ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে এখানে উচ্চবর্গের হিন্দুদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য রিজলে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মগোষ্ঠীর জন্য পৃথক পৃথক প্রতিনিধিত্বের সুপারিশ করেন।
  • (৩) ফ্রান্সিস রবিনসন উল্লেখ করেছেন যে, উচ্চপদস্থ ইংরেজ আমলারা যুক্তপ্রদেশের উচ্চবর্গের মুসলমানদের প্রায়ই স্মরণ করিয়ে দিতেন যে, ভারতে ইসলামের অস্তিত্ব বিপন্ন, উর্দু ভাষা আক্রান্ত, শিক্ষাব্যবস্থাকে মুসলিম সংস্কৃতির প্রভাবমুক্ত করতে হিন্দুরা সচেষ্ট ইত্যাদি। এভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে হিন্দুদের ব্যবধান ও ব্রিটিশ সরকারের নৈকট্য বাড়তে থাকে।

(খ) বঙ্গভঙ্গের উদ্যোগ

  • (১) বাংলা ছিল জাতীয় কংগ্রেস এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পীঠস্থান। ব্রিটিশবিরোধী শক্তিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে সরকার মুসলিম তোষণ শুরু করে। এজন্য বড়োলাট লর্ড কার্জন ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করে। বিভিন্ন ইংরেজ রাজপুরুষ পূর্ববঙ্গ ভ্রমণ করে সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়কে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, পৃথক পূর্ববঙ্গ মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতির পক্ষে সহায়ক হবে।
  • (২) নব্যসৃষ্ট পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার বামফিল্ড ফুলার মুসলিমদের উসকানি দিতে পূর্ববঙ্গে সরকারি চাকরিতে হিন্দুদের বাদ দিয়ে মুসলিমদের নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেন। অমলেশ ত্রিপাঠি বলেছেন যে, “মুসলমানেরা ফুলারের কাছে ‘সুয়োরানী’র আদর পেতে আরম্ভ করেছিল।”

(গ) সিমলা ডেপুটেশন

  • (১) মুসলিম নেতা আগা খাঁ-র নেতৃত্বে ৩৫ জন ধনী অভিজাত মুসলিমের একটি প্রতিনিধিদল ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর সিমলায় বড়োলাট লর্ড মিন্টোর সঙ্গে দেখা করেন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। এটি ‘সিমলা ডেপুটেশন’ বা ‘সিমলা দৌত্য’ নামে পরিচিত।
  • (২) স্মারকলিপিতে – চাকরিতে বেশি সংখ্যায় মুসলিমদের নিয়োগ, পরীক্ষা ছাড়া উচ্চপদে মুসলিমদের নিয়োগ, আইনসভায় মুসলিমদের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা ও একটি পৃথক মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় গঠন প্রভৃতি দাবি জানানো হয়।
  • (৩) বড়োলাট দাবিগুলির প্রতি সুবিচারের আশ্বাস দেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন-এ মুসলিম সম্প্রদায়ের এই দাবি কার্যকরী করা হয়। ভারতীয় রাজনীতিতে এটিই প্রথম সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির বিরুদ্ধে কার্যকরী উদ্যোগ।

(ঘ) হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা

  • (১) হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক বিভেদের ক্ষেত্রে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। তিলকের গো-রক্ষা সমিতির প্রতিষ্ঠা, গণপতি ও শিবাজি উৎসব-এর প্রচলন, অরবিন্দ ঘোষবিপিনচন্দ্র পাল-এর আন্দোলনের ভাবধারায় কালী ও দুর্গার মাতৃমূর্তির প্রচার প্রভৃতি মুসলিম সম্প্রদায় সুনজরে দেখে নি।
  • (২) জাতীয়তাবাদী আন্দোলন হিন্দুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত বলে লালা লাজপৎ রায় প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছিলেন। ভারত ধর্মমন্ডল, ‘পাঞ্জাব হিন্দুসভা’, ‘হিন্দু মহাসভা’ প্রভৃতি উচ্চ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দুত্ববাদের প্রচার শুরু করে। হিন্দু মহাসভার নেতা লালচাঁদ ঘোষণা করেন যে, “আমি প্রথমে হিন্দু, পরে ভারতীয়”। এই ধরনের উগ্র হিন্দুত্বের প্রচারে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে হিন্দুদের ব্যবধান সৃষ্টি করে।

সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ হিসেবে মুসলিম লিগের প্রতিষ্ঠা

আগা খাঁ-র নেতৃত্বে মুসলিম নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল সিমলায় লর্ড মিন্টোর কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। এরপর –

(১) সিমলায় আলোচনা

সিমলায় অবস্থানকালে মুসলিম নেতারা উপলব্ধি করেন যে, মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক সংগঠন গড়ে তুললে নিজ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায়ে সুবিধা হবে।

(২) লর্ড মিন্টোর পরামর্শ

মুসলিম সম্প্রদায়ের অগ্রগতি ও সরকারের কাছে দাবিদাওয়া জানানোর জন্য একটি মুসলিম সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে লর্ড মিন্টো সিমলায় উপস্থিত মুসলিম নেতাদের পরামর্শ দেন। মিন্টোর সঙ্গে নেতাদের মতাদর্শের আদানপ্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মিন্টোর একান্ত সচিব ডানলপ স্মিথ।

(৩) ঢাকার মুসলিম সম্মেলন

ঢাকার নবার সলিমুল্লাহর ডাকে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় একটি সর্বভারতীয় মুসলিম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে ৩০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সারা ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। লিগের প্রথম সভাপতি নিযুক্ত হন মহামান্য আগা খাঁ।

(৪) লিগের উদ্দেশ্য

মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি ছিল-

  • (ক) ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য জ্ঞাপন,
  • (খ) মুসলিমদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য কাজ করা,
  • (গ) জাতীয় কংগ্রেস ও হিন্দুদের প্রভাব-প্রতিপত্তি খর্ব করা,
  • (ঘ) কংগ্রেসবিরোধী অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে মৈত্রী প্রতিষ্ঠা করা প্রভৃতি।

(৫) লিগের প্রসার

প্রতিষ্ঠা-পরবর্তী কিছুকালের মধ্যে মুসলিম লিগ মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে লিগের শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়।

(৬) পৃথক নির্বাচন

রাজনৈতিক দল হিসেবে মুসলিম লিগ ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে তাদের জন্য আইনসভায় পৃথক নির্বাচনের দাবি জানায়। সেই অনুসারে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন চালু করে সরকার আইনসভায় মুসলিমদের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। অর্থাৎ শুধু মুসলিমদের দ্বারাই আইনসভায় মুসলিম প্রতিনিধিদের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। এর ফলে সাম্প্রদায়িক বিভেদ আরও বৃদ্ধি পায়।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ

আলিগড় আন্দোলন-এর সূচনা থেকে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন-এর অবসান পর্যন্ত ভারতে মুসলিম নেতৃত্ব ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান লক্ষ্য ছিল হিন্দু সম্প্রদায় থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখে হিন্দু সম্প্রদায়, জাতীয় কংগ্রেস প্রভৃতির বিরোধিতা করা। হিন্দু ও কংগ্রেস-বিরোধিতার সূত্রে এই সময় মুসলিমরা ব্রিটিশ শাসনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের পথ ধরেছিল। কিন্তু ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে মুসলিম রাজনীতিতে যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। এর কারণগুলি ছিল নিম্নরূপ –

(ক) বঙ্গভঙ্গ রদ

বঙ্গভঙ্গের ফলে যে পৃথক পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু তুমুল আন্দোলনের চাপে সরকার ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করে। ফলে ঢাকাকেন্দ্রিক মুসলিম আধিপত্যের সম্ভাবনা বিনষ্ট হয় এবং এজন্য মুসলিম সম্প্রদায় ব্রিটিশ সরকারের প্রতি রুষ্ট হয়।

(খ) প্রগতিশীল নেতৃত্বের আবির্ভাব

এতদিন মুসলিম লিগে আলিগড়ের নেতাদের একাধিপত্য ছিল। কিন্তু এই সময় মৌলানা মহম্মদ আলি, মৌলানা সৌকত আলি, মহম্মদ আলি জিন্না, হাকিম আজমল খান, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, হজরত মোহানি প্রমুখ প্রগতিশীল তরুণ মুসলিম লিগে যোগ দিলে আলিগড় নেতাদের আধিপত্য হ্রাস পায়। নতুন যুব নেতারা ঘোষণা করেন যে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে শামিল হয়ে ভারতের স্বায়ত্তশাসন লাভই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

(গ) লক্ষ্মৌ চুক্তি

লিগের তরুণ নেতাদের উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক বিভেদ হ্রাস পেলে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হয়। ফলে কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে লক্ষ্ণৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর দ্বারা –

  • (১) কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ যৌথভাবে সরকারের কাছে শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের দাবি পেশ করতে রাজি হয়।
  • (২) কংগ্রেসের ‘স্বরাজ’ আদর্শ মুসলিম লিগ মেনে নেয়।
  • (৩) মুসলিম লিগের পৃথক নির্বাচনের দাবি কংগ্রেস মেনে নেয়।
  • (৪) প্রতিটি প্রাদেশিক আইনসভায় মুসলিম সদস্য-সংখ্যা নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত হয়।
  • (৫) কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য মুসলিম হবে বলে স্থির হয়।

(ঘ) লক্ষ্ণৌ চুক্তির সমালোচনা

  • (১) লক্ষ্ণৌ চুক্তি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে বলে ঐতিহাসিক বিপান চন্দ্র মনে করেন। অবশ্য এই চুক্তি ভারতের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসার দরজাও খোলা রেখেছিল বলে তিনি অভিমত দিয়েছেন।
  • (২) অন্যান্য রাজনীতিবিদ ও ঐতিহাসিকরাও লক্ষ্ণৌ চুক্তির সমালোচনা করেছেন। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন যে, “এই চুক্তি ছিল শিক্ষিত ও ধনী হিন্দু-মুসলিম নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটি বোঝাপড়া মাত্র, এর সঙ্গে সাধারণ হিন্দু ও মুসলিমদের কোনো যোগ ছিল না।”
  • (৩) ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপনের উদ্দেশ্যে কংগ্রেস নেতারা সাম্প্রদায়িক সূত্রকে মেনে নিয়ে প্রবল অদূরদর্শিতার পরিচয় দেন এবং এর ফলে ভারতীয় রাজনীতিতে পাকিস্তান আন্দোলনের প্রকৃত ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

(ঙ) খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনের ভূমিকা

ব্রিটেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-এ পরাজিত তুরস্ক-এর ব্যবচ্ছেদ এবং তুরস্কের খলিফার ক্ষমতা খর্ব করলে ক্ষুব্ধ ভারতীয় মুসলিমরা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে খিলাফৎ আন্দোলন শুরু করে। কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনে শামিল হয়। কংগ্রেস খিলাফৎ আন্দোলনকে সমর্থন করলে মুসলিম লিগও গান্ধিজির নেতৃত্বে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ও স্বরাজের দাবির প্রতি সমর্থন জানায়।

উপসংহার :- অসহযোগ আন্দোলনের সময় হিন্দু-মুসলিম ঐক্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি হলে সাময়িকভাবে হলেও সাম্প্রদায়িক বিভেদ হ্রাস পায়। কিন্তু রাজনীতিতে ধর্মের অনুপ্রবেশ ভারতীয় রাজনীতির পক্ষে শুভ হয় নি।

(FAQ) সাম্প্রদায়িকতার প্রসার সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. কে কখন বঙ্গভঙ্গের কথা ঘোষণা করেন?

লর্ড কার্জন ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে।

২. বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় কখন?

১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।

৩. সিমলা ডেপুটেশন বা সিমলা দৌত্যের সময়কাল কত?

১ অক্টোবর ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দ।

৪. কখন কোথায় মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়?

ডিসেম্বর ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায়।

৫. মুসলিম লিগের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?

আগা খাঁ।

৬. লক্ষ্মৌ চুক্তি কখন স্বাক্ষরিত হয়?

১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে।

Leave a Comment