সাবিত্রীবাই ফুলের জন্ম, বিবাহ, পরিবার, বিদ্যালয় স্থাপন, বৈষম্য দূরীকরণে ভূমিকা, শিক্ষিকা পদ গ্ৰহণ, শিশুদের শিক্ষাদান, কেয়ার সেন্টার, চিকিৎসালয় স্থাপন, সাবিত্রীবাই ফুলের মৃত্যু, তার কবিতা রচনা ও তার সম্মাননা সম্পর্কে জানবো।
ভারতীয় সমাজ সংস্কারক, শিক্ষিকা ও কবি সাবিত্রীবাই ফুলে প্রসঙ্গে সাবিত্রীবাই ফুলের জন্ম, জ্যোতিবা ফুলের সাথে সাবিত্রীবাই ফুলের বিবাহ, সাবিত্রীবাই ফুলের পরিবার, সাবিত্রীবাই ফুলের বিদ্যালয় স্থাপন, বৈষম্য দূরীকরণে সাবিত্রীবাই ফুলের ভূমিকা, গৃহ থেকে বিতাড়িত সাবিত্রীবাই ফুলে, সাবিত্রীবাই ফুলের কাব্য রচনা, সাবিত্রীবাই ফুলের মৃত্যু ও সাবিত্রীবাই ফুলের প্রতি সম্মাননা প্রদান।
সমাজ সংস্কারক সাবিত্রীবাই ফুলে
ঐতিহাসিক চরিত্র | সাবিত্রীবাই ফুলে |
জন্ম | ৩ রা জানুয়ারি, ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দ |
পেশা | সমাজ সংস্কারক |
অবদান | নারী শিক্ষা ও নারীর অধিকার নিয়ে সংগ্রাম |
মৃত্যু | ১০ই মার্চ, ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দ |
ভূমিকা :- একজন ভারতীয় সমাজ সংস্কারক, শিক্ষক ও কবি হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন সাবিত্রীবাই ফুলে। তিনি ও তার সহধর্মী একত্রে ব্রিটিশ শাসনামলে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন।
সাবিত্রীবাই ফুলের জন্ম
সাবিত্রীবাই ফুলে ১৮৩১ সালে বোম্বে প্রেসিডেন্সির নাইগাঁওতে এক কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
সাবিত্রীবাই ফুলের বিবাহ ও পরিবার
১৮৪০খ্রিস্টাব্দে ৯ বছর বয়সে ১২ বছর বয়সী জ্যোতিবা ফুলের সাথে তার বিবাহ হয়। তাদের সন্তানসন্ততি ছিল না। তবে তারা এক ব্রাহ্মণ বিধবার পুত্র যশবন্ত রাওকে দত্তক নেন।
সাবিত্রীবাই ফুলের বিদ্যালয় স্থাপন
১৮৪৮ সালে তিনি ভারত -এর পুনে শহরে প্রথম বারের মতো মেয়েদের জন্য বিদ্যালয় ভিদেওয়াদা স্থাপন করেন।
বৈষম্যদূরী করণে ভূমিকা
তিনি মহারাষ্ট্রের সমাজ সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।তিনি তৎকালীন সমাজে প্রচলিত গোত্র ও লিঙ্গ ভেদে প্রচলিত বৈষম্য দূরীকরণে নিয়োজিত ছিলেন।
সাবিত্রীবাই ফুলেকে ঘর থেকে বিতাড়ন
১৮৩৯ সালে জ্যোতিবা ফুলের বাবা তাদের স্বামী-স্ত্রীকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলেন।কারণ, মনুস্মৃতি অনুসারে তাদের কাজকে পাপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল।
সাবিত্রীবাই ফুলের শিক্ষিকা পদ গ্ৰহণ
জ্যোতিরাও ফুলে ১৮৪৮ সালে মেয়েদের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করলে সাবিত্রীবাই সেই বিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষিকা ছিলেন।
সাবিত্রীবাই ফুলের শিশুদের শিক্ষাদান
এই দম্পতি এক সাথে বিভিন্ন গোত্রের শিশুদের বিদ্যাদানে নিয়োজিত হন এবং সর্বমোট ১৮টি বিদ্যালয় স্থাপন করেন।
কেয়ার সেন্টার
এই দম্পতী একটি কেয়ার সেন্টার খুলেন। এখানে ধর্ষিতা নারীদের ও তাদের সন্তানদের সাহায্য করা হত।
চিকিৎসালয় স্থাপন
সাবিত্রীবাই ও তার পুত্র যশোবন্ত ১৮৯৭সালে নালাসোপারাতে মহামারী রূপ নেয়া বিউবনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগীদের সেবার জন্য একটি চিকিৎসালয় খুলেন। এখানেই রোগীদের সেবা করার কাজে নিয়োজিত হন।
দয়ানন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকার
১৮৫৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর খ্রিস্টান মিশনারী সাময়িকী দয়ানন্দ সরস্বতীকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জ্যোতিবা ও সাবিত্রীবাই এবং তাঁর কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন।
সাবিত্রীবাই ফুলের মৃত্যু
প্লেগের রোগীদের সেবা করার সময়তিনি নিজে প্লেগে আক্রান্ত হন এবং ১৮৯৭ সালের ১০ ই মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
সাবিত্রীবাই ফুলের কবিতা রচনা
সমাজের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সাবিত্রীবাই একাধিক কবিতা রচনা করেছেন। তার দুইটি কাব্যগ্রন্থ কাব্য ফুলে (১৮৫৪) এবং বভন কাশি সুবোধ রত্নকর (১৮৯২) সালে প্রকাশিত হয়।
সাবিত্রীবাই ফুলেকে সম্মাননা
- (১) পুনে সিটি কর্পোরেশন সাবিত্রীবাই ফুলের সম্মানে ১৯৮৩ সালে একটী স্মারক স্থাপন করেন।
- (২) ২০১৫ সালে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তার সম্মানে সাবিত্রীবাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করা হয়।
- (৩) ১৯৯৮ সালে ভারতীয় ডাক বিভাগ ফুলের সম্মানে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
- (৪) ২০১৭ সালের ৩রা জানুয়ারি সার্চ ইঞ্জিন গুগল সাবিত্রীবাই ফুলের ১৮৬ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে গুগল ডুডল প্রকাশ করে।
উপসংহার :- বি.আর. আম্বেদকর এবং আন্নাভাউ সাঠের সাথে, ফুলে দম্পতি বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য একটি আইকন হয়ে উঠেছেন।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “সাবিত্রীবাই ফুলে” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) সাবিত্রীবাই ফুলে সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
মহারাষ্ট্রের সমাজ সংস্কারক জ্যোতিবা ফুলের স্ত্রী এবং একজন সমাজ সংস্কারক।
কাব্য ফুলে।
প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে।