সন্ধিপূজা (Sandhi Puja)

দুর্গাপূজার সময় সন্ধিপূজা (Sandhi Puja) প্রসঙ্গে সন্ধিপূজা, সন্ধিপূজার পৌরাণিক কাহিনী, সন্ধি পূজায় দেবীর পায়ে লাল পদ্ম নিবেদন, সন্ধিক্ষণে রাবণ বধ, সন্ধিপূজার উপকরণ, সন্ধিপূজার সময় বলি, সন্ধিপূজার বিভিন্ন আচার-নিয়ম ও প্রথা, সন্ধিপূজার পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধি পূজার প্রণাম মন্ত্র ও সন্ধিপূজার মাহাত্ম্য।

সন্ধিপূজা (Sandhi Puja)

উৎসবসন্ধিপূজা
ধরণধর্মীয় উৎসব
সংঘটনবার্ষিক
পালনকারীহিন্দু সম্প্রদায়
সময়কালঅষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণ
সম্পর্কিতমহালয়া, দুর্গাপূজা, অকালবোধন
সন্ধিপূজা

ভূমিকা:- দুর্গাপূজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সন্ধিপূজা। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিটকে বলা হয় সন্ধিক্ষণ। এই সন্ধিক্ষণে তন্ত্রমতে করা হয় সন্ধিপূজা। ঠিক এই সময়েই দেবী দুর্গা চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই ভয়ঙ্কর অসুরের নিধন করেছিলেন। এই ঘটনাটি মনে রাখার জন্যই প্রতি বছর অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা করা হয়। চান্দ্রমাস ক্যালেন্ডার অনুসারে এই সময়টি প্রতিবছরই পরিবর্তিত হতে থাকে।

সন্ধিপূজা

শুক্লাষ্টমীর বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণে দেবী দুর্গার সন্ধিপুজো হয়। দুর্গাপূজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সন্ধিপূজা। মহাঅষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং মহানবমী তিথি শুরুর ২৪ মিনিটকে বলা হয় সন্ধিক্ষণ। এই সন্ধিক্ষণে তন্ত্রমতে করা হয় সন্ধিপূজা।

সন্ধিপূজার পৌরাণিক কাহিনী

  • (১) এই সন্ধিক্ষণের পিছনের পৌরাণিক কাহিনী হল দেবী দুর্গা এক অপরূপা সুন্দরী রূপে দুর্দমনীয় মহিষাসুরের সামনে আবির্ভূতা হন। সেই সময় দেবীর গাত্রবর্ণ বা গায়ের রঙ ছিল স্বর্ণাভ বা সোনালী এবং তার পরিধানে ছিল হলুদ শাড়ি। তাঁর দশ হাত সজ্জিত ছিল দশ রকমের অস্ত্রে।
  • (২) যখন মহিষাসুরের সঙ্গে ভয়ানক যুদ্ধে দেবী ব্যস্ত, সেই সময় মহিষাসুরের দুই শখা চণ্ড ও মুণ্ড পিছন থেকে দেবীকে আক্রমণ করে। রণনীতি ভঙ্গ হওয়ায় দেবী অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হন এবং রাগে তাঁর মুখ নীল হয়ে যায়। দেবী তাঁর তৃতীয় নয়ন উন্মীলিত করেন এবং চামুণ্ডা রূপ ধারণ করেন।
  • (৩) অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবী চামুণ্ডা চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে নিধন করেছিলেন। তাই অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয়।

সন্ধি পূজায় দেবীর পায়ে লাল পদ্ম নিবেদন

  • (১) এই সন্ধিপূজার সময় দেবীর পায়ে নিবেদিত হয় ১০৮ টি লাল পদ্ম। এই ১০৮টি পদ্মের পিছনেও আছে পৌরাণিক কাহিনী। অসুর নিধনকালে দেবী দুর্গার সারা অঙ্গ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল ১০৮ টি ক্ষত। ক্ষতগুলির অসহনীয় জ্বালা নিয়ন্ত্রণের জন্য দেবাদিদেব মহাদেব দুর্গাকে দেবীদহে স্নান করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
  • (২) দেবীদহে স্নান করার পর দেবী দুর্গার শরীরের সেই ১০৭টি ক্ষত থেকে সৃষ্টি হয়েছিল ১০৭টি পদ্ম। কিন্তু একটি ক্ষত তখনও অবশিষ্ট ছিল । দেবী দুর্গাকে ১০৮তম ক্ষতের জ্বালায় কষ্ট পেতে দেখে মহাদেবের চোখ থেকে নির্গত হয়েছিল এক ফোঁটা অশ্রু। অশ্রুকণাটি গিয়ে পড়েছিল তাঁর ১০৮তম ক্ষতে। মিলিয়ে গিয়েছিল তাঁর শরীরের অবশিষ্ট ক্ষতটিও। দেবীদহে থেকে গিয়েছিল ১০৭ টি পদ্ম।

সন্ধিক্ষণে রাবণ বধ

  • (১) ত্রেতা যুগে লঙ্কেশ্বর রাবণকে বধ করার জন্য সন্ধিপূজার শেষে শ্রীরামচন্দ্র দেবীর পায়ে ১০৮টি পদ্ম উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন। তাই ভক্ত হনুমানকে পাঠিয়েছিলেন দেবীদহে। কিন্তু দেবীদহ থেকে ১০৭টি পদ্ম নিয়ে ফিরেছিলেন পবনপুত্র। কারণ দেবীদহে আর পদ্ম ছিল না। সুতরাং মহামায়ার পায়ে দেওয়ার জন্য একটি পদ্ম কম পড়েছিল।
  • (২) সন্ধিক্ষণ চলে যাওয়ার উপক্রম হলে শ্রীরামচন্দ্র ধনুর্বাণ দিয়ে নিজের নীল পদ্মের ন্যায় চক্ষু দুটির মধ্যে একটি উৎপাটন করে মায়ের পায়ে অর্পণ করতে চেয়েছিলেন ১০৮ তম পদ্ম হিসেবে। চক্ষু উৎপাটনের মুহূর্তে অবতীর্ণ হয়েছিলেন দেবী দুর্গা। মায়ের বরে বলীয়ান শ্রীরামচন্দ্র এই অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণেই রাবণ বধ করেছিলেন।

সন্ধিপূজার উপকরণ

এই সন্ধিপূজায় ১০৮টি পদ্ম মায়ের পায়ে নিবেদন করা হয়। মায়ের সামনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মাটির তৈরি ১০৮ টি প্রদীপ। সন্ধিপূজায় অনান্য উপকরণ হিসেবে লাগে স্বর্ণাঙ্গুরীয়ক (একটি), লোহা ও নথ (একটি), চেলির শাড়ি (একটি), শাড়ি (একটি), মধুপর্কের কাঁসার বাটি (একটি), থালা (একটি), ঘড়া (একটি), দধি, চিনি, মধু, ঘৃত, বালিশ (একটি), মাদুর (একটি), চাঁদমালা (একটি), ভোগ ও আরতির উপকরণ। নৈবেদ্যর মধ্যে প্রধান নৈবেদ্য হিসাবে লাল ফল এবং পুষ্পাদির মধ্যে জবাফুল থাকতেই হবে।

দুর্গাপূজার সময় সন্ধিপূজার বলি

সন্ধিপূজার এই মাহেন্দ্রক্ষণে কেউ বলি দেন। কেউ সিঁদুর সিক্ত একমুঠো মাসকলাই বলি দেন। সবকিছুই প্রতিকী।

সন্ধিপূজার বিভিন্ন আচার-নিয়ম ও প্রথা

এই সন্ধিপূজার সঙ্গে নানারকম আচার ও প্রথা জড়িয়ে আছে। রাজপরিবার এবং জমিদারপরিবারের দুর্গা পুজোয় সন্ধিপূজার সময়ে কামান দেগে তোপধ্বনি করা হত, অনেক জায়গায় সন্ধিপূজার সময় ঢাক বাজানো হত। এমনকি আজকের দিনেও সন্ধিপূজার সময়ে সবাই একটু ব্যস্ত হয়ে ওঠেন, কারণ এই পুজোই মায়ের প্রধান পুজো, তাই কেউই এই পুজোর আয়োজনে কোনো ফাঁক রাখতে চান না। দুর্গোৎসব হল ব্রহ্মান্ডব্যাপী মাতৃশক্তির আরাধনা, অশুভশক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির জয়।

সন্ধিপূজার পুষ্পাঞ্জলি

ফুল ও বেলপাতা হাতে নিয়ে বলতে হয় –

নমঃ মহিষগ্নি মহামায়ে চামুন্ডে মুন্ডমালিনি

আয়ুরারোগ্য বিজয়ং দেহি দেবী নমোস্তুতে

এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ

ওঁ হ্রীঃ শ্রীঃ চামুণ্ডা দেবতা য়ৈ নমঃ

ওঁ ঐং হ্রীং ক্লীং চামুণ্ডায়ৈ বিচ্চে

ওঁ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ

তারা চোগ্রা মহোগ্রা চ বজ্রা কালী সরস্বতী।

কামেশ্বরী চ চামুণ্ডা ইত্যাষ্টৌ তারিণ্যো মতাঃ

দংষ্ট্রাকরালবদনে শিরোমালাবিভূষণে ।

চামুণ্ডে মুণ্ডমথনে নারায়ণি নমোহস্তু তে।।

এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ

ওঁ হ্রীঃ শ্রীঃ চামুণ্ডা দেবতা য়ৈ নমঃ

ওঁ ঐং হ্রীং ক্লীং চামুণ্ডায়ৈ বিচ্চে

ওঁ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ ।।

জয়স্ব দেবি চামুণ্ডে জয় ভূতাঽপহারিণি ।

জয় সর্বগতে দেবি কালরাত্রি নমোঽস্তু তে ॥

কালি করালবিক্রান্তে কালরাত্রি নমোঽস্তু তে ।

সর্বশস্ত্রভৃতে দেবি নমো দেবনমস্কৃতে ॥

এষ সচন্দন-পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ

ওঁ হ্রীঃ শ্রীঃ চামুণ্ডা দেবতা য়ৈ নমঃ ।

ওঁ ঐং হ্রীং ক্লীং চামুণ্ডায়ৈ বিচ্চে ।

ওঁ ভদ্রকাল্যৈ ভগবত্যৈ দুর্গায়ৈ নমঃ ।।

সন্ধি পূজার প্রণাম মন্ত্র

কালী করালবদনা বিনিষ্ক্রান্তাসিপাশিনী।

বিচিত্র-খট্বাঙ্গধরা নরমালাবিভূষণা।

দ্বীপিচর্ম্ম-পরীধানা শুষ্কমাংসাতিভৈরবা।।

অতিবিস্তার-বদনা জিহ্বাললন-ভীষণা।

নিমগ্নারক্তনয়না নাদাপূরিতদিঙ্মুখা।

সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।

শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তুতে।।

নমঃ সৃষ্টিস্তিতিবিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনি

গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়ণি নমোস্তু তে।

জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী

দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোস্তু তে।

 নমঃ শরণাগতদীনার্ত পরিত্রাণপরায়ণে

সর্বস্যাতিহরে দেবী নারায়ণি নমোস্তু তে।

নমঃ আয়ুর্দ্দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে

পুত্রান্ দেহি ধনং দেহি সর্ব্বান্ কামাশ্চ দেহি মে।

হর পাপং হর ক্লেশং হর শোকং হরাসুখম

হর রোগং হর ক্ষোভং হর মারীং হরপ্রিয়ে ।।

চিতিশক্তিং নির্ব্বিকারং পরব্রহ্মস্বরূপিণীম্‌ ।

প্রণামামি মহামায়াং যোগনিদ্রা সনাতনীম্‌ ।।

ওঁ মহামায়ে জগন্মাত কালিকে ঘোর দক্ষিণে ৷

গৃহাণ্ বন্দনে দেবী নমস্তে   শংকর প্রিয়ে ৷৷

ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ য়দ্ ভবেৎ ৷

পুরনং ভবতু যৎ সর্ব, তৎ প্রসাদৎ মহেশ্বরী ৷৷

সর্বস্বরূপে সর্বেশে সর্বশক্তিসমন্বিতে

ভয়েভ্য়স্ত্রাহি নো দেবি দুর্গে দেবি নমো‌স্তুতে

জয় মা। জয় মা। জয় মা। জয় জয় মা।।

সন্ধিপূজার মাহাত্ম্য

  • (১) অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সন্ধিপূজার আয়োজন করা হয়। এই সময়ে মা দুর্গা চামুণ্ডা রূপে পূজিত হন। কারণ, এই সেই বিশেষ ক্ষণ যখন দেবী চামুণ্ডা চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে নিধন করেছিলেন। চণ্ড ও মুণ্ড ছিলেন অসুরের দুই বন্ধু। মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ চলার সময় চণ্ড ও মুণ্ড পিছন দিক থেকে দেবীকে আক্রমণ করেছিলেন। তাতেই দেবী রেগে গিয়ে চণ্ড ও মুণ্ডের মুণ্ড কেটে নেন।
  • (২) দুষ্টের দমন। অশুভ শক্তির বিনাশকাল। তাই সন্ধিপূজার এই সময়টাকে অত্যন্ত শুভক্ষণ বলে মনে করা হয়। এর সঙ্গে বিভিন্ন নিয়ম জড়িয়ে রয়েছে। বিশেষ করে দেবীর পায়ে ১০৮টি লাল পদ্ম উৎসর্গ করা হয়। এর পাশাপাশি ১০৮টি প্রদীপও উৎসর্গ করতে হয়।
  • (৩) কৃত্তিবাসের রামায়ণ অনুসারে, রাবণকে বধ করতে আশ্বিন মাসেই রামচন্দ্র অকালবোধন করেছিলেন। সেখানেও সন্ধিপূজায় দেবীকে ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করা হয়েছিল। তাতে উল্লেখ আছে, শিবভক্ত রাবণকে সুরক্ষা দিতেন পার্বতী। তাই ব্রহ্মা রামকে শিবের স্ত্রী পার্বতীকে পুজো করে তাকে তুষ্ট করতে পরামর্শ দেন। তাতে রাবণ-বধ সহজসাধ্য হবে।
  • (৪) ব্রহ্মার পরামর্শে রাম শরৎকালে পার্বতীর দুর্গতিনাশিনী রূপের মহাপুজোর আয়োজন করেন। ১০৮টি নীল পদ্ম দিয়ে মহানবমী পুজোর পরিকল্পনা করেন রাম। হনুমান তাকে ১০৮টি পদ্ম এনে দেন। তার থেকে একটি পদ্ম লুকিয়ে রাখেন মহামায়া। একটি পদ্ম না পেয়ে রাম নিজের একটি চোখ উপড়ে দুর্গাকে নিবেদন করতে গেলে, দেবী পার্বতী আবির্ভূত হয়ে রামকে কাঙ্ক্ষিত বর দেন।

উপসংহার:- আশ্বিনের শুক্লাষ্টমীর বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণে দেবী দুর্গার সন্ধিপূজা হয়। ১০৮ লাল পদ্ম উত্‍সর্গ করা হয় দুর্গার পায়ে। জ্বলে ওঠে ১০৮ প্রদীপ। অষ্টমী আর নবমী তিথির শুভ সন্ধিক্ষণে এই পুজো হয়ে থাকে। মন্ত্রের অণুরণনে মুখরিত হয়ে ওঠে রাতের বাতাস। পটকা, দামামা, শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি, উলুধ্বনি, ঘন্টা সব মিলিয়ে শব্দের স্রোত যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায় চারপাশ।

(FAQ) সন্ধিপূজা (Sandhi Puja) সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. সন্ধিপূজা কোন উৎসবের সঙ্গে জড়িত?

দুর্গোৎসব।

২. সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয় কখন?

দুর্গাপূজার অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে।

৩. সন্ধিক্ষণ কোন সময়কে বলা হয়?

অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিটকে বলা হয় সন্ধিক্ষণ।

৪. অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গা কোন রূপ ধারণ করেছিলেন?

চামুণ্ডা।

৫. চামুণ্ডা রূপে দেবী কাকে হত্যা করেন?

চণ্ড ও মুণ্ড কে।

Leave a Comment