নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকা -র প্রতিষ্ঠাতা, প্রথম প্রকাশ, ধরণ, ভাষা, উদ্দেশ্য, সমগোত্রীয় পত্রিকা, মতামত সোচ্চার, ব্যাপক পাঠ, বেদান্তের কর্মকাণ্ডের মুখপত্র, বিভিন্ন ধারণার কথা তুলে ধরা, পড়ার আগ্ৰহ, হোমরুল লীগের ঘোষণা, সৃজনশীল কাজের প্রতিফলন, পত্রিকার জনপ্রিয়তা হ্রাস ও তার প্রকাশনা বন্ধ সম্পর্কে জানবো।
ভারতের পত্রিকা নিউ ইন্ডিয়া প্রসঙ্গে নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার সম্পাদক, নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রকাশকাল, নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার ধরণ, নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার ভাষা, নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার উদ্দেশ্য, নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকায় হোমরুল আন্দোলনের বর্ণনা, নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ।
দৈনিক পত্রিকা নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকা
ধরণ | দৈনিক পত্রিকা |
প্রতিষ্ঠাতা | অ্যানি বেশান্ত |
প্রকাশকাল | ১ জুন ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ |
ভাষা | ইংরেজি |
সদর দপ্তর | আদ্যার, মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই) |
প্রকাশনা বন্ধ | ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ |
ভূমিকা :- বিশ শতকের প্রথম দিকের একটি দৈনিক সংবাদপত্র হল নিউ ইন্ডিয়া। ভারত -এর স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে তুলে ধরতে অ্যানি বেশান্ত ভারতে এই পত্রিকা প্রকাশ করেন।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক
ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে সম্পর্কিত সংবাদ প্রচারের একটি মাধ্যম হিসাবে নিউ ইন্ডিয়া সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী ডক্টর অ্যানি বেশান্ত।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রথম প্রকাশ
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ১ জুন বেশান্ত প্রথম তাঁর নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকাটি প্রকাশ করেন।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার ধরণ
অ্যানি বেশান্ত প্রকাশিত নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকাটি ছিল দৈনিক পত্রিকা।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার ভাষা
ইংরেজি ভাষায় নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হত।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার উদ্দেশ্য
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কথা তুলে ধরাই ছিল নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রধান উদ্দেশ্য।
নিউ ইন্ডিয়ার সমগোত্রীয় পত্রিকা
এই পত্রিকা মহাত্মা গান্ধীর হরিজন, ইয়ং ইন্ডিয়া পত্রিকা এবং তিলকের কেশরী পত্রিকার মতো একই বৈশিষ্ট্য যুক্ত ছিল।
মতামত সোচ্চার করার উপায় নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকা
অ্যানি বেশান্ত সম্পাদকীয়গুলির মাধ্যমে তার মতামতকে সোচ্চার করার একটি উপায় হিসাবে এই পত্রিকাকে ব্যবহার করেন।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার নামকরণ
১৯১৪ সালের জুনে তিনি ‘মাদ্রাজ স্ট্যান্ডার্ড’ নামে একটি বিদ্যমান সংবাদপত্র ক্রয় করেন এবং এর নাম পরিবর্তন করে ‘নিউ ইন্ডিয়া’ রাখেন।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার ব্যাপক পাঠ
নিউ ইন্ডিয়া পরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে তার তুমুল প্রচারের জন্য নির্বাচিত অঙ্গ হয়ে ওঠে। বিশ্বযুদ্ধের পর যখন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম গতি পেতে শুরু করে তখন ইংরেজ শিক্ষিত ভারতীয় মধ্য ও উচ্চবিত্তরা ব্যাপকভাবে এই পত্রিকা পাঠ করে।
বেশান্তের মতামতের মুখপত্র নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকা
নিউ ইন্ডিয়া ছিল একটি ভারতীয় স্বাধীনতার সমর্থক সংবাদপত্র এবং প্রতিষ্ঠাতা ডঃ অ্যানি বেশান্তের মতামতের মুখপত্র হিসাবেও কাজ করেছিল।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকায় বিভিন্ন ধারণার কথা তুলে ধরা
- (১) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ -এর সময় এবং পরে ভারতে গান্ধীর প্রত্যাবর্তন, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে।
- (২) বিপিন চন্দ্র পাল, বাল গঙ্গাধর তিলক, লালা লাজপত রায়, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু এবং অন্যান্যদের দ্বারা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা তুলে ধরে।
- (৩) দিল্লি, কলকাতা এবং বোম্বে ব্যতীত অন্যান্য স্থানে স্বাধীনতা সংগ্রাম গতি পেতে শুরু করে।
- (৪) ১৯১৪ সালে বেশান্ত আরও অন্যান্য ভারতীয়দের অন্তর্ভুক্ত করার ধারণার কথাও তাঁর পত্রিকায় তুলে ধরেন।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকা পড়ার আগ্ৰহ
১৯১৬ সালে হোমরুল আন্দোলন তীব্রতর হলে লোকেরা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগতির খবরের জন্য ডক্টর বেসান্তের সম্পাদকীয় আগ্রহের সাথে ‘নিউ ইন্ডিয়া’ পড়তে শুরু করে।
ব্রিটিশপন্থী পত্রিকার যুগ
সেই সময়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতো জনপ্রিয় ইংরেজি সংবাদপত্রগুলি সাধারণত ঔপনিবেশিক সমর্থক বিজ্ঞাপনদাতা এবং পাঠকদের জন্য ব্রিটিশপন্থী সংবাদ প্রকাশ করত।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে জড়িত নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকা
ব্রিটিশপন্থী পত্রিকার যুগে ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্রের প্রয়োজন ছিল যা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশ করতে পারে।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার নতুন পাঠক
এইভাবে নতুন ভারতের পাঠকদের মধ্যে প্রধানত শিক্ষিত ইংরেজি ভাষী মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত ভারতীয় এবং সেইসাথে ভারতের স্বাধীনতার প্রতি সহানুভূতিশীল বিদেশিদের সমন্বয়ে গঠিত হয় এই পত্রিকা।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার মাধ্যমে হোমরুল লীগের ঘোষণা
বেশান্ত ১৯১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর হোমরুল লিগ শুরু করেছিলেন। এর ঘোষণা তিনি নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার মাধ্যমে করেছিলেন।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকায় সৃজনশীল কাজের প্রতিফলন
ভারতের জন্য শ্রীমতী বেশান্তের সৃজনশীল কাজ অব্যাহত ছিল। এই সব কাজের বেশিরভাগই নিউ ইন্ডিয়াতে তার লেখায় প্রতিফলিত হয়।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকায় কমওয়েলথ বিল প্রকাশ
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ব্যবস্থায় ভারতীয়দের অংশগ্রহণের জন্য তিনি ‘ভারতীয় কমনওয়েলথ বিল’ -এর খসড়া তৈরি করেছিলেন, যা ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে জর্জ ল্যান্সবারি দ্বারা লন্ডনের সংসদে পেশ করা হয়েছিল। এই বিলের কিছু অংশ নিউ ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছিল।
নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ
ভারতের স্বাধীনতার সময় ১৯৪৭ সাল থেকে এই পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
উপসংহার :- বাল গঙ্গাধর তিলকের ভারতে আগমন বেশান্তের জনপ্রিয়তার হ্রাস ঘটায়। তাছাড়া বেশান্তের কারাবরণের কারণে নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকার জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে থাকে।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই “নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকা” পোস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই adhunikitihas.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যে কোনো প্রশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করুণ এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন।
সবশেষে আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে Comment ও Share করে দিবেন, (ধন্যবাদ)।
(FAQ) নিউ ইন্ডিয়া পত্রিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
শ্রীমতী অ্যানি বেশান্ত।
১৯১৪ সালে।
১৯৪৭ সালে।