গদর পার্টি

গদর পার্টি প্রসঙ্গে আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন শহরে সভা, প্রশান্ত মহাসাগরের হিন্দু সংঘ, গদর পত্রিকা প্রকাশ, গদর পত্রিকার প্রচার, গদর পার্টির নামকরণ, শাখা প্রতিষ্ঠা, উদ্দেশ্য, গদর সমিতির বৈপ্লবিক কাজের তত্ত্বাবধান, হরদয়ালের গ্ৰেপ্তার ও গদর পত্রিকার জ্বালাময়ী লেখনী সম্পর্কে জানবো।

গদর পার্টি

ঐতিহাসিক বিষয়গদর পার্টি
প্রতিষ্ঠাকাল১৯১৩ খ্রি:
স্থানআমেরিকার সানফ্রান্সিসকো
প্রথম সভাপতিলালা হরদয়াল
মুখপত্রগদর পত্রিকা
গদর পার্টি

ভূমিকা :- ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে লালা হরদয়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিস্কো শহরে উপস্থিত হন। সানফ্রান্সিসকোতে পৌঁছেই তিনি আমেরিকা প্রবাসী শিখদের মধ্যে প্রায় দুবছর ধরে বৈপ্লবিক প্রচার কার্য চালান। তাঁর ব্রিটিশ বিরোধী ও বৈপ্লবিক প্রচারে প্রবাসী শিখদের মধ্যে স্বাধীনতার প্রবল আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠতে থাকে।

আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন শহরে সভা

হরদয়াল, বরকতুল্লা, পরমানন্দ, রামচন্দ্র প্রমুখ বিপ্লবী নায়কগণ আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে সভা করতেন। সেই সকল সভায় ভারত-এর স্বাধীনতার জন্য বিপ্লব ও সেই বিপ্লব পরিচালনার জন্য বৈপ্লবিক সমিতির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হত।

‘প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলের হিন্দু-সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা

  • (১) ‘গদর’ পত্রিকা বের হবার আগে থেকেই বৈপ্লবিক সমিতি গঠনের কাজ আরম্ভ হয়েছিল। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের প্রথমার্ধেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বৈপ্লবিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ বছরের মধ্যভাগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এন্তোরিয়া প্রদেশের প্রধান শহর এন্তোরিয়ায় প্রবাসী শিখ ও অন্যান্য ভারতীয়দের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
  • (২) সভাপতির আসন গ্রহণ করেন হরদয়াল। এই সভায় ভারতের বিপ্লব সম্পর্কে বহু আলোচনার পর ‘প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলের হিন্দু-সঙ্ঘ’ নামে একটি বৈপ্লবিক সমিতি ও তার স্থানীয় শাখা-প্রশাখা প্রতিষ্ঠা এবং ‘গদর’ অর্থাৎ ‘বিদ্রোহ’ নামে বৈপ্লবিক সমিতির একটি মুখপত্র বের করার সিদ্ধান্ত হয়। উপস্থিত সকলে এই পত্রিকার জন্য অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

গদর পত্রিকা প্রকাশ

১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ১লা নভেম্বর সানফ্রান্সিকো শহর থেকে ‘গদর’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যা বের হয়। বাংলার যুগান্তর দল বা সমিতি ও তার মুখপত্র যুগান্তর পত্রিকার নাম অনুসারে ‘গদর’ পত্রিকার ছাপাখানার নাম রাখা হয় ‘যুগান্তর আশ্রম’। সংবাদপত্র সম্পাদনায় অভিজ্ঞ রামচন্দ্র ‘গদর’ পত্রিকার সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন।

কানাডায় গদর পত্রিকার প্রচার

‘গদর’ পত্রিকাটি বিভিন্ন ভাষায় মুদ্রিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সর্বত্র প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে প্রচার করা হত। এর বিভিন্ন ভাষার সংস্করণ ভারতের বিভিন্ন শহরে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এবং ব্রহ্মদেশ ও শ্যামের ভারতীয়দের নিকট প্রেরিত হত।

গদর পার্টি নামকরণ

এই ‘গদর’ পত্রিকার নাম অনুসারেই আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত এই ভারতীয় বৈপ্লবিক প্রতিষ্ঠান ‘গদর সমিতি’ বা গদর পার্টি নামে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে।

সমগ্ৰ আমেরিকায় গদর পার্টির শাখা প্রতিষ্ঠা

এইভাবে এক দিকে ‘গদর’ পত্রিকার বৈপ্লবিক প্রচার ও অন্য দিকে হরদয়াল প্রমুখ বিপ্লবীদের চেষ্টার ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রবাসী ভারতীয়দের, বিশেষত শিখদের নিয়ে এক বিরাট বৈপ্লবিক সমিতি গড়ে উঠে এবং সানফ্রান্সিসকো শহরের ‘যুগান্তর আশ্রম’কে কেন্দ্র করে সমগ্র আমেরিকায় এই সমিতির শাখা-প্রশাখা প্রতিষ্ঠিত হয়।

গদর সমিতি বা পার্টির উদ্দেশ্য

সমিতির মুখপত্র ‘গদর’ পত্রিকায় সমিতির উদ্দেশ্য ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হত। এতে জ্বালাময়ী ভাষায় সমিতির বৈপ্লবিক উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করা হত। বৈপ্লবিক উপায়ে বিদেশী ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ করে ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে – এটাই ছিল এর প্রচারের মূল বিষয়।

কিন্তু বৃটিশ শাসনের উচ্ছেদের প্রয়োজন কি? এই প্রয়োজন ব্যাখ্যা করবার জন্য “ব্রিটিশ শাসনের স্বরূপ” এই শিরোনামায় ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে চৌদ্দটি অভিযোগ একের পর এক প্রবন্ধাকারে প্রকাশিত হয়। দৃষ্টান্তস্বরূপ কয়েকটি প্রবন্ধের বিষয়বস্তু তুলে ধরা হল –

  • (১) ইংরেজরা প্রতি বছরর ৫০ কোটি টাকা ভারত থেকে ইংল্যান্ড-এ নিয়ে যায়।
  • (২) তারা ভারতের ২৪ কোটি লোকের শিক্ষার জন্য ব্যয় করে মাত্র ৭ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করে ২ কোটি টাকা, আর সৈনাবাহিনীর জন্য ব্যয় করে ২৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
  • (৩) দুর্ভিক্ষ প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে এবং গত দশ বছরে ২ কোটি পুরুষ, স্ত্রীলোক ও শিশু অনাহারে মরেছে।
  • (৪) ভারতের টাকায় এবং ভারতীয় সৈন্যদের বলি দিয়ে তারা আফগানিস্তান, ব্রহ্ম, মিশর, পারস্য ও চীন-এর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে
  • (৫) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ-এর পর সাতান্ন বছর কেটে গেছে, এখন আর একটা বিদ্রোহ বিশেষ জরুরী হয়ে উঠেছে।

ভারতে ফিরে বিপ্লবের সিদ্ধান্ত

সুতরাং ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। তার জন্য সকল প্রবাসী ভারতীয়দের ভারতবর্ষে ফিরে গিয়ে “বিপ্লবের দ্বারা ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ করতে হবে।” এই বিপ্লবের আয়োজন করবার জন্য সর্বত্র গুপ্ত সমিতি গড়ে তুলতে হবে। ভারতের বিপ্লবী শহীদগণ হবে তাদের আদর্শ।

গদর সমিতির বৈপ্লবিক কাজের তত্ত্বাবধান

উদ্দেশ্য প্রচারের জন্য হরদয়াল ও তাঁর সহকর্মীরা আমেরিকার সর্বত্র ঘুরে ঘুরে সভা এবং বৈপ্লবিক কাজের তত্ত্ববধান করতে থাকেন।

গদর সমিতির উদ্যোগে শিখদের বিরাট সভা

  • (১) ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাক্রামেন্টো নামক স্থানে গদর সমিতির উদ্যোগে শিখদের এক বিরাট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
  • (২) এই সভায় “ছায়াচিত্রের মাধ্যমে ভারতের বিখ্যাত রাজদ্রোহী ও (বৈপ্লবিক) হত্যাকারীদের চিত্র এবং বৈপ্লবিক ধ্বনি প্রদর্শন করা হয়। এর পর হরদয়াল তাঁর শ্রোতাদের নিকট বক্তৃতায় বলেন যে, শীঘ্রই জার্মানি ইংল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে, আর সেই সময় বিপ্লবে যোগদান করবার জন্য ভারতবর্ষে যাবার আয়োজন করতে হবে।”
  • (৩) এই প্রকারের আরও কয়েকটি জনসভায় হরদয়াল ভারতের আসন্ন বিপ্লবের জন্য প্রবাসী শিখদের প্রস্তুত হতে বলেন।

গ্রেপ্তার গদর সমিতির প্রধান হরদয়াল

হরদয়ালের এই সকল বক্তৃতা শীঘ্রই মার্কিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মার্চ হরদয়াল গ্রেপ্তার হন। মার্কিন সরকার তাঁকে “অবাঞ্ছিত “বিদেশী” হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে জামিনে মুক্তি দেয়। এই সুযোগে হরদয়াল ইউরোপ-এর সুইজারল্যাণ্ড দেশে পালিয়ে যান।

গদর সমিতির দায়িত্বে রামচন্দ্র

রামচন্দ্র তাঁর স্থান গ্রহণ করে আমেরিকা ও কানাডার গদর সমিতি, ‘গদর’ পত্রিকা এবং তার ছাপাখানা ও গদর সমিতির কেন্দ্র ‘যুগান্তর আশ্রম’ পরিচালনা করতে থাকেন৷

গদর সমিতির সভ্যদের তীব্র বিক্ষোভ

  • (১) ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মার্চ হরদয়ালের গ্রেপ্তারের সংবাদ ‘গদর’ পত্রিকায় প্রকাশিত হবার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার শিখ ও অন্যান্য ভারতীয়দের মধ্যে তীব্র বিক্ষোভ দেখা দেয়। তাদের প্রিয় নেতার প্রতি এই উৎপীড়ন সহ্য করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠে।
  • (২) তাদের কাছে ব্রিটিশ সরকার, যুক্তরাষ্ট্র সরকার, কানাডা সরকার – সকল ইংরেজ সরকারই এক, সকল ইংরেজ সরকারই অত্যাচারী। তাদের এই বিক্ষোভ বিপ্লবের আগুন জ্বালাতে উদ্যত হয়, ভারতে ফিরে এক রক্তাক্ত বিপ্লবের দ্বারা উৎপীড়ক ও শোষক ব্রিটিশ সরকারের উচ্ছেদের জন্য তাদের মধ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রকাশ পেতে থাকে।

বৈপ্লবিক পুস্তিকা প্রকাশ করে আবেদন

এই সময় সমগ্র আমেরিকায় ও কানাডায় একটি বৈপ্লবিক পুস্তিকা প্রচার করা হয়। এর একটি কবিতায় তিলক, বরকতুল্লা, অজিত সিং, সাভারকর, অরবিন্দ ঘোষ, কৃষ্ণ বর্মা, হরদয়াল ও অন্যান্য বহু ভারতীয় বিপ্লবীদের নাম উল্লেখ করে প্রবাসী ভারতীয়দের কাছে আবেদন করে বলা হয় –

“তারা সকলেই বিদ্রোহের পতাকা উড্ডীন করে গেছেন, সকল শিখ, সকল হিন্দু, সকল মুসলমান সেই পতাকার নীচে সমবেত হয়েছে; চল, আমরাও আমাদের দেশে ফিরে গিয়া সেই বিদ্রোহে যোগদান করি – এটাই আমাদের শেষ নির্দেশ।”

ইংরেজ শক্তির বিপদ

এবার থেকে সর্বত্র একই ধ্বনি উঠতে থাকে “চল, দেশে ফিরে গিয়ে বিদ্রোহে যোগদান করি। ইতিমধ্যে ইউরোপে সমরানল জ্বলে উঠে। জার্মানীর দুর্ধর্ষ সামরিক শক্তির নিকট ব্রিটিশ প্রভৃতি মিত্র শক্তির ক্রমাগত পরাজয়ের ফলে বিশেষত ইংরেজশক্তি চারদিক থেকে ভীষণ বিপদের সম্মুখীন হয়।

গদর পত্রিকার জ্বালাময়ী লেখনী

বিপ্লবীরা এই সুযোগেরই অপেক্ষা করছিলেন। গদর সমিতির নেতৃবৃন্দ সকল স্বাধীনতাকামী শিখ ও ভারতীয়কে অবিলম্বে ভারতে ফিরে যাইবার নির্দেশ দেন। ‘গদর’ পত্রিকায় জালাময়ী ভাষায় লেখা হতে থাকে –

  • (১) “ইউরোপে যুদ্ধ চলছে, তোমরা এই সুযোগে প্রস্তুত হও। নির্ভীক বন্ধুগণ, অবিলম্বে প্রস্তুত হও, বিদ্রোহের দ্বারা তোমাদের প্রতি সকল অত্যাচারের অবসান ঘটাও। এই বিদ্রোহের জন্য চাই ভারতবর্ষে বিদ্রোহ সংঘটিত করার নির্ভীক সৈন্য; তাদের বেতন – মৃত্যু; পুরস্কার – শহীদের সম্মান, অবসর জীবনের প্রাপ্য – মুক্তি ; যুদ্ধক্ষেত্র – ভারতবর্ষ।”
  • (২) “উঠ, চোখ খোল। গদরের জন্য (বিদ্রোহের জন্য ) অর্থ সংগ্রহ কর, ভারতে ফিরে চল। মুক্তি লাভের জন্য জীবন উৎসর্গ কর।” “ভারতে ফিরে চল, ইংরেজকে পরাজিত করে তাদের হাত থেকে শাসন-ক্ষমতা কেড়ে নাও।” ভারতে ফিরে গিয়ে গদর কর্মীদের গদর সাহিত্য বিক্রি করতে হবে, জনসাধারণকে নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধের জন্য উৎসাহিত করতে হবে; সর্বত্র রেলপথ তুলে ফেলতে হবে, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেবার জন্য জনসাধারণকে বুঝাতে হবে, শয়তান ফিরিঙ্গিদের নির্মূল করবার জন্য দেশীয় সৈন্যবাহিনীকে উৎসাহিত করতে হবে।”
  • (৩) “এইভাবে বিদ্রোহের দ্বারা ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে ভারতবর্ষকে মুক্ত করতে হবে, এইভাবে ইংরেজদের ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত করে জনসাধারণের নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

গদর সমিতির আহ্বানে সাড়া প্রদান

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রবাসী সহস্র সহস্র শিখ, হিন্দু, মুসলমান গদর বিপ্লবীদের এই আহ্বানে সাড়া দেয়। দীর্ঘ প্রবাস জীবনের শত অত্যাচার, উৎপীড়ন, শোষণ, দুঃখ-লাঞ্ছনা এই ভারতীয় মানুষগুলিকে প্রতিশোধের নেশায় উন্মাদ করে তুলেছিল। তাদের এত দুঃখ-লাঞ্ছনার জন্য একমাত্র দায়ী ভারতের বিদেশী ব্রিটিশ শাসন।

উপসংহার :- মহাযুদ্ধের সুযোগে বিদেশী শত্রু ব্রিটিশ শাসনের উপর চরম প্রতিশোধ নেবার উদ্দেশ্যে প্রবাসী ভারতীয়রা বিদ্রোহের পতাকা উড়িয়ে দলে দলে ভারতবর্ষ অভিমুখে যাত্রা করে।

(FAQ) গদর পার্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. গদর সমিতি কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?

আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো শহরে।

২. গদর সমিতি বা পার্টি কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৯১৩ সালে।

৩. গদর সমিতির প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?

লালা হরদয়াল।

৪. গদর সমিতির মুখপত্র কি ছিল?

গদর পত্রিকা।

Leave a Comment