মৃদুল দাশগুপ্ত

লেখক ও কবি মৃদুল দাশগুপ্ত প্রসঙ্গে তার জন্ম, পিতৃপরিচয়, শিক্ষা জীবন, কর্মজীবন, সাংবাদিক জীবন, সাহিত্য কর্মের সূচনা, সাহিত্য সাধনা, সাহিত্য সম্ভার , তার পুরস্কার লাভ ও সম্মাননা সম্পর্কে জানবো।

লেখক ও কবি মৃদুল দাশগুপ্ত

ঐতিহাসিক চরিত্রমৃদুল দাশগুপ্ত
পরিচিতিকবি ও লেখক
জন্ম৩ এপ্রিল, ১৯৫০ খ্রি:
বিখ্যাত কাব্যসোনার বুদবুদ
রবীন্দ্র পুরস্কার২০১২ খ্রি:
লেখক ও কবি মৃদুল দাশগুপ্ত

ভূমিকা :- মৃদুল দাশগুপ্ত ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও সাংবাদিক। তিনি ছিলেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক, কবি ও সাংবাদিক।

মৃদুল দাশগুপ্তের জন্ম

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩ এপ্রিল কবি মৃদুল দাশগুপ্ত হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে জন্মগ্ৰহণ করেন।

কবি মৃদুল দাশগুপ্তের পিতৃপরিচয়

তার পিতার নাম জ্যোৎস্না কুমার দাশগুপ্ত ও মায়ের নাম সান্ত্বনা দাশগুপ্ত।

মৃদুল দাশগুপ্তের শিক্ষাজীবন

কবি মৃদুল দাশগুপ্তের তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা পূর্ণচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিকের পাঠ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন ইন্সটিটিউটে। কলেজীয় শিক্ষা উত্তরপাড়া প্যারীমোহন কলেজে।

সাংবাদিক মৃদুল দাশগুপ্তের কর্মজীবন

শ্রীরামপুর ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে মৃদুল দাশগুপ্ত তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ১৯৭৮ সাল থেকে সাংবাদিকতাকেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেন

মৃদুল দাশগুপ্তের সাংবাদিক জীবন

তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয় সাপ্তাহিক পরিবর্তন পত্রিকায়। পরে কাজ করেছেন যুগান্তর পত্রিকা ও আজকাল পত্রিকাতেও।

কবি মৃদুল দাশগুপ্ত কর্তৃক সাহিত্যকর্মের সূচনা

শ্রীরামপুর ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে থাকা কালীনই তার কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে শ্রীরামপুর থেকে প্রকাশিত বেলাভূমি প্রভৃতি পত্রিকায় তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘এবং’ পত্রিকায় গুচ্ছ কবিতা লিখেছেন কবি।

মৃদুল দাশগুপ্তের সাহিত্য সাধনা

তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জলপাই কাঠের এসরাজ’ ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হয়। কবি জীবনের প্রথমে শীর্ষবিন্দু, বেলাভূমি, ভাইরাস, কৃত্তিবাস, কয়েকজন ইত্যাদি পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হত।

সাংবাদিক মৃদুল দাশগুপ্তের রচনাসম্ভার

মৃদুল দাশগুপ্ত মূলত কবি। ছোটোদের জন্য ছড়া ও বড়োদের জন্য গদ্যও লিখেছেন। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল ‘জলপাই কাঠের এসরাজ’ (১৯৮০), ‘এভাবে কাঁদে না’ (১৯৮৬), ‘গোপনে হিংসার কথা বলি’ (১৯৮৮), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (১৯৯৯), ‘ধানখেত থেকে’ (২০০৭), ‘সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ’, ‘সোনার বদ্বুদ’, ‘সাতপাঁচ’, ‘আমপাতা জামাপাতা’, ‘রঙিন ছড়া’। তাঁর লেখা ছোটোদের জন্য ছড়াগ্রন্থ হল ‘ঝিকিমিকি ঝিরিঝিরি’ (১৯৯৭), ‘ছড়া পঞ্চাশ (২০০১)। ‘কবিতা সহায়’ নামে গদ্য রচনাটি প্রকাশিত হয় ২০০২ খ্রিস্টাব্দে।

কবি মৃদুল দাশগুপ্তের পুরস্কার ও সম্মাননা

১৯৭৫ সালে মৃদুল দাশগুপ্ত কে ন্যাশনাল রাইটার্স আওয়ার্ড এ সম্মানিত করা হয়। মৃদুল দাশগুপ্ত ২০০০ সালে ‘সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য বাংলা অ্যাকাডেমী পুরস্কার পান। ২০০০ সালেই তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পান ও ২০১২ সালে ‘সোনার বুদ্বুদ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।

উপসংহার :- মৃদুল দাশগুপ্ত বাংলা কাব্যজগতে একজন অগ্রগণ্য কবি। কবি হিসেবে তিনি শক্তিমান, প্রতিবাদী, স্পষ্টবাক।

(FAQ) লেখক ও কবি মৃদুল দাশগুপ্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. মৃদুল দাশগুপ্তের জন্ম কখন কোথায় হয়?

৩ এপ্রিল ১৯৫০ সালে হুগলির শ্রীরামপুরে।

২. মৃদুল দাশগুপ্তের পিতা ও মাতার নাম কি?

জ্যোৎস্না দাশগুপ্ত ও সান্তনা দাশগুপ্ত।

৩. কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য মৃদুল দাশগুপ্ত রবীন্দ্র পুরস্কার পান?

সোনার বুদবুদ (২০১২)

৪. কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য মৃদুল দাশগুপ্ত বাংলা অ্যাকাডেমী পুরস্কার পান?

সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ (২০০০)

Leave a Comment