রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলাফল

রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলাফল প্রসঙ্গে ক্রীতদাসদের বিদ্রোহ, ক্রীতদাসদের সুবিধা প্রদান, ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায়, ক্রীতদাস প্রথার ফলাফল হিসেবে বিপুল কৃষি উৎপাদন, ব্যাপক খনিজ উৎপাদন, বিস্ময়কর নির্মাণকার্য, বাণিজ্যিক বিকাশ, নাগরিকদের কর্মবিমুখতা ও সামাজিক স্থবিরতা, অর্থ সংকট ও সামরিক দুর্বলতা সম্পর্কে জানবো।

প্রাচীন রোমের ক্রীতদাস প্রথার ব্যপকতার ফলাফল প্রসঙ্গে রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলে বিপুল কৃষি উৎপাদন, রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলে অভাবনীয় নির্মাণকার্য, রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলে ব্যাপক খনিজ উৎপাদন, রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলে বাণিজ্যের বিকাশ, রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলে সামরিক দুর্বলতা, রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলে নাগরিকদের কর্মবিমুখতা ও সামাজিক স্থবিরতা সম্পর্কে জানব।

রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলাফল

ঐতিহাসিক ঘটনারোমের ক্রীতদাস প্রথার ফলাফল
জন্মসূত্রে ক্রীতদাসভার্নি
পালিয়ে যাওয়া ক্রীতদাসম্যানুমিসিও
মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাসলিবারটাস
প্রথম ক্রীতদাস বিদ্রোহ১৩৫-১৩২ খ্রি পূ
দ্বিতীয় ক্রীতদাস বিদ্রোহ১০৪-১০০ খ্রি পূ
তৃতীয় ক্রীতদাস বিদ্রোহ৭৩-৭১ খ্রি পূ
রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলাফল

ভূমিকা :- ক্রীতদাসদের শ্রমের ওপর ভিত্তি করে রোমান সাম্রাজ্যের চরম অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঘটলেও ক্রীতদাস প্রথার পরিণাম শেষপর্যন্ত সাম্রাজ্য-এর পক্ষে মোটেই শুভ হয় নি। ক্রীতদাসপ্রথা রোমান সাম্রাজ্যের ভিতটাই দুর্বল করে দিয়েছিল। ফলে রোমান সাম্রাজ্যের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল।

রোমে ক্রীতদাস বিদ্রোহ

প্রাচীন রোম-এ ক্রীতদাসদের প্রতি তাদের প্রভুদের দরদের বিষয়টি ছিল মহাসাগরের তীরবর্তী ক্ষুদ্রাকায় নুড়ি-পাথরের মতোই সামান্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শোষণ, নির্যাতন, হত্যাই ছিল ক্রীতদাসের জীবনের ভবিতব্য। সীমাহীন পরিশ্রম, অনাহার-অর্ধাহার, অত্যাচার ও শোষণের শিকার হয়ে ক্রীতদাসরা কখনো-কখনো বিদ্রোহের পথে পা বাড়াত। গ্রিক ইতিহাসবিদ ডায়োডোরাস লিখেছেন যে, “ক্রীতদাসরা বিদ্রোহ করার উদ্দেশ্যে মাঝেমধ্যে ঐক্যবদ্ধ হত।”

গুরুত্বপূর্ণ ক্রীতদাস বিদ্রোহ

খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে রোমান সাম্রাজ্যে ক্রীতদাস বিদ্রোহ শুরু হয়। ডায়োডোরাস গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ক্রীতদাস বিদ্রোহের উল্লেখ করেছেন – প্রথম ক্রীতদাস বিদ্রোহ (১৩৫-১৩২ খ্রি. পূ.) দ্বিতীয় ক্রীতদাস বিদ্রোহ (১০৪- ১০০ খ্রি. পূ.) এবং তৃতীয় ক্রীতদাস বিদ্রোহ (৭৩-৭১ খ্রি. পূ.)।

রোমের ক্রীতদাসদের সুবিধা প্রদান

শেষপর্যন্ত বিভিন্ন রোমান সম্রাট ক্রীতদাসদের কিছু কিছু অধিকারের স্বীকৃতি দেন। সম্রাট ক্লডিয়াস ঘোষণা করেন যে, “যদি কোনো প্রভু তার দাসকে পরিত্যাগ করে তবে সেই দাস স্বাধীন বা মুক্ত বলে বিবেচিত হবে।” সম্রাট নিরো প্রচুর অন্যায়ের বিরুদ্ধে ক্রীতদাসকে আদালতে অভিযোগ জানানোর অধিকার দেন। পরবর্তীকালে ক্রীতদাসদের আইনি সুরক্ষাও বৃদ্ধি পায়।

রোমের ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায়

রোমান প্রভুরা তাদের অধীনস্থ ক্রীতদাসদের গৃহপালিত পশুর মতো আটকে রাখত। ফলে ক্রীতদাসদের সারাজীবন বন্দি হিসেবে কাটাতে হত। প্রভুর অধীনে বন্দি অবস্থায় বার্ধক্যে ও রোগভোগে জরাজীর্ণ হয়ে একসময় তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্রীতদাস তার দাসত্বের জীবন থেকে মুক্তিও লাভ করতে পারত। মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাস লিবারটাস নামে পরিচিত ছিল। মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাসটির মস্তকে মুক্তির প্রতীক হিসেবে বিশেষ আচ্ছাদন পরিয়ে দেওয়া হত। মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাসটি তার পূর্বতন প্রভুর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করত। মুক্তি পাওয়ার পর তার সন্তান রোমের স্বাধীন নাগরিকের মর্যাদা লাভ করত। ক্রীতদাসত্ব থেকে মুক্তির বিভিন্ন উপায়গুলি ছিল নিম্নরূপ –

(১) অর্থ প্রদান

কোনো কোনো ক্রীতদাস তার দাসত্বের জীবনে বহু কাল ধরে পরিশ্রম করে বেশ কিছু অর্থ সঞ্চয় করতে পারত। এই সঞ্চিত অর্থ ক্রীতদাসটি তার প্রভুর হাতে এককালীন প্রদান করলে প্রভু আর্থিক দিক দিয়ে যথেষ্ট লাভবান হত। প্রভুটি দীর্ঘদিন ধরে ক্রীতদাসটির শ্রম শোষণ করেও এতটা লাভবান হতে পারত না। ক্রীতদাসটি তার প্রভুকে এরুপ বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে তার অধীনতা থেকে মুক্তি ক্রয় করতে পারত।

(২) আনুগত্য

কোনো কোনো ক্রীতদাস সারাজীবন ধরে তার প্রভুর প্রতি গভীর আনুগত্য দেখাত। এই আনুগত্যের জন্য সে অনেক সময় পুরস্কার পেত। অধীনস্থ ক্রীতদাসের কাছ থেকে আজীবন এরূপ আনুগত্য পেয়ে কোনো কোনো দয়াবান প্রভু তার ক্রীতদাসটিকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিত।

(৩) প্রভুকে সেবাদান

কোনো কোনো ক্রীতদাস তার প্রভুর অত্যন্ত বিশ্বস্ত সেবক হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে তার প্রভুর সেবাযত্ন করে প্রভুর প্রিয়পাত্র হয়ে উঠত। সে প্রভুর পরিবারের একজন সদস্যের মতোই প্রভুর কাছের মানুষ হয়ে উঠত। দীর্ঘকাল ধরে এই সেবাযত্ন প্রাপ্তির পুরস্কার হিসেবে কখনো-কখনো প্রভু তার অধীনস্থ ক্রীতদাসকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিত।

(৪) প্রভুর প্রাণরক্ষা

এমনও দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় যে, অত্যন্ত বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে ক্রীতদাস নিজের জীবন বিপন্ন করে তার প্রভুর প্রাণরক্ষার উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ত। এরূপ ক্ষেত্রে কখনো-কখনো প্রভু তার প্রাণরক্ষাকারী ক্রীতদাসটির প্রতি সদয় হয়ে তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিত।

(৫) লড়াইয়ে গ্ল্যাডিয়েটারের জয়লাভ

প্রাচীন রোমে গ্ল্যাডিয়েটারের লড়াই নামে এক নিষ্ঠুর ও অমানবিক ক্রীড়ানুষ্ঠান প্রচলিত ছিল। এই অনুষ্ঠানে গ্ল্যাডিয়েটার নামে পরিচিত ক্রীতদাস বাঘ, সিংহ প্রভৃতি হিংস্র পশুর সঙ্গে লড়াই করত। লড়াইয়ে ক্ষুধার্ত হিংস্র পশুর বিরুদ্ধে গ্ল্যাডিয়েটার জয়লাভ করলে ক্রীতদাসটির প্রভু খুশি হয়ে অনেক সময় তাকে মুক্তি দিত।

(৬) সিনেটের উদ্যোগ

রোমান সিনেট বা আইনসভা কখনো কখনো ক্রীতদাসদের মুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ নিত। সিনেটের অনুমোদনক্রমে সেখানকার ম্যাজিস্ট্রেটরা কোনো কোনো ক্রীতদাসকে মুক্তি দিতে পারত।

ক্রীতদাসপ্রথার ফলাফল

রোমান সাম্রাজ্যে ক্রীতদাসপ্রথার গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলগুলি ছিল নিম্নরূপ –

(ক) বিপুল কৃষি উৎপাদন

রোমান সাম্রাজ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রয়োজন ছিল দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করা। রোমান ক্রীতদাসরা দেশের সেই প্রয়োজন মিটিয়েছিল। রোমান সরকার কৃষি উৎপাদনের কাজে ক্রীতদাসদের নিয়োগ করে দেশের বিশাল জনসংখ্যার প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান দিতে সক্ষম হয়েছিল। রোমের কৃষি উৎপাদনের বেশির ভাগ অংশই ক্রীতদাসরা উৎপাদন করত।

(খ) ব্যাপক খনিজ উৎপাদন

রোমান সাম্রাজ্যের সামগ্রিক জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশই ছিল ক্রীতদাস। রোমে এত বিপুল সংখ্যক ক্রীতদাস থাকার ফলে সেখানকার বিভিন্ন কাজে সস্তায় শ্রমিকের জোগান দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। ফলে দেশের কৃষিক্ষেত্র ও খনিগুলিতে সুলভ দাস-শ্রমিকের শ্রমের ওপর ভিত্তি করে উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। সুলভ ক্রীতদাস শ্রমিকের অভাব ঘটলে এতটা উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব ছিল না।

(গ) বিস্ময়কর নির্মাণকার্য

প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যে কলোসিয়াম, অসংখ্য রাস্তাঘাট, সেতু, জলপ্রণালী, বহু বৃহদাকার অট্টালিকা ও অন্যান্য স্থাপত্য নির্মিত হয়েছিল। বিপুল সংখ্যক ক্রীতদাস শ্রমিকের পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়েই এইসব নির্মাণ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছিল। ক্রীতদাসের সৃষ্টি এইসব নির্মাণকার্যগুলির বহু ভগ্নাবশেষ আজও অতীত রোমের স্মৃতি বহন করে চলেছে।

(ঘ) বাণিজ্যিক বিকাশ

  • (১) ক্রীতদাসদের শ্রমের দ্বারা রোমের কৃষি অর্থনীতি ক্রমে শিল্প ও বাণিজ্য অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছিল। রোমের ক্রীতদাসরা কৃষিকাজে নিযুক্ত হয়ে জলপাই, আঙুর, গম প্রভৃতি উৎপাদন করত। জলপাই থেকে অলিভ অয়েল এবং আঙুর থেকে মদ তৈরি হত।
  • (২) এ ছাড়া ক্রীতদাসদের শ্রমে বিভিন্ন বিলাসদ্রব্য-সহ অন্যান্য সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছিল। সামগ্রিকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে রোমের বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানি হতে শুরু করেছিল। এভাবে রোমান বাণিজ্যের বিকাশ ঘটেছিল এবং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছিল।

(ঙ) নাগরিকদের কর্মবিমুখতা ও সামাজিক স্থবিরতা

  • (১) রোমান সাম্রাজ্যের ক্রীতদাসরা নাগরিকদের যাবতীয় কাজকর্ম করে দিয়ে নাগরিকদের জীবনে অপার সুখস্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসত। হোরেস উল্লেখ করেছেন যে, রোমের একজন অতি সাধারণ নাগরিকও অন্তত ১০ জন ক্রীতদাস রাখতেন।
  • (২) টিঙ্গে ও ব্যাটকক বলেছেন যে, “রোমের কোনো কোনো ধনী নাগরিকের অধীনে অন্তত ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত ক্রীতদাস থাকত।” ইতিহাসবিদ গ্রান্ট বলেছেন যে, “প্রাত্যহিক জীবনের তুচ্ছাতিতুচ্ছ কাজের ক্ষেত্রেও নাগরিকরা ক্রীতদাসদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল।”
  • (৩) এর ফলে দিনের পর দিন কোনো কাজ না করে রোমান নাগরিকরা সম্পূর্ণ অলস ও কর্মবিমুখ হয়ে পড়েছিল। তাই বলা যায়, রোমের এই বিপুল সংখ্যক ক্রীতদাস রোমান সমাজের অগ্রগতি রোধ করে সমাজকে স্থবির করে দিয়েছিল।

(চ) অর্থসংকট

রোমান সাম্রাজ্যে ক্রীতদাসদের শ্রমের বিনিময়ে ধনী নাগরিকদের জীবনে সীমাহীন সুখস্বাচ্ছন্দ্য এসেছিল। এই সুখস্বাচ্ছন্দ্য দেশের দরিদ্র নাগরিকদের মধ্যেও সঞ্চারিত করার উদ্দেশ্যে রোমের প্রজাতান্ত্রিক সরকার রাজকোশের বেশির ভাগ অর্থ দরিদ্র মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য ব্যয় করত। তাদের জন্য দরকার বিনামূল্যে নানা পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করত। জনসাধারণের জন্য স্নানাগার, গির্জা, রাস্তাঘাট প্রভৃতি রক্ষণাবেক্ষণে প্রচুর অর্থ ব্যয় করত। ফলে সরকারের রাজকোশ প্রায় শূন্য হয়ে অর্থসংকটের সৃষ্টি হয়।

(ছ) সামরিক দুর্বলতা

রোমান রাজকোশে অর্থসংকটের ফলে রোমান সরকার দেশের সামরিক বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করতে ব্যর্থ হয়। ফলে রোমান যুবকরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে বা সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ে। তা ছাড়া যে সকল ক্রীতদাস যুবক সেনাবাহিনীতে যোগ দিত বা যুদ্ধ করত তারা আন্তরিকভাবে যুদ্ধ করত না। ফলে যুদ্ধের ফল রোমান সাম্রাজ্যের পক্ষে স্বস্তিদায়ক ছিল না। এই সামরিক দুর্বলতাই পরবর্তীকালে রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটায়।

উপসংহার :- রোমান সাম্রাজ্যের শেষ লগ্নে সেখানে খ্রিস্টান ধর্মের উত্থান ঘটলেও খ্রিস্টান চার্চ বা খ্রিস্টান ধর্ম ক্রীতদাসপ্রথার অবসানে কোনো বিশেষ ভূমিকা নেয় নি। ক্রীতদাসপ্রথার ব্যাপকতার ফলে রোমান সাম্রাজ্যে সামরিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক চরম অবক্ষয় দেখা দেয়। ফলে বর্বর জাতির আক্রমণে ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। কিন্তু এর পরও ইউরোপ-এর বিভিন্ন দেশে ক্রীতদাসপ্রথার অস্তিত্ব ছিল।

(FAQ) রোমে ক্রীতদাস প্রথার ফলাফল সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

১. রোমে প্রথম ক্রীতদাস বিদ্রোহ সংঘটিত হয় কখন?

১৩৫-১৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।

২. রোমের মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাস কি নামে পরিচিত ছিল?

লিবারটাস।

৩. রোমের জনসংখ্যার কত শতাংশ ক্রীতদাস ছিল ?

২৫ শতাংশ।

অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি

Leave a Comment