শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক প্রসঙ্গে ঐক্য বজায়ের প্রয়াস, পোপতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, পোপতন্ত্র ও রাজতন্ত্র, শার্লামেনের অভিষেক সম্পর্কে আইন হার্ড-এর বক্তব্য, রাজ্যাভিষেক বিষয়ে শার্লামেনের মনোভাব, পশ্চিম ইউরোপীয় সভ্যতার জন্ম, শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক বিষয়ে ব্রাইসের বক্তব্য, শার্লামেনের অভিষেকের প্রভাব, শার্লামেনের অভিষেক অনুষ্ঠান ও শার্লামেনের রাজ্যাভিষেকের সুদূরপ্রসারী গুরুত্ব সম্পর্কে জানবো।
পবিত্র রোমান সম্রাট শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক প্রসঙ্গে পোপতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, রাজ্যাভিষেক বিষয়ে শার্লামেনের মনোভাব, শার্লামেনের অভিষেক সম্পর্কে আইন হার্ড-এর বক্তব্য, শার্লামেনের অভিষেক অনুষ্ঠান ও শার্লামেনের অভিষেকের প্রভাব সম্পর্কে জানব।
শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক
ঐতিহাসিক ঘটনা | শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক |
সময়কাল | ২৫ ডিসেম্বর, ৮০০ খ্রি |
স্থান | সেন্ট পিটার্স ক্যাথিড্রাল |
পোপ | তৃতীয় লিও |
ভূমিকা :- James Bryce তাঁর “The Holy Roman Empire” গ্রন্থে মন্তব্য করেছিলেন, “শার্লামেনের অভিষেকের দ্বারা পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সূচনা হয়েছিল।”
ঐক্য বজায়ের প্রয়াস
৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর কিছু অংশে বহিরাগতদের অবস্থান ছিল। তারা রোম-এর সঙ্গে কোনরকম রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টাই করত না। যার ফলে সাম্রাজ্য-এর ধারণা বলতে কিছুই ছিল না। এর সঙ্গেই খ্রিস্টান চার্চ খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারে মনোযোগী হয়েছিল। রোমে খ্রিস্টান ধর্মবোধের প্রসার ঘটানো হয়েছিল। রোমে ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাধারণ বিশ্বাস, আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা ও সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছিল।
পোপতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
- (১) রোম সাম্রাজ্যের আগের অংশ এই চিন্তা করেছিল যে, রোম সাম্রাজ্যের পুনরায় উত্থান হবে। আইনগত দিক থেকে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের সর্বময় কর্তা ছিল পোপ। শার্লামেন বিভিন্ন অঞ্চল জয় করে রোম সাম্রাজ্যকে সংগঠিত করেছিলেন। রোমে রিপাবলিকান পার্টির উত্থান পোপের পক্ষে বিপজ্জনক মনে হয়েছিল।
- (২) পোপ তৃতীয় লিও জনগণের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। শার্লামেন পোপ তৃতীয় লিওকে উদ্ধার করেছিলেন। ৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে শার্লামেন রোমে এসেছিলেন। পোপ শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পোপতন্ত্রের মহিমা জাহির করতে চেয়েছিলেন।
পোপতন্ত্র ও রাজতন্ত্র
- (১) ফরাসি ঐতিহাসিক ফার্দিনান্দ লট-এর মতে শার্লামেনের অভিষেক অনুষ্ঠানটি ‘প্রহসন’ ছিল। R. G. D. Laffan তাঁর “Select Documents of European History” গ্রন্থে শার্লামেনের রোম সম্রাট হিসাবে অভিষেকের বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। ৮০০ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে ডিসেম্বর পোপ তৃতীয় লিও সেন্ট পিটার্স ক্যাথিড্রালে “রোমানদের সম্রাট” বলে শার্লামেনকে অভিহিত করেন।
- (২) পোপ তৃতীয় লিও শার্লামেনের মাথায় মণিমুক্তা খচিত মুকুট পরিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে রোমান জনগণ সমস্বরে উল্লাসধ্বনির মধ্যে দিয়ে শার্লামেনকে রোমান হিসাবে মেনে নিয়েছিল। শার্লামেনের জীবনীকার Einhard অবশ্য বলেছিলেন যে, পোপের এই ধরনের অভিসন্ধি থাকলে শার্লামেন কখনোই সেন্ট পিটার্স ক্যাথিড্রালে প্রবেশ করতেন না।
- (৩) শার্লামেনকে সম্রাট পদে অভিষেকের দ্বারা পোপ তৃতীয় লিও পোপতন্ত্রকে সম্রাটের উপর প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। আর পোপতন্ত্র বড় না রাজতন্ত্র বড় এই বিষয়টি নিয়েই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
শার্লামেনের অভিষেক সম্পর্কে আইন হার্ড-এর বক্তব্য
- (১) আইন হার্ড-এর বক্তব্য থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, শার্লামেন অভিষেক অনুষ্ঠান হবে একথা ভেবে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আসেন নি। তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেওয়ার সময় তাঁর অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কিছুমাত্র জানলে তিনি সেন্ট পিটার্স ক্যাথিড্রালে প্রবেশ করতেন না।
- (২) তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে এই ধরনের অভিষেক অনুষ্ঠানে পোপতন্ত্র কেন শার্লামেনের মাথায় মুকুট পরাতে গেলেন? শার্লামেন নিজেই বলেছেন, অভিষেক অনুষ্ঠানটি তার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। তিনি কোনোরকম আশঙ্কাই প্রকাশ করেন নি।
- (৩) এই ক্ষেত্রে একজন উচ্চব্যক্তি যিনি সম্রাটের উপরে অবস্থান করছেন তিনিই সম্রাট শার্লামেনের মাথায় মুকুট পরিয়ে দিতে পারতেন। পোপ হয়ত পোপতন্ত্রকে বড় করে দেখানোর উদ্দেশ্যেই এমন কাজ করেছিলেন। এই বিষয়টি অবশ্যই বিতর্কিত।
রাজ্যাভিষেক বিষয়ে শার্লামেনের মনোভাব
- (১) শার্লামেনের ক্ষেত্রে অবশ্য রাজ্যাভিষেক বা মাথায় মুকুট পরানোর বিষয়টি প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু যেভাবে মুকুট পরানো হয়েছিল তা সম্রাটের পক্ষে মর্যাদাহানি করেছিল। শার্লামেন শক্তিশালী, রাজ্য বিস্তারের ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তি, চার্চের রক্ষাকর্তা এবং অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে একজন সাম্রাজ্যবাদী শাসক হিসাবে যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন।
- (২) শার্লামেন কনস্ট্যান্টিনোপলে দূত পাঠিয়েছিলেন Irene কে বিবাহ করার জন্য। শার্লামেনের সঙ্গে Irene-এর বিবাহ বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল। পোপ তৃতীয় লিও ৮০০ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে ডিসেম্বরকেই বেছে নিয়েছিলেন একটি পবিত্র দিন হিসাবে। শার্লামেন রাজ্যাভিষেক চেয়েছিলেন কিন্তু এইভাবে নয়। অন্যভাবে অর্থাৎ কূটনৈতিকভাবে।
- (৩) শার্লামেন অনিচ্ছা সত্ত্বেও পোপের কাছ থেকে মুকুটটি গ্রহণ করেছিলেন। শার্লামেনের পোপের কাছ থেকে মুকুট গ্রহণ করতে অনিচ্ছা ছিল বলে মনে করেন না Bryce। শার্লামেন সেই সময়কার ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সম্রাট ছিলেন এবং পোপ তৃতীয় লিও তাকে নির্বাচন করেছিলেন একজন যোগ্য সম্রাট হিসাবে।
- (৪) যে বিষয়ে প্রশ্ন জাগে সেটি হল রাজ্যাভিষেকের বিষয়টি আইনগত ছিল কিনা? পোপ সম্রাটকে নির্বাচিত করবেন রাজ্যভিষেকের জন্য। এক্ষেত্রে তাঁর কোনো আইনগত অধিকার ছিল না। শার্লামেন রাজ্যজয় করে সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার ঘটিয়েছিলেন জনসাধারণ শার্লামেনকে সম্রাট হিসাবে নির্বাচন করতে পারত, নয় বেছে নিতে পারত।
- (৫) প্রাচীনকাল থেকেই সম্রাটকে নির্বাচন করার রীতি চলে আসছিল। কিন্তু পোপ সম্রাটকে মুকুট পরিয়ে রাজ্যাভিষেক ঘটাবে সে বিষয়টি নতুন ছিল। রোমান জনগণ শার্লামেনকে নির্বাচিত করে নি বলে মনে করেন Bryce।
পশ্চিম ইউরোপীয় সভ্যতার জন্ম
- (১) শার্লামেন পোপ তৃতীয় লিও-এর কাছ থেকে যে রাজকীয় মুকুট পেয়েছিলেন তা সাধারণভাবেই তাঁর প্রাপ্য ছিল। Bryce বলেন, কোনো সমসাময়িক নথিপত্র বা কোনোরকম তত্ত্ব ছিল না যার দ্বারা শার্লামেনের রাজ্যাভিষেকের প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করা যাবে।
- (২) G. Barraclough তার “History in a Changing World” গ্রন্থে স্পষ্টতই বলেছেন যে, শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক পশ্চিম ইউরোপীয় সভ্যতার জন্ম লগ্ন ছিল।” এই সময় থেকেই ক্যারোলিঞ্জিয়ান সভ্যতা নতুন ধারা ও উদ্যম পেয়েছিল যার ফলে এই সভ্যতা পরবর্তীকালেও প্রভাব ফেলেছিল।
শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক বিষয়ে ব্রাইসের বক্তব্য
- (১) ব্রাইসের মতে, শার্লামেনের অভিষেকের সময় থেকেই অর্থাৎ ৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই আধুনিক ইতিহাস-এর সূচনা হয়েছিল। মধ্যযুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল, এই অভিষেক অনুষ্ঠান। আসলে ব্রাইস অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পর্কে যা মন্তব্য করেছেন তা অনেকটাই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য।
- (২) কখনো তিনি একে গুরুত্ব দিচ্ছেন আবার কখনো তিনি সাধারণভাবে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে মন্তব্য করছেন। শার্লামেনের অভিষেকের বিষয়টির তাৎপর্য অবশ্যই মধ্যযুগের ইউরোপ-এর ইতিহাসে রয়েছে। আধুনিক কালের ইতিহাসের ক্ষেত্রে এই ঘটনা যে খুব বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল একথা অবশ্য বলা যায় না।
- (৩) মধ্যযুগের ইউরোপে রাজনৈতিক ধ্যান ধারণার ক্ষেত্রে এই ঘটনা আমূল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অভিষেককে কেন্দ্র করে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দেখা যায়। পোপতন্ত্র খ্রিস্টানধর্ম ও পোপের ক্ষমতা দেখিয়েছিল। সম্রাটের উপরে পোপের অবস্থান তা প্রমাণ করার চেষ্টা চলেছিল।
পূর্ব ও পশ্চিমের রোমান সাম্রাজ্যের বিভাজন
- (১) রাজা শার্লামেনের অভিষেকের ফলে জার্মানদের মর্যাদা বেড়ে গিয়েছিল। কারণ জার্মান জাতিদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন শার্লামেন। শার্লামেনের অভিষেকের ফলে পোপ কতটা লাভবান হয়েছিল তা বলা যায় না। আবার শার্লামেনের ক্ষমতা কতটা বেড়ে গিয়েছিল তাও বলা সম্ভব নয়।
- (২) শার্লামেন সম্রাট হিসাবে পোপ তৃতীয় লিওর মুকুট ও সম্রাট হিসাবে স্বীকৃতিকে মেনে নিয়েছিলেন। শার্লামেনের অভিষেক পরবর্তী সময়ে রাজতন্ত্র এবং পোপতন্ত্রের মধ্যে সংঘাতের সূচনা হয়েছিল যা মধ্যযুগের ইউরোপের প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
- (৩) G. Barraclough অভিষেকের প্রকৃত গুরুত্ব বিচার করে বলেছেন যে, “শার্লামেন স্বাধীনভাবে থাকতে চেয়েছিলেন। ৮১২ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব সাম্রাজ্য শার্লামেনকে পশ্চিমের সম্রাট হিসাবে মেনে নিয়েছিল। এইভাবে পূর্ব রোমান সাম্রা পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্য থেকে আলাদা হয়েছিল।”
শার্লামেনের অভিষেকের প্রভাব
- (১) শার্লামেনের অভিষেক বহিরাগত এবং রোমান সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছিল। বহিরাগত ও রোমান সংস্কৃতির মিশ্রণ নতুন সভ্যতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিল। শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক থেকেই পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সূচনা হয়েছিল।
- (২) নতুন ধরণের শাসনতান্ত্রিক বিষয়ও দেখতে পাওয়া যায় শার্লামেনের অভিষেকের পরবর্তী সময়কালে। এই বৈজ্ঞানিক শাসনতান্ত্রিক পদ্ধতি শার্লামেন অনুসরণ করার ফলে ইউরোপীয় শাসনতান্ত্রিক ক্ষেত্রে উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। শার্লামেনের অভিষেকের ফলে শান্তি স্থাপন হয় এবং যার ফলস্বরূপ সংস্কৃতির বিস্তার ঘটে।
- (৩) শার্লামেনের অভিষেক হওয়ার ফলে তিনি যে সমগ্র পশ্চিম ইউরোপের শাসনভার পেয়েছিলেন তা নয়। স্পেন, ইংল্যান্ড, উত্তর স্ক্যাণ্ডিনেডিয়া তাঁর সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। যাইহোক শার্লামেনের অভিষেক কিন্তু বিতর্কের জন্ম দেয়।
রোমান সম্রাট শার্লামেনের অভিষেক অনুষ্ঠান
- (১) শার্লামেন একজন শক্তিশালী সম্রাট ছিলেন। শার্লামেন তাঁর সামরিক বাহিনীকে সুগঠিত করার ফলে বহু সম্রাটই তাঁর কাছে সাহায্য চাইতেন। অন্যদিকে পোপ ছিলেন খ্রিস্টান জগতের প্রধান ধর্মগুরু। পোপ ও শার্লামেনের সম্পর্ক ভালোই ছিল। পোপকে শার্লামেন সাহায্যও করেছিলেন।
- (২) ৮০০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বরের আগে বড়দিনের উৎসবে পোপ শার্লামেনকে যোগদানের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। বড়দিন-এর উৎসবের প্রথা অনুযায়ী উৎসব শেষ হবার পর অন্যান্যদের সাথে শার্লামেন যখন মাথা নিচু করে প্রার্থনা করছিলেন সেই সময় পোপ তৃতীয় লিও তার মাথায় সোনার মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন।
- (৩) এরপর সমস্ত জনগণ উল্লাসে চিৎকার করে উঠেছিল। পবিত্র রোম সাম্রাজ্যের সম্রাট অগাস্টাস শার্লামেন দীর্ঘজীবী হোন। এই বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল বলে মনে করা হয়। পোপের দ্বারা অভিষেক শেষ হবার পর শার্লামেনের সাম্রাজ্য ‘পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য’ রূপে পরিচিত হয়।
শার্লামেনের রাজ্যাভিষেকের সুদূরপ্রসারী গুরুত্ব
- (১) G. Barraclough মন্তব্য করেছিলেন, শার্লামেনের অভিষেক পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের নবজন্ম দিতে পারে নি তার কারণ শার্লামেনের মৃত্যুর পর এই সাম্রাজ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। কিন্তু ব্রাইস শার্লামেনের অভিষেকের মধ্যে দিয়ে পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পুনরুত্থান ঘটেছিল বলে মনে করেন। যা ইউরোপকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।
- (২) সাম্রাজ্যে সংহতি ও চার্চের প্রতি আনুগত্য মানব চেতনাকে স্পষ্ট করে তুলেছিল। শার্লামেনের নেতৃত্বে প্রাচীন শিক্ষা ও সংস্কৃতির চর্চা শুরু হয়। খ্রিস্টধর্ম জনগণকে নতুন আলোর সন্ধান দেখায়। শার্লামেনের অভিষেক মধ্যযুগের ইউরোপের ধর্মীয় জীবনকে প্রভাবিত করেছিল। শার্লামেনের অভিষেকের ফলে বহিরাগতদের শাসনের অবসান ঘটে এবং খ্রিস্টান ধর্মকে গুরুত্ব দিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়।
উপসংহার :- শার্লামেনের রাজ্যাভিষেকের ফলে পশ্চিম ইউরোপের নবজন্ম ইউরোপে নতুন আশার সঞ্চার করেছিল এবং কিছু নতুন ধ্যান-ধারণা ও প্রবণতার সৃষ্টি করেছিল যা আধুনিক সময়কালকে প্রভাবিত করেছিল। শার্লামেনের অভিষেক থেকে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
(FAQ) শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
২৫ ডিসেম্বর ৮০০ খ্রিস্টাব্দে।
পোপ তৃতীয় লিও।
সেন্ট পিটার্স ক্যাথিড্রালে।
পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য।
অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি
- কেন্দ্রীয় চোল শাসন
- সাম্রাজ্য ও রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য
- অর্থনীতিতে দাসপ্রথার গুরুত্ব
- রোমের দাসদের মুক্তির উপায়
- রোমান সাম্রাজ্য ও উপমহাদেশীয় সাম্রাজ্যগুলির মধ্যে যোগাযোগের প্রভাব
- জাস্টিনিয়ান পরবর্তী রাজবংশ
- রোমান সমাজে নারীর অবস্থান
- বাইজানটাইন সভ্যতা-সংস্কৃতির নানা দিক
- রোমান সাম্রাজ্য ও ভারতীয় উপমহাদেশ