মার্শাল পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ মার্শালের বক্তব্যের বিষয়, মার্শালের ঘোষণা, মার্শাল পরিকল্পনার কারণ ও উদ্দেশ্য হিসেবে অর্থনৈতিক সংকট, কমিউনিস্টদের অগ্ৰগতি, রুশ আধিপত্যের প্রসার, আমেরিকার উদ্বেগ, সাম্যবাদ ও রুশ অগ্ৰগতির প্রতিরোধ, বাণিজ্যের প্রসার, অনুগত রাষ্ট্রজোট গঠন, মার্শাল পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হিসেবে অর্থ অনুমোদন, পরিকল্পনা গ্ৰহণকারী দেশ, অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন, রুশ প্রতিক্রিয়া, পূর্ব ইউরোপে বয়কট, মার্শাল পরিকল্পনার ফলাফল হিসেবে ইউরোপের অর্থনৈতিক অগ্ৰগতি, উৎপাদন বৃদ্ধি, মার্কিন বাণিজ্যের প্রসার, কমিউনিস্টদের প্রতিরোধ, চেকোস্লোভাকিয়ায় রুশ আগ্ৰাসন ও ঠাণ্ডা লড়াই সম্পর্কে জানবো।
মার্শাল পরিকল্পনা কি এই পরিকল্পনা কবে কার্যকর হয়
ঐতিহাসিক ঘটনা | মার্শাল পরিকল্পনা |
ঘোষণাকাল | ৫ জুন, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ |
ঘোষণাকারী | মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ মার্শাল |
উদ্দেশ্য | সাম্যবাদের প্রসার রোধ |
ফলাফল | ঠাণ্ডা লড়াই |
ভূমিকা:- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ট্রুম্যান নীতি ঘোষণার কয়েক মাস পর ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ মি. মার্শাল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতা দেন। এটিই মার্শাল পরিকল্পনা নামে পরিচিত।
বক্তব্যের বিষয়
এই বক্তৃতায় তিনি বলেন যে, যেখানে দারিদ্রা, ক্ষুধা ও হতাশা থাকে সেখানেই কমিউনিজমের প্রসার ঘটে। যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউরোপ-এর দারিদ্র্য দূর করতে না পারলে ইউরোপে সাম্যবাদের প্রসার রোধ করা যাবে না।
মার্শাল পরিকল্পনা
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আর্থিক পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে মার্শাল কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর বক্তৃতায় ‘ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা’ নামে এক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। মার্শালের নামানুসারে এই কর্মসূচি সাধারণভাবে ‘মার্শাল পরিকল্পনা’ নামে পরিচিত হয়।
মার্শালের ঘোষণা
জর্জ মার্শাল বলেন যে,
- (১) মার্কিন নীতি কোনো দেশ বা মতাদর্শের বিরুদ্ধে নয়। এই নীতি ক্ষুধা, দারিদ্র্যা, হতাশা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে।
- (২) পশ্চিম ইউরোপের দারিদ্র্য, ক্ষুধা, হতাশা, বেকারত্ব ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সংকট দূর করার উদ্দেশ্যে আমেরিকা অর্থসাহায্য করবে।
- (৩) কমিউনিস্ট শাসিত রাষ্ট্রগুলিও এই পরিকল্পনা অনুযায়ী মার্কিন অর্থসাহায্য লাভ করতে পারবে।
- (৪) সাহায্য গ্রহণকারী দেশকে মূল মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী সাহায্যপ্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে।
- (৫) সাহায্যপ্রাপ্ত দেশগুলির রাজস্ব মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থির করা হবে।
মার্শাল পরিকল্পণার কারণ ও উদ্দেশ্য
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যেই মার্শাল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় বলে আমেরিকা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু শুধু এই মানবিক দিক নয়, আরও কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে আমেরিকা মার্শাল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল বলে বিভিন্ন পণ্ডিত মনে করেন। সামগ্রিকভাবে মার্শাল পরিকল্পনার কারণ ও উদ্দেশগুলি হল –
(১) অর্থনৈতিক সংকট
যুদ্ধবিধ্বস্ত পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কৃষিকাজ, শিল্প উৎপাদন প্রভৃতি দারুণভাবে ব্যাহত হওয়ার ফলে অর্থনৈতিক সংকট তীব্রতর হয়ে ওঠে। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স-এ উৎপাদন ভীষণভাবে কমে যায়। ব্রিটেনের প্রায় অর্ধেক কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দে কয়লা উৎপাদন ভীষণ পরিমাণে কমে যাওয়ায় ইউরোপে জ্বালানি সংকট দেখা দেয়।
(২) কমিউনিস্টদের অগ্রগতি
অর্থনৈতিক সংকটের ফলে ইউরোপে কমিউনিস্ট বা সাম্যবাদী ভাবাদর্শের দ্রুত প্রসার ঘটতে থাকে। ফ্রান্সের অন্তত ৮০ শতাংশ শ্রমিক কমিউনিস্ট দলে যোগ দেয়। সেখানে কমিউনিস্ট ও সমাজতন্ত্রীরা যৌথ মন্ত্রীসভা গঠন করে।
(৩) রুশ আধিপত্যের প্রসার
পূর্ব ইউরোপের কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলিতে রুশ আধিপত্য যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। রাশিয়া দার্দানালিশ প্রণালী ও বসফরাস অঞ্চলে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায়। রাশিয়ার নেতৃত্বে এখানকার বিভিন্ন দেশগুলি নিয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট গড়ে ওঠে।
(৪) আমেরিকার উদ্বেগ
সাম্যবাদী ভাবাদর্শ ও রুশ আধিপত্যের ক্রমাগত সম্প্রসারণের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট উদবিগ্ন হয়ে পড়ে। তারা আতঙ্কিত হয় যে সাম্যবাদের অগ্রগতি রোধ করতে না পারলে সমগ্র পশ্চিম ইউরোপে শীঘ্রই রুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সামরিক দিক থেকে রাশিয়া সর্বশক্তিমান হয়ে উঠবে। ফলে মার্কিন নিরাপত্তা বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে।
(৫) সাম্যবাদ ও রুশ অগ্রগতি প্রতিরোধ
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান ইউরোপে সাম্যবাদ ও রাশিয়ার অপ্রগতি প্রতিরোধ করার বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেন। তাঁর এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন হয়। মার্শাল পরিকল্পনাই ছিল সেই অর্থনৈতিক পদক্ষেপ যার মাধ্যমে ট্রুম্যান নীতি সার্থকভাবে বাস্তবায়িত হয়।
(৬) বাণিজ্যের প্রসার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ -এর শেষ লগ্নে আমেরিকায় মুক্ত আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার প্রসার ঘটে। বিপুল পরিমাণ ঋণদানের মাধ্যমে ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে এই অঞ্চলে মার্কিন ব্যাবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোও মার্শাল পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
(৭) অনুগত রাষ্ট্রজোট গঠন
ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে অর্থসাহায্যের মাধ্যমে তাদের নিয়ে একটি অনুগত রাষ্ট্রজোট পাঠন করা এবং সেই সব দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতিতে প্রভাব বিস্তার করাও মার্শাল পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
মার্শাল পরিকল্পনার বাস্তবায়ন
মার্শাল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মার্কিন কংগ্রেস বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুমোদন করে। তবে এই অর্থসাহায্য গ্রহণ করার বিষয়ে বিভিন্ন দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেমন –
(১) অর্থ অনুমোদন
ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৩৩ বিলিয়ন ডলার। রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যান ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে মার্কিন কংগ্রেসে ১৭ বিলিয়ন ডলার অর্থ মঞ্জুরের জন্য বিল উত্থাপন করেন। কংগ্রেস আপাতত ১৩ বিলিয়ন ডলার মঞ্জুর করে এবং ইউরোপের আর্থিক সংহতি সাধনের উদ্দেশ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আইন’পাস করে।
(২) পরিকল্পণা গ্রহণকারী দেশ
ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, তুরস্ক, পশ্চিম জার্মানি সহ পশ্চিম ইউরোপের ১৬টি দেশ মার্শাল পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা গ্রহণকারী এই দেশগুলি একত্রিত হয়ে European Economic Co-operation বা EEC নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলে। এই সংস্থা ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাস থেকে “ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (OEEC) নামে পরিচিত হয়।
(৩) অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন
মার্শাল পরিকল্পনা গ্রহণকারী দেশগুলির অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের জন্য আমেরিকা ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মোট ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করে। আমেরিকার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা পেয়ে ইউরোপের মুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলির অর্থনীতি আবার প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে মার্শাল পরিকল্পনার পরিসমাপ্তি ঘটে।
(৪) রুশ প্রতিক্রিয়া
সোভিয়েত রাশিয়ার জন্য মার্শাল পরিকল্পনার ঋণ গ্রহণের পথ খোলা থাকলেও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভ এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেননি। তিনি অভিযোগ করেন যে,
- (ক) মার্শাল পরিকল্পনা হল ডলার সাম্রাজ্যবাদের’ পরিবর্তিত রূপ। এর দ্বারা আমেরিকা সাহায্য গ্রহণকারী দেশগুলির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে।
- (খ) মার্কিন হস্তক্ষেপের ফলে সাহায্যপ্রাপ্ত দেশগুলির সাবভৌমত্ব নষ্ট হবে।
- (গ) মার্কিন পুঁজিপতি সংস্থাগুলি সাহায্যপ্রাপ্ত দেশগুলিতে অর্থনৈতিক শোষণ চালাবে।
(৫) পূর্ব ইউরোপের বয়কট
রুশ প্রভাবিত পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি মার্শাল পরিকল্পনা বয়কট করে এবং ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে ‘কমিউনিস্ট ইকনমিক ইউনিয়ন’ বা ‘কমিকন’ (Communist Economic Union বা COMECON) নামে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
মার্শাল পরিকল্পনার ফলাফল
মার্শাল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সোভিয়েত রাশিয়া ও তার নেতৃত্বাধীন পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেও এই পরিকল্পনা যে উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছিল তা অনেকাংশে সফল হয়। যেমন –
(১) ইউরোপের অর্থনৈতিক অগ্রগতি
মার্শাল পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থসাহায্য পেয়ে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির ভঙ্গুর অর্থনীতির মন্দাভাব কেটে যায় এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আবার সক্রিয় ও সচল হয়ে ওঠে।
(২) উৎপাদন বৃদ্ধি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক মুহূর্তে ইউরোপে উৎপাদনের যে মাত্রা ছিল তা এই সময় অতিক্রম করে ২৫ শতাংশ বাড়তি উৎপাদন হয়। ইংল্যান্ডের রপ্তানির হার বৃদ্ধি পায় এবং ফ্রান্সের মুদ্রাস্ফীতি দূর হয়।
(৩) মার্কিন বাণিজ্যের প্রসার
মার্কিন অর্থসহায়তা পেয়ে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঘটলে তারা আমেরিকা থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করে। ফলে মার্কিন বাণিজ্যের যথেষ্ট প্রসার ঘটে।
(৪) কমিউনিস্টদের প্রতিরোধ
মার্কিনি অর্থ-সহায়তায় পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি কমিউনিস্ট ভাবধারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। তাদের দেশের গণতান্ত্রিক দলগুলি নির্বাচনে কমিউনিস্ট ও সমাজতন্ত্রীদের পরাজিত করতে সমর্থ হয়। ফলে সেইসব দেশে ধনতান্ত্রিক ধাঁচের ‘গণতান্ত্রিক সরকার’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
(৫) চেকোস্লোভাকিয়ার রুশ আগ্রাসন
চেকোশ্লোভাকিয়ার নির্বাচিত বৈধ কোয়ালিশন সরকার মার্শাল পরিকল্পনা গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করে। ফলে রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান স্ট্যালিনের নির্দেশে কমিউনিস্টরা ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে বৈধ চেক সরকারকে জোর করে উৎখাত করে সেখানে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
(৬) ঠাণ্ডা লড়াই
মার্শাল পরিকল্পনার ফলে ইউরোপীয় রাজনীতি ও অর্থনীতি পরস্পর বিরোধী সুস্পষ্ট দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে যায়। পশ্চিম ইউরোপে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কালে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের তীব্রতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়।
উপসংহার:- আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন শত্রুপক্ষ পশ্চিম জার্মানিকেও মার্শাল পরিকল্পনার আওতায় এনে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। মার্শাল পরিকল্পনার কল্যাণকামী ফলাফল লক্ষ্য করে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নেস্ট বেভিন এই পরিকল্পনাকে “একজন ডুবন্ত মানুষের জীবন প্রাপ্তি” বলে অভিহিত করেছেন।
(FAQ) মার্শাল পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ মার্শাল ১৯৪৭ সালের ৫ জুন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
ঠাণ্ডা লড়াই।