পারমার বংশের রাজা ভোজ প্রসঙ্গে সিংহাসনে আরোহণ, অতিরঞ্জিত বর্ণনা, যুদ্ধ, জীবনের বিয়োগান্ত পরিণতি, তার মৃত্যু এবং শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা সম্পর্কে জানবো।
পারমার বংশের রাজা ভোজ
ঐতিহাসিক চরিত্র | রাজা ভোজ |
রাজত্বকাল | আনুমানিক ১০১০-১০৫৫ খ্রিস্টাব্দ |
বংশ | পারমার বংশ |
রাজধানী | ধারা |
কীর্তি | সাহিত্যের বিখ্যাত পৃষ্ঠপোষক |
ভূমিকা :- চারণদের গাথা ও পরবর্তী কালের শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, আবু পাহাড়ের পৌরাণিক অগ্নিকুণ্ড থেকে পারমার বংশের উদ্ভব হয়। এই পারমার বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন ভোজ।
রাজা ভোজের সিংহাসনে আরোহণ
সিন্ধুরাজের মৃত্যুর পর তার পুত্র ও উত্তরাধিকারী রাজা ভোজ পারমার বংশের সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ছিলেন পারমার বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা।
রাজা ভোজ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত বর্ণনা
তিনি ভারতীয় ইতিহাসে ও প্রাচীন উপাখ্যানে বিখ্যাত হয়ে আছেন। সমসাময়িক শিলালিপিতে তাঁর বিজয় অভিযান অতিরঞ্জিত ভাবে বর্ণিত হয়েছে।
পারমার বংশের রাজা ভোজের যুদ্ধ
কল্যাণের চালুক্য বংশ ও ভাহলের কলচুরি বংশ-এর সাথে তার সংগ্রামের প্রামাণ্য বিবরণ পাওয়া যায়। একথা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে এই সকল যুদ্ধের কোনো কোনটিতে তিনি জয়লাভ করেন। চান্দেল্ল বংশ-এর সাথেও সম্ভবত তাঁর সদ্ভাব ছিল না।
রাজা ভোজের জীবনের বিয়োগান্ত পরিণতি
দ্বিতীয় বাকপতির ন্যায় তাঁর জীবনেরও বিয়োগান্ত পরিণতি ঘটেছিল।
পারমার বংশের রাজা ভোজের মৃত্যু
কল্যাণের চালুক্যবংশীয় প্রথম সোমেশ্বর আহবমল্ল, গুজরাটের চৌলুক্য বা সোলাঙ্কি বংশ-এর প্রথম ভীম এবং কলচুরিবংশের লক্ষ্মীকর্ণ সংঘবদ্ধভাবে ভোজের রাজধানী ধারা আক্রমণ করলে যুদ্ধে ভোজের মৃত্যু হয়।
শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক রাজা ভোজ
সামরিক ও রাজনৈতিক কৃতিত্ব অপেক্ষা শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতার জন্যই ভোজ শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতে পারেন। শিলালিপি থেকে জানা যায় যে তিনি বহু সৌধ নির্মাণ করিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অতি অল্প নিদর্শনই অবশিষ্ট আছে।
উপসংহার :- এই প্রতিভাশালী নৃপতি দর্শন, কাব্য, অলঙ্কার, জ্যোতির্বিদ্যা, স্থাপত্য, চিকিৎসাবিদ্যা, ব্যাকরণ, শব্দকোষ এবং অনুরূপ আরও বহু বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছিলেন বলে প্রবাদ আছে।
(FAQ) পারমার বংশের রাজা ভোজ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?
পারমার বংশ।
ধারা।
রাজা ভোজ।